সরকারি
সরকারি সফরে ইউএই’র উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান
সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান।
বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সফরকালে এয়ার চিফ শারজাহতে অবস্থিত এএএল গ্রুপ, এমআরও ফ্যাসিলিটির হেলিকপ্টার মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভারহল প্ল্যান্ট পরিদর্শন করবেন।
তিনি একটি দলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ২৪ দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে: আইএসপিআর
এয়ার মার্শালের র্যাংক ব্যাজে সজ্জিত বিমান বাহিনী প্রধান
সরকারি কর্মচারীদের সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের আহ্বান ফখরুলের
সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া চেষ্টা করছে সরকার।
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবীদের সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দল যদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একত্রিত হয়, তাহলে সরকারের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর দুইটি সম্পূর্ণ হাস্যকর জাতীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, তারা আবার স্বপ্ন দেখছে একইভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে দেখবেন ডিসি, এসপিদের বদলি, নতুন পদায়ন এবং প্রশাসনে হাজার হাজার লোকদের পদোন্নতির খবর।
তিনি বলেন, প্রশাসনকে আগের মতো নিয়ন্ত্রণ করে আবারও নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করার চিন্তায় তারা এসব করছে। এটা আর হবে না।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে মিলে জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, প্রশাসনে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় ও বিচার বিভাগে যারা আছেন সংবিধান ও আচরণবিধির মেনে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না। বরং জনগণের পক্ষে অবস্থান নিন।
এ ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য হারানো অধিকারের জন্য বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য তিনি পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের ‘নির্দেশিত’ রায়ের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে পেশাজীবী পরিষদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
জুলাই থেকেই বিশেষ সুবিধা পাবে সরকারি চাকরিজীবীরা
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা।
চাকরিরতদের ক্ষেত্রে এই বিশেষ সুবিধা ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হবে।
মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি মূল্যায়নে সমন্বয় বৈঠক করার নির্দেশ অর্থমন্ত্রীর
এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতন স্কেলসমূহের আওতাভুক্ত সরকারি বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পেনশনভোগী ব্যক্তিদের ১ জুলাই থেকে ৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলো।
এ বিশেষ সুবিধা চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হারে দেওয়া হবে।
বিশেষ সুবিধা যেভাবে কার্যকর হবে-
চাকরিরত কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে এক হাজার টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা পাবেন।
অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএল যাওয়ার পূর্বকালীন সর্বশেষ পাওয়া মূল বেতনের ভিত্তিতে উপরিউক্ত হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
পুনঃস্থাপন করা পেনশনাররাসহ সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারীরা প্রতি বছর ১ জুলাই প্রাপ্য নীট পেনশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে ৫০০ টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা পাবেন।
যেসব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে নীট পেনশন অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত পদের মূল বেতনের ভিত্তিতে যেকোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাবেন।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশের ওপর ৫ শতাংশ হারে এ বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিনা বেতনে ছুটিতে থাকাকালে কর্মচারীরা এ বিশেষ সুবিধা পাবেন না।
সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের এ বিশেষ সুবিধা প্রদান বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাজেট থেকে মেটাতে হবে।
আরও পড়ুন: নিটওয়্যার খাতে ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার অর্থসহায়তা ছাড় অর্থ মন্ত্রণালয়ের
বাজেট ২০২১-২২: অগ্রাধিকার নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় কমিটির সভা
প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশনা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একটি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের বিষয়টিকে সিইআরটি নির্দেশনা না মানা এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি হ্যাকিংয়ের ফলাফল নয় বরং একটি সিস্টেমের দুর্বলতা যা সরকারি পোর্টালে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে।’
রবিবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার ২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
উচ্চ প্রযুক্তি এবং স্টার্টআপের ওপর গুরুত্ব প্রদানকারী আমেরিকান অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্ম টেকক্রাঞ্চ ৭ জুলাই একটি প্রতিবেদন করেছে যে বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সহ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করেছে।
আরও পড়ুন: লাইভে সার্টিফিকেট পোড়ানো মুক্তা সুলতানাকে চাকরি দিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
টেকক্রাঞ্চ বলেছে যে এটি প্রভাবিত ওয়েবসাইটে একটি পাবলিক সার্চ টুল দিয়ে একটি অংশ ব্যবহার করে ফাঁস হওয়া তথ্য ‘বৈধ’ ছিল বলে তা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট স্পষ্টতই ফাঁস হওয়া তথ্যভান্ডারে থাকা অন্যান্য তথ্য ফেরত দিয়েছে, যেমন, ব্যক্তির নাম নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীর নাম, সেইসঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে তাদের পিতা-মাতার নাম।
পলক বলেন, 'ডেটা সুরক্ষা আইন' চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ‘অ্যাক্টের লক্ষ্য ভবিষ্যতে এই ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অন্তর্ভুক্ত করা এবং ডেটার অখণ্ডতা নিশ্চিত করা।’
পলক ২৯টি সংবেদনশীল তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই) এর সুরক্ষা ও তত্ত্বাবধানের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিইআরটি (কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম) দল গঠনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, এই দলগুলো আইসিটি বিভাগ দ্বারা আয়োজিত সিইআরটি’র নির্দেশনায় কাজ করবে।
তথ্য সুরক্ষায় সচেতনতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের তাৎপর্যের ওপর জোর দিয়ে, পলক বলেন যে একটি নিরাপদ সাইবার বিশ্ব বজায় রাখার জন্য একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তিনি গুরুত্বের চারটি স্তর চিহ্নিত করেছেন-ব্যক্তি, পরিবার, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সমাজ-এবং জনগণকে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
পলক বলেন, ‘সাইবার আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যদি টাকা বা তথ্য চুরি করতে চায়, তবে তারা সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে জি-ক্লাউড এ যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
তিনি তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল সই, সাইবার নিরাপত্তা এবং দায়িত্বশীল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মতো বিষয়ে সচেতন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর আরও জোর দেন। তিনি প্রযুক্তিগত দক্ষতার গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং জোর দেন যে ‘যেহেতু কোনো দেশ একা এটি অর্জন করতে পারে নাজাতীয় সাইবারস্পেস সুরক্ষিত করার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজন।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থার মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক রঞ্জিত কুমার। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক ভ্যান এন গুয়েন, বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাদাত রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: পলক
চলচ্চিত্রে এবার যারা সরকারি অনুদান পেলেন
প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতায় অনুদানের বাজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেতে যাচ্ছে ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় রবিবার (১৮ জুন) এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। যেখানে অনুদান পেতে যাওয়া সিনেমা তালিকাসহ প্রযোজক-পরিচালকের নাম ও বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ উল্লেখ আছে।
২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ১টি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় ১টি, সাধারণ শিশুতোষ শাখায় ২টি ও সাধারণ শাখায় ১৮টি সিনেমাকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকা করে পাচ্ছে নূর ইমরান মিঠুর প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘সার্কাস’ এবং প্রযোজক হিসেবে নাট্যকার ও নির্মাতা মাতিয়া বানু শুকু পাচ্ছেন তার সিনেমা ‘লাল মিয়া’র জন্য। এটি পরিচালনা করবেন নুরুল আলম আতিক।
মুক্তিযুদ্ধ শাখায় ‘যুদ্ধ শিশু’ সিনেমার জন্য ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন প্রযোজক বদরুন নাহার রক্সি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন মোহাম্মদ উল্লাহ। একই পরিমাণ অনুদান পাবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় থাকা ‘ভোর’ সিনেমাটির প্রযোজক মাহিন মাহনুমা। এটি পরিচালনা করবেন আমিনুর রহমান খান।
৬০ লাখ টাকা অনুদান পাওয়ার তালিকায় প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন অভিনেত্রী শামীমা ইসলাম তুষ্টি। শিশুতোষ শাখার এই সিনেমার নাম ‘মাটির রাজকুমার’। এর পরিচালক রুবেল শঙ্কর বিশ্বাস। এছাড়াও এই শাখা থেকে একই পরিমাণ অর্থ অনুদান পাচ্ছেন প্রযোজক ও পরিচালক আকা রেজা গালিব। তার সিনেমা ‘মস্ত বড়লোক’।
আরও পড়ুন: এক ডজন চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছে ফিল্ম সিন্ডিকেট
সাধারণ শাখার দিকটা এবার দেখে নেওয়া যাক। এই শাখায় প্রযোজক ও পরিচালক সাদেক সিদ্দিকি পাচ্ছেন ৫৫ লাখ টাকা। তার সিনেমা ‘দেনা পাওনা’। এছাড়া এই শাখায় ৬০ লাখ টাকা করে অনুদান পাচ্ছেন ‘মাস্টার’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, ‘দ্য আগস্ট’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পথিক, ‘রেনুর মুক্তিযুদ্ধ’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রোকেয়া প্রাচী, ‘লারা’ ছবির প্রযোজক জ্যোতিকা পাল জ্যোতি ও পরিচালক শেখর দাশ।
৫৫ লাখ টাকা করে পেতে যাওয়ার তালিকায় রয়েছে সর্দারবাড়ির খেলা’র প্রযোজক মীর জাহিদুল হাসান ও পরিচালক মো. সজীব আহমেদ, ‘ঠিকানা’র প্রযোজক ও পরিচালক আনোয়ার হোসেন (পিন্টু), ‘জীবন আমার বোন’ ছবির প্রযোজক মোহাম্মদ জাহিদুল করিম ও পরিচালক এনায়েত করিম বাবুল, ‘সূর্য সন্তান’ ছবির প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান ও পরিচালক কৌশিক শংকর দাস, ‘শিরোনাম’ ছবির প্রযোজক কাজী রুবায়াৎ হায়াৎ ও পরিচালক এস এম তারেক রহমান, ‘শাপলা শালুক’ প্রযোজক ও পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুক এবং ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ ছবির প্রযোজক ইয়াসির আরাফাত ও পরিচালনা জহির রায়হান।
অন্য দিকে ‘দুই পয়সার মানুষ’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ঝুমুর আসমা জুঁই পাচ্ছেন ৫৮ লাখ। ‘
আরও পড়ুন: ৪৫তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া ও আতিকের ‘পেয়ারা সুবাস’
আর ‘নীল আকাশে পাখি উড়ে’র প্রযোজক ও পরিচালক এস ডি রুবেল, ‘নীল জোসনার জীবন’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ফাখরুল আরেফিন খান, ‘রুখসার’র প্রযোজক ও পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পাচ্ছেন প্রতি ছবির জন্য ৬০ লাখ করে টাকা।
এদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান পেয়েছেন ‘নিশিবক’ (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখা) ছবির প্রযোজক ও পরিচালক সাজ্জাদ জহির, ‘নদাই’ (শিশুতোষ শাখা) ছবির প্রযোজক ও পরিচালক শহিদুল ইসলাম (পথিক শহিদুল), ‘রংগিলা নায়ের মাঝি’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক নূরজাহান আলীম ও পরিচালনা মীর শামছুল আলম বাবু, ‘নূর: ছয় শব্দের ইশতেহার’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক আ. আ. মো. মাহমুদুল হাসান, ‘সোনার নকশীকাঁথা’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি এবং ‘কফিন’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক আছমা আক্তার (লিজা)। তারা প্রতিটি ছবির জন্য পাচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেল ১৯ চলচ্চিত্র
ফ্রিল্যান্সারদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ফ্রিল্যান্সাররা যাতে পেশাগত পরিচয় দিতে পারে এ জন্য তাদেরকে সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট শালতলাস্থ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করতে চাই: পলক
এসময় তিনি বলেন, একই সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট পে-পাল চালু করা হবে।
পলক বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাংক থেকে পুঁজি, ঋণ ও অর্থ সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। সফল উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বাগেরহাটের শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য জেলা সদরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি উপজেলায় তথ্য-প্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ সেন্টার করা হচ্ছে।
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর কয়েক হাজার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার বের হবে। তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
মেলার উদ্বোধন করেন-বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, রফিকুন নবী, পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক।
এছাড়া নানা বিষয়ে উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের মতামত তুলে ধরেন।
মেলায় শিক্ষিত আইসিটি ও প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ চাকরি প্রার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
মেলায় ৩৪টি প্রতিষ্ঠান তাদের স্টল দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক জনবল নিয়োগের চাহিদা রয়েছে।
কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী মেলায় অংশ নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন সফল উদ্যোক্তা তাদের সফলতার গল্প শোনান।
কর্মসংস্থান মেলার মধ্য দিয়ে চাকরি পাবেন এমন আশার কথা শোনালেন চাকরি প্রার্থী তরুণ-তরুণীরা।
মেলায় ২০ জন ফ্রিল্যান্সারকে ২০টি ল্যাপটপ এবং ৪০ জন উদ্যোক্তার হাতে ৫০ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের পোড়া চাদর কিনলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্মার্ট ক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা হবে: পলক
৩০টি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেটে রোগী দেখতে পারবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৩০ মার্চ থেকে অফিস সময়ের পর ১০টি জেলা সরকারি হাসপাতাল ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে রোগীদের দেখতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে এটি চালু করা হবে। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালানোর অনুমতি দেয়া হবে।’
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পর্যায়ক্রমে সব সরকারি হাসপাতালে এই প্রকল্প চালু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তবে সরকার প্রকল্পের আওতায় সিনিয়র অধ্যাপকদের সম্মানী হিসেবে ৫০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র পরামর্শকদের জন্য ৪০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ও জুনিয়র পরামর্শকদের জন্য ৩০০ টাকা এবং এমবিবিএস ও বিডিএ থাকা চিকিৎসকদের জন্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হজ প্যাকেজের খরচ কমল ১১,৭২৫ টাকা
সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার অধীনে হজ প্যাকেজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা হ্রাস করা হয়েছে। কারণ, সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী ইচ্ছুক হজযাত্রীদের জন্য এই পরিষেবা চার্জ কমিয়েছে।
এ বছর ১১ হাজার ৭২৫ টাকা বাদ দিয়ে হজ পালনের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের প্রত্যেককে ছয় লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা দিতে হবে।
এছাড়া যারা প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় যাবেন, তাদের প্রত্যেককে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হজের খরচ কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যারা ইতোমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে নিবন্ধন করেছেন তারা খাবারের দাম ফেরত দিলে ঢাকায় হজ অফিস থেকে ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত পাবেন।
বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো আগে নিবন্ধন করা প্রত্যেক হজযাত্রীকে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত দেবে।
এদিকে, সরকার হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ২৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
এছাড়া রেজিস্ট্রেশনের কোটা পূরণ হলে হজ নিবন্ধনের সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক হজ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোকে ২৭ মার্চ তাদের শাখা খোলা রাখতে বলেছে।
১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি ছিল।
এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় হজের বর্ধিত ব্যয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
এর মধ্যে প্রতিটি যাত্রীর জন্য বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা।
১৪ মার্চ হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলেন সরকার নির্ধারিত প্যাকেজের খরচে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজ করবে।
এতে প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সরকার কেন হজের জন্য বাজেট বরাদ্দ করে না?
চলতি বছরের হজ প্যাকেজ সংশোধন নিয়ে এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত ১৫ মার্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে হজের খরচ কমানোর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এরপর ১৭ মার্চ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিমানের ভাড়া যৌক্তিকভাবে কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়।
এদিকে গত ১৯ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, এ বছর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: এবছর আর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই: বিমানের এমডি
হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
সরকারিভাবে আহমদিয়াদের ‘অমুসলিম’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের
সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আহমদিয়া(কাদিয়ানি) সম্প্রদায়কে ‘অমুসলিম’ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে ৫ মার্চ একটি বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম।
জামায়াতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ‘বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেখানে ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। এদেশে কাদিয়ানী (আহমাদিয়া) সম্প্রদায় ইসলামের বিরুদ্ধে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ইসলামপ্রেমী জনগণ এটা কখনোই মেনে নেবে না। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সরকারের উচিত জনগণের মতামতের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাদিয়ানি সংকট স্থায়ীভাবে সমাধান করা এবং কাদিয়ানিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।’
শুক্রবার, একটি আহমদিয়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিল পঞ্চগড়ের আহমদনগর এলাকার দিকে অগ্রসর হয়। খবরে বলা হয়, পুলিশ চৌরঙ্গী মোড়ে মিছিলটি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে লোকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিছিল বের করার সময় জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং পুলিশ সদস্যসহ বহু লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে সহিংসতা কভার করা কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন। পঞ্চগড় শহরের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সহিংসতার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক।
বিক্ষুব্ধ জনতা আহমেদনগরে অবস্থিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ২০টি বাড়িও লুট করে।
দ্য ডেইলি স্টারে আজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্চগড় জেলার আহমদিয়া সম্প্রদায় আরও হামলার আশঙ্কায় দিনযাপন করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রদায়ের অনেক সদস্য, বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
এদিকে, শুক্রবারের সহিংসতার পর থেকে, বাশেরকেল্লার যাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট থেকে - ‘জামায়াতের মুখপত্র’ হিসাবে পরিচিত - হ্যাশট্যাগে ‘পুলিশের বর্বরতা’ এবং ‘কাদিয়ানি (আহমাদিয়া) বয়কট করুন’ সহ একাধিক টুইট পোস্ট করা হয়েছে।
সম্প্রদায়ের সদস্যরা এটিকে আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে একটি ‘ঘৃণাত্মক প্রচারণা’ বলে অভিহিত করছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জামায়াত শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
বাগেরহাটে জুট মিলে ১১৮৯ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ
বাগেরহাটের ফকিরহাটে একটি জুট মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১৮৯ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপজেলার লখপুর খাজুড়া এলাকায় এম এম জুট মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, অভিযান চলাকালে চালবোঝাই ওই মিলটি সিলগালা করা হয়। এছাড়া ওই মিলের সহকারী ম্যানেজার অলোক চক্রবর্তীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া বিনতে কাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান এবং খুলনা র্যাব-৬ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার বদরুদ্দোজা।
আরও পড়ুন: খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল জব্দ, আটক ২
রুবাইয়া বিনতে কাশেম বলেন, খবর পেয়ে ওই জুট মিলে ভ্রাম্যমাণ আদলাতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় চাল জব্দ করে মিলটি সীলগালা করে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষি বিপণন আইনে মিলের সহকারী ম্যানেজারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, জুট মিলের এই গুদামে সরকারিভাবে আমদানি করা চাল মজুত করে রাখা হয়েছে। মিলের কর্মকর্তাদের দাবি সরকারিভাবে বাতিল করা এক হাজার ১৮৯ মেট্রিকটন চাল এখানে রাখা হয়। তবে তাদের ধারণা এই মিলে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল মজুত রয়েছে। মজুত করা অধিকাংশ চাল খাবারের উপযোগী। জব্দ করা ওই চালের বিষয়ে সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা র্যাব-৬ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার বদরুদ্দোজা জানান, খবর পেয়ে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অংশ নেয়। জুট মিলের মধ্যে হাজার হাজার বস্তায় প্রায় ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল মজুত করে রাখা হয়েছে। নষ্ট চালের কথা বলা হলেও এখানে খাবার উপযোগী অনেক চাল পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর পূজা মণ্ডপের বরাদ্দকৃত ২০০ বস্তা চাল জব্দ, আটক ১
সুবর্ণচরে পাচারকালে রোহিঙ্গাদের ২ ট্রাক চাল জব্দ, আটক ৩