বঙ্গবন্ধু
‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল দেশের ৩০ কারখানা
পরিবেশ রক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বুধবার দেশের ছয়টি সেক্টরের ৩০টি কারখানাকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০ দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পোশাক খাতের ১৫টি কারখানা, চা শিল্প খাতের চারটি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের তিনটি, প্লাস্টিক শিল্প ও ওষুধ শিল্প খাতের তিনটি করে কারখানা এবং চামড়া শিল্প খাতের দুটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পোশাক কারখানা ১৫টির মধ্যে রয়েছে রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড, তারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড, মিথেলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লিমিটেড, এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, করোনি নিট কম্পোজিট লিমিটেড, ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড, কেনপার্ক বাংলাদেশ অ্যাপারেলস প্রাইভেট লিমিটেড (কেনপার্ক ইউনিট-২), গ্রীন টেক্সটাইল লিমিটেড (ইউনিট-৩), ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, উইজডম অ্যাটায়ারস লিমিটেড, মাহমুদা অ্যাটায়ারস লিমিটেড, স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড এবং আউকো-টেক্স লিমিটেড।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড এবং ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড।
চা শিল্প খাতের চারটি প্রতিষ্ঠান হল গাজীপুর চা বাগান, লস্করপুর চা বাগান, জাগছড়া চা কারখানা এবং নেপচুন চা বাগান।
এছাড়া, চামড়া শিল্প খাতের দুটি কারখানা হলো অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ও এডিসন ফুটওয়্যার লিমিটেড।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্লাস্টিক খাতের অন্তর্গত বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড, অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড এই স্বীকৃতি পেয়েছে।
অন্যদিকে ওষুধ শিল্পের তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত আটটি মহিলা (কর্মজীবী) হোস্টেলও উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনিকে মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেয় খালেদা জিয়া: জয়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা আজিজ পাশাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জয় লেখেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী হয় খালেদা জিয়া। এরপর যাবতীয় নিয়ম ভঙ্গ করে মৃত আজিজ পাশাকে আবারও চাকরিতে বহাল করে সে। মৃত এই খুনির চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে তারপর মরণোত্তার অবসরে পাঠানো হয়। এমনকি তাকে “মরণোত্তর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা” হিসেবে ঘোষণা করে যাবতীয় আর্থিক সুবিধা প্রদান করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।’
তিনি লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে বর্বরভাবে যারা খুন করে আজিজ পাশা তাদের অন্যতম। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার কাছে বিশেষ আস্থাভাজন ব্যক্তি হয়ে উঠেছিল সে।’
জয় লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি আজিজ পাশাকে প্রথমে উপহার স্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয় জিয়াউর রহমান। জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় আর্জেন্টিনা, কেনিয়া ও ইতালিতে কূটনীতিক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আজিজ পাশা। এরপর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকার গঠনের পর আরও কাছে টেনে নেয় তাকে। খালেদার একান্ত বিশ্বাসভাজন কর্মকর্তা হিসেবে জিম্বাবুয়ের ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োজিত ছিল সে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় লেখেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আজিজ পাশাকে পদচ্যুত করা হয় এবং তাকে দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সে আর দেশে ফেরেনি। জিম্বাবুয়েতে আত্মগোপন করে খুনি আজিজ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবশেষে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতেই মারা যায় সে।'
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জয়ের
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের রাষ্ট্রদূত বানায় খালেদা জিয়া: জয়
যুক্তরাজ্যে শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হলেন টিউলিপ সিদ্দিক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নতুন ছায়া মন্ত্রিসভার শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রায় ছয় বছর ধরে শ্যাডো আর্লি ইয়ার মিনিস্টারের দায়িত্ব পালনের পর তিনি এই দায়িত্ব পেলেন।
এক টুইট বার্তায় টিউলিপ যুক্তরাজ্যের শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারির দায়িত্ব পেয়ে আনন্দিত বলে জানিয়েছেন। শ্যাডো চ্যান্সেলর রাচেল রিভস এমপির টিমে নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন বলেও জানান তিনি।
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, শিশুদের জীবনের সম্ভাবনা তৈরিতে প্রাথমিক শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যারা এটি সঠিকভাবে স্বীকৃতি ও সমর্থন করে তাদের জন্য আমি কখনই লড়াই বন্ধ করব না। তারা সত্যিকার অর্থেই নেপথ্যের নায়ক।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপের হ্যাটট্রিক
ছায়া মন্ত্রী হিসেবে আমি দুর্বল শিশুদের জন্য আরও ভাল সহায়তা দিতে লড়াই করেছি, সেসব শিশুদের দেখাশোনা করেছি এবং বিনামূল্যে স্কুলের খাবার সরবারহ করেছি।
তিনি বলেন, ধন্যবাদ সকল প্রচারক ও সংগঠনকে যারা আমাকে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন।
টিউলিপ বলেন, আমি জানি আমার উত্তরসূরিরা শিশুদের জন্য এবং যারা তাদের সমর্থনে কাজ করছে তাদের জন্য কাজ করবেন আমি তাকে ও নতুন ছায়া শিক্ষা সচিবকে শুভেচ্ছা জানাই।
আরও পড়ুন: লন্ডনের প্রভাবশালী রাজনৈতিকদের তালিকায় টিউলিপ সিদ্দিক
আগামী ৫০ বছরে দু’দেশকে অনেক কিছু করতে হবে: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের ভিত্তি ও ইতিহাস একসঙ্গে গড়ে তুলতে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতকে অনেক কিছু করতে হবে।
গত এক দশকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অনেক সাফল্য অর্জন করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুটি দেশ রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, উন্নয়নমূলক, সাংস্কৃতিক, নিরাপত্তা এবং এমনকি জনগণের সাথে জনগণের সংযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অংশীদার।’
হাইকমিশনার বলেন, আমাদের এখন নিশ্চিত করতে হবে যে ভবিষ্যত প্রজন্ম এই ইতিহাস বুঝতে পারে, কারণ আজকের তরুণরাই এই অংশীদারিত্বকে অপরিবর্তনীয় করে তুলবে।
সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' পালিত
বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সেনাপ্রধান, সরকারের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, ব্যবসায়ী ও শিল্পনেতা, গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিয়েছে। এটি আমাদের আদর্শিক মানচিত্রকেও বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে, সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং ভাষার সাধারণ বন্ধন বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী একসাথে থাকতে না পারার মতো মিথ্যা তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে।
আরও পড়ুন: ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ আরও সহযোগিতা পাবে: শ্রিংলা
তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম বর্বরতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায়ের বিজয়ের অনিবার্যতার ওপর জোর দেয়।
অনুষ্ঠানে ২০২০ ও ২০২১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানের জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে তাদের সংবর্ধিত করা হয়।
৫০ বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয়ের ১০ দিন আগেই, ভারত ও ভুটান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
গান বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী জনাব কৌশিক হোসেন তাপসের পরিচালনায় একটি জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদযাপনের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের ৫০ জন বিশিষ্ট শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের আরও ১৮টি দেশে একসঙ্গে মৈত্রী দিবস পালিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে মন্তব্য: ৩ দিনের রিমান্ডে কাটাখালী পৌর মেয়র
রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালত-২ এর বিচারক শংকর কুমার তার এই রিমান্ড দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার মেয়র আব্বাসের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত আব্বাসের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে আব্বাসের পক্ষে তার জামিনের আবেদন করেন আাইনজীবীরা। আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। এ ছাড়া আব্বাসকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার আবেদন করা হয়েছিল। জেলকোড অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ঢাকায় কাটাখালীর মেয়র আটক
আসামিপক্ষে রাজশাহী বারের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদী শুনানি করেন। আর বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসলাম সরকার, মোজাফফর হোসেন ও মুসাব্বিরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেয়র আব্বাসের ঘরোয়া বৈঠকের দুটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। একটি অডিওতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করলে ‘পাপ হবে’ এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় আব্বাসকে। পর পর দুবার নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র হওয়া আব্বাসের এ রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহীতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তাঁকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সিটি কর্পারেশনের একজন কাউন্সিলর।
এছাড়া পৌরসভার সব কাউন্সিলর মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ১ ডিসেম্বর ভোরে র্যাব ঢাকার একটি হোটেল থেকে আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্চে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক মুক্তি পেতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং ২০২২ সালের মার্চ মাসে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক এ চলচ্চিত্র নির্মাণ অগ্রগতি পর্যবেক্ষণকালে তিনি একথা জানান।
আরও পড়ুন: ডিস লাইন ডিজিটালাইজড করার সময় বাড়ানো হবে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, ঢাকায় ফাইনাল রাউন্ডের শুটিংয়ে কাজ চলছে। এরপর মুম্বাইতে পোস্ট-প্রোডাকশনের কিছু কাজ হবে। আমি মুভির পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ও তার টিমের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তারা ঢাকায় শুটিংয়ের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে এখানে সিডিউল মতো কাজ করতে পারছেন, যে সমস্ত সহযোগিতা দরকার তা পাচ্ছেন। আগামী বছরের মার্চে এটি রিলিজ করতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।
বঙ্গবন্ধু মুভি আরও এক বছর আগে রিলিজ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে হয়নি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আগামী বছরের মার্চে ছবিটি মুক্তি পেতে পারে।
ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক একটি মাইলস্টোন মুভি হবে বলে আশা প্রকাশ করে ড. হাছান বলেন, ‘শুধু নতুন প্রজন্ম নয়, বঙ্গবন্ধুর অনেক বিষয় আমরা নিজেরাও পড়েছি। কিন্তু ছবিতে দেখা আর পড়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই এ ছবি মুক্তি পেলে বঙ্গবন্ধু ও তার সংগ্রাম, ত্যাগ, স্বপ্ন, স্বপ্নের বাস্তবায়নগুলো মানুষ বাস্তবরূপে দেখতে পাবে।’
আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে, নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের ঠিক তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রটি বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে তথ্যমন্ত্রী।
এই সময় সেখানে বায়োপিকের পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বায়োপিকের চিত্রনাট্যকার অতুল তেওয়ারি, কাস্টিং ডিরেক্টর বাহারউদ্দিন খেলন, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে নিহিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দু’দেশের এখন জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। কেননা এর গুরুত্ব দু’পক্ষের জন্যই বেড়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূলে এখন জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, ব্যবসা- বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর মনোযোগ দেয়া দরকার যা দু’পক্ষের জন্য ক্রমাগত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
সোমবার মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ইতিহাস,সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম নিরপেক্ষতা,গণতন্ত্র ও অন্যান্য অগণিত অভিন্নতার মূল্যবোধে নিহিত। ‘নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক মিথষ্ক্রিয়া ও মতবিনিময়ের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও শক্তিশালী, বৈচিত্র্যময় ও প্রসারিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, কোভিড -১৯ এর কারণে বিধিনিষেধ সত্ত্বেও সব পর্যায়ে সম্পর্ক স্থিতিশীল ও শক্তিশালী রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আমাদের চমৎকার সহযোগিতায় এটি স্পষ্ট ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অংশীদারিত্ব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় যা আমাদের কাজের সম্পর্কের জন্য আনুষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে। আজ আমাদের বিস্তৃত অংশীদারিত্ব পরিপক্ক হয়েছে; গতিশীল, ব্যাপক ও কৌশলগত আকার নিয়েছে এবং সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে। ‘এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যাত্রায় একটি মাইলফলক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্কের গুরুত্বে বিশ্বাস করি। এই বার্ষিকীটি দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি এবং সামনের পথের প্রতিফলন করার একটি সুযোগ। দীর্ঘস্থায়ী গতিশীল অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করার জন্য পুনরায় প্রতিশ্রুতি দেয়ার জন্য এটি উভয় দেশের জন্য একটি উপলক্ষ।’
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফরের সময় উভয় পক্ষই ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ ১৮টি নির্বাচিত শহরে যৌথভাবে এ দিনটি উদযাপন এবং ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়।
বঙ্গবন্ধুর বড় কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
১৯৭২ সালে বলা বঙ্গবন্ধুর কথা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটি সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে। বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী থাকবে।’
আরও পড়ুন: প্রেক্ষিত পরিকল্পনা: সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ‘অগ্রসেনা’ হিসেবে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা ও সামগ্রিকভাবে ভারতের জনগণের উদারতার কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ও আইসিডব্লিউএ মহাপরিচালক বিজয় ঠাকুর সিং এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মোদির আশ্বাস
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও প্রসারিত ও গভীর করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন।
সোমবার দুই দেশের ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপন নিয়ে এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন,‘আমাদের সম্পর্ককে আরও প্রসারিত ও গভীর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি উন্মুখ।’
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংয়ের সুযোগ পাবে: প্রধানমন্ত্রী
মোদি বলেন,‘আজ ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস পালন করছে। আমরা যৌথভাবে আমাদের ৫০ বছরের বন্ধুত্বকে স্মরণ করি এবং উদযাপন করছি।’
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
বৈষম্য দূর করতে সবার সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতি, বিশ্বাস, বর্ণ ও ধর্ম নিয়ে বৈষম্য দূর করতে এবং সবার সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতাদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জাতি, বিশ্বাস, বর্ণ ও ধর্ম নিয়ে বৈষম্য দূর করতে ও সবার সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
শনিবার বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব মানুষের জন্য একটি সুষ্ঠু আন্তর্জাতিক পদ্ধতির প্রয়োজন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আমরা একটি সমন্বিত গ্রহে বাস করি এবং আমাদের সমন্বিত দায়িত্ব রয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি বিশ্বাস করেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার পর আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে ভালো নিশ্চয়ক হলো বিশ্বব্যাপী শান্তি।
তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংঘাতের সমাধান এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রচারের জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অসংখ্য চ্যালেঞ্জ ও সংঘাতের মোকাবিলা করছে এবং কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের পদ্ধতিগত দুর্বলতাকে প্রকাশ করেছে।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই এবং পারস্পরিক শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত না করি তাহলে আমাদের শিশুদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী সুরক্ষিত করতে পারব না।’
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন রেকর্ড করা একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দেন তিনি।
বান কি-মুন করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন এবং টিকার সমান প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
দুই দিন ব্যাপী এ সম্মেলনের শেষ দিনে রবিবার ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ভারতের সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন, রেলওয়ে, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও মালয়েশিয়ার সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৬ ডিসেম্বর: ‘মৈত্রী দিবস’ ঢাকা-দিল্লির চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন
ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক অক্ষুণ্ন থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থনে সহিংসতা, যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের অবসান হওয়ার মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি বিরাজ করবে।
তিনি বলেন, এই কার্যক্রম ও সহিংসতা, রোহিঙ্গা বা ফিলিস্তিন যে কারও বিরুদ্ধে হোক না কেন, তা মানবসৃষ্ট। যেহেতু এগুলো মানবসৃষ্ট,তাই আমার একটি স্বপ্ন আছে আপনাদের সক্রিয় সমর্থনে একদিন আমরা সহিংসতা, যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের অবসান ঘটাতে পারব।
শনিবার বিকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের’ উদ্বোধনী অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা থেকে আসা কাউকে বোর্ডিং পাস দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে কোন শিশু পরিবার ছাড়া থাকবে না, কোন সৈনিক তার অস্ত্র দিয়ে মানুষের জীবন নেবে না। তিনি আরও বলেন, বন্ধুত্ব ও শান্তির ফুলের মাধ্যমে সর্বনাশী বোমা ও বিদ্বেষপূর্ণ মন প্রতিস্থাপিত হবে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন একটি রেকর্ড করা ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দেন।
আরও পড়ুন: ভারত ভ্রমণের লাল তালিকায় বাংলাদেশ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন এবং টিকার সমান প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ভারতের সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন, রেলওয়ে, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে বাংলাদেশের নারীরা যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলার ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকা সফরের সম্ভাবনা
দুই দিনের সফরে আগামী ৭ ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার ঢাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, যে কোনো সময় এই ব্যাপারে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসময় ভারতীয় রাষ্ট্রপতির আসন্ন বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
ভারতের রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করবেন। ভারতীয় রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে ভুটানের কাছ থেকেও উচ্চ পর্যায়ের অংশগ্রহণ আশা করছে বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-ভারত উভয়েই ৬ ডিসেম্বরকে 'মৈত্রী দিবস' (বন্ধুত্ব দিবস) হিসাবে স্মরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেননা ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রধানমন্ত্রী