তুরস্ক
প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদায়ী তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরানকে বলেছেন, উভয় দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা ছাড়াও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নতুন বিনিয়োগের জন্য আরও তুরস্কের বিনিয়োগকে আকর্ষণ করছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে ইতোমধ্যেই তার দেশের দুটি কোম্পানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে চলতি বছর ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহে ট্রানজিট দেশ হতে পারলে তুরস্ক যথেষ্ট খুশি হবে: তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষ করে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে।’
তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে সংলাপ করতে বাংলাদেশে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক আয়োজনের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের নিজস্ব বিষয়, বিদেশিদের নয়: তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
সর্বশেষ কমিশন সভা ২০১৯ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে তার দেশ প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী তুরস্ককে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার অনুরোধ জানান, কারণ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য গুরুতর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জবাবে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর
বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহে ট্রানজিট দেশ হতে পারলে তুরস্ক যথেষ্ট খুশি হবে: তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন, বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহে ট্রানজিট দেশের ভূমিকা পালন করতে পারলে তুরস্ক যথেষ্ট খুশি হবে।
তিনি বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশন জানিয়েছে যে তারা ইউরোপে তেল ও গ্যাস রপ্তানির জন্য তুরস্ককে একটি জ্বালানি কেন্দ্র হিসেবে দেখতে চায়।
রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য তা যদি সম্ভব হয় ও কিছু সূত্র পাওয়া যায় এবং আমাদেরকে একটি ট্রানজিট দেশ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হয়, তাহলে তা করতে আমরা যথেষ্ট খুশি হব।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের নিজস্ব বিষয়, বিদেশিদের নয়: তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, তুরস্ক জ্বালানি সম্পদের দেশ নয়। সুতরাং, আমরা শক্তি সরবরাহের জন্য উৎস দেশ নই, বরং আমরা একটি ট্রানজিট দেশ।
ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে তার মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই দেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি খুব ভালো চলছে। এক্ষেত্রে কোনো পক্ষ না নেয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন পর্যন্ত সফলতার সঙ্গে চলছে।’
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে এটি একটি যথেষ্ট সহযোগিতামূলক অবস্থা, তবে তিনি বিস্তারিত প্রকাশ করেননি।
ঢাকার একটি হোটেলে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
সিজিএস ফ্রেডরিক-ইবার্ট-স্টিফটুং বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে মুগ্ধ বৃটেন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা অনুসন্ধান করুন: তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে রাষ্ট্রপতি
ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় নিহত ৬, আহত ৮১
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রস্থলে একটি বোমা হামলায় ছয়জন নিহত এবং কমপক্ষে ৮১ জন মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার মধ্য ইস্তাম্বুলের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিকট বিস্ফোরণ শোনা যায় এবং একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়; তখন পথচারীরা ঘুরে দাঁড়ায় এবং পালিয়ে যায়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই বিস্ফোরণকে ‘বিশ্বাসঘাতকদের হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন এই হামলাকারীদের শাস্তি দেয়া হবে।
বিস্তারিত কিছু না বললেও এই হামলা সম্পর্কে এরদোয়ান বলেছেন এতে ‘সন্ত্রাসের গন্ধ’ ছিল।
তিনি আরও বলেছেন, ওই এলাকার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তদন্ত চলছে।
এরদোগান ছয়জন নিহতের কথা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে পরে আহতদের সংখ্যা ৮১ জন বলে জানিয়েছেন। যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
প্রতিবেশি গ্রিস সহ অনেক দেশ তুরস্কের ওপর এই হামলার ঘটনায় তাদের শোক প্রকাশ করেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস বলেছেন যে তিনি ‘জঘন্য হামলার খবরে হতবাক ও দুঃখিত।’
২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তুরস্ক একের পর এক বোমা হামলার শিকার হয়েছিল, যাতে ৫০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়। ইসলামিক স্টেট (আইএস) কিছু হামলা করেছিল, বাকি হামলাগুলো কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী করেছিল।
তুরস্ক বছরের পর বছর ধরে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের পিকেকে নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এটি তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পিকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত।
ধারাবাহিক কয়েকটি হামলার পরে তুরস্ক সিরিয়া ও উত্তর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সামরিক অভিযান শুরু করে। পাশাপাশি কুর্দি রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে বিস্তৃত সন্ত্রাসী আইনের মাধ্যমে দমন-পীড়ন চালায়। সমালোচকরা যেটিকে ভিন্নমত দমন করার একটি উপায় বলে সমালোচনা করে।
তুরস্কের মিডিয়া ওয়াচডগ রবিবারের হামলার সম্পর্কে রিপোর্ট করার ওপর অস্থায়ী বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে বিস্ফোরণ এবং এর পরবর্তী ঘটনার ক্লোজ-আপ ভিডিও ও ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রেডিও ও টেলিভিশনের সুপ্রিম কাউন্সিল অতীতেও বিভিন্ন হামলা ও দুর্ঘটনার পর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
সিরিয়ার তাঁবু বসতিতে গোলাবর্ষণ, নিহত ৬
তুরস্কে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহত ২৫
তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও কয়েক ডজন মানুষ খনিতে আটকা পড়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে কৃষ্ণ সাগরের উপকূলীয় প্রদেশ বারতিনের আমাসরা শহরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টিটিকে আমাসরা মুসেসি মুদুরলুগু খনিতে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় খনিতে আটকা পড়া মানুষদের খনি থেকে বাইরে আনতে উদ্ধারকর্মীরা রাতভর অভিযান চালিয়েছে।
জ্বালানি মন্ত্রী ফাতিহ ডনমেজ বলেন,প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে বিস্ফোরণটি সম্ভবত ফায়ারড্যাম্পের কারণে হয়েছে। ফায়ারড্যাম্প হচ্ছে কয়লা খনিতে থাকা দাহ্য গ্যাস।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণের সময় খনিতে ১১০ জন শ্রমিক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় কয়লা খনি বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৫২
মন্ত্রী জানান, বিস্ফোরণের পর অধিকাংশ শ্রমিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি এখনও আটকা পড়াদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে বলেছেন, ৪৯ জনের মধ্যে কয়েকজনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি যে অনুশোচনা হচ্ছে। জনগণকে জানাতেও দুঃখ হচ্ছে।’
বার্টিনের গভর্নরের কার্যালয় জানায়, বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা জানান, অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আটজন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলোসহ বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দলকে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৫
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ঘোষণা করেন যে তিনি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দিয়ারবাকিরে পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করছেন এবং উদ্ধার অভিযান সমন্বয়ের জন্য আমাসরা যাচ্ছেন।
তিনি বলেন,ঘটনার তদন্তে তিনজন প্রসিকিউটরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এরদোয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের আশা প্রাণহানি যেন আর না বাড়ে এবং আমাদের খনি শ্রমিকরা যেন রক্ষা পায়। আমরা সে লক্ষ্যেই সকল প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ডিএইচএ জানিয়েছে, আটকে পড়া স্বজন, বন্ধু ও সহকর্মীদের খবর নিতে অসংখ্য মানুষ খনিতে ছুটে এসেছেন।
২০১৪ সালে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর খনি বিপর্যয়ে পশ্চিম তুরস্কের সোমা শহরে একটি কয়লা খনিতে আগুনে ৩০১ জন মারা যান।
আরও পড়ুন: তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
তুরস্ক ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর
তুরস্কের ইস্কেসাহির আনাদোলু বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার (৯ অক্টোবর) তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান দূতাবাসের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনাদোলু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর প্রফেসর ড. ফুয়াত এরদালের কাছে এই স্মারক হস্তান্তর করা হয়।
সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা উভয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা ও গবেষণার সুযোগ পাবেন। রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে ড. ফুয়াত এরদাল সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেন এবং তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মেক্সিকোর সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
এসময় রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তুরস্ক-বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হবে।
তিনি বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্কের ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রেক্ষাপট পুনর্ব্যক্ত করেন। সবশেষে তিনি ছুটিরদিনে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
পরিশেষে, আব্দুল করিম কুজু মসজিদের প্রধান ইমাম রাসিম দুরান ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই: প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান: তুর্কি বাণিজ্যমন্ত্রী
তুরস্কে সফররত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আঙ্কারায় দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মেহমুত মুস এর সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে করেছেন। এসময় দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে তুরস্কে ব্যবসায়ী দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান।
বৈঠকে রিজওয়ান রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা মোটেও সন্তোষজনক নয়। আরও বাণিজ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ-তুরস্ক ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যত’ গড়বে: রাষ্ট্রদূত তুরান
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি এবং বিটুবি অংশীদারিত্বের অগ্রগতি কম। তুর্কি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ককে তাদের পছন্দের বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
রিজওয়ান আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ইস্যুতে কার্যকর যৌথ প্রদর্শনী ও সেমিনারের ব্যবস্থা করতে এবং বাণিজ্য সমস্যা সমাধানের জন্য যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা নিয়মিত হওয়া উচিত। তদুপরি, বাংলাদেশ এবং তুরস্ক একটি কার্যকর ডি-৮ অর্থনৈতিক ব্লক গঠনের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে এবং সমর্থন করতে পারে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের আলোচনা সভা
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রত্যাশিত পর্যায়ে না থাকার বিষয়ে একমত হয়েছেন তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী।
এসময় তিনি বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবেও অভিহিত করেন। এই বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে উভয় দেশেরই একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
মেহমুত বলেন, কয়েকটি তুর্কি কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা করছে এবং তারা খুব ভালো করছে। আর এই সাফল্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
বৈঠকে আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নানও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চারদিনের সফরে তুরস্কে যাবে। আগামী মঙ্গলবার দেশেটির রাজধানী ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সোমবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধি দল
এতে বলা হয়, বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার নতুন বাণিজ্যের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা সম্প্রসারণই ইস্তাম্বুল সফরের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে ১০ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল ঢাকায়
সফরকালে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন ‘ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স’ আয়োজিত ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা এবং বিটুটিব সেশন’, ২৯ সেপ্টেম্বর ফরেন ইকোনোমিক রিলেশন্স বোর্ড অফ টার্কি (ডেইক) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার ও বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও সফরকালে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী মেহমেট মুসের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সাক্ষাৎ করবেন। একই সঙ্গে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বেশ কয়েকটি শিল্পাঞ্চল পরিদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
চারদিনের এই সফর সেবা, উৎপাদন এবং জেনারেল ট্রেডিং খাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ আকর্ষণ ও সম্ভাবানাময় খাতে জয়েন্ট ভেঞ্চার কার্যক্রম বৃদ্ধিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তুরস্কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৫
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ রবিবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগুলো ঘটে তুরস্কের ২৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী দক্ষিণাঞ্চলে।
ডেরিকের পশ্চিমের প্রদেশ মার্ডিনে দুর্ঘটনায় হতাহতদের উদ্ধারে সহযোগিতা করার জন্য জড়ো হওয়া উদ্ধারকারী দলকে চাপা দেয় একটি যাত্রীবাহী বাস। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে মহসড়কের গাজিয়ান্তেপ ও নিজিপি’র মাঝামাঝি জায়গায়।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলায়মান সোয়াইলু বলেন, দ্বিতীয় দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে তিনজন দমকল কর্মী, দুইজন স্বাস্থ্যসহকারী এবং দুইজন সাংবাদিক রয়েছে। আর বাকি আটজন বাসযাত্রী।
আরও পড়ুন: ইবি উপাচার্যের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০টি স্কলারশিপ দিবে তুরস্ক
সংবাদ সংস্থা দ্যা ইলহাস জানায়, প্রথম দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্য করতে গিয়ে তাদের প্রাইভেটকার সড়ক থেকে নিচে পড়ে দুইজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখানো হয়েছে, মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় একটি অ্যাম্বুলেন্সের সামনের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গজনির গভর্নর দাভুত গুল বলেন, দ্বিতীয় দুর্ঘটনায় ২২ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকালে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। ডেরিকে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারালে একটি গ্যাস স্টেশনের কাছে অপর দুটি যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
ওইদিন বিকালেই ব্রেক ফেল করে একটি ট্রাক প্রথম দুর্ঘটনাটির দৃশ্য দেখতে জমায়েত হওয়া মানুষের ওপর উঠে যায়।
এ বিষয়ে সোয়াইলু বলেন, এই দুর্ঘটনায় ২০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২৬ জন। এরমধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। দুইজন চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তুরস্কের সড়ক নিরাপত্তার রেকর্ড খুব দুর্বল। সরকারি তথ্যমতে, গতবছর সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজার ৩৬২ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুফিবাদের তীর্থস্থান হিসেবে তুরস্কের সাথে সিলেটের মিল রয়েছে: রাষ্ট্রদূত
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ড. মোমেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
ইউক্রেনের শস্য বহনকারী জাহাজ ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে
শস্য সরবরাহ অবরোধ এবং সম্ভাব্য বৈশ্বিক খাদ্য সংকট রোধে একটি চুক্তির অধীনে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া প্রথম জাহাজটি সোমবার তুরস্কে তার গন্তব্যে পৌঁছেছে।
তুরস্কের পতাকাবাহী পোলারনেট ১২হাজার টন ভুট্টা নিয়ে ৫ আগস্ট চোরনোমর্স্ক থেকে যাত্রা করার পর ইজমিট উপসাগরের ডেরিন্স বন্দরে নোঙর করে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এক টুইটে জানিয়েছেন,‘এটি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার প্রতিটি পরিবারের কাছে আশার বার্তা পাঠায়: ইউক্রেন আপনাদের বঞ্চিত করবে না।’
তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শস্য চুক্তির অধীনে মোট ১২টি জাহাজ বর্তমানে যাত্রা করার অনুমতি পেয়েছে। ইউক্রেনের শস্যবাহী ১০টি জাহাজ দেশটির বাইরে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উদ্দেশে এবং দুটি জাহাজ অভ্যন্তরীণ অঞ্চলের দিকে রওনা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় তিন লাখ ২২ হাজার টন কৃষি পণ্য ইউক্রেনীয় বন্দর ছেড়ে গেছে। এর বেশিরভাগ ভুট্টা, সূর্যমুখী তেল ও সয়া।
ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া প্রথম জাহাজ সিয়েরা লিওনের-পতাকাবাহী রেজোনি গত ১ আগস্ট কৃষ্ণ সাগরের করিডোর দিয়ে যাত্রা করে। জাহাজটি এখনও লেবাননে তার গন্তব্যে পৌঁছায়নি।
মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইট অনুসারে রবিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি তুরস্কের দক্ষিণ উপকূলে নোঙর করেছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় শস্য বহনকারী প্রথম জাহাজ ওডেসা বন্দর ছেড়েছে
ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ২৩, আহত শতাধিক
ইউক্রেনীয় শস্য বহনকারী প্রথম জাহাজ ওডেসা বন্দর ছেড়েছে
ইউক্রেনীয় শস্য বহনকারী প্রথম জাহাজটি সোমবার সকালে ওডেসা বন্দর থেকে যাত্রা করেছে। একটি আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী চুক্তির মাধ্যমে বিদেশের বাজারে ইউক্রেনীয় শস্যের এই বড় চালান পৌঁছানোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ক্ষুধা সংকট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিয়েরা লিওনের-পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ রেজোনি ওডেসা থেকে লেবাননের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেজোনি ২৬ হাজার টন ভুট্টা বহন করছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রেজোনির স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ সিস্টেমের তথ্যানুযায়ী, একটি টাগ বোটসহ জাহাজটি ওডেসা বন্দরের বার্থ থেকে যাত্রা করে। জাহাজটি মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে এটি প্রাথমিক পরীক্ষার পর পরবর্তী যাত্রার অনুমতি দেয়া হবে।
রেজোনি ভুট্টা নিয়ে লেবানন উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। বিশ্বব্যাংক জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের এই ক্ষুদ্র দেশটি দেড়শ’ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকটে ভুগছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ২৩, আহত শতাধিক
২০২০ সালে বৈরুতের প্রধান বন্দরে এক বিস্ফোরণের ফলে এর রাজধানী শহর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং সেখানকার শস্যের সাইলোগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
রেজোনি কৃষ্ণ সাগরের খোলা জলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি ইস্তাম্বুল থেকে লেবাননের ত্রিপোলিতে তার গন্তব্য পরিবর্তন করে।
ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী আলেকজান্ডার কুব্রাকভ বলেছেন, ‘আজ ইউক্রেন তার অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে বিশ্ব ক্ষুধা প্রতিরোধে আরেকটি পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, এটি ইউক্রেনকেও সাহায্য করবে।
কুব্রাকভ বলেন, ‘বন্দরগুলোকে আনলক করায় অর্থনীতিতে অন্তত এক বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রার রাজস্ব যুক্ত হবে এবং কৃষি খাতের জন্য আগামী বছরের জন্য পরিকল্পনা করার সুযোগ দেবে।’
তুর্কি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২২ জুলাই ইস্তাম্বুলে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে অন্যান্য জাহাজগুলোও ইউক্রেনের বন্দরগুলোথেকে নিরাপদ করিডোর দিয়ে যাত্রা করবে। তবে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
রাশিয়া ও ইউক্রেন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের সঙ্গে পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার ফলে ইউক্রেনের জন্য রাশিয়ার আক্রমণের কারণে কৃষ্ণ সাগরের বন্দরে আটকে থাকা ২২ মিলিয়ন টন শস্য এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য রপ্তানি করার পথ খুলে গেছে। এছাড়া এসব চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়াও শস্য ও সার রপ্তানির অনুমতি পায়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে শপিং মলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা,নিহত ১৩
ইউক্রেনজুড়ে সামরিক স্থাপনায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা