নির্বাচন কমিশন
ভোটের মাঠে ৮ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখার প্রস্তাব বিবেচনা করবে ইসি
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাঁচ দিনের পরিবর্তে ভোটের আগে ও পরে মোট আট দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের মাঠে মূলত পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখি। এবার আট দিন রাখার প্রস্তাব এসেছে— নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী চার দিন। এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’
আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা সদস্য মাঠে থাকবে। এছাড়া নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য এবং ৫ থেকে ৬ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে।
এর আগে, আজ সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগ; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ; পুলিশ সদর দপ্তর; বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, ডিএজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি, বিশেষ শাখা (এসবি) ও সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে মূলত কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়— এর মধ্যে ছিল ভোটকেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা, মাঠ পর্যায়ের বাহিনীর সমন্বয়, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, বৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি পর্যবেক্ষণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও প্রচারণা প্রতিরোধ, বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও মনিটরিং সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাধারণ নাগরিকদের ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজনে নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।
নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন-উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান আছে। সেই পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় করতেই আজকের আলোচনা, এবং এটি চলমান থাকবে,” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
৪৬ দিন আগে
দেশের আইনি কাঠামোয় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সুযোগ নেই: বার কাউন্সিল চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছেন, দেশের আইনি কাঠামোয় পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একক অঞ্চলভিত্তিক নির্বাচন করবে। জামায়াত তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রচারের জন্য পিআর ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহের মহেশপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কাজল বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব অংশীজন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠনে কাজ করবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। আর আওয়ামী লীগের তৈরি সন্ত্রাসবিরোধী আইনেই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ব্যারিস্টার কাজল আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবেন, আমরা সকলে তার পক্ষেই কাজ করব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি বাস্তবায়নে বিএনপি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর সুষম উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা হবে। তরুণ প্রজন্ম হবে বিএনপির আগামী সরকারের প্রধানতম শক্তি। তারুণ্যের শক্তিকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।
৬৪ দিন আগে
দেশে নিবন্ধিত ভোটার ১২ কোটি ৬৪ লাখ: ইসি
প্রকাশিত হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১২ কেটি ৬৪ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার (৩১ আগস্ট) হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন দেশে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১২ দশমিক ৬৪ কোটি (১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জন) হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জন এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন।
ইসি আখতার বলেন, নির্বাচন কমিশ এবছর (২০২৫) মোট তিনটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। ‘প্রথমটি ২ মার্চ, দ্বিতীয়টি আজ (৩১ আগস্ট) প্রকাশ করা হলো। আর আরেকটি সম্পূরক তালিকা আগামী ৩১ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।’
গত ২ মার্চ হালনাগাদ প্রকাশ করা ভোটার তালিকায় দেশের ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪। এর মধ্যে ৬ কোটি ৩৩ লাখ, ৬১ হাজার ৬১৫ জন পুরুষ এবং নারী ভোটার ছিল ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিল ৯৯৪ জন।
রবিবার (৩১ আগস্ট, ২০২৫) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ তালিকায় ভোটারদের সংখ্যা ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৬ জন বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন নতুন ভোটার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আর ভোটারদের মৃত্যুসহ নানা কারণে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন ভোটার।
আরও পড়ুন: আগামী সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল
ইসি সচিব বলেন, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণকারী তরুণদের ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে ইসি আরেকটি সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সম্পূরক তালিকার পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকাই চূড়ান্ত তালিকা হবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার সহজতর করার মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুবিধার্থে কমিশন একটি প্রস্তাব তৈরির কাজ করছে।
শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটদানে সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ করা হবে—এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনডিপির মতো উন্নয়ন অংশীদারসহ অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করছি। কিছু প্রস্তাব এখনও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
৯৬ দিন আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল
বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে ত্রয়োদশ নির্বাচন হবে তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আমাদের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভালো নির্বাচন করতে হবে। এর বিকল্প নেই।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে কার্যক্রমে ৮০ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচন আয়োজনে সাড়ে দশ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভালো নির্বাচন করতে হবে। ভালো নির্বাচন ছাড়া আমাদের সামনে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত: জোটে ভোট দিলেও নিজ দলের মার্কায় ভোট দিতে হবে
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে প্রিসাইডিং অফিসার। তাদের শক্তিশালী ও দক্ষ করে তুলতে পারলেই একটি সুন্দর নির্বাচন সম্ভব হবে।’
পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতা নির্বাচন কমিশনের বটম লাইন
অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বটম লাইন হলো পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতা। আপনাদের এ বার্তাই পৌঁছে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার হচ্ছে পেশাদারত্ব এবং নিরপেক্ষতা। সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আইন কানুনের বাইরে কারো যাওয়ার সুযোগ নেই। শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।’
৯৮ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ নেই: ইসি সচিব
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যৌক্তিক কারণ নেই।’
তিনি বলেন, কমিশন এখন নির্বাচনের প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিচ্ছে। এই মুহূর্তে সামগ্রিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশের কোনো কারণ নেই। আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি পরে বিবেচনা করা হবে।
নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, রোডম্যাপের খসড়া ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, এ সপ্তাহেই কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে সমন্বয়ের কাজ চলছে। কমিশন অনুমোদন দিলেই আমরা তা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারব।
পড়ুন: পুলিশ-প্রশাসনে আ. লীগের অনুগতদের রেখে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী
ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত নির্দেশনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি সচিব বলেন, কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ৩ হাজার ভোটারের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। তবে প্রতিটি বুথে ভোটার সংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটারের জন্য ৪২ হাজার ১৪৮টি ভোটকেন্দ্র ছিল।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়ে ১২ কোটি ৭৮ লাখে ঠেকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১০৯ দিন আগে
আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আখতার আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করতে পারবো বলে আশা করছি।’
সচিব জানান, নির্বাচনী রোডম্যাপে সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি, বিদ্যমান নির্বাচন সংক্রান্ত আইন সংশোধন ও সংস্কারের সময়রেখাসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ লক্ষ্যে সারাদেশে নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করেছে কমিশন।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে রোডম্যাপ প্রকাশের রেওয়াজ চলে এসেছে। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রোডম্যাপ দিয়েছিল তৎকালীন ইসি। বর্তমান ইসিও এ ধরাবাহিকতা বজায় রাখছে।
পড়ুন: ঋণখেলাপীদের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ভোটার তালিকা, সীমানা নির্ধারণ, দল নিবন্ধন, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, সরঞ্জাম কেনাকাটা, দল ও অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, প্রশিক্ষণ, মুদ্রণ, আইন শৃঙ্খলা সভা, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ে সভাসহ তফসিলের আগে-পরে প্রস্তুতির ফর্দ থাকবে এ রোডম্যাপে।
বর্তমান ইসি ২০২৪ সালের নভেম্বরে যোগ দেওয়ার পর ২০২৫ সালের ডিসেম্বরকে ধরে একটা প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছিল। এবার ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সম্ভাব্য সময়ীমানা নির্ধারণ হওয়ার পর নতুন সময় ধরে কর্মপরিকল্পনাটির পরিমার্জন চলছে।
কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ১৮ অগাস্টে এ নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ইসির অনুমোদনের পর তা পুস্তিকা আকারে প্রকাশ হতে পারে।
১১৩ দিন আগে
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: সিইসি
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কাজেই নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচনের কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বিভাগওয়ারি প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ভোটের সময় কোনো একটি কেন্দ্রে গণ্ডগোল হলেই ওই আসনের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হবে না। গত নির্বাচনে যারা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী সিস্টেমের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
নাসির উদ্দিন বলেন, এখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে না। তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে তারিখ জানানো হবে। তবে স্বল্প সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
এর আগে সকালে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রংপুর অঞ্চলসহ রংপুর অঞ্চলের সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রশাসন মিলে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব—এই বিষয়েই আমরা কাজ করছি। তাই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
পড়ুন: নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি: সিইসি নাসির
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হোক, যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাওয়া ভুলে গেছে। নির্বাচনের দিন অনেকেই ভোট দিতে কেন্দ্রে যায় না, বাসায় আরাম-আয়েস করে। অনেকেই মনে করে, ভোট দিতে গিয়ে কী হবে? কেউ না কেউ তো আমার ভোটটা দিয়ে দিবে। এই ধরনের মনোভাব তৈরি হয়েছে।
‘এই মনোভাব দূর করাই নির্বাচন কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আর এই সচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাই এবং পরামর্শ চাই।’
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, অস্ত্রের চেয়ে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এআই-এর ব্যবহার। এআই হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার। এটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না, সাংবাদিকরা আমাদের পক্ষ। যারা প্রফেশনাল সাংবাদিক, তারা আমাদের হয়ে কাজ করবেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য কাজ করবেন—এই প্রত্যাশা আমাদের আছে।
এআইয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এটি মোকাবেলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসময় নাগরিকদের উদ্দেশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট দেওয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি ঈমানি দায়িত্বও বটে।
১১৮ দিন আগে
আগামী নির্বাচনের সময় জানাতে শিগগিরই চিঠি দেবে সরকার: সিইসি
আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নির্ধারিত সময়সূচি জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে শিগগিরই চিঠি পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচন ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আয়োজন করতে চিঠি পাঠাবেন। রমজানের আগে নির্বাচন হবে। আমি আশা করি, আমরা খুব শিগগিরই সেই চিঠি পাব।’
এর আগে মঙ্গলবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানোর ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: ভোটারদের আস্থা ফেরানো ও নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: সিইসি
সিইসি বলেন, নির্বাচন আয়োজনে কমিশন আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি থাকবে না। ইনশাআল্লাহ, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘আমরা নির্বাচনকে আয়নার মতো স্বচ্ছ করতে চাই। জনগণ এবং বিশ্ব আমাদের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করুক—এটাই আমাদের লক্ষ্য। গোপন রাখার কিছু নেই।’
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতির বিষয়ে সিইসি জানান, হালনাগাদ ভোটার তালিকা ৩১ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে এবং নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের আগ পর্যন্ত যাঁরা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কেনাকাটা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে।
১২১ দিন আগে
ভোটকেন্দ্রে ১০ মিনিটের বেশি থাকতে পারবেন না সাংবাদিকরা, লাইভ সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা
ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবস্থান ও লাইভ সম্প্রচারের বিষয়ে নতুন নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রের বুথে ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান করতে পারবেন না। একই সঙ্গে বুথের ভেতর বা সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচার করাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত সপ্তাহে প্রকাশিত ‘নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক বা গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নীতিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী, ইসির ইস্যুকৃত বৈধ পরিচয়পত্র থাকলে সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে কেন্দ্রে ঢুকে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারকে জানিয়ে তবেই খবর সংগ্রহ, ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণ করতে হবে।
নীতিমালায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গোপন বুথে ছবি বা ভিডিও তোলা নিষিদ্ধ। বুথে একসঙ্গে দুইটির বেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারবেন না এবং কেউ ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান করতে পারবেন না। বুথের ভেতর কোনো ভোটার, এজেন্ট বা কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।
লাইভ সম্প্রচার সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বুথের বাইরে নিরাপদ দূরত্বে থেকে লাইভ করা যাবে, তবে তা যেন ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে বিঘ্ন না ঘটায়। ভোট গণনার ঘরে সাংবাদিকরা ঢুকে পর্যবেক্ষণ ও ছবি তুলতে পারবেন, তবে লাইভ সম্প্রচার করতে পারবেন না।
পড়ুন: আমি নিজেই এখনো নির্বাচনের তারিখ জানি না: সিইসি
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে— বুথে কোনো নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা সরানো যাবে না, কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারমূলক বা উসকানিমূলক কিছু করা যাবে না, প্রিজাইডিং অফিসারের আইনগত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়—এমন কোনো কাজও করা যাবে না।
যদি কেউ এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করেন—তাহলে তাদের গণমাধ্যম পাস বাতিল করা হতে পারে এবং নির্বাচনী আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২৩ সালের নীতিমালার মতো এবারো ‘আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও ‘স্থানীয় সংবাদ সংস্থার নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এই নীতিমালা জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন—দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
নীতিমালা আরও বলা হয়েছে, ‘একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ ও নির্বাচনী এলাকা থেকে সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ দিতে এই নীতিমালা জারি করা হয়েছে।’
১৩৩ দিন আগে
ডাকসুর তফসিল ঘোষণা ২৯ জুলাই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জুলাই মাসের ২৯ তারিখে ঘোষণা করা হবে ডাকসুর তফসিল। পাশাপাশি চল্লিশ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসুর বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে তফসিল সংক্রান্ত চূড়ান্ত সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় এ সিদ্ধান্ত উঠে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম।
এই সভায় নির্বাচন কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রভোস্ট কমিটি, ডিনস কমিটিসহ সকল রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
অধ্যাপক মারুফুল বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার তারিখ দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার চল্লিশ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ‘নিরপেক্ষ’ ছয় কেন্দ্রে।
শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু গত সাড়ে তিন দশকে নির্বাচন হয়েছে কেবল একবার।
সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই সংসদের মেয়াদপূর্তির পর পেরিয়ে গেছে আরও ছয় বছর। নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে থাকছে না শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ডাকসু নির্বাচনের দাবি আবার জোরারো হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
আরও পড়ুন: ইসি ওয়েবসাইটে ‘নৌকা’ সরিয়ে ‘তুলা’ প্রতীক যুক্ত
১৩৮ দিন আগে