সরকার
কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৬৪
কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৬৪ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩০ বছর আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রবিবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দখল করা সব ভবনের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ২ জানুয়ারি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু হয়ে। পরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হলেও তা তোকায়েভ সরকার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনে রূপ নেয়।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে আরও জানা যায়, দেশটিতে এক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ থেকে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ বিদেশি নাগরিকসহ প্রায় ছয় হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: কাজাখস্তানে ১২ পুলিশসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত
এছাড়া দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ বহাল রয়েছে।
রবিবার প্রথমে কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্ষোভের সময় ১৬ পুলিশ বা ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হয়েছে। এর আগে জানানো হয়েছিল, নিহত বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যা ২৬ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দেশটির বৃহত্তম শহর আলমাটিতে নিহত হয়েছেন ১০৩ জন। এখানে বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবন দখল করে এবং কয়েকটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
দেশটির একটি শিক্ষা অধিকার সংস্থা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে চার বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু ছিল।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে একটি রাজনৈতিক দলই কাজাখস্তান শাসন করছে। বিপুল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে দেশটিতে।
আরও পড়ুন: মহামারির মধ্যে ভারতের ৫ রাজ্যে নির্বাচন
ব্রাজিলে ঝর্ণার পাথর ভেঙে ৬ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশকে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক
বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগী সংগঠন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশকে ২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ সহযোগিতা দিচ্ছে।
রবিবার ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন নিজ নিজ পক্ষে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বাস্তবায়ন করবে। ২০২২ সলের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিলো ইআইবি
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো দেশের সাইবার সিকিউরিটির উন্নয়ন, ভবিষ্যত বিপর্যয় মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন এবং ভার্চুয়ালি জনগণের মধ্যে বিভিন্ন সেবা ও ব্যবসা পরিচালনায় সহযোগিতা করতে সরকারকে সহায়তা করা।
প্রকল্পটি মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত করতেও কাজ করবে। এছাড়াও এই প্রকল্পটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং কৌশলগত শিল্পকে ডিজিটালাইজড করতে এবং গবেষণা ও উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করতে একটি ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতেও সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এআইআইবি
জীবিকার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
এক যুগ আগে শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের সব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও আইনজীবী শাহীনুজ্জামান। আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন জানান, ২০০৯ সালে শিক্ষাঙ্গনসহ কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি গাইডলাইন দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু সেটার আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে আসকের পক্ষ থেকে একটি রিট করা হয়। হাইকোর্ট রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে ২০০৯ সালে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের আলোকে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তিন মাসের মধ্যে কেবিনেট সচিব, আইন সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও পরিবার পরিকল্পনা সচিবকে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮৪ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার: বিএনডব্লিউএলএ
২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিক নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে রায় দেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
কিন্তু এক যুগেও এ রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত বছরের ২১ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করে আইন ও সালিস কেন্দ্র। রিটে জনপ্রশাসনসহ ৪০ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বার কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অপমান সইতে না পেরে জয়পুরহাটে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
হাইকোর্টের চার জন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রবিবার (৯ জানিয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ার কর্তৃক স্বাক্ষরিত জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন-বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি এফ.আর. এম নাজমুল আহাসান, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
সরকার দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। এলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল এলাকার নাগরিক সুবিধা সমানভাবে বৃদ্ধি করে চলেছেন। এর অংশ হিসেবে বড়লেখা পৌরসভায় শুধু পানি সরবরাহের লাইনের জন্যই ২২কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বড়লেখা পৌরসভাকে পর্যায়ক্রমে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত করা হবে।
শনিবার মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বড়লেখা পৌরসভায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।এসময় পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় গরু, ছাগল এবং নগদ অর্থ প্রদান সহ বিভিন্নভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে সকল শ্রেণির মানুষের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন সফল করবো আমরা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে: পরিবেশমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী এবং নারী শিক্ষা একাডেমির অধ্যক্ষ এ কে এম হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।এরপর মন্ত্রী নারী শিক্ষা একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চার তলা ভবনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ বিশ্ব গড়তে এখনই উদ্যোগী হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সেন্টমার্টিন রক্ষায় সবার সহযোগিতা চাইলেন পরিবেশমন্ত্রী
দেশ বিরোধী সক্রিয় অপশক্তিগুলোর ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অসামান্য যাত্রা বন্ধ করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন,‘মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে আমাদের সকলকে সজাগদৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না।’
শুক্রবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত তার বর্তমান সরকারের তৃতীয় বার্ষিকী এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের চার বছরে পদার্পণ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকেরই সহ্য হবে না বা হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাই নানা ষড়যন্ত্র করছে এই অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আরও বলেন, ‘মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। তাই জনগণের সঙ্গেই আমাদের অবস্থান।’
দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক, তাদের ছাড় দেয়া হচ্ছে না এবং হবে না। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এই ব্যাধি দূর করতে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদের উত্থানকে প্রতিহত করেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।’
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীতে আরও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিক অগ্রগতি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ নানা আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
জনগণ তার ওপর আস্থা রাখায় এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের উপর আস্থা রাখার ফলে। পর পর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিয়ে আপনারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আমরা একটি কল্যাণকামী, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাতারে সামিল হতে পারে। এজন্য অতীতে যেমন আপনারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের বর্তমান এবং আগামী দিনের সকল কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত বিনির্মাণ। অফুরন্ত জীবনীশক্তিতে বলীয়ান তরুণ প্রজন্মই পারে সকল কূপমণ্ডুকতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। তারুণ্যের শক্তিই পারবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগিয়ে যাবে মাথা উঁচু করে ভবিষ্যতের পানে।’
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে পোশাক মালিকরা উদ্বিগ্ন নন: বিজিএমইএ সভাপতি
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন নন। কারণ এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে বিজিএমইএ সরকার ও ক্রেতা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন, বিনিয়োগ বাড়ানো, পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ফলে কোটা ও শুল্ক মুক্ত সুবিধাহীন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের টিকে থাকা নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম(ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি ও বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চীফ শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক হাসান বলেন, বর্তমানে তাদের কৌশল হচ্ছে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিকাল অর্থাৎ, ২০২৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারের সুবিধা নেয়া। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২৬ সালের পরে যে বাড়তি তিন বছর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুযোগ দেবে, আলোচনার মাধ্যমে তা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বিজিএমইএ ইইউর কাছে ১০ বছরের জন্য এই সুবিধা চায়। এরপরে বিজিএমইএ ইইউর সঙ্গে জিএসপি প্লাস নিয়ে আলোচনা করবে। তবে পোশাক মালিকরা চান এই সময়ের মধ্যে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করবে।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ সব সময় পুরো খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে, এখনও করে চলেছে। এই সংগঠনটিতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা সকলেই পোশাক শিল্পের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তিনিও উত্তরসূরীদের মত করে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় পোশাক খাতের এসএমই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন ধরনের চার্জ ও ফিস কমানো হয়েছে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাজার ও পণ্য বহুমুখীকরণের কাজ চলছে। কৃত্রিম তন্তুর পোশাক যাতে দেশে বেশি তৈরি হয় সেজন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গবেষণা জোরদার করা হয়েছে। এক কথায় বিজিএমএর ভূমিকা ভবিষ্যতমুখী করার চেষ্টা চলছে।
প্রারম্ভিক বক্তব্যের পরে বিজিএমইএ সভাপতির কাছে উপস্থিত সাংবাদিকরা এ খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা, করোনা মহামারি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃহত্তম এই বাজারে তৈরি পোশাক জিএসপি সুবিধা পেতো না। এখনও পাচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত দিয়েছিল সেগুলো পোশাক মালিকরা ও সরকার বাস্তবায়ন করেছে। কমপ্লায়েন্স বা নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে এদেশের উদ্যোক্তারা প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন। বিশ্বে নিরাপদ কারখানা এখন বাংলাদেশে। ১৫৩টি গ্রীণ ফ্যাক্টর রয়েছে দেশে। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা তাদের কাজটি করেছেন। এখন জিএসপি দেয়া না দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়।
তিনি বলেন, দেশটির জিএসপি সুবিধা দেয়ার সঙ্গে শুধু শর্ত বাস্তবায়ন নয়, রাজনীতিও জড়িত। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের র্যাব ও সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ব্যবসায় পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। তবে ব্যবসায়ীদের কাজ তারা করছেন। আমরা কোনো বাজার হারাতে চাই না।
আরও পড়ুন: দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের শীতল সম্পর্ক, র্যাব ও র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা, আগামী বছরের শেষে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়ী হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রত্যাশা যে কারখানায় উৎপাদন ও পণ্যের সরবরাহ ব্যহত হয়, এমন কোনো কর্মসূচি যাতে তারা না নেয়। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে সেই পরিবেশ থাকতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না ব্যবসা করতে গেলে রাজনৈতিক আশীর্বাদ লাগে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স ২০ থেকে ৩০ বছর আগে নেয়া। তিন দশক আগে বাংলাদেশ যে ধরণের পণ্য তৈরি করতো এখন তার চেয়ে ভিন্ন ও উন্নত পণ্য তৈরি করছে। ফলে পুরানো বন্ড লাইসেন্সে অনেক পণ্যেরই উল্লেখ নেই, কিন্তু ওই লাইসেন্সধারী কারখানার নতুন পণ্যের প্রয়োজন হচ্ছে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সে উল্লেখ না থাকলেও ব্যবহারিক ঘোষণাপত্রে (ইউডি) তা থাকছে। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনেক সময় পণ্য ছাড় করছে না। এতে ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে আগামী সপ্তায় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইউসিবি’র মোনাশ এন্ট্রি স্কলারশিপ প্রদান
সাম্প্রতিক সময়ের রপ্তানি বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথমত বেড়েছে আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে। এছাড়া করোনার সময়ে ক্রেতাদের অনেক দাবি দেশের রপ্তানিকারকরা রেখেছেন। বিশেষ করে পরে ডেলিভারি, দেরিতে মূল্য পরিশোধ, ডিসকাউন্ট ইত্যাদি সুবিধা দেয়া হয়েছে। যেকারণে ক্রেতাদের সঙ্গে রপ্তানিকারকদের একটি সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ফলে এখন ক্রেতারা তাদের বাড়তি চাহিদার পণ্য বাংলাদেশ থেকেই নিচ্ছেন। এছাড়া করোনার কারণে মানুষের ভ্রমণসহ অন্যান্য ব্যয় কমেছে। ফলে পশ্চিমারা তাদের অন্য খাতের অর্থ পোশাক কেনায় ব্যয় করছে।
পোশাকের সামগ্রিকভাবে মূল্য সামান্য বাড়লেও কাটিং ও মেকিং চার্জ বাড়েনি। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রকৃত পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকের সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। সাব কন্ট্যাক্টের বিষয়ে বিজিএমইএ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আগামীতেও থাকবে বলে তিনি জানান।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে দ্বিতীয় দফায় ৮ জানুয়ারি থেকে আরও ৪০টি সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানানো হয়।
কর্মসূচি অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ৮, ১২, ১৫, ১৭, ২২ ও ২৪ জানুয়ারি ছয়দিন ধরে সমাবেশ করবে দলটি।
আগামী ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে দলটি।
অন্যান্য জেলার মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী, চাঁদপুর, রংপুর, বরিশাল দক্ষিণ, খুলনা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ, সিলেট, নীলফামারী, ফেনী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরগুনা, শেরপুর, বাগেরহাট, রাঙামাটি, নেত্রকোণা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজবাড়ী, নড়াইল, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ দক্ষিণ, নাটোর, বরিশাল উত্তর, চট্টগ্রাম উত্তর, সৈয়দপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ উত্তর, ঝালকাঠি, মাগুরা, মাদারীপুর, বান্দরবান, মৌলভীবাজার ও পঞ্চগড়।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
প্রথম দফায় একই দাবিতে ২২ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩২টি জেলায় সমাবেশ করেছে দলটি।
এর আগে সারাদেশে মানববন্ধন, গণঅনশন, সমাবেশ ও ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অভাবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামির অভিযোগ আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেনেশুনে পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হত্যার চক্রান্ত করছে। তারা আমাদের নেত্রীকে হত্যা করতে চায়।’
২০১৪ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত ‘একতরফা’ দশম সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি শাখা আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, দলমত নির্বিশেষে মানুষ যখন খালেদাকে বিদেশে পাঠাতে চায়, তখন বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেখানে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছেন না।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি উন্নত চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তাদের প্রত্যেককে (সরকারের) হত্যা মামলার আসামি করে বিচার করা হবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতি ও বিএনপি প্রধানকে অপসারণের নীলনকশা' হিসেবে 'মিথ্যা' মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ হবে: বিএনপি
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়াকে এখনই বিদেশে পাঠানো জরুরি, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা আইনের অজুহাতে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। মানুষের জীবনের চেয়ে কোনো আইন বড় হতে পারে না।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে দেশ, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে তার অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে অবিলম্বে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরগুলোর জন্যও মেট্রো-রেল প্রকল্প বিবেচনা করবে সরকার
সরকার ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম ও বিমানবন্দর রয়েছে এমন অন্যান্য জেলায় মেট্রো-রেল প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও হাতে নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কার্যত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অন্যান্য বড় শহরের জন্য মেট্রো-রেল প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন, অন্যরা এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শুধু ঢাকায় নয়, মেট্রোরেল প্রকল্প চট্টগ্রামেও হওয়া উচিত। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন পর্যন্ত মেট্রো-রেল প্রকল্পের নকশা করুন। পরে বলা হয়, যেখানে বড় বিমানবন্দর রয়েছে সেখানে আমাদের মেট্রো রেলের মতো প্রকল্পের নকশা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের আরও ৪ ইঞ্জিন, ৮ কোচ
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে অন্যান্য বড় শহরের জন্য মেট্রো-রেল প্রকল্প স্থাপন করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের অংশ হিসেবে, সিটি কর্পোরেশনকে এই জাতীয় প্রকল্প ডিজাইন করতে উৎসাহিত করা হবে।
মান্নান বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্যাটেলাইট সিটি ও টাউন নির্মাণের ওপর জোর দেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনটি মেগা প্রকল্প- পদ্মা সেতু, মেট্রো-রেল (এমআরটি-৬) এবং কর্ণফুলী টানেল- এ বছর চালু করা হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, পদ্মা সেতু ২০২২ সালের জুনে, কর্ণফুলী টানেল ২০২২ সালের অক্টোবরে এবং ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি)-৬ ডিসেম্বর ২০২২ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অর্থনীতি গড়তে একনেকে ২৫৪২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন