উপাচার্য
জবিতে ক্লাস-পরীক্ষা সশরীরে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সকল ক্লাস পরীক্ষা সশরীরেই চলমান থাকবে। বুধবার উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের এক মিটিং এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং ভর্তি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল।
তিনি বলেন, আমাদের চলমান সকল ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে যেভাবে হচ্ছে এভাবেই চলমান থাকবে। যদি করোনা রোধে সরকারি কোন নির্দেশনা আসে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য তখন অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: জবিতে ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
তিনি আরও বলেন, জবিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি এখনও সম্পন্ন হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে তাদের ক্লাস শুরু হবে।
জানা যায়, হঠাৎ করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বেড়ে যাওয়ায় সশরীরের ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
আরও পড়ুন: জবিতে অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালা পাশ
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু ১ জানুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ক্লাস ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডিনস কমিটির এক সভার পর এ সূচি প্রকাশ করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ কে এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিনসহ সব অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে শাটল বাস পুনরায় চালু
এছাড়া বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি কার্যক্রম ৭ জানুয়ারির মধ্যে এবং কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কার্যক্রম ১৩ জানুয়ারি সম্পন্ন করা হবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভর্তি কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
পাকিস্তানিদের কাজ ছিল এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা: শাবিপ্রবি উপাচার্য
মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাক্ষদর্শী হিসেবে বলব যে, পাকিস্তানিদের কাজ ছিল এই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা। মুক্তিযুদ্ধকালীন এই দেশের সাধারণ মানুষের ওপর যে বর্বরতা-নিষ্ঠুরতা পাকিস্তানি আর্মিরা চালিয়েছিল তা ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: প্রসঙ্গ জেনোসাইড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, জেনোসাইডের কথা বললে, আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী নির্মমভাবে গণহত্যার ছাপ রেখেছে। অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মাটির সঙ্গে মেশানোর চেষ্টা করেছে। এই গণহত্যায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক কাউকে বাদ রাখেনি। সবচাইতে বেশি নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। সারাদেশে অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে সঠিক গবেষণার অভাবে এই হত্যাকাণ্ডের চিত্রগুলো পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবি প্রশাসনের পদক্ষেপ
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও সত্য ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রকাশ করা হচ্ছে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম একটি সত্য ইতিহাস জেনে বড় হচ্ছে।উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যারা বিরোধী ছিল, তাদের পরিবারের লোকেরাই আজকে দেশের উন্নয়নের বিরোধীতা করছে।বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে জেনোসাইড গবেষক হাসান মোরশেদ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান। এছাড়াও সেমিনারের আহ্বায়ক ও সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরিন আক্তার সরকার।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের ‘মুজিব শতবর্ষ ক্রীড়া সপ্তাহ’র উদ্বোধন
শাবিপ্রবিতে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সচেতনতার আওয়াজ
অধ্যাপক ইমরান রহমান ইউল্যাবের নতুন উপাচার্য
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ইমরান রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য এবং বাংরাদেশের রাষ্ট্রপতি আগামী ৪ বছরের জন্য তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। গতকাল ২ নভেম্বর থেকে তা এই নিয়োগ কার্যকর হয়েছে।
অধ্যাপক ইমরান রহমান ২০০৬ সালে বাণিজ্য অনুষদের ডিন হিসেবে ইউল্যাবে যোগদান করেছিলেন। এরপর ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য ছিলেন।
ইউল্যাবে যোগদানের পূর্বে অধ্যাপক ইমরান রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক, বিবিএ প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান এবং কম্পিউটার সেন্টারের চেয়ার হিসেবে ২৮ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ১৯৯০ সালে তিনি একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা করেন এবং ৬ বছর যাবতকাল এর পরিচালনায় ছিলেন। অধ্যাপক ইমরান রহমান ম্যানচেস্টার বিজনেস স্কুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স-এ অধ্যয়ন করেছেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরু
৫৯৪ দিন পর ক্লাসে ফিরলো কুবির শিক্ষার্থীরা
ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
গুচ্ছের অধীনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সাত হাজার ৮৪জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে ।
পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসনে ভূঁইয়া, ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহবায়ক প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যার বিষয়ে অবহিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ অক্টোবর
দেশের গুচ্ছভুক্ত ২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ অক্টোবর থেকে নেয়া হবে।
প্রথম দিন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো এ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষার এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু বৃহস্পতিবার
মুনাজ আহমেদ বলেন, ‘উপাচার্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে ভর্তি পরীক্ষার এ তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি শুরু হবে। এরপর মানবিক বিভাগের জন্য নির্ধারিত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৪ অক্টোবর এবং বাণিজ্য শাখার জন্য নির্ধারিত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা বারবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে আবার পরিবর্তন করিনি। উপযুক্ত সময়ে যেনো সুন্দরভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় সেজন্য এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, ঠিকঠাকভাবে আমরা এসব তারিখেই পরীক্ষাগুলো নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন শাবিপ্রবির উপাচার্য
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
চলতি বছরের জুন মাসে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শনিবার সাকল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
এর আগে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্বকালে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বৃদ্ধি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মানুবর্তিতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার উপর গুরুত্বারোপ, সেশনজট নিয়ন্ত্রণ, একযুগ পর তৃতীয় সমাবর্তন আয়োজন, অবকাঠামো উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে সিলেট সিটি করপোরেশনে আওতাভুক্তকরণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আইসিটি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ এবং ডিজিটাল ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ অর্জন, করোনা পরীক্ষায় নিজস্ব অর্থায়নে পিসিআর ল্যাব চালু, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পরিবহন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ বেশকিছু উল্লেখযোগ্য মেগা ইস্যুর সমাধান ও অর্জন করতে সক্ষম হয় শাবিপ্রবি।
এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় প্লেজারিজম মুক্ত রাখতে টার্ন-ইট-ইন সফটওয়্যার চালু, গবেষণায় বরাদ্দ সাতগুণ বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চালু, চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য কোটা চালু ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থা চালু, ক্যাম্পাসকে র্যা গিংমুক্তকরণ, সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য ব্লক চেইন পদ্ধতি চালু, করোনায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, অনলাইন ক্লাসের জন্য শিক্ষকদের প্রণোদনা ও ঋণ প্রদান, শিক্ষার্থীদের ডাটা প্যাকেজ প্রদান, ক্যাফেটেরিয়া খাবারের মান বৃদ্ধি, লাইব্রেরি ও মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন, খেলাধুলায় বাজেট বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ভবনসমূহে বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিকরণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও গৃহ নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা দেয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অবদান ছিল প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের স্মৃতির রক্ষার্থে কাজ করতে চাই। সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদাপীঠের শিক্ষার্থীরা একসময় এই বাংলাদেশের সর্বস্তরে নেতৃত্ব দেবে। সামনের দিনগুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি এগিয়ে যাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংস্কৃতি চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করে যাব।
শাবিপ্রবি উপাচার্য পদে ফের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোঃ নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি প্রথম মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরপরই এ দায়িত্ব পালন শুরু করবেন ।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো ৩১ জুলাই পর্যন্ত
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। উপাচার্যের দায়িত্বগ্রহণের আগে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ একাধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্বসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে শাবিপ্রবির ১২তম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিবেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: জাবিতে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণায়, কমেছে চিকিৎসায়
এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করায় শিক্ষা, গবেষণা, সাফল্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে শাবিপ্রবি একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে আশাব্যক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) আইন ১৯৯০ এর (১১)১ ধারা অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনকে ৪ বছর মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) নিযুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মোঃ আবদুল হামিদ খান।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করা হয়। ড. মাহমুদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ভিসি এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিযুক্ত দ্বিতীয় ভিসি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার কার্যালয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এর মেয়াদ গত ২৮ জানুয়ারি শেষ হয়। এ হিসেবে প্রায় ৪ মাস পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পেলো নতুন উপাচার্য।
ড. মাহমুদ ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যায় স্নাতক (সম্মান), ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানগ্রোভ ইকোলজিতে স্নাতকোত্তর এবং ২০০৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৯ সালে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০০১ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক, ২০০৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯ সাল থেকে ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনে অদ্যাবদি অধ্যাপক পদে দায়িত্বরত আছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে সিলেটে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
তাঁর ১০৫টি গবেষণা নিবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩টি, ও অনুবাদ ২টি। এছাড়াও দেশি ও বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে ২৬টি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। তাঁর উদ্যোগ ও নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের মধ্যে প্রথম সয়েল আর্কাইভ স্থাপন করা হয়েছে।
নিরাপত্তার দাবিতে শাবি সাংস্কৃতিক জোটের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৪ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন তারা।