ব্যবসা
২ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা: সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা কী হারিয়েছেন
সাপ্তাহিক বাজারের লেনদেন অনুসারে, গত সপ্তাহে (২৫-২৯ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার ৮২৯ কোটি টাকার লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে।
পাঁচ কার্যদিবসের বাজারে সূচকের মধ্যে তিন দিন পতন এবং দুই দিন উত্থান দেখা গেছে।
সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে। ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, ১৭৩টির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫২টির।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় সপ্তাহে ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসই এবং ডিএসইএস-এর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে (বাংলাদেশ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) মূল্য, চার্ট, প্রোফাইল এবং অন্যান্য বাজার তথ্যসহ) ১৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে গতি আনতে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
সূচক ও লেনদেন কমায় সপ্তাহে বাজার মূলধনের পরিমাণ (মূলধন) কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। তবে আগের সপ্তাহে মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৬১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫২২৭৬৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষ কার্যদিবসে পুঁজি দাঁড়িয়েছে ৫১৯৯১৪ কোটি চার লাখ টাকা। মূলধন কমেছে ৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার চাঙা করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় গেল সপ্তাহে প্রধান ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২পয়েন্ট। ডিএসইর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শারদীয় দুর্গোৎসব, ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি ছুটি উপলক্ষে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ১০ দিন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ ও ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
আগামী ১০ অক্টোবর সকাল থেকে বন্দরের সকল প্রকার আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন এবং ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল খালেকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের পারাপার কার্যক্রম চালু থাকবে।
বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চারদিনের সফরে তুরস্কে যাবে। আগামী মঙ্গলবার দেশেটির রাজধানী ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সোমবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধি দল
এতে বলা হয়, বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার নতুন বাণিজ্যের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা সম্প্রসারণই ইস্তাম্বুল সফরের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে ১০ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল ঢাকায়
সফরকালে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন ‘ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স’ আয়োজিত ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা এবং বিটুটিব সেশন’, ২৯ সেপ্টেম্বর ফরেন ইকোনোমিক রিলেশন্স বোর্ড অফ টার্কি (ডেইক) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার ও বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও সফরকালে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী মেহমেট মুসের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সাক্ষাৎ করবেন। একই সঙ্গে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বেশ কয়েকটি শিল্পাঞ্চল পরিদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
চারদিনের এই সফর সেবা, উৎপাদন এবং জেনারেল ট্রেডিং খাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ আকর্ষণ ও সম্ভাবানাময় খাতে জয়েন্ট ভেঞ্চার কার্যক্রম বৃদ্ধিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভোগা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি বা টাকা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ (এসবিআই)। সোমবার দেশটির সর্ববৃহৎ সরকারি ব্যাংকটি তার শাখাগুলোতে দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
এতে প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসার ক্ষেত্রে রুপি বা টাকায় চুক্তি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সেপা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য লাভজনক’
প্রজ্ঞাপনে এসবিআই জানিয়েছে, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে মার্কিন ডলার/অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মূলত মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি বা টাকায় লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য একটি বিকল্প হলো রুপি-টাকায় লেনদেন।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানি সংকটে ভোগা ঢাকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলার বা ইউরোর মতো প্রধান বৈদেশিক মুদ্রায় রপ্তানিকারকদের বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে নিরুৎসাহিত করার জন্যই এসবিআই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু
বিকিরণ প্রযুক্তির বিনিময় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ভারত
বিশ্বকর্মা পূজা: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে বন্দর কৃর্তপক্ষ।
তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, শনিবার ভারতে বিশ্বকর্মা পূজায় সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রয়েছে। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, শনিবার দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। তবে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা রয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানান, জনগণের স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না,জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে তা হতে দেব না। এছাড়া জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসাও করতে দেয়া হবে না। এজন্য ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, যে কোন স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান; যারা সেবা দিয়ে থাকে, তারা যদি সঠিক নিয়মে সেবা না দেয় তাহলে আমরা তাদের কাজ করতে দেব না। আমাদের সরকারি কিছু নিয়মনীতি আছে। স্বাস্থ্যসেবার কোন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন পরিচালনা করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালিক বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় দুই হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা যদি লাইসেন্স নবায়ন করে ও তাদের যদি সঠিক যন্ত্রপাতি-জনবল থাকে তাহলে তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে যারা শর্ত পূরণ করেছে তাদের আবার পরিচালনা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। শর্ত পূরণ না হলে দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, কাগজে-কলমে বন্ধ থাকলেও বাস্তবে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক চলছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,আমরা সেটা দেখব। যেগুলো সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকার কারণে বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো যদি আবারও পূরণ না করে থাকে তাহলে বন্ধ করে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে জনবলের কিছু সংকট দেখেছেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য বলেছেন। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার কাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালটি চালু হয়নি।
এ হাসপাতাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সদর হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায় সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি। এখন সবার সঙ্গে মতবিনিময় করব।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
এখন থেকে ব্যবসায়ীরা হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো অন্যদেশ থেকে পণ্য ক্রয় বা সেবা নিতে পারবেন। একই সঙ্গে তারা তৃতীয় দেশে ওই পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। রপ্তানিতে এই বৈচিত্র্য আনতে ‘মার্চেন্ডাইজ ট্রেড’ নীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি নির্ধারক বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে তা দ্রুত কার্যকর করতে অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: চাল রপ্তানিতে ২০ভাগ শুল্ক আরোপ করল ভারত
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘বলবৎ এই রপ্তানি নীতি অনুযায়ী এটি এমন একটি বাণিজ্য যার মাধ্যমে একটি দেশ থেকে পণ্য বা পরিষেবা সংগ্রহ করা হয়, সরাসরি তৃতীয় দেশে পাঠানো বা বিতরণ করা হয় এবং এটিকে 'মার্চেন্ডাইজিং ট্রেড' হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। তাদের 'মার্চেন্ডাইজিং ট্রেড' গ্রাহকদের কাছে এডি’র মাধ্যমে লেনদেনমূলক পরিষেবাগুলো সহজতর করার জন্য, পরিচালনার নির্দেশিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এ ধরনের ব্যবসা সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। নতুন নীতির মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারিত হবে। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা হংকং ও সিঙ্গাপুরের মত বাণিজ্য করতে পারবে। এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে।
এই নীতির আলোকে, 'মার্চেন্ডাইজিং, ট্রেড' বলতে 'অন্য দেশ থেকে পণ্য ও পরিষেবা সংগ্রহ এবং সেই দেশ থেকে সরাসরি তৃতীয় দেশের ক্রেতাদের কাছে পণ্য ও পরিষেবার চালান' হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
পড়ুন:বিবি’র ওয়েব পোর্টালে ডলার ১০৬, ব্যাংকে ৯৬ টাকা!
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মার্চেন্ডাইজিং ট্রেডের অধীনে রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য রপ্তানি ফরমের প্রয়োজন হবে না। একইভাবে, বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমদানি ফরমের প্রয়োজন হবে না।
বৈদেশিক উৎস থেকে আয় দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো যায়। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ক্রেতাদের ঋণের আওতায় আমদানি ব্যয় মেটানোর সম্ভাবনাও রাখা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যাইহোক, এই ক্ষেত্রে, ব্যাংক অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল প্রাণ-আরএফএল
ব্যবসা ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পেয়েছে দেশের শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শুক্রবার সকালে প্রাণ গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,এই বছর তিন শ্রেণিতে দুই প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তিকে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’দেয়া হয়। ‘এন্টারপ্রাইজ অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিলো প্রাণ-আরএফএল
প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিপূর্বক মানুষের মর্যাদা ও আত্মসম্মান বৃদ্ধি করা। আমরা এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে অবিরামভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ স্বীকৃতি আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আরও বেশি উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: সেরা ভ্যাটদাতা সম্মাননা পেল প্রাণ-আরএফএলের ৪ প্রতিষ্ঠান
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্ফুজ আনাম, ডিএইচএল এক্সপ্রেস ইন্ডিয়া’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএস সুব্রামানিয়ান, ডিএইচএল এক্সপ্রেস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিয়ারুল হকসহ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে প্রাণ-আরএফএলের বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে
দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ২০০০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার যৌথভাবে এ সম্মাননা দিয়ে আসছে।
সাভারে ৩ বছর মেয়াদি চামড়া শিল্পের মান উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্প শুরু
চামড়া শিল্পের মান উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। পাশাপাশি পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ‘সাস লেদার’ নামে সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে একটি গবেষণা প্রকল্পের প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই প্রকল্পে দেশের বেসরকারি আহসানাউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন এর সাথে সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করবেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন আইডিয়া ট্রি। তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশে নিয়োজিত ডেনমার্ক হাইকমিশন।
মঙ্গলবার সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ট্যানারি বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প। কিন্তু কিছু ওয়ার্কপ্লেস সমস্যা এবং পলিসি ইস্যুজনিত কারণে শিল্পটি কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। যথাপোযুক্ত পলিসি ইমপ্লিমেন্টেশন এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তা বাস্তবায়ন ট্যানারি শিল্পকে ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছাতে সম্ভব হবে। ট্যানারি শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রকল্প শেষে এই গবেষণা চামড়া শিল্পনগরীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় আহসানাউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভিন্ন ট্যানারির মালিক, অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি এই প্রকল্পে বিসিকের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রয়েল ড্যানিশ দূতাবাসের সেক্টর কনস্যুলার সোরেন অ্যালবার্টসেন, প্রজেক্ট লিডার প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার মোর্শেদ, সাভার চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান রিজওয়ানসহ কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা।
গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে থাকা গুগলে চাকরি পাওয়াটা সবার কাছে স্বপ্নের মতো। শুধুমাত্র শিক্ষানবীশদেরই বেতন বছরে প্রায় ৮০ হাজার ডলারের মত। ছয় অঙ্কের বেতন দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরকে, যে সংখ্যা প্রায় এক লাখ ২০ হাজার ডলারের সমান। গত কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশিরাও এই বিশাল প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানটিতে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। মেধার ভিত্তিতে যথেষ্ট যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে তারা উতড়ে যাচ্ছে গুগলের পরীক্ষায়। শামিল হতে পারছে চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় চার হাজার জনশক্তির মধ্যে, যাদেরকে প্রতিবছর খুঁজে বের করা হয় প্রায় ২৫ লাখ আবেদনকারীর মধ্য থেকে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক- কীভাবে তারা এই সৌভাগ্যের অধিকারী হচ্ছে।
গুগলে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
প্রোগ্রামিং-এর দক্ষতা
প্রযুক্তিগত দক্ষতার ভেতর শীর্ষস্থানীয় হচ্ছে প্রোগ্রামিং ভাষা জানা। গুগলের মত টেক জায়ান্টরা জাভা অথবা পিএইচপি, সিপ্লাসপ্লাস, পাইথন-এর মত ভাষাগুলোর সঙ্গে জাভাস্ক্রিপ্ট বা গো ল্যাঙ-এর সন্নিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এর সঙ্গে দরকার হয় ডেটা স্ট্রাকচার ও ইলেক্ট্রিক্যালের ব্যবহারিক জ্ঞান। ওয়েব সকেট বা ওয়েব এসেমব্লি’র ব্যাপারে প্রয়োজন হবে যথেষ্ট অনুশীলনের অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
এক্ষেত্রে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো, শুধু শিখলেই হবে না, সময়ের সঙ্গে সফটওয়্যারগুলোর সর্বশেষ হালনাগাদকৃত সংস্করণের সঙ্গেও অভ্যস্ত থাকতে হবে। কেননা এই বৃহৎকার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বদাই নতুন প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। গুগলের প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি কাজ হলো উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে। তাই এখানে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোডিং তথা প্রোগ্রামিং জানা বাধ্যতামূলক।
অপারেটিং সিস্টেম
কম্পিউটার থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের প্রতিটি ডিজিটাল ডিভাইসের ইন্টারফেস পরিচালিত হয় ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা। বহুল পরিচিত অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে আছে স্মার্টফোনে চলা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড, পিসিতে চলা মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ। অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর জন্য তাদের আছে আইওএস। গুগলের কাজ যেহেতু মানুষের হাতে হাতে ঘুরে ফেরা এই ডিভাইসগুলো নিয়ে, তাই অপারেটিং সিস্টেমগুলোর কনফিগার করা নিয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
অ্যালগরিদম এবং ডেটা সোর্স
প্রতিটি সফটওয়্যারের কার্যপ্রণালীর পেছনে কাজ করে অ্যালগরিদম। যেমন- স্টক, কিউই সহ কুইকসার্ট, ব্যাগ, হিপসর্ট এবং মার্জসর্ট। এগুলো কীভাবে সাজাতে হয়, কীভাবে কাজ করতে ডেটা সোর্স নিয়ে, এ সবকিছুর ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
কম্পাইলার্স গঠন শেখা
কম্পিউটারের ভাষাকে ব্যবহারকারিদের বোধগম্যতার জন্য প্রয়োজন হয় ভাষাগুলোকে কম্পাইল করার। এখানেই উচ্চমানের ভাষা ডিজাইন করার কথা আসে। যেমন- এইচএইচভিএম বা পিএইচপি এবং বাইনারি কম্পাইলের ব্যাপারে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার। যন্ত্রের ভাষাটি যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজ হয়ে উঠবে, ইঞ্জিনিয়ারের দক্ষতাও সে সঙ্গে প্রমাণিত হয়। এর জন্য ভাষাগুলোর পদ্ধতিগত গঠনের নিমিত্তে কম্পাইলারের অবকাঠামো সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
গাণিতিক বিদ্যা
যারা স্কুল-কলেজে গাণিতিক হিসাব-নিকাশে পটু তাদের জন্য সুসংবাদ। গাণিতিক গবেষণায়; সোজা কথায় যারা খুব নিক্ষুতভাবে অঙ্ক কষতে পারেন তাদের দক্ষতাকে গুগল সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করে। যারা ইতোমধ্যে গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছেন এবং গাণিতিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করেছেন, তাদের গুগলের চাকরির জন্য প্রাথমিক অভিজ্ঞতা নেয়া হয়ে গেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধারণা
প্রযুক্তি উন্নয়নের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয়। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র এখন রোবোটিক্সের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাই টেক জায়ান্টদেরও সার্বক্ষণিক দৃষ্টিপাত এইএআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ওপর। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও বেশ কয়েক বছর ধরে রোবোটিক্সের প্রতি শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করে আসছে। শুধু প্রাথমিক ধারণা নয়, গুগলের চাকরিপ্রার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের জ্ঞানও থাকা বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
সাইবার সিকিউরিটি
শুধু অতিবেগুনী রশ্মি নয়, পুরো পৃথিবী এখন আরও একটি বলয় দিয়ে ঘেরা। আর তার নাম হচ্ছে সাইবার অ্যাক্টিভিটি। প্রতিমুহূর্তে ইমেইল, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক একাউন্ট-এর মত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্যাবলী হ্যাক হচ্ছে। এই বিড়ম্বনাটি সৃষ্টি করেছে সাইবার নিরাপত্তার চাহিদা। এক মালিকানা থেকে বহুজাতি মাল্টিপার্পাস প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থ ব্যয় করছে সাইবার সিকিউরিটির পেছনে।
শুধু গুগল-ই নয়; সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের চাহিদা এখন সারা বিশ্ব জুড়ে। এছাড়া অতি দ্রুত পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে মুদ্রাহীন ডিজিটাল লেনদেনের দিকে। এরকম ব্যবস্থায় সাইবার সিকিউরিটির কোনো বিকল্প নেই।
টিমওয়ার্ক
সফট স্কিলের মধ্যে গুগলের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি চাওয়া হচ্ছে সেটি হলো- দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার দক্ষতা। এটি অনেক ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি মানসিকতার সঙ্গে জড়িত থাকে, কেননা অনেক প্রযুক্তিবিদই একা কাজ করতে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
কিন্তু গুগল এই অনুশীলনকে নিরুৎসাহিত করে। কারণ একজনের মস্তিষ্ক একটি প্রোজেক্টের জন্য সমুদয় ধারণা সরবরাহ করতে সক্ষম নয়। সেখানে যদি দুই বা ততোধিক মস্তিষ্ক যুক্ত হয় তখন শুধু লক্ষ্য অর্জনের ধারণাই পাওয়া যায় না, কাজটি দ্রুত গতিতে কম সময়ে সমাধানও করা যায়। গুগল কোয়ালিটির পাশাপাশি কোয়ান্টিটিও নিশ্চিত করতে চায়। আর তাই তারা আশা করে একাধিক মস্তিষ্কের সম্মিলিত প্রচেষ্টার।
দ্রুত শেখার সক্ষমতা
একজন মানুষ সব বিষয়ে জানবে না, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অজানা সেই কাজটি চালানোর জন্য সঠিক জ্ঞান অর্জন একটি কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা। আর এটি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় গুগলের সাক্ষাৎকারের সময়। অতিরিক্ত ঝামেলায় মাথা ঠাণ্ডা রেখে বুঝে শুনে কাজ করাটা একজন ব্যক্তি মানসিক দক্ষতার পরিচয় দেয়।
দ্রুত শিখে নেয়ার সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টিকে একত্রে বলা যেতে পারে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা। এটি শুধু মানুষ নিয়ে কারবার করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যই প্রয়োজন নয়, একটি সফটওয়্যারের হাজার পৃষ্ঠার কোডিং ঝামেলা শামলানোর জন্যও খাপ খাইয়ে নেয়াটা দরকার।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
গুগলে চাকরির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
গুগলের বিভিন্ন পদে নতুন লোক নেয়াটা বলা যায় নিয়মিতই ঘটতে থাকে। এই নিয়োগের জন্য পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত অনলাইন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের পর সামনাসামনি ইন্টারভিউ হয় আর এভাবেই কাঙ্ক্ষিত কর্মীটির যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ইন্টার্নশিপ এবং সরাসরি চাকরি দুইভাবে গুগল লোক নিয়ে থাকে। এই সময় গুগলে চাকরির আবেদন করার জন্য নিম্নোক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করতে হবে।
গুগল ক্যারিয়ার ওয়েবসাইট
গুগল ক্যারিয়ার ওয়েবসাইটে গেলে বর্তমান সময়ে আবেদনের জন্য উন্মুক্ত থাকা চাকরির তথ্য পাওয়া যাবে।
চাকরির আবেদন ফর্ম পূরন
প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন চাকরির জন্য আলাদা আবেদনের স্ক্রিণ আসবে। সেই স্ক্রিণে যেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, এবং অভিজ্ঞতার তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করা যাবে। এক্ষেত্রে চাকরির বিবরণ ভালো করে পড়ে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে নেয়াটা জরুরি।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
রেজুমি/সিভি আপলোড
যে কোন চাকরির জন্য রেজুমি বা সিভির গুরুত্ব অপরিসীম। গুগলের জন্য যথেষ্ট সময় নিয়ে একটি অসাধারণ সিভি তৈরি করতে হবে। সিভিতে থাকা প্রতিটি শব্দ গুগলের নির্বাচিত চাকরিটির সঙ্গে সামঞ্জস্য হওয়া আবশ্যক। সিভি চূড়ান্ত করে পিডিএফ ফরমেটে এখানে আপলোড করে দেয়া যেতে পারে।
গুগলে চাকরির ইন্টারভিউ পদ্ধতি
অনলাইন ফর্মে প্রদত্ত পূর্ণ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই ইন্টারভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাক্ষাতকার গুগলে চাকরির আবেদনের সর্বশেষ ধাপ হলেও এই সাক্ষাতকার কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। অনলাইন ইন্টারভিউয়ের ধাপসংখ্যা সাধারণত পাঁচ রাউন্ড।
এখানে প্রধানত দুটি জিনিস মূল্যায়ন করা হয়। এক- যে কাজের জন্য আবেদন করা হচ্ছে সেই কাজে প্রার্থীর জ্ঞান কতটুকু এবং দুই- প্রার্থীর সফট স্কিলগুলো কতটুকু নির্ভরযোগ্য। যুক্তিবিদ্যার এই অংশটিতে প্রশ্নগুলো ধাঁধাঁর মত মনে হতে পারে। আর প্রথম অংশে প্রার্থীর প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবহারিক জ্ঞানসমূহ যাচাই করা হয়। প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রায় ক্ষেত্রে ইন্টারভিউতেই নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পরিশেষে
সবশেষে বলা যায়, গুগলে চাকরি পাওয়ার উপরোক্ত উপায়গুলো অনুসরণের ক্ষেত্রে অনেকেরই মনে হতে পারে যে গুগলে চাকরি হয়ত অনেক উঁচুমানের সার্টিফিকেট দাবি করে। কিন্তু আসল ব্যাপারটি তা নয়, বরঞ্চ এখানে প্রার্থীর পারদর্শিতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এমনও দেখা গেছে যে জিপিএ-৫ না পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী গুগলে চাকরি পেয়েছে। এমনকি তথাকথিত স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়াও অনেক আন্ডারগ্রাজুয়েটদের চাকরি হয়ে গেছে। মোদ্দা কথা হলো- উপরোক্ত দক্ষতা যদি কোন স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া কোন শিক্ষার্থীরও থেকে থাকে, সে গুগলে কাজ করার সুযোগ পাবে।