গণতন্ত্র
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
বর্তমান সরকার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেরকে কোনোমতেই ক্ষমতায় আর আসতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে ও অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে আওয়ামী লীগ আজকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যে লক্ষ্য ছিলো-আশা ছিলো, আকাঙ্খা ছিলো-একটা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, একটা বহুদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা; সেটাকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দিয়ে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেই পুরনো কায়দায়।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, এখন তাদের অবস্থান স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং দেশের মানুষের বিরুদ্ধে।
প্রাক্তন মন্ত্রী সুনীল কুমার গুপ্তের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ওনুসারী পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত জোট, খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশে (বাংলাদেশ) আর ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করার একদিন পর ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
বুধবার ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করার জন্য সরকারের অবস্থানেরও সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘যখন সবাই আইনটি বাতিলের দাবি করছে, তখন আপনি দাম্ভিকতা করছেন যে এটি বাতিল হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন এটা বাতিল করা উচিত নয়? আপনি এটি (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাই আপনি এই অস্ত্র হারাতে চান না।’
ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, দেশের মানুষ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেও স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করেছিল। এখন দেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করেছে এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের জয় হবে। ’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি আবার ক্ষমতায় এলে তাদের দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
ফখরুল বলেন, ‘এ কারণে আমরা দেশকে ভালোবাসে এমন সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একযোগে আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা সারা দেশের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছি। এই আশা নিয়েই আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে, স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাষানী ওনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা থাকলেও পরে অনুমতি বাতিল করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
আ. লীগ একাই গণতন্ত্র চর্চা করে ও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয় শুধুমাত্র তার দল আওয়ামী লীগে, যার অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইতিহাস রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা করে এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা বিরাজ করে।
জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার ওয়েস্টিন হোটেলে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীএসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শান্তিপূর্ণভাবে দুই মেয়াদ শেষ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি দেশের ইতিহাসে প্রথমবার যেখানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি এবং নতুন রাষ্ট্রপতি শান্তিপূর্ণভাবে সমস্ত সম্পর্কিত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান তার সামরিক শাসনামলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছিলেন। আরেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছিলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশে ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছরে কোনো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু জাপান: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সেদিন কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল না এবং কোনো গণতান্ত্রিক আইনের শাসন ছিল না।’
যারা দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দেখতে পান না তাদের নিন্দা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধী দল বিএনপির ইতিহাস এতটাই কলঙ্কিত যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো মুখ নেই।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র ৩০টি আসন পায় এবং আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট বাকি সব আসন পায়।
তিনি বলেন, এ কারণে তারা (বিএনপি-জামায়াত) ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
২০১৩-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা অন্তত ৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে এবং অনেক সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা ধ্বংস করেছে।
‘এখন তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে এবং জনগণের কাছে ভোট চাইবে?’ তিনি প্রশ্ন তোলেন।
দেশকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ ব্যাপক সাফল্য বয়ে আনবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র উন্নত, বাকস্বাধীনতা বেশি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র অনেক উন্নত এবং বাকস্বাধীনতাও বেশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে বিরোধী দল সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা, মাঝে মাঝে রাতের বেলাতেও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে, যেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে, তার উদাহরণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও নেই।
এছাড়া আমি বিএনপিকে বেশি দূরে যেতে বলব না। তারা যেন ভারতের দিকে একটু তাকিয়ে দেখে।
আরও পড়ুন: ঈদে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনা তথ্যমন্ত্রীর
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতে বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর একটি বক্তব্যের কারণে তার দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। সংসদ সদস্য পদ চলে গেছে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন সদস্য। বিজেপির এমপি ছিলেন।
আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমাদের দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বক্তব্য রাখা হয়, সে জন্য কি আমরা আদালতে গিয়েছি?
এখান থেকেই বোঝা যায়, তাদের বাকস্বাধীনতা ও দেশে গণতন্ত্র কতটুকু আছে।
এ সময়ে চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বছরে যদি ১০টি ভারতীয় ছবি মুক্তি পায়, এতে আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। বরং মানুষ হলমুখী হবে, অনেক হল খুলবে, তখন আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য আরও বড় জায়গা তৈরি হবে।
এছাড়া আমাদের ছবি, আমাদের চলচ্চিত্র উপকৃত হবে।
পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের দুর্দশা থেকে উঠে আসার কথা তুলে ধরতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানে হলের সংখ্যা কমতে কমতে ত্রিশ-পয়ত্রিশটিতে নেমে এসেছিল। তখন তারা ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানি শুরু করে দেয়।
এরপর হলের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ২০০ হয়েছে। তাদের চলচ্চিত্রের মানও অনেক উন্নত হয়েছে।
আমাদের দেশেও ভালো ভালো ছবি হচ্ছে। সামাজিক ছবি প্রচুর হচ্ছে। ছবি থেকে অশ্লীলতা বিদায় নিয়েছে। সামাজিক ও অ্যাকশনধর্মী ছবি হচ্ছে। আমাদের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
করোনা মহামারি না হলে এরমধ্যে আরও অনেক সিনেমা হল চালু হয়ে যেতো। দেশে সিনেপ্লেক্সের সংখ্যাও বাড়ছে।
এ সময়ে একটি চলচ্চিত্র যাদুঘর করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি যাদুঘর হতে পারে। এফডিসিতে নতুন ভবন হওয়ার পর সেটা করা হবে।
মতবিনিময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন-পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, সদস্য এইচডি রুবেল, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সেক্রেটারি চিত্রনায়িক নিপুণ, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ইদানীং সবার মধ্যে কেমন যেন একটা অসহনশীলতা দেখা যাচ্ছে। এ অসহিষ্ণুতা বিচার বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, রাষ্ট্রের অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাহলে আমরা আইনের শাসনের জন্য যে সংগ্রাম করে যাচ্ছি, তা প্রতিষ্ঠা করতে পারব না।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
রবিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর আইনজীবী সমিতি ভবনে আইনজীবীদের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওহিদুজ্জামান। সভা পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ব্যাপারী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের ভাবতে হবে, আপনারা আদালতের অংশ। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আদালত ঠিকমতো সচল রাখা সম্ভব নয়। আমরা আইনজীবী ও বিচারকেরা মিলে একসঙ্গে চেষ্টা করতে চাই, যেন মামলার জট ছেড়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি মনে করি জুডিশিয়ালিতে বিচারক যদি হয় ডান হাত, তাহলে আইনজীবী বাম হাত। এক হাত যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কাজ ঠিকমতো হবে না।
তিনি বলেন, দেশের তিনটি স্তম্ভ বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগি ও আইন বিভাগ। এর কোনো একটা যদি দুর্বল হয় তাহলে সে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গণতন্ত্র দুর্বল হয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় না। তাই আসুন আমরা সকলে সম্মেলিত চেষ্টায় বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরে জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে একটি বিচার নিতে আসা ব্যক্তিদের জন্য একটি বিশ্রামাগার স্থাপনের জন্য ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন।
এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় কমপক্ষে চার কোটি লোক জড়িত। তাদের কথা চিন্তা করে এ বিশ্রামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এখানে পানি পান ও শৌচাগারের সুবিধা থাকবে। বিচার চাইতে এসে যেন কাউকে এলোমেলো ঘোরাফেরা করে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, এজন্য এই ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, এসব বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য আইন মন্ত্রণালয় ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি জেলা এ বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকা পাবে।
এছাড়া কাজ যাতে ঠিক মত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঠিকাদার যেন চুরি না করে। কম লাভ করে তারা যেন এ কাজ করে দেয়।
প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরের মামলার নিষ্পত্তির হার বেশি হওয়ায় বিচারক ও আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ফরিদপুরে ২৫ হাজার ৫৫৭টি মামলা হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মামলা। নিষ্পত্তির হার ১১৪ শতাংশ। এ ঘটনা আমাদের আশা জাগায়।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, মানুষের যে অধিকার তা পুরোপুরিভাবে হরণ করা হয়েছে। এছাড়া লঙ্ঘিত হচ্ছে মানুষের ব্যক্তগত অধিকার ও মানবাধিকার।
মঙ্গলবার বিকালে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালিবাড়িস্থ পৌর কমিউনিটি হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিমকালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ নতুন করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত তামাশা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কোনো তামাশার নির্বাচনে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ যেখানে তার সত্যিকারের ভোট দিতে পারবে, তার মত প্রকাশ করতে পারবে; এই ধরনের একটা নির্বাচন আমরা চাই। আর সে নির্বাচন আওয়ামী লীগ যদি সরকারে থাকে তা কখনো নিরপেক্ষ হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির ১০ দফা দাবির প্রথম দফাটাই হচ্ছে বর্তমানে যে প্রধানমন্ত্রী আছেন শেখ হাসিনা, যিনি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হননি, তাকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সংসদকে বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। তবেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নতুন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। এটিই হচ্ছে আমার প্রধান দাবি।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনীতির যে ভিত্তিগুলো-সেগুলো পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে সরকারের উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করলেও প্রকৃত চিত্র উল্টো। অথচ সরকার সব সময় ভুল পরিসংখ্যান প্রচার করছে।’
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই: ফখরুল
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে সরকারি দলের আইনজীবীরা পুলিশের সহায়তায় নির্বাচনকে পুরোপুরিভাবে পণ্ড করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় পুলিশ সেখানে সম্পূরর্ণ রীতি বিরোধীভাবে, সুপ্রিমকোর্টের ভেতরে প্রবেশ করে বার লাইব্রেরিতে তারা আক্রমণ চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ঢাকাতেই নয়, অনেক স্থানে লক্ষ্য করা গেছে প্রাতিষ্ঠানিক যে একটা ব্যবস্থা বার সমিতি; সেটাকে দখল করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সকল শক্তি প্রয়োগ করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করতে তারা দ্বিধা করছে না। এখানে মানুষের একটা আস্থা ছিল, সেখান থেকেও আস্থা নির্মূল হওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘এখানে সংবিধানকে প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু ব্যক্তিকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে, এটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।’
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে নওগাঁয় একজন নারী কর্মচারীকে তারা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর র্যাব কাস্টডিতে মারা গেছে। একইভাবে ডিজিটাল সিকিউরিটি মামলার মাধ্যমে মানুষের যে অধিকার তা খর্ব করা হচ্ছে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা যেটা সেটা হচ্ছে সংবাদকর্মীদের স্বাধীনভাবে যে লেখা সেটা খর্ব করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা যা অর্জন করেছিলাম, যে স্বপ্ন নিয়ে ও চিন্তাচেতনা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, তা সম্পূর্ণভাবে এরা হরণ করেছ, লুন্ঠন করেছে। বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি কর্তৃত্ববাদী একনায়েকতন্ত্রের দেশে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়: ফখরুল
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
দেশের স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘৫২ বছর আগে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে ১৯৭১ সালে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু সেই গণতন্ত্র এখন দুর্ভাগ্যবশত সম্পূর্ণরূপে নির্বাসিত এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।’
রবিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের এখন ভোটাধিকার নেই, কথা বলার ও লেখার অধিকার নেই।
ফখরুল বলেন, ‘এখানে কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি ঘৃণ্য চক্রান্ত করে ফ্যাসিবাদী একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সরকারের নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসির চিঠি প্রত্যাখান ফখরুলের
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং গণতন্ত্র ও সকল হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করতে সর্বস্তরের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তাদের ভোট ও অন্যান্য অধিকার ফিরে পেতে এবং শান্তিতে বসবাসের আন্দোলন শুরু করেছে। সফলতা অর্জনের জন্য আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম এত বেড়ে গেছে যে মানুষ চরম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের টাকা লুট করতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বাড়িয়েছে।
ফখরুল বলেন, তারা কোনো শর্ত ছাড়াই বিএনপি চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে এবং ৩৫ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করবেন।
বিএনপি মহাসচিব দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল ১০টার দিকে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে আসেন এবং ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: রমজানে কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
সেখানে তারা জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
এর আগে সকালে ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
তিনি বলেন, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন ও আশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও, মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করছে এবং গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে ‘স্বৈরাচারী সরকার’ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মানুষ তাদের কথা বলার ও ভোটের অধিকার হারিয়েছে এবং সাংবাদিকরা সত্য লেখার অধিকার হারিয়েছে।
তিনি শোক প্রকাশ করেন যে তাদের দলের চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়া ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ আন্দোলন শুরু করার কারণে কারাগারে বন্দী হয়েছিলেন এবং ৩৫ লাখের বেশি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিনা পরোয়ানায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে ডিএমপিকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি
ফখরুল বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে তাদের দলের নেতা-কর্মীরা শপথ নিয়েছেন যে তারা ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে এবং ঘুরে দাঁড়ানোর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। -উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
১৬ মার্চ দলটি স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য ১০ দিনের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করে।
আগামী ২৭ মার্চ বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধাদের গণসমাবেশ’ করবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নাই: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতন্ত্র চলে নির্বাচনের হাত ধরে। বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নাই।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে কুমিল্লার কান্দিরপাড় ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করতে পারবে না সরকার। এছাড়া সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে কারণ তারা ক্ষমতার পরিবর্তন চায়।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা লুটপাট করে হারাম উপার্জন করে, আজ বাংলাদেশ তাদের বাড়ি হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন ‘রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে লুটপাট। প্রকাশ্যে লুট করা হচ্ছে দেশের সম্পদ, পাচার করা হচ্ছে বিদেশ। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার লুট করে ফেলেছে।’
পরে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সরকারের পদত্যাগসহ ১০দফা দাবিতে কুমিল্লায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাদুল বারী আবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক ও কুমিল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ মহানগর ও জেলার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার ও তার দালালরা বিভিন্ন 'অশুভ' কৌশল অবলম্বন করে এবং বানোয়াট গল্প তৈরি করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চাইছে। বিরোধী জোটের মধ্যে ফাটল সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে থাকা বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য অটুট রয়েছে এবং তারা 'ফ্যাসিস্ট' সরকাকে উৎখাত করতে এগিয়ে যাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে (বিরোধী জোটের) কোনো সমস্যা নেই...স্বাভাবিকভাবেই সরকার ও তার দালালরা বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে দমন ও বানচাল করতে মিডিয়াকে ব্যবহার করে নানা অশুভ কৌশল অবলম্বন করছে এবং নানা রকম গল্প তৈরি করছে।’
বিরোধী দলগুলোর ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা নিয়ে তারা কম চিন্তিত বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস এখন মানুষকে আরও একত্রিত করা এবং ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শাসনকে উৎখাত করার জন্য আমাদের আন্দোলনে তাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।’
বিকাল ৪টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শুরু হয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে।
বৈঠকে ফখরুল বলেন, চলমান যুগপৎ আন্দোলনকে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: খালেদা, তারেককে নিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদন সম্পর্কে যা বললেন ফখরুল
‘আমাদের বৈঠকে আমরা বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের একযোগে আন্দোলনের আগের কর্মসূচি পর্যালোচনা করেছি। আমাদের আন্দোলনকে সফল করার জন্য আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেছি’, তিনি বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে তারা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য দল ও জোটের সঙ্গেও তারা একই ধরনের বৈঠক করবেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আন্দোলনকে ধীরে ধীরে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার কৌশল ও নীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য জোরদার করার উপায় নিয়েও কথা বলেছেন। কেউ যেন কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আমাদের ঐক্যে কোনো ফাটল সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
মান্না বলেন, রাজধানী ঢাকায় বিরোধী জোটের তৎপরতা কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও তারা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় বিএনপি স্বতন্ত্রভাবে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ‘আমরা মনে করি যে প্রোগ্রামগুলি কার্যকর হতে পারে। আমরাও কর্মসূচিতে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করব। আমরা আশাবাদী যে আমরা বিপুল জনসমর্থন পাচ্ছি বলে আমরা বিজয়ী হব।’
খালেদাকে নিয়ে সেলিমের মন্তব্য 'ভিত্তিহীন'
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে সংসদে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিমের বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইলে ফখরুল বলেন, এটা একটি বানানো গল্প।
‘তিনি (সেলিম) হঠাৎ করেই এই গল্পটা তৈরি করলেন। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বানোয়াট মন্তব্য’, বিএনপি নেতা যোগ করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
‘বাকশালের গণতন্ত্র’ জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ কোনোভাবেই একদলীয় শাসন মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে আমাদের মতো করে রূপ দেব। গণতন্ত্র এখন তাদের। এটা কোন গণতন্ত্র! এটা কি মুজিববাদের গণতন্ত্র, বাকশালের গণতন্ত্র, একদলীয় শাসনের গণতন্ত্র? এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী’শাসনকে অপসারণ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করেছে।
ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদের ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার শহীদ আসাদ পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
যিনি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, এই প্রক্রিয়ার একটি প্রাথমিক ঘটনা যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে পরিচালিত করেছিল।
ফখরুল বলেন, শহীদ আসাদ গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সেই সময়ের সঙ্গে বর্তমান সময়ের মিল রয়েছে। তখন বুদ্ধিজীবীরা চুপ করে থাকতেন। আমাদের বুদ্ধিজীবীরাও এখন অন্যায় ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
ফখরুল বলেন, পাকিস্তানের তৎকালীন শাসক আইয়ুব খান পদত্যাগ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি পাকিস্তানের ধ্বংস দেখতে চান না। কিন্তু তারা (আ.লীগ) কোনোভাবেই ক্ষমতা ছাড়বে না। তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। এটাই বর্তমান ফ্যাসিস্ট শাসন এবং পাকিস্তানের মধ্যে পার্থক্য।
তিনি বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে যারা এখন জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছেন তাদের জন্য আসাদ অনুপ্রেরণার উৎস।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরে দমন-পীড়নের আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বর্তমান আন্দোলনকে আরও তীব্র করার ইচ্ছা অনেকের আছে, কিন্তু আন্দোলনের রসায়ন, বিজ্ঞান ও ধারা রয়েছে।
এছাড়া আমি বিশ্বাস করি আমাদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষ জেগে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জনগণকে অন্যায়ভাবে দমন-পীড়ন করে জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষ তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন শুরু করেছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছি এবং এ লক্ষ্যে আরও ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা যখন ঐক্যবদ্ধ হব তখন জনগণ আমাদের রাক্ষস শাসককে পরাজিত করার পথ দেখাবে।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জাতির দুটি জিনিসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে—গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। অতএব, গরীবরা গরীব হচ্ছে, ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা এবং বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে তারা আরও বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলবেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী রাজপথে জীবন উৎসর্গ করেছেন বলে আশার আলো আছে। সুতরাং, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা যেভাবে সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, আমরা অবশ্যই এই দেশকে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে এবং ভয়ঙ্কর দানবদের হাত থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আ.লীগ সরকারের পতনের বিকল্প নেই: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে বর্তমান সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপিপন্থী বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র, ভোটদান এবং জনগণের অন্যান্য অধিকার না থাকায় অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এবং বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। এ কারণে জাতি এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে। এটি করতে বর্তমান শাসন অপসারণের বিকল্প নেই।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, জনগণের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন বলছে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, তারা তা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। যারা লুটপাট, দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, তারা এটা ঠিক করতে পারবে না। যারা রাজনীতিকরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: জিয়ার জন্মবার্ষিকী: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল করার অঙ্গীকার বিএনপির
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ আছে সেখানে গণতন্ত্র নেই, কারণ দলটি যখনই ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু বিএনপির ইতিহাস গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাস।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতন নিশ্চিত করতে এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের দল ইতোমধ্যে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল শেখ হাসিনার সরকারকে অপসারণের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুযায়ী একটি গুণগত ও বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ২৭ দফাও পেশ করেছে।
তিনি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে পেশাজীবীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মোশাররফ দেশের উন্নয়নে জিয়ার অবদান এবং অর্থনীতির পরিবর্তন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, জিয়া একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হওয়ায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তাকে, তার দলকে এবং তার পরিবারকে ভয় পায়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ফখরুলের