প্রধানমন্ত্রী
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৬৯, শনাক্ত ১৩৫৯
দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু আরও বেড়েছে, তবে শনাক্ত কমেছে বলে রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনায় আরও ৬৯ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ৫৭৯ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৫৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৩ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জন মারা গেছেন এবং ১ হাজার ৪৫২ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ১৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৯.৬০ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৫৭ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৮ জন। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫২ শতাংশ।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, জনগণের জীবন রক্ষায় যেকোনও উপায়েই হোক করোনার টিকা সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য যেকোনও উপায়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও বেশি টিকা নিয়ে আসছি। যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা আরও ভ্যাকসিন নিয়ে আসব। ’
করোনা মহামারি মোকাবিলায়, মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে নিম্ন-আয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৭০ জন।
বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৩ লখ ৮৯ হাজার ৬৫২ জন এবং মৃত্যু বরণ করেছে ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৯ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬ হাজার ৪৩৭ জনে। দেশটিতে এপর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ জন।
ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটিতে করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হবার পর গেল এপ্রিলেই সবচেয়ে মৃত্যু দেখতে পায় দেশটি।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই চালু হতে পারে গণপরিবহন: কাদের
অপরদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের চলমান করোনার প্রকোপে এই পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জন এবং মারা গেছে ২ লাখ ১১ হাজার ৮৫৩ জন।
সম্ভাব্য যেকোনও উপায়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, জনগণের জীবন রক্ষায় যেকোনও উপায়েই হোক করোনার টিকা সংগ্রহ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরও বেশি টিকা নিয়ে আসছি। যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা আরও ভ্যাকসিন নিয়ে আসবো। ’
করোনা মহামারি মোকাবিলায়, মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে নিম্ন-আয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এসময় অনুষ্ঠানে ভোলা, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রামের ডিসিরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই আর্থিক সহায়তা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট ও শিউরক্যাশের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে সরাসরি সরকারের অর্থ পৌঁছে যাবে।
যতক্ষণ করোনার টিকা বাজারে আছে ততক্ষণ সরকার তার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা ভ্যাকসিনের ডোজ অর্থ খরচ করে সংগ্রহ করছি। কিন্তু জনগণের জীবন বাঁচাতে আমরা এসকল ভ্যাকসিন বিনামূলে দিচ্ছি। ’
প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, করোনার টিকা নেয়া হোক বা না নেয়া হোক, করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী কোভিড সঙ্কট: দ্রুত পুনরুদ্ধারে ইএসসিএপি-কে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ শেখ হাসিনার
পরে প্রধানমন্ত্রী ভোলা, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রামের অর্থ সহায়তাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন।
ইতোমধ্যেই করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ-এ প্রান্তিক জনগণের কষ্ট-দুর্দশা দূর করতে সরকার ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার পরপরই প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে অর্থসহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
দেশে গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর কর্মহীন হয়ে পড়ে সমাজের খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রান্তিক শ্রেণির অসহায় জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবেই মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে ৫৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
আরও পড়ুন: লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
অন্যান্য অর্থ সহায়তার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের জরুরি সাহায্যের জন্য প্রত্যেক জেলার ডিসিদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
এছাড়া, করোনার আঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নিজ উদ্যোগে ১০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।
করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
করোনার প্রথম আঘাতের মতো এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কর্মসংস্থান হারানো ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনায় মৃত্যু মিছিলের মধ্যেই চলমান লকডাউনের কারণে খেটে খাওয়া সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে নিরলস চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যেই করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ-এ প্রান্তিক জনগণের কষ্ট-দুর্দশা দূর করতে সরকার ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিম্ন-আয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ইউএনবিকে জানান, আগামী রবিবার (২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী এই অর্থ সহায়তার কার্যক্রম শুরু করবেন।
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার পরপরই প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে অর্থসহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গতবছরও করোনার প্রথম প্রকোপের সময় সরকার সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করে।
পিএমও সচিব জানান, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশ এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে সরাসরি অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী কোভিড সঙ্কট: দ্রুত পুনরুদ্ধারে ইএসসিএপি-কে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ শেখ হাসিনার
দেশে গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর কর্মহীন হয়ে পড়ে সমাজের খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রান্তিক শ্রেণীর অসহায় জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবেই মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে ৫৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
পিএমও সচিব বলেন, অন্যান্য অর্থ সহায়তার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের জরুরি সাহায্যের জন্য প্রত্যেক জেলার ডিসিদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
সচিব আরও বলেন, করোনার আঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নিজ উদ্যোগে ১০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
এছাড়া সরকারি তথ্য সেবা ৩৩৩-হেল্প লাইন সেন্টারের কথা উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন জানান, সমাজরে মধ্যবিত্ত মানুষের কথা মাথায় রেখেই সরকার এই সেবা চালু করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের কেউ সংকোচ না করে হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়া হলে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন সাহায্যপ্রার্থীর পরিচয় গোপন রেখে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি বিকৃতি: নারায়ণগঞ্জে আটক ২
আলোচিত মামুনুল হক ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি বিকৃতি ও কটাক্ষ করে উস্কানিমূলক পোস্ট করার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ।
মঙ্গলবার রূপগঞ্জ ও ফতুল্লা উপজেলা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের আইসিটি শাখা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পৃথক অভিযানের মাধ্যমে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি, ডিজিটাল আইনে যুবক গ্রেপ্তার
বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান।
আটকরা হলেন, রূপগঞ্জের নগরপাড়ার মৃত কদু মিয়ার ছেলে তরিকুল (২৯) ও ফতুল্লার তল্লা ছোট মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে ইমরান হোসেন (৩২)।
এসময় তাদের ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আটককৃত আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশের আইসিটি এন্ড মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বে থাকা হাফিজুর রহমান জানান, হেফাজতের সাথে তারা জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হানিফকে নিয়ে কটূক্তি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কলেজশিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর
হাফিজুর রহমান আরও জানান, মামুনুলের নারী কেলেঙ্কারির পর হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি বিকৃত ও কটাক্ষ করে উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়ার অপরাধ করেছে। আটককৃতদের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং অথবা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরবর্তীতে আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানান জেলা পুলিশের মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন জাপা প্রধান
জাতীয় পার্টির প্রধান এবং সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহম্মদ কাদের আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বুধবার জাপা প্রধানের পক্ষে তার সহকারী ব্যক্তিগত সচিব প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল কর্মকর্তার হাতে ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের হয়রানির অভিযোগ জাপার
এর আগে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ এবং বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা প্রধান গোলাম মোহম্মদ কাদেরকে শুভেচ্ছা কার্ড প্রেরণ করে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
জলবায়ু অভিযোজন: ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিলের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার মন্ত্রী এমন আশাব্যক্ত করে বলেন, ‘অর্থ কোনো সমস্যা না, বরং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে জলবায়ু শীর্ষক বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চলমান ‘লিডার্স সামিটি’র প্রথমদিন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময়ই খুব আশাবাদী। রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আর উপস্থিতি এই সম্মেলনে দেখতে পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সম্মেলনে তার বক্তব্যে জলবায়ু সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য উন্নতদেশগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জলবায়ু সম্মেলন একটি যুগান্তকারী অধ্যায়।
এই সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তহবিলে অর্থ ব্যবস্থাপনায় অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ ভারসাম্য বজায় রাখার কথাও বলেছে। কারণ প্রশমন ছাড়া অভিযোজন কখনোই সুফল আনতে পারে না।
আরও পড়ুন: বাইডেনের জলবায়ু সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে বাংলাদেশের দাবিদাওয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জে-ইন এবং তুরেস্কের রাষ্ট্রপতি রেসেপ তায়েপ এরদোগান অন্যান্য আমন্ত্রিতদের মধ্যে জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
জয়পুরহাটে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি, ডিজিটাল আইনে যুবক গ্রেপ্তার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগে জয়পুরহাটের কালাইয়ে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কালাই থানা পুলিশ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় বুধবার রাতে কালাই উপজেলার বিয়ালা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, যুবক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃত আমানুল্লাহ আমান (২১) উপজেলার বিয়ালা-মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানান, জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ময়নুল ইসলাম সাজু তার ফেসবুকে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী ও হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ এর নেতা মামুনুল হককে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তার এই পোস্টে আমানুল্লাহ আমান নামের ফেসবুক আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এটি পরবর্তীতে অত্র এলাকায় বিভিন্ন জনের নিকটে শেয়ার করলে ভাইরাল হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করাসহ অত্র এলাকায় বিশৃংখলা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার উপক্রম হয়।
আরও পড়ুন: হানিফকে নিয়ে কটূক্তি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কলেজশিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর
এ ব্যাপারে কালাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তফিকুল ইসলাম তৌহিদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মদ ভূঞা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কালাই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ মামলার অভিযুক্ত আসামি আমানুল্লাহ আমানকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
‘কে-নাইন’: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অন্যন্য এক বাহিনী
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিত বিমানবন্দরের দায়িত্ব এখন নিরাপদ হাতেই রয়েছে। দেশের প্রধান এবং ব্যস্ততম এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া যায় এখানকার প্রশিক্ষিত কুকুর বাহিনীকে (ডগ স্কোয়াড)।
এই স্কোয়াডের দক্ষ কুকুরগুলোর অধিকাংশই জার্মান শেফার্ডর প্রজাতির কুকুর। এটি মূলত জার্মান শেফার্ড এবং ল্যাব্রাডর রিট্রিভার শংকর একটি জাত।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এয়ার্পোট আর্মড পুলিশ (এএপি) নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নিজস্ব ডগ স্কোয়াড গঠন করে। আর এই বাহিনীর নাম দেয়া হয়েছে ‘কে-নাইন’।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে ১০ হাজার ইয়াবাসহ আটক এক
২০১৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে মাত্র চারটি কুকুর আমদানি করে এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শুরু হয় এই বাহিনীর পথচলা। এর আগে এএপি-কে অন্যান্য বাহিনী ডগ স্কোয়াডের ওপর নির্ভর করতে হতো। ২০১৮ সালে কে-নাইন ফোর্সে শক্তি বাড়ায় আরও চার কুকুর সদস্য। ২০১৯ সালে আরও পাঁচটি কুকুর আনা হলেও এখনো সেগুলোকে কে-নাইনে যুক্ত করা হয়নি।
কে-নাইন সদস্যদের প্রাথমিক দায়িত্ব হল মাদক-বিস্ফোরক খুঁজে বের করা, ক্রাইম সিনে প্রমাণ খোঁজা এবং পুলিশের নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করা ব্যক্তিকে আক্রমণ করা। কুকুরগুলোকে অবশ্য বিভিন্নরকম শব্দ সংকেত ও ইশারা মনে রাখারও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
কে-নাইন ডগ স্কোয়াড সম্পর্কে এএপির অ্যাডিশনাল সুপারিসটেনডেন্ট (অপারেশন এবং মিডিয়া) আলমগীর হোসেন ইউএনবিকে জানান, প্রথম দুই ব্যাচের আটটি কুকুরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে মাদক এবং বিস্ফোরক দ্রব্য খুঁজের বের করার জন্য।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই কে-নাইনের আটটি কুকুরই বিস্ফোরক শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা অন্য পাঁচটি কুকুরকে এখন মাদক শনাক্তের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ হল বিমানবন্দর এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
তিনি জানান, কে-নাইনের কুকুরগুলোকে গত দুই বছর ধরেই প্রশিক্ষণের ওপর রাখা হয়েছে। চলমান এই প্রশিক্ষ কার্যক্রমে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশের আমেরিকান দূতাবাস।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস নয়: প্রতিমন্ত্রী
অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ সরকারের
ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও সরকার করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবনে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি কম: গবেষণা
ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন, করোনার দ্বিতীয় ডোজের প্রাপ্যতা নিয়ে অনেক সংশয় ছড়ানো হয়েছিল। কিছু পত্রপত্রিকা, প্রচার মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালিয়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইতোমধ্যেই প্রায় ১৭ লাখ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই করোনা মহামারির মধ্যে মানুষকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা দেয়ার জন্য প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিলেন এবং সেই কারণে এই মরণঘাতী করোনা মহামারি মোকাবিলা ও জনগণকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।’
এ সময় গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধে আপনারা সবসময়েই সচেষ্ট ছিলেন, এখনো নানা ধরণের গুজব রটনার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আপনাদেরকে সোচ্চার থাকার অনুরোধ জানাই।’
কোভিড ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।
তিনি উল্লেখ করেন যে, করোনা মহামারি আমাদেরকে মানব ইতিহাসের এক চূড়ান্ত পথে নিয়ে এসেছে এবং সম্ভবত আমাদের সময়ের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
তিনি বলেন, ‘মহামারির আর্থ-সামাজিক প্রভাব ব্যাপক এবং এখনও পর্যন্ত তা বাড়ছে। সুতরাং সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এ ওয়াল্ড ইন চেঞ্জ: জয়েন হ্যান্ডস টু ট্রেংদেন গ্লোবাল গভর্নেন্স এন্ড অ্যাডভান্স বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) কোঅপারেশন’ শীর্ষক চার দিনের বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া’র (বিএএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পূর্ব রেকর্ড করা ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
অংশীদারিত্ব এবং সংযোগ
শেখ হাসিনা তিনটি বিষয়ে মনোনিবেশ করেন –
প্রথমত, মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য দৃঢ় অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা এবং বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য হিসেবে ঘোষণা করে ভ্যাকসিনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা।
আরও পড়ুন: মানুষের জীবন সর্বাগ্রে: প্রধানমন্ত্রী
দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য একসাথে কাজ করার প্রয়োজনয়ীতা এবং তৃতীয়, বিরামবিহীন শারীরিক এবং ডিজিটাল সংযোগ।
তিনি বলেন, ‘আসুন একসাথে চিন্তা করি, একসাথে কাজ করি এবং একসাথে এগিয়ে যাই।’
আরও তহবিল গঠন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি সংকট চলাকালীন কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাপী সম্প্রদায়েরর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, সব দেশকে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর করার জন্য একসাথে কাজ করা দরকার যাতে প্রত্যেকের ভ্যাকসিন এবং চিকিত্সার প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ডব্লিউএইচও, জিএভিআই এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সদস্য রাষ্ট্রের অধিকার, সাম্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: মহামারিতে বৈশ্বিক শান্তি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশগুলোকে অন্যদের সার্বজনীন ভ্যাকসিনের কভারেজ অর্জনের লক্ষ্যে তাদের উত্পাদন করতে সহায়তা করা উচিত।
তিনি বলেন, এই সংকটময় সময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তাও আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর তহবিল থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ মহামারির বিরূপ প্রভাব হ্রাস করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি যা আমাদের জিডিপির ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।’
তিনি উল্লেখ করেন যে সার্ক, বিমসটেক, এসএএসইসি, বিবিআইএন এবং বিসিআেএম’র মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক যোগাযোগের উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত।
‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং এর বাইরেও বহু মাল্টি মডেল লিংকেজের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বাংলাদেশ বিশ্বাস করে বৈশ্বিক গভর্নেন্স শক্তিশালী করা এবং অ্যাডভান্স বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং এর বাইরেও বহু-মাল্টিমডেল লিংকেজের সাথে সম্পৃক্ত এবং বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে বিআরআই এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে এই মহাদেশে বিপুল জনসংখ্যা, বিস্তৃত বাজার এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে আরও দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। এটি আমাদের এসডিজি অর্জন করতেও সহায়তা করবে যা আমরা প্রত্যেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । একে অপরের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা বাড়ানো দরকার।’