প্রধানমন্ত্রী
নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী: সাঈদ খোকন
নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুরান ঢাকার ওয়ারীর শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নারীর অগ্রগতী অনেক দূর এগিছে। আজ থেকে বিশ বছর আগে নারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট কেমন ছিলো; আজ কোন অবস্থানে রয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে গেলে দেখবেন সেখানে নারীদের রাখেন, আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে এ দৃশ্য দেখা যেত না। এভাবে চিকিৎসা, ট্রাফিক ব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে নারীদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন বাস্তবে নারী-পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। নারীরাও যে পারে এটা প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, এক সময় আমরা কেউ থাকব না, কিন্তু আমাদের কর্মময় জীবন থাকবে। আমাদের নেত্রী যা রেখে যাচ্ছেন সেসব থাকবে। দেশটাকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গেলেন, বৈদেশিক সম্পর্ক কীভাবে গড়ে তুললেন; একটা অনুন্নত দেশকে কীভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুললেন। শত বছর পরেও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে গবেষণা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জোবেদা বেগমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভার সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়মিত সভায় সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও ট্রাস্টের চেয়ারপারসন চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ম্যানেজমেন্ট কমিটি বিগত সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর বিষয়ে আলোচনা করে।
সভায় উপকমিটির প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
ট্রাস্টির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ হেলাল উদ্দিন, ফরিদা শেখ, রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ট্রাস্টির অন্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে স্বাধীনতাবিরোধীরা চেষ্টা করলেও ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না, আর এখন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের জনগণের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা নেতাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (স্বাধীনতাবিরোধীরা) জাতির পিতার নাম মুছে দেওয়া হয়, তার ছবি দেখানো যেত না, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়।’
জাতির পিতার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশকে তিন বছর সাত মাসের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টা স্বাধীনতাবিরোধীরা পছন্দ করেনি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
তিনি বলেন, ‘আর দেশ যখন অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তা পছন্দ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, পাকিস্তানিরা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারেনি, বরং তার নিজের দেশের কিছু মানুষ তাকে হত্যা করেছে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: যারা ৭ মার্চ পালন করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা।
পরে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: আগামীকাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে যান এবং তাদের জন্য কাজ করতে বলেছেন, কারণ জনকল্যাণই তার সরকারের প্রতিটি কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে এই আহ্বান জানাবো যে মানুষের পাশে যান, মানুষের জন্য কাজ করেন… আমাদের সব কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের কল্যাণে।’
বুধবার (৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নৈশভোজে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও কল্যাণমুখী দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে চায়, যাতে জনগণ উন্নত ও মানসম্মত সেবা পায়।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ইশতেহার বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশ বদলে গেছে।’
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসাধু ব্যবসার বিরুদ্ধে আরও সতর্ক থাকতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান আসছে। এ মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লোভ-লালসা সংবরণ করার পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে, এটা খুবই দুঃখজনক।’
বুধবার(৬ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে র্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ শুরু করে, দাম বাড়ায় এবং নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে।
র্যাব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এসব অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ঈদকে সামনে রেখে জাল নোটের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতেও র ্যাব সদস্যদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং আমি আপনাদের অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে র্যাবের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
একদিন আগে পার্লামেন্টের অধিবেশনে নির্বাচিত হওয়ার পর সোমবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শাহবাজ শরিফ।
অনাস্থা ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন শাহবাজ শরিফ এবং ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। শাহবাজ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই।
তার নিয়োগ বিতর্কিত, কারণ গত মাসের সংসদীয় নির্বাচনে তার বিরোধীরা দাবি করেছিল যে তার পক্ষে কারচুপি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে বিক্ষোভের মধ্যেই পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত শেহবাজ শরীফ
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জোর দিয়ে বলছে, নির্বাচনে তারা ভালো করেছে। কিন্তু নির্বাচনে চুরি ও অন্যান্য অনিয়মের কারণে দলটি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসন পায়নি, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য অন্যদের সঙ্গে জোট বেঁধেছে।
তিনি পার্লামেন্টে ২০১ ভোট পেয়ে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ওমর আইয়ুবকে পরাজিত করেন, যিনি পান ৯২ ভোট।
সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট আরিফ শপথ বাক্য পাঠ করান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে ইসিপি
পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহত ১৪
মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের কাজ এখন খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এটি এখন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’
সোমবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অধ্যাপক পায়াম আখাভান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আখাভান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের নিযুক্ত আইনজীবী।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে।’
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যায় তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোনো ধরনের বিদ্রোহের জন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এই নীতিতে বিশ্বাস করে এবং ভবিষ্যতে কাউকে তা করতে দেবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা যুবকদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার জন্য সরকার ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে এবং এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, কিছু রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, রক্ষা করা হবে সার্বভৌমত্ব: প্রধানমন্ত্রী
ড. পায়াম আখাভান প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো নির্ভরশীল না হয়ে, বাংলাদেশ কপ-১৫ এর পর জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর সুরক্ষায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলাসহ বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
'জলবায়ু ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতে' রাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামতের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের আইনি উপস্থাপনের প্রস্তুতিতে সহায়তা করায় অধ্যাপক পায়াম আখাভানকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সংকট অবসানের পথ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর হাতে জয় বাংলা কনসার্টের ব্যানার-পোস্টার
আসন্ন জয় বাংলা কনসার্টের পোস্টার, ব্যানার, স্যুভিনিয়র ও টি-শার্ট গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর হাতে কনসার্টের পোস্টার, ব্যানার ও স্যুভিনিয়র তুলে দেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
অষ্টমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে জয় বাংলা কনসার্ট।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে বিক্ষোভের মধ্যেই পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত শেহবাজ শরীফ
প্রধানমন্ত্রীর হাতে কনসার্টের স্যুভিনিয়র ও পোস্টার-ব্যানার তুলে দিয়ে তার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন সিআরআই ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘জয় বাংলা কনসার্ট প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে ঢাকার বাইরে। তাই বাড়তি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে আয়োজনের খুঁটিনাটি নিয়ে এবার আরও বেশি কৌতুহলী তারুণ্যের অদ্বিতীয় ভরসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটি স্মরণ করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা প্রতি বছর এই আয়োজন করে আসছে।
এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জয় বাংলা কনসার্ট।
তরুণদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় এই কনসার্ট মাতাতে এবার চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন দেশের জনপ্রিয় ৯টি ব্যান্ড দল। ইয়াং বাংলা তাদের অফিসিয়াল পেজ থেকে যে সব ব্যান্ড দলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যান্ড দলগুলো হলো- আর্টসেল, ক্রিপটিক ফেইট, অ্যাভোয়েড রাফা, নেমেসিস, চিরকুট, মেঘদল, লালন, চট্টগ্রামের ব্যান্ড তীরন্দাজ, কার্নিভাল।
এবারও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত স্বাধীনতার গান গেয়ে মঞ্চ মাতাবেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দলগুলো। জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে বরাবরই তরুণদের মধ্যে থাকে বাড়তি উন্মাদনা। এবারও নেই তার ব্যতিক্রম। কনসার্টের ঘোষণার পর থেকেই ইয়াং বাংলার পেজ জুড়ে মন্তব্য করছে তরুণরা। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের তরুণরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তরুণদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন চট্টগ্রামে এই কনসার্ট উপভোগ করতে।
২০১৫ সাল থেকে এই কনসার্ট ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়ে আসছিল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। মাঝে করোনা মহামারির কারণে ২০২১–২২ সালে কনসার্ট আয়োজন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যতটা কনসার্ন ততটা কনসার্ন আর কেউ সম্ভবত নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে অনেক কিছুই চিন্তা করনে।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সদ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগদানকৃত ডা. রোকেয়া সুলতানার সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একজন ডাক্তার থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও একজন পেশাদার ডাক্তারকেই দিলেন তিনি। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ একদম পরিষ্কার।
তিনি দেশের স্বাস্থ্যখাতে দৃশ্যমান উন্নতি করতে চান। এক্ষেত্রে আমি এবং প্রতিমন্ত্রী দুইজনেই প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশাটা বুঝি ও জানি। আমরা সেভাবেই কাজ এগিয়ে নিতে চাই যাতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণ হয়।
সভায় সদ্য যোগদান করা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেছি কোনো পদ-পদবি পাওয়ার জন্য নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এত বড় সম্মান দিয়েছেন দেশের মানুষের সেবা করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ৩৩ বছর আমি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছি। স্বাস্থ্যখাতের মাঠ পর্যায় থেকে উপর পর্যন্ত আমার জানা আছে। চাকরি জীবনে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ১৯৮০ সাল থেকে একসঙ্গে কাজ করেছি।
আশা করছি, আমরা একসঙ্গে মিলে এবার স্বাস্থ্যখাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে পারব।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নার্সিং অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, ডিজিডিএসহ স্বাস্থ্যখাতের সব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবরা।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযান জোরদার হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী