শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে পাঁচদিন ক্লাস হবে এবং দুইদিন সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়দিন বন্ধ থাকবে তা একটি নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে পাঁচদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হবে। বাকি দুইদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত শিক্ষাক্রম। গতবছর আমাদের শিক্ষাক্রমে ছিল ছয়দিন শ্রেণীকক্ষে পাঠদান। যখন বিদ্যুৎ নিয়ে সঙ্কট ছিলো তখন সেটাকে আমরা পাঁচদিন করেছি। তখনই বলা হয়েছিলো যে এখন বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে করা হচ্ছে, কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমেও পাঁচদিনই শ্রেণীকক্ষে পাঠদান হবে।
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজে উপবৃত্তির ৭৫১ কোটি টাকা বিতরণ শুরু
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে যে নিয়ম, আমাদের দেশেও তা। আর তাছাড়া শিক্ষকদেরও ১-২ দিন সময়ের দরকার। তাদেরও একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। আবার শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কারিগরি বিভাগে তার আগের ১০বছর কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গত চার বছরে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।
তিনি বলেন, সবসময়ই কোনো না কোনো শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন, কাজেই কিছু কিছু পদ শূন্য হয়।আবার সেই চাহিদা অনুযায়ী আমরা সেগুলোতে নিয়োগ দেই। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া যে খুব সহজ তাও নয়।
তিনি আরও বলেন, এমুহূর্তে আমাদের কোনো শিক্ষক সঙ্কট নেই। কোথাও শূন্য থাকলে তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে।এসময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারীসহ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে
জুন থেকে স্কুল ফিডিং চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে বৈবাহিক অবস্থা লিখতে বাধ্য করা যাবে না: হাইকোর্ট
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা লিখতে বাধ্য করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। তিনি রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মেয়েটি এখন কী করবে?’- শীর্ষক এক প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ফারিহা ফেরদৌস ওনাহিদ সুলতানা জেনি।
ওই পত্রিকার সংবাদ অনুসারে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ জুন দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ষণের শিকার হন মেয়েটি। ধর্ষকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেয়ার জন্য গ্রামের লোকজন চাপ দিতে থাকেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এ নিয়ে সালিসও হয়। কিন্তু সেখানে অভিযুক্ত যুবক সবকিছু অস্বীকার করেন। সালিস ভেঙে যায়। প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে মেয়ের পরিবার মামলা করতে পারে না। একপর্যায়ে সন্তানসম্ভবা হলে মেয়েটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। তখন ওসিসি থেকেই ধর্ষণ মামলা করা হয়। মামলার পর পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ওই যুবক, মেয়ে ও তার সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় প্রমাণ হয় ওই যুবকই শিশুটির বাবা। আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত ওই মেয়েটিকে ‘মহিলা সহায়তা কর্মসূচি’র রাজশাহী বিভাগীয় আবাসনকেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেখানে থাকা অবস্থায় মেয়েটির এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালে ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রামেক হাসপাতালে মেয়েটি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। আবাসনকেন্দ্রে থাকতেই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪.১৯ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। পরে সেখানেই থেকে এইচএসসি পরীক্ষাও অংশ নেন। পরবর্তীতে আইনজীবী আশুরা খাতুন এবং জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী দিল সেতারার সহযোগিতায় মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে আসেন। এরই মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এবার জিপিএ-৩.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।
আরও পড়ুন: আদর্শ প্রকাশনীর বইমেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
এদিকে ২০১৭ সালের ৩০ মে আদালতের রায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আদালতের রায়ে সন্তানের দায়ভার বাবাকে নিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাবার এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সন্তান হওয়ার কারণে বিবাহিত না হলেও তাকে ফেলা হয়েছে বিবাহিত নারীর কাতারে। তিনি নার্সিং কলেজের ফরমই পূরণ করতে পারবেন না। বিয়ে না করলেও তার সন্তান রয়েছে। তাকে এখন বিবাহিত নারী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। অথবা ফরমে তাকে স্বামী পরিত্যক্তা লিখতে হবে। মেয়েটি কোনো দলেই পড়েন না।
এ অবস্থায় রিট দায়েরের পর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রুল জারি করেন। রুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং এ বিষয়ে একটি অর্থপূর্ণ নীতিমালা কেন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
এছাড়াও মেয়েটিকে অবিলম্বে নার্সিং কলেজে ভর্তি করতে নির্দেশ দেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি কালো দাগ সৃষ্টি করেছে: হাইকোর্ট
কলেজে ভর্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পড়ালেখার মান নিশ্চিত করা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত ও যোগ্য শিক্ষক রয়েছে। তাই ভর্তি প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কলেজগুলোতে অনেক আসন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলাম, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ঠিকমতো করলো কি না। তারা যেনো খারাপ ভুল পথে চলে না যায়, মা-বাবা সেদিকে সঠিকভাবে নজর রাখেন। আমরা সবাই যদি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে তারা তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারবে।’
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজিত মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা-২০২২ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘এ বছর যে পরিমাণ শিক্ষার্থী এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে, তার চেয়ে ৭ লাখের বেশি আসন (সিট) রয়েছে এইচএসসির জন্য। এইচএসসির ভর্তি পরীক্ষা সুনির্দিষ্ট নিয়মে বরাবরের মতো অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাদের ভর্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো এ দেশের একেবারে সেরা মেধাবীদের ছেঁকে নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে। মেধাবী শিক্ষার্থীগুলো যখন সবাই এক জায়গায় যায়, তখন তাদের প্রচেষ্টায়, বাবা-মায়ের প্রচেষ্টায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় আরও ভালো ফলাফল করে। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের খুব মহত্ব রয়েছে বলে আমি মনে করি না।’
এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ অকৃতকার্য ৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি বলেন, কি কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে এমন খারাপ ফলাফল হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সহযোগিতা করা হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে তারা ব্যর্থ না হয় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
দীপু মনি বলেন, আমাদের এই বিজয়ের মাসে দেশে নানান রকম রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বীর বাঙালি স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে, গণতন্ত্র ছিনিয়ে এনেছে। এখন আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে আছি। দেশবাসী চায় সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। সেখানে যেন কোন প্রকার অস্থিরতা, অরাজকতা সৃষ্টি না হয়। ২০১৩-১৪ সালের মত কোন ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস আবার দেখতে চাই না। জনগণ শান্তি চায়, সমৃদ্ধি চায়, সামনে এগিয়ে যেতে চায়। যারা দেশে অস্থিতরা চালানোর চেষ্টা করছে, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি পাটোয়ারী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশিদ।
এর আগে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
নতুন সিলেবাসে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রস্তুত করা সংশোধিত পাঠ্যক্রম অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বাংলাদেশ আন্তশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পড়ুন: জাবি’র নতুন ভিসি প্রফেসর নূরুল আলম
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি স্তরে শুধুমাত্র আইসিটি পরীক্ষা ৫০ নম্বরের হবে এবং অন্য সব পরীক্ষা (১০০) পূর্ণ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা।
এইচএসসি স্তরের পরীক্ষার্থীরা ১০০ নম্বরের প্রতিটি বিষয়ের জন্য তিন ঘন্টা পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২দিন ছুটির সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২দিন ছুটির সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, সেখানে যদি আমরা এখন থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসগুলো পাঁচ দিন করি, তাহলে একদিন সাশ্রয়ের সুযোগ পাব। অর্থাৎ শহরে একদিন শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনা ও নেয়ার জন্য যে পরিমান যানবাহন চলে সেটার সাশ্রয় হবে। তবে এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, আমরা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনিয়ম দেখলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা পাঁচ দিনের মধ্যে ক্লাসগুলো পুনর্বিন্যাস করতে চাই, যাতে করে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে যে শিখন ঘাটতি হয়েছে, সেটি পূরনের জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে।
এই সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বশির আহমেদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
জ্বালানি সংকট: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ২দিন ছুটি ঘোষণা নিয়ে ভাবছে সরকার
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তেই কোনো সিদ্ধান্তের কথা বলা যাচ্ছে না, হয়তো শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।
শুক্রবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী বছর ২০২৩ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি থাকছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে তা কার্যকর করা হবে কিনা বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি।’
শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্যদিয়ে সক্রিয় শিখন পদ্ধতিতে লেখাপড়া শিখবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়, টিকায় জোর দেয়া হচ্ছে: দীপু মনি
সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে টিকায় জোর দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘করোনা বাড়লেও ১২ এর কম বয়সীদের টিকা দিতে পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চিন্তা করছি না। এই মুহূর্তে স্কুল বন্ধের চিন্তা নেই তবে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
এসএসসি পরীক্ষা কবে নেয়া হবে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, বন্যার বিষয়টা দেখছি। বন্যাকবলিত এলাকায় বই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এসব এলাকায় যে পরিমাণ বই লাগবে ছাপিয়ে দেয়া হবে। বই দেয়ার পর দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে তারপর পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, যাদের এমপিও দেয়া হয়েছে, যোগ্য প্রতিষ্ঠানকেই দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে যদি কেউ মিথ্যা তথ্য দেয় তাহলে তাদের এমপিও বাতিল হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ধর্ম শিক্ষাকে তুলে দেয়া হয়েছে বলে একজন এমপি পাঠ্যপুস্তক নিয়ে কথা বললেও আবার সেটি সঠিক নয় যখন জানতে পেরেছেন তখন স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন, ভুল স্বীকার করে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে এসব বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্ম শিক্ষা আছে এবং থাকবে। এটি নিয়ে মিথ্যা প্রচার কোনোভাবে কাম্য নয়।
নড়াইলের শিক্ষক লাঞ্ছনার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তদন্ত কিমিটি হয়েছে। শিক্ষককের জায়গা সম্মানিত জায়গা। এসব ঘটনাগুলো খুবই লজ্জাজনক, যারা শিক্ষক তারা শংঙ্কায় আছেন, আমরা তাদের পাশে আছি, থাকবো।
আরও পড়ুন: স্কুল থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
ঈদের আগে ২৭১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমপিও প্রকল্পের আওতায় সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মূল বেতনের শতভাগ প্রদান করে।
বুধবার গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) দেশের প্রথম ক্যাম্পাসভিত্তিক বিজনেস ইনকিউবেটর ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
নতুন এমপিও সুবিধাভোগীদের মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১২২টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ১০৯টি এবং ডিগ্রি কলেজ ১৮টি।
নতুন এমপিও তালিকায় ভোকেশনাল ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় প্রায় ৬৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এর মধ্যে এসএসসি ভোকেশনাল/দাখিল ভোকেশনাল ৯৭টি, এসএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলোজি ২০০টি, কৃষি ডিপ্লোমা দুটি, দাখিল মাদরাসা ২৬৪টি, আলিম মাদরাসা ৮৫টি, ফাজিল মাদরাসা ৬টি, কামিল মাদরাসা ১১টি।
শেখ কামাল বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধনের পাশাপাশি শেখ জামাল ডরমেটরি ও রোজী জামাল ডরমেটরিও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের প্রথম বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এমপিওভুক্তির ঘোষণা এক সপ্তাহের মধ্যে: দীপু মনি
যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই দেখে পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা!
শিক্ষকদের কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, কেউবা ঘুমাচ্ছেন। আর শিক্ষার্থীরা বই দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া দাখিল মাদরাসার চিত্র।
দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও চলছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষায় মাদরাসার সব ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ নেয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র সাতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।
ভরনিয়া দাখিল মাদরাসা উপজেলা শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। ১৯৬৪ সালে ভরনিয়া দাখিল মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আর এমপিওভূক্ত হয় ১৯৮৫ সালে। একসময় নামডাক থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিণত হয়েছে সাত শিক্ষার্থীর পাঠশালায়। শিক্ষক, কর্মচারীও আছেন ১৮ জন।
নিয়মিত বেতনও নিচ্ছেন তারা। ইবতেদায়ী থেকে দাখিল পর্যন্ত রয়েছে দশটি শ্রেণি কক্ষ। কাগজ-কলমে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৪৫ জন। কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগ ডের নামে অশ্লীলতা বন্ধ করতে নির্দেশ
অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া সাত শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেন ৬ষ্ঠ শ্রেণির একজন, ৭ম শ্রেণির একজন এবং নবম শ্রেণির পাঁচজন। পরীক্ষা চলাকালে দেখা গেছে, শিক্ষকরা অফিসে বসে আড্ডা মারছেন, আর সাত পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন বই খুলে!
এদিকে, শিক্ষার্থী না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের বরাদ্দও পেয়েছে। মাদরাসার নামে ১৫ বিঘা আবাদি জমি থাকলেও সেগুলো লিজ দেয়া হয়েছে।
ভরনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, ‘মাদরাসায় নতুন সুপার আসার পর থেকে মাদরাসার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দেয়। কিন্তু সব ফেল করে। প্রতিষ্ঠানের অনেক পুরাতন গাছ ছিল, সেগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। মাদারাসায় এখন কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। মাদরাসার জমি আছে সেগুলোও বন্ধক দেয়া হয়েছে।’
একই গ্রামের বাবুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা ঠিকভাবে ডিউটি করে না। তাই ছাত্রছাত্রীরা অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেছে।’
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘যেখানে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি বাড়াতে কারও কোনো পদক্ষেপ নেই। সেখানে কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য এবং মাদরাসার জন্য ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন বরাদ্দ হয় কিভাবে ?’
মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল করিম বলেন, ‘কমিটির কোনো মিটিং হয় না। ছাত্র-ছাত্রী এখন ৬-৭ জন। শিক্ষকরা সময়মতো আসেন না।
আরও পড়ুন: বরিশালের ২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
৬০ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায়। এই টাকা কোথায় যায়, কে পায়? একদিন মাদরাসায় গিয়ে দেখি পাঁচজন শিক্ষক এসেছে, এর মধ্যে একজন ঘুমাচ্ছে।’
ভরনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আতাউর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের আসার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু কাজ-কামের জন্য ছাত্ররা আসছে না। করোনার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা আসেনি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘স্থানীয় জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখি কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। কয়েকজন শিক্ষক আছেন, সুপারও ছিল না। একটি ক্লাস রুমে প্রবেশ করে দেখি সেখানে ছাগল ও বাদুরের মল। যা আমাকে হতবাক করেছে। পড়ালেখাও হয় না, বিষয়টি আমি মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাতে অবগত করেছি।’ এই পরিণতির জন্য তিনি শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী মাদারাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি যোগদান করার প্রায় এক মাস হলো। এসে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে মত বিনিময় করেছি। কিন্তু মাদরাসা পর্যায় তা করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় খোঁজা হবে। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে যদি অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সিলেটে ২৯০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি, এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কা
সিলেটে বন্য পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ তলিয়ে যাওয়ায় সিলেটে ২৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।বন্যার পানির কারণে সিলেটে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সড়ক ও বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নেয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।এখন পর্যন্ত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সিলেট শিক্ষা বোর্ড।
আরও পড়ুন: বন্যার কবলে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরাজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেবনাথ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ২৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. ওয়া্দুদ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৬০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা পানিতে তলিয়ে গেছে। এগুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।তিনি আরও জানান, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। গোয়াইনঘাটে ৪৮ ও কোম্পানীগঞ্জে ২৬ প্রতিষ্ঠানের সবগুলোতেই পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কানাইঘাটে ৩৭টি, জৈন্তাপুরে ১২টি, বিশ্বনাথে ১৩টি, সিলেট সদরে ১৯টি ও জকিগঞ্জে ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।সিলেটে বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার বেশির ভাগ এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলারও বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষ পানিবন্দি। পানি বাড়ছে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, জকিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায়।
আরও পড়ুন: সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
এদিকে আগামী ১৯ জুন রবিবার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া এলাকার বাসিন্দা সেবুল আহমদের ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। সেবুল আহমদে বলেন, ‘ঘরে পানি, রাস্তায় পানি, পরীক্ষা কেন্দ্রেও পানি। এ অবস্থায় ছেলেমেয়েরা কীভাবে পরীক্ষা দেবে। তাই আমি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।’সিলেট শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সিলেটে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী। ১৪৯ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা।সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘বন্যার পানিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৯টি উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এসএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ফের বন্যা, ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি