স্বাধীনতা
স্বাধীনতার র্সুবণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রেস ক্লাবের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী
সাংস্কৃতিক পর্বে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী মো. রফিকুল আলম, রুপা ফরহাদ, শিবু রায়, আকরামুল ইসলাম, খায়রুল আনাম শাকিল, নবীব কিশোর গৌতম ও মনোরঞ্জন ঘোষাল, সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পী মাইনুল আহসান, ঊর্বী সোম, এম এ মোমিন, আশা খন্দকার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী রোকসানা আকতার রূপসা ও শারমিন আক্তার শাওন সংগীত পরিবেশন করবেন। কবিতা আবৃত্তি করবেন কবি নরুল হুদা, ঝর্ণা সরকার, আসলাম সানী, ইকবাল খোরশেদ। আরিফুল ইসলাম অর্ণবের পরিচালিত নৃত্যদল আর্টিস্ট ট্রি; মেহরাজ হক তুষার পরিচালিত রিদম ডান্স গ্রুপ; সুইটি দাস চৌধুরী পরিচালিত দিক্ষা নৃত্যদল, সাহিদা রহমান সুরভি পরিচালিত নৃত্যদল বহিৃশিখা সমবেত নৃত্য পরিবেশন করবেন।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উপলক্ষে খুলনায় ২য় দফায় ১৩৫১ ভূমিহীন ঘর পাচ্ছেন
হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাবাদীদের সব ভুল ধারণাকে ঝেড়ে ফেলে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরে, ইউএনসিডিপি ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
বুধবার জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হতাশাবাদীদের সকল ভুল ধারণা দূর করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন: পুলিশ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ উন্নীত হওয়ার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নীত হওয়ার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকার এবং বাণিজ্য চুক্তির ওপর একটি কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এখন কেউ অবহেলা করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০টি দেশ এবং তিনটি জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সঙ্গে একটি পিটিএ স্বাক্ষর করেছে।
তিনি বলেন, এই ১০টি দেশ হলো- ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন ও মালয়েশিয়া।
এছাড়াও, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, মরিশাস, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, কেনিয়া এবং জিসিসি দেশগুলির সঙ্গে পিটিএ, এফটিএ বা সিইপিএ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রেস ক্লাবের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর ক্লাবে সদস্য সন্তানদের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রদর্শনী ও শিশু শিক্ষা উপ কমিটির আয়োজনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম ও মো. আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, রহমান মুস্তাফিজ। শিশু শিক্ষা ও প্রদর্শনী উপ কমিটির আহ্বায়ক শাহনাজ বেগম পলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপ কমিটির সদস্যরা যোগ দেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ।
আরও পড়ুন: প্রেস ক্লাবে সন্ধানী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে ২শ’ জনকে চিকিৎসা
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রেস ক্লাবের
মিডিয়ার ওপর ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই তাদের রাজনীতি। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে সাথে নিয়ে বিএনপি অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে।
সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবনে এক ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপি নেতারা এতটাই অন্ধ ও বধির যে, বহু আগেই জনগণ তাদের পতন ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে, তা তারা শুনতে পায় না।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রয়েছে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আন্দোলন আর নির্বাচনে চরম ব্যর্থতায় কি তাদের শেষ ঘন্টা বাজেনি?
বিএনপির কথা ও কাজে মিল নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি তাদেরই রাজনীতির অন্যতম প্রধান বাধা।
জনগণ কি চায়, কি চায় না - তার মানদণ্ড বা পরিমাপক হচ্ছে নির্বাচন এমনটা মনে করে ওবায়দুল কাদের বলেন একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
আরও পড়ুন: সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচনের বাইরে গিয়ে অন্য কোন চোরাগলি খোঁজা গণতন্ত্রে সংবিধান সম্মত নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এসকল অপতৎপরতা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীতে অবস্থান করছে।
এসময় ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে কথামালার ফেনায়িত তরঙ্গ না তুলে নির্বাচনমূখী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণ চাইলে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে।
বিএনপির বিভিন্ন জেলার কর্মসূচিতে সরকার নাকি বাধা দিচ্ছে, বিএনপির এসব অপপ্রচার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাধা তো নয়ই বরং সরকার সহযোগিতা করেছে। সরকার সহযোগিতা না করলে এ পর্যন্ত ৩২ জেলায় সমাবেশ করতে পারতো কি?
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, জঙ্গীবাদ উদ্বুদ্ধ করতে: ওবায়দুল কাদের
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মোকাবিলার শপথ নিয়ে আ. লীগের বিজয় শোভাযাত্রা
নানা আয়োজনে উদযাপিত হলো স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষ। এ উপলক্ষে শনিবার আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রা বের হয়। এই শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে দলটি।
নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রা জনতার ঢলে পরিণত হয়।
শনিবার দুপুর ১২টা থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা, নৌকা, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেন নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টায় র্যালিটি শুরু হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে দুটি ট্রাকে বানানো হয় মঞ্চ।
বিজয় র্যালি উপলক্ষে পুরো এলাকায় সাজ সাজ রব বিরাজ করে। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে জাতীয় পতাকা, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে হাজির হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্বাধীনতা আর বিজয়ের স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে চারিদিক।
আ.লীগ মানুষকে প্রকৃত ইতিহাস ভুলিয়ে দিচ্ছে: বিএনপি
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দেশবাসীকে ভুল তথ্য দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
শনিবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও বিজয় দিবস উদযাপন সংক্রান্ত বিএনপির কমিটি আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় নজরুল ইসলাম খান বলেন,‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে মানুষকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। তারা দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চাইছে। আমি এটাকে অপচেষ্টা বলে মনে করি। এ ধরনের অপরাধ দেশ থেকে দূর করতে হবে। প্রত্যেককে তার প্রাপ্য স্বীকৃতি দিতে হবে।’
এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে আখ্যায়িত করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, যারা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার পরিচালনা করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীসহ অন্য সকল মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকেই বাঙালি জাতি বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘এই দীর্ঘ সময়ে যারা জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যুদ্ধের সূচনা করেছেন তারা সবাই আমাদের সম্মানের দাবিদার।’
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আরও সুদূরপ্রসারী হতে পারে: বিএনপি
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব সঠিক ভিত্তি তৈরি না করলে আমরা যুদ্ধে জিততে পারতাম না। সারা বিশ্ব থেকে যারা আমাদের সমর্থন করেছেন তারাও আমাদের সম্মানের দাবিদার। একই সঙ্গে, আমাদের অবশ্যই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে যারা আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদের সাহায্য করেছেন। আমরা যদি অন্যের অবদানকে স্বীকৃতি না দিয়ে নিজেরাই সমস্ত ক্রেডিট নেয়ার চেষ্টা করি তবে এটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা অন্যায্য।’
২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ করেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা তার (জিয়া) কণ্ঠে প্রথমবারের মতো রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছিলাম। এখন কেউ যদি আমাকে আইন বা আদালতের রায়ের কথা বলে আমি নিজের কানে যা শুনেছি তা বিশ্বাস না করতে বললে আমি কীভাবে তা মেনে নেব?’
তিনি নতুন প্রজন্মকে সত্য জানার চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মনে রাখবেন, মিথ্যা জানা জ্ঞান নয়।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩২ জেলায় বিএনপির সমাবেশ
মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা আজ প্রমাণিত: যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিএনপি
৫০ বার রক্তদান করা ৫০ রক্তদাতাকে কোয়ান্টামের সম্মাননা
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন এমন ৫০ জন স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সংবর্ধনা দিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো একজন নারী রক্তদাতাও রয়েছেন।
শনিবার বেলা ১২টায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ ত্যাগের মাধ্যমেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। রক্তদাতারা রক্তদানের মাধ্যমে সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এমন বহু ত্যাগের মাধ্যমেই সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: ৩০০ স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সম্মাননা
উপস্থিত রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, রক্তদান নিয়ে মানসিক, শারীরিক ভয়, আতঙ্কসহ সামাজিক যে বাধা ছিল; তা দূর করে দেশের রক্তের চাহিদা পূরণে স্বেচ্ছা রক্তদাতারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
ভালো কাজের ফল সবসময়ই ভালো হয় এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপনের সময় ঠিক ৫০ জন রক্তদাতা কোয়ান্টামে ৫০ বার রক্ত দিয়েছেন, যা আসলে তাদের ভালো কাজেরই প্রতিফলন। কিন্তু তারপরও ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে রক্তের চাহিদা এখনো অনেক। এই ঘাটতি পূরণে শিক্ষামন্ত্রী নতুন রক্তদাতা তৈরিতে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ।
রক্তদাতাদের পক্ষে আবেগঘন অনুভূতি ব্যক্ত করেন ৫৬ বার রক্তদানকারী মিজানুর রহমান সজল।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন জনাব এম রেজাউল হাসান। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। নিয়মিত রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে চাহিদার ঘাটতি মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শোক দিবসে কোয়ান্টামের দাফন করসেবা
করোনায় দাফন: কঠোর লকডাউনেও সক্রিয় কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবীরা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে দুই দেশের মাঝে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছে: কোবিন্দ
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বলেছেন, বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা কাঙি্খত উন্নয়ন ও সফলতা অর্জন করে দুই দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করব।
শুক্রবার বাংলাদেশে তার তিন দিনের ‘ঐতিহাসিক’ রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করার আগে ভারতীয় সম্প্রদায় এবং বন্ধুদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
কোবিন্দ বলেন, বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম ও বিশ্বস্ততার ব্যাপারে আমি নিঃশঙ্ক। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে রক্তের বন্ধনে আমাদের মধ্যে যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক হয়েছে, তা ভবিষ্যতেও আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের হৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ভারতীয়দের হৃদয়ে বাংলাদেশের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে এমন এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যাকে বহু পুরনো আত্মীয়তার বন্ধন বলা যায়। আমাদের সম্পর্ক দুটি দেশের বিচক্ষণ নেতৃত্বের দ্বারা সংরক্ষিত হয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: বুলেট বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে দিতে পারেনি: কোবিন্দ
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, বাংলাদেশের জনগণের ওপর চালানো নৃশংসতা ও গণহত্যা এবং সশস্ত্র সংগ্রামের কথা স্মরণ করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হওয়ায় বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের লড়াই একটি ন্যায়সঙ্গত উদ্দেশ্যে ছিল। এই লড়াই ছিল মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ রমনার ঐতিহাসিক রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং মন্দিরের সংস্কার পরবর্তী উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমি এটিকে মা কালীর আশীর্বাদ হিসাবে মনে করি। আমি শুনেছি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ভেঙে দেয়া এই মন্দিরটি সংস্কারে বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার ও জনগণ সহায়তা করেছে। এই মন্দিরটি ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের প্রতীক।
ভারতের রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, এই অবিস্মরণীয় বছরে আমাদের দুই দেশ মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, দুই দেশের বন্ধুত্বের ৫০তম বার্ষিকী এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করবে। আসুন এ বছরে আমরা আমাদের জাতির পিতাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেদেরকে আবারও উৎসর্গ করি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ভারতের উন্নয়ন সহযোগী: রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ
কোবিন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বড় ধরনের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ভারতও প্রশংসনীয় প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে।
উভয় পক্ষ তাদের প্রবৃদ্ধিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও পরিবেশ-বান্ধব করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আরও বলেছেন, আমি সবুজ শক্তি এবং পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিশাল সম্ভাবনা দেখছি।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দিকে যাত্রায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, দুইপক্ষের বন্ধুদের সঙ্গে মিলেমিশে আমরা বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের বাংলাদেশ সফর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: ভারত
স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র -একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেগুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ‘
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, বর্তমান ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে বিরোধী দলকে নির্মূল করছে।
বৃহস্পতিবার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার শপথ নিল জাতি
ফখরুল অভিযোগ করেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সনকে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে নেয়া হয়েছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।
তিনি বলেন, এই বিজয় দিবসে আমাদের শপথ দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবো।
পরে বিএনপির মহাসচিব দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান।
৫১তম বিজয় দিবসে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তারা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জনগণ গ্রহণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি: ফখরুল
দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে পরিকল্পিতভাবে প্রাণ হারানো বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে জাতি আজ মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আজ সকালে রাষ্ট্রপ্রতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন