দুর্নীতি
জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে: আপিল বিভাগ
দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ জুবায়দার করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
এই আদেশের ফলে এখন নিম্ন আদালতে বিচার চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেয়ার আট সপ্তাহের মধ্যে ডা. জুবাইদাকে আদালতের বিচারকের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।’
জুবাইদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের স্ত্রীর আবেদন: আদেশ ১৩ এপ্রিল
মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে জোবায়দা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। যেটি আজ (বুধবার) খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিরোধী দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুকে নিয়ে দুদক কার্যালয়ে যান এবং চিঠিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতির বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দুদক আমলে নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে: বিএনপি
রবিবার থেকে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
আগামী রবিবার (১০ এপ্রিল) থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
বিআরটিএ সিলেট অফিসের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ এনে তাদের প্রত্যাহারের দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর রাজন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টস্থ জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ‘সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র এক জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশাল-খুলনাসহ ৭ রুটে বাস ধর্মঘট
পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের দাবি, বিআরটিএ সিলেটের কর্মকর্তা (এডি) সানাউল হক ও রেকর্ড রুমের কর্মচারী দেলোয়ার সীমাহীন দুর্নীতি করছেন। সঠিক প্রক্রিয়ায় কোনো গাড়ির কাগজপত্র বা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া না গেলেও, ঘুষের মাধ্যমে এই দুই কর্মকর্তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহ করে থাকেন। ঘুষের জন্য তারা পরিবহন শ্রমিকদের নানা হয়রানি করে থাকেন। বিভিন্ন সময় এই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হলেও, পরিবহন শ্রমিকদের সেই পূরণ করা হয়নি। তাই বাধ্য হয় তারা সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
সভায় বক্তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিআরটিএ সিলেটের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এডি সানাউল হক ও রেকর্ড রুমের কর্মচারী দেলোয়ারকে সিলেট থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবিতে রবিবার সকাল থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন কর্মবিরতি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: ধর্মঘট প্রত্যাহার: ৩ দিন পর রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু
খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত
দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের স্ত্রীর আবেদন: আদেশ ১৩ এপ্রিল
দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল (বুধবার) দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। জোবায়দার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে জোবায়দা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিল জারি করে রুল খারিজ করে দেয়া হয়। একইসঙ্গে আদালত জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জোবায়দা রহমান।
আদালতে দুদকের পক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগে জোবায়েদার করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামি বুধবার আপিল বিভাগ রায় দেবেন।
এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের আরেক মামলা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সচিব মাহবুব হোসেন।
দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলা অনুসারে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তার ভাইয়ের মাধ্যমে দুই লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন।
অনন্ত কুমারের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
দুদক এখন মামলাটি তদন্ত করবে বলে জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় মুফতি ইজহারের ২ বছরের কারাদণ্ড
চমেক হাসপাতালে দুদকের অভিযান
চমেক হাসপাতালে দুদকের অভিযান
ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুছ সাদাতের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদকের হটলাইন নম্বরে ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চলছে। দুদকের অভিযানিক দল প্রথমে প্রশাসনিক ভবনে যায়ি। এরপর হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত সরকারি ওষুধের দোকানে অভিযান চালায়।
দুদক উপ-পরিচালক মো. নাজমুছ সাদাত বলেন,‘দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬-এ অভিযোগ পেয়ে অভিযানে আসি। আমরা এখনও চমেক হাসপাতালে আছি। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: ওষুধ পাচারের অভিযোগে চমেক হাসপাতাল কর্মচারী বরখাস্ত
অভিযানিক দলে আরও রয়েছেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ, সহকারী পরিচালক এনামুল হক ও কনস্টেবল মো. ইমরান হোসেন।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওষুধ চুরির অপরাধে চমেক হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মরদেহের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ: চমেক মর্গের ডোম আটক
খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ১২ এপ্রিল
আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই দিন ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আইনজীবী আদালতকে জানান, তিনি নিজেও শারিরীকভাবে অসুস্থ্য সেকারণে আজকের মত মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি মুলতবি রাখা হোক। বিচারক শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি সাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), সে সময়ের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
আরও পড়ুন: বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
জাপা নেতা রুহুল আমিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার এক দুর্নীতির মামলায় দুদকের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহন করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর দুর্নীতির এক মামলায় রুহুল আমিন হাওলাদারকে খালাস দেন ঢাকার বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, হাইকোর্ট দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের নথি তলব করেছেন। আর রুহুল আমিন হাওলাদারকে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন।এছাড়া তিনি যদি আত্মসমর্পণ করেন তাহলে তাকে জামিন দিতে বলেছেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে রাষ্ট্রীয় তহবিলের ৪০ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৮৯ সালে তৎকালীন দুর্নীতি ব্যুরো রমনা থানায় এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি: তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ১০ আইনজীবীর চিঠি
মূল্যবৃদ্ধির পেছনে দুর্নীতিই একমাত্র কারণ: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতিই দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির একমাত্র কারণ।
তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা দুর্নীতি করে সম্পদ করছে... তেলের ব্যবসায় নিয়োজিত অধিকাংশ ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সয়াবিন তেলের দাম বাড়ছে।’
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা এলপিজি আমদানি করে এমন একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকায় এলপিজির দামও বাড়ানো হয়েছে।
জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে এবং ওষুধের দামও বাড়ছে। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, ব্যাপক দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্য খাত ধ্বংসের পথে, যোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের নামে যারা পকেট ভরেছে তাদের কোনো বিচার হয়নি। এখন সরকারের অযোগ্যতার পাশাপাশি সর্বত্র দুর্নীতি।
আরও পড়ুন: সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে: রিজভী
ফখরুল বলেন, চাল, ডাল, তেল ও অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির শুল্ক বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে দেশে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিল। মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের মতো আবারও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রয়োজনে দেশ ও জনগণকে (বর্তমান সরকারের কবল থেকে) মুক্ত করার জন্য আমাদের আরেকটি সংগ্রাম করতে হবে।
ফখরুল আরও বলেন, জনগণের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকার এবং দেশের মালিকানা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি তুমুল আন্দোলন করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায় এবং তা প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: ‘ভোট ডাকাতি এখন দেশ ডাকাতিতে পরিণত হয়েছে’
আ.লীগ সরকার দলীয় সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েছে: এবিএম মোশাররফ হোসেন
আ.লীগ সরকার দলীয় সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েছে: এবিএম মোশাররফ হোসেন
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ দলীয় সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ দ্রব্যমূল্য যে পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী, তা আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির ফল। জনগণের স্বার্থের কথা না চিন্তা করে বর্তমান সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। সরকার দলীয় সিন্ডিকেট জনগণের ওপর অতিরিক্ত মূল্য চাপিয়ে দিচ্ছে।
বুধবার দুপুরে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে নওগাঁ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান আ.লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায়, তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে অতীতে কোন সরকার টিকতে পারে নাই, আওয়ামী লীগ সরকারও টিকতে পারবে না।
আরও পড়ুন: নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মতিন, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলে হুদা বাবুল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক ফৌজদার শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আসফ কবির চৌধুরী শত।
এছাড়া সমাবেশে বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন ও শফিউল আজম রানা, যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট রফিকুল আলম রফিক, মান্দা উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকরামুল বারী টিপু, মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট, জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশ, সাধারণ সম্পাদক খাযরুল আলম গোল্ডেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: ফখরুল
পেনশন প্রকল্প জনগণের টাকা লুটপাটের ষড়যন্ত্র: বিএনপি