দুর্নীতি
স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মহামারিতে রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু: বিএনপি
তিনি বলেন, অযোগ্যতা ও দুর্নীতির কারণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার চরমভাবে ব্যর্থতা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মেয়র-কমিশনারদের উদাসীনতায় ডেঙ্গুর খারাপ পরিস্থিতি: বিএনপি
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সর্বব্যাপী দুর্নীতির কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন মহামারি আকারে পৌঁছেছে। এ বছর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়ার প্রধান শিরোনাম হয়ে উঠেছে। কারণ প্রতিদিনই গড়ে প্রায় ২০ জন করে মানুষ মারা যাচ্ছেন।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) অনুসারে- চলতি বছরে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৬ জনে এবং চলতি বছরের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩৫ জন।
এদিকে শুধু আগস্ট মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৪২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭১ হাজার ৯৭৬ জন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান কারাগারে
ঢাকায় শনিবার গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দল
দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান কারাগারে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান।
আরও পড়ুন: এক দফার আন্দোলন: শনিবার ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত এলাকা ও এর আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এ সময় সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমান বিএনপি সমর্থকরা। পরে পুলিশ তাদের আদালত থেকে বের করে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৫ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ক্যান্সারের রোগী বিবেচনায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে জামিন দেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শনিবার গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দল
অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মেয়র-কমিশনারদের উদাসীনতায় ডেঙ্গুর খারাপ পরিস্থিতি: বিএনপি
দুর্নীতি রোধের পদক্ষেপ হতে পারে নিষেধাজ্ঞা-সম্পদ জব্দ করা : মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ‘দুর্নীতিবাজদের সমূলে উৎখাত করতে’ দেশের অভ্যন্তরে ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে’ কাজ করতে উৎসাহিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (৮ আগস্ট) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণভাবে বলতে গেলে, নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে।’
তিনি বলেন, তাদের কাছে অন্যান্য উপায়ও রয়েছে, যেমন সম্পদ জব্দ করা এবং অংশীদার দেশগুলোর তথ্য দেওয়া যাতে তারা মামলা করতে পারে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, তারা বেশ কয়েকবার এটা পরিষ্কার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: সংঘাতজনিত বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুহিতের
‘আমরা এটা সরাসরি পরিষ্কার করেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় এটি পরিষ্কার করেছি এবং আমাদের নীতি অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ, ৬ থেকে ৮ আগস্ট তার বাংলাদেশ সফরের সময় দুর্নীতি মোকাবিলায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একই কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সফরকালে নেফিউ কীভাবে দুর্নীতির অভিশাপের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র সচিবকে মার্কিন কর্মকর্তা
নেফিউর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির উপর জোর দিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসব বিষয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারস্পরিক আইনি সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রত্যাশিত ফলাফল পায় না।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে আটলান্টায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী ২০তম বার্ষিকীর সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ওই বৈঠকে অংশ নেবে যেখানে আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক দুর্নীতি মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি চাইবে।
আরও পড়ুন: সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া পর্যালোচনার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: নবনিযুক্ত দুদক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নবনিযুক্ত কমিশনার মোছা. আছিয়া খাতুন।
রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে বঙ্গভবনে তিনি সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: স্কাউটদের আইসিটিসহ আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে নেতৃবৃন্দের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
দুর্নীতি উন্নয়নের বড় বাধা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হলে সমাজের সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন নতুন প্রজন্মের মধ্যে পারিবারিকভাবে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি দেশব্যাপী দুর্নীতি দমনে কমিশনের পাশাপাশি দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে নতুন দুদক কমিশনার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাবিপ্রবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
দুর্নীতি না করলে অসাধ্য সাধন করা যায়: সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অগ্রগতির জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং তৃণমূল পর্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কাজের প্রতি আন্তরিকতা, আত্মমর্যাদাবোধ, জবাবদিহি নিয়ে এগিয়ে গেলে এবং দুর্নীতি থেকে দূরে থাকলে যেকোনো কঠিন অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যায়, এমনকি অসাধ্য সাধন করা যায়। সেটা কিন্তু আজকের বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে।’
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে এপিএ সই করেছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছ থেকে এপিএ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে এপিএ বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য এপিএ পুরস্কার এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা তাদের অধীনস্থ দপ্তরগুলোর সঙ্গে এপিএ সইয়ের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (মন্ত্রণালয়গুলো) আপনাদের অন্যান্য অফিসের সঙ্গে এপিএ সই করবেন, যাতে তৃণমূল পর্যন্ত (সরকারি অফিসে) যোগাযোগ ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। এভাবে কাজ করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা সম্ভব।’
প্রধানমন্ত্রী সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের পূর্বসুরিদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে সরকার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি আসতে পারে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। সব ধরনের দুর্যোগ অতিক্রম করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। আমি তা বিশ্বাস করি।’
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এবং এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য ঘাটতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যাতে অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার এবং জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীও বক্তব্য দেন।
২০২১-২০২২ সালের এপিএ বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রথম, বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বিতীয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এপিএ বাস্তবায়নে চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো অর্থ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।
আরও পড়ুন: ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাফুফে কর্তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলবে: আপিল বিভাগ
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে ফিফার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারির আদেশও বহাল রেখেছেন আদালত।
এছাড়া এ বিষয়ে জারি করা রুল তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বাফুফেসহ আন্যদের করা আবেদন নিষ্পিত্তি করে রবিবার (৯ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: বাফুফে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ
গত ২৫ জুন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত।
তবে ফিফার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে আজ শুনানি হয়।
এর আগে ২৩ জুন ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এ আবেদন করেন। তবে ২৫ জুন সকালে আবেদন প্রত্যাহার করেন কাজী সালাউদ্দিন।
এছাড়া অন্যদের আবেদন শুনে আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি।
এর আগে ১৫ মে কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চার মাসের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানি করেন।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ফিফা থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে যে অনুদান দেওয়া হয়েছিল সেই টাকাসহ সরকার থেকে ফুটবল ফেডারেশনের বরাদ্ধ পাওয়া সব টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে, কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা, সব বিষয়ে অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ মে কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, ক্রীড়া সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, ফুটবল ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারি
ছয় জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপির ৪ সহযোগী সংগঠন
সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও দমন-পীড়নের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্দশার প্রতিবাদে ছয় জেলায় মেহনতি মানুষের পক্ষে সমাবেশ করবে বিএনপির চারটি সহযোগী সংগঠন।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দল শ্রমজীবী জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে উৎসাহিত করতে এসব কর্মসূচির আয়োজনে নেতৃত্ব দেবে।
রিজভী বলেন, তাদের দলের সহযোগী সংগঠনগুলো ১৫ জুলাই নোয়াখালীতে প্রথম, ১৯ জুলাই দিনাজপুরে দ্বিতীয় এবং ২৮ জুলাই রাজশাহীতে তৃতীয় সমাবেশ পালন করবে।
এই কর্মসূচির আওতায় আগস্টে আরও তিনটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে; যার মধ্যে ৫ আগস্ট যশোর, ১২ আগস্ট হবিগঞ্জ এবং সবশেষে ১৯ আগস্ট বরিশালে।
রিজভী বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ, সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে বিএনপিসহ চারটি সহযোগী সংগঠন যৌথভাবে ছয়টি জেলা সদরে সমাবেশ করবে।’
আরও পড়ুন: ‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিম্ন আয়ের লোকেরা গুরুতর অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং তারা অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।’
সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট ও শোষণের কারণে দরিদ্ররা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলেও জানান এই প্রবীণ নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণেই আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে মেহনতি মানুষের পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছি।’
অনুষ্ঠান সফল করতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান রিজভী।
এর আগে বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবিতে তরুণ প্রজন্মের সমর্থন আদায়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন নগর ও জেলায় ছয়টি সমাবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আ.লীগ সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
দুর্নীতিকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় উল্লেখ করে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের মধ্যে প্রচারণা চালানোর জন্য দুদক প্রতিনিধিদলকে বলেন।
দুদকের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিনও দুর্নীতি দমন সংস্থাটিকে যেকোনো মামলার তদন্ত ও তদন্তের কাজগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন।
বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন বলে এক ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান।
সাহাবুদ্দিন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান ও মো. জহুরুল হক এবং এর সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৯৭১’র গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচারণা জোরদার করুন: রাষ্ট্রপতি
নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দুর্নীতি-অর্থ পাচার, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ব্যারিস্টার সুমনসহ যেকোন গণমাধ্যমকে কোন ধরণের মতামত প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৪ জুন) সালাউদ্দিনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই হাত হারানো শিশুকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
আদালতে কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির। অপর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ব্যারিস্টার অনিক আর হক জানিয়েছেন, দুদকের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোন মতামত প্রকাশ করতে পারবে না মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১৫ মে হাইকোর্ট বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির পক্ষে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। চার মাসের মধ্যে এ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান, বিএফআইইউ প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বাফুফের কর্তা-ব্যক্তিদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
এই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাফুফে’র দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বিষয়ে কোন ধরণের মতামত প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে প্রচারিত পাবলিক ডোমেইনে থাকা ভুয়া ও মানহানিকর তথ্য অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়।
আবেদনে কাজী সালাউদ্দিনের মৌলিক অধিকার হিসেবে মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না ও তার বিরুদ্ধে মানহানি ও যে কোনো ভুয়া তথ্য তৈরি এবং প্রচার থেকে বিরত রাখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একইসঙ্গে ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং পলিসি ২০১৪ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় পাবলিক ডোমেইনে থাকা কাজী সালাউদ্দিনেকে নিয়ে করা মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য অপসারণ করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন, একাত্তর টিভি, একাত্তর টিভির স্পোর্টস ইনচার্জ এহসান মাহমুদ, যুগান্তরের সিনিয়র স্পোর্টস জার্নালিস্ট মোজাম্মেল হক চঞ্চল, গ্লোবাল স্পোর্টসের সমন্বয়ক শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি আরিফ হোসেন মুন, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট মেহেদী নাইম, পার্থ বণিক, মাহমুদুল হাসান সজিব, অর্ণব বাপ্পী, এহতেশাম সবুজ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হাসান, রিয়াসাদ আজিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, কহিনুর কনাকে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ বিষয়ে মতামত প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
প্রস্তাবিত বাজেটে নেই দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং সুশাসন-ন্যায্যতা বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা: টিআইবির উদ্বেগ
চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার মূল কারণ লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মতো মরণব্যাধিকে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী একেবারেই স্বীকার করেননি। একইভাবে সুশাসন ও ন্যায্যতার ভাবনাকেও নির্বাসনে পাঠিয়েছেন বলে মন্তব্য করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলছে, কোভিড সংকট ও ইউক্রেন যুদ্ধপ্রসূত বৈশ্বিক সংকটের ফলে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সন্দেহ নেই; কিন্তু দেশে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে মূল অন্তরায় যে অবারিত দুর্নীতি ও গগণচুম্বি অর্থপাচার, তা নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রকার দিকনির্দেশনাহীন উচ্চাভিলাষী বাজেট কীভাবে অর্থবহ বাস্তবায়িত হবে তা যেমন পরিস্কার নয়, তেমনিভাবে ক্ষমতার বলয়ের বাইরে দেশের আপামর জনগণের জন্য এই বাজেট কোনো ভূমিকা রাখবে, এমন আশা একেবারেই অমূলক।
শুক্রবার টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে ডলার সংকট মোকাবিলা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের জন্য আমদানিতে কঠোরতা, ঋণপত্রে নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং একাধিক মুদ্রা বিনিময় হার থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের পাশাপাশি দেশের সার্বিক অর্থনীতির অন্তর্নিহিত মরণব্যাধি দুর্নীতি ও অব্যাহত মুদ্রাপাচারের বিষয়টিকে নির্বিকার এড়িয়ে গেলেন। অথচ সরকারের অজানা নয় যে, বাংলাদেশে যদি মধ্যম মাত্রায় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো তাহলে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি কমপক্ষে ২ থেকে ৩ শতাংশ বেশি হতো ও জনগণের জন্য অর্থবহ হতো; অন্যদিকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রাক্কলন অনুযায়ী বছর গড়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে কমপক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিশাল দুষ্টচক্রকে নিয়ন্ত্রণের দিকনির্দেশনাহীন বাজেট যে আরো দুর্নীতি ও অর্থপাচার সহায়ক হবে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।’
পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে বিগত বাজেটে দেওয়া অনৈতিক সুবিধার মেয়াদ আর না বাড়ানোর চিন্তাকে দেরিতে হলেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হিসেবে আখ্যা দিয়ে, প্লট ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত না রাখার আহবান জানাচ্ছে টিআইবি। প্লট ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগসহ অন্য যে কোনোভাবে কালো টাকা সাদা করার অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক ও দুর্নীতিসহায়ক সুযোগ যেন নতুন করে আয়কর আইনে স্থান না পায় এমন আহবান জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, বার বার সুযোগ দিয়েও দেশের অর্থনীতিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দিয়ে কোনো সরকারই কাঙিক্ষত মাত্রায় রাজস্ব আদায় করতে পারেনি। বরং এর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কালো টাকার মালিকদেরই শুধু সুরক্ষা দেওয়া গেছে এবং বাস্তবে দুর্নীতির গভীরতার বিস্তারে অবদান রেখেছে; সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের নৈতিক ভিত্তি দুর্বলতর হয়েছে। তাই এই সুযোগটি যেন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চাপে আবারো না দেওয়া হয় সে ব্যাপারে সরকার দৃঢ়তা দেখাবে এমনটাই প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক: টিআইবি
মূলত দুর্নীতির বৈষম্যমূলক প্রভাবে দেশে ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্যের প্রেক্ষিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং ভর্তুকি বরাদ্দের ব্যয় ব্যবস্থাপনার দিক থেকেও প্রস্তাবিত বাজেট ন্যায্যতা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, আয়হীন ও নিম্নআয়ের মানুষ যতোটা চাপে রয়েছে, সে তুলনায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বা সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়েনি। ভাতার পরিমাণও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নামমাত্র বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও বাস্তবে তা কোনোভাবেই অর্থবহ হবে না। আবার সরকার বাজেটে সাড়ে চুরাশি হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি ও প্রণোদনা ব্যয়ের যে প্রস্তাবনা রেখেছে সেখানে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকাই রাখা হয়েছে জনপ্রশাসনের জন্য। সামাজিক নিরাপত্তায় ভর্তুকি ও প্রণোদনা মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। টিআইবি প্রত্যাশা করে বাজেট পাসের আগেই এসব ক্ষেত্রে সরকার ন্যায্যতা বিধান করবে এবং বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিনির্ভর সুশাসন, এবং দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পথরেখা বাজেটের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: ওয়াসা চেয়ারম্যানকে অপসারণের নিন্দা টিআইবি’র