দুর্ঘটনা
সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে একটি ট্রেন ভুলভাবে ট্র্যাক পরিবর্তন করায় এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার নয়াদিল্লি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
এরআগে, শুক্রবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে দক্ষিণ তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই যাওয়ার পথে কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে বালাসোর জেলায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী একটি ট্রেন, একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং আরও শতাধিক আহত হয়।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘কে এটা করেছে এবং কারণ কী তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’
কয়েক দশকের মধ্যে এটি ভারতের সবচেয়ে মারাত্মক রেল দুর্ঘটনার মধ্যে একটি।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, উচ্চগতিসম্পন্ন করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে প্রধান ট্র্যাক লাইনে প্রবেশ করার জন্য একটি সংকেত দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে সিগন্যালটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং ট্রেনটি পরিবর্তে একটি সংলগ্ন লুপ লাইনে প্রবেশ করেছিল; যেখানে এটি একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোচগুলো অন্য ট্র্যাকে উল্টে যায়, যার ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয় এবং তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
যাত্রীবাহী ট্রেনে মোট ২ হাজার ২৯৬ জন যাত্রী ছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
পণ্য বহনকারী ট্রেনগুলো প্রায়ই পাশের একটি সংলগ্ন লুপ লাইনে পার্ক করা হয়, যাতে একটি পাসিং ট্রেনের জন্য মূল লাইন পরিষ্কার থাকে।
শনিবার সন্ধ্যায় ১৫টি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং রাতভর ভারি ক্রেন ব্যবহার করে একটি ইঞ্জিন অপসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।
ওড়িশার ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মহাপরিচালক সুধাংশু সারঙ্গি বলেছেন, ইঞ্জিনে কোনও লাশ পাওয়া যায়নি এবং রবিবার সকালে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে।
মোদি শনিবার ত্রাণ তৎপরতা পরীক্ষা করতে এবং উদ্ধার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি একটি হাসপাতালও পরিদর্শন করেন, যেখানে তিনি আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কিছু রোগীর সঙ্গেও কথা বলেন।
মোদি সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কষ্ট তিনি অনুভব করছেন।
তিনি বলেন, সরকার তাদের সাহায্য করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
একটি ট্রেনের ১০ থেকে ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় এবং কিছু বিধ্বস্ত কোচের ধ্বংসাবশেষ পাশের আরেকটি ট্র্যাকের উপর পড়ে।
রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেছেন, বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে আরেকটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। যার ফলে দ্বিতীয় ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
রেল নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারতে প্রতিবছর কয়েকশো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় মানবিক ত্রুটি বা সেকেলে সিগন্যালিং যন্ত্রপাতিকে।
১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে নয়াদিল্লির কাছে দুটি ট্রেন সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মারা যায়, এটি ভারতের সবচেয়ে খারাপ ট্রেন দুর্ঘটনা।
২০১৬ সালে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ইন্দোর ও পাটনা শহরের মাঝামাঝি একটি জায়গায় লাইনচ্যুত হয়ে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রতিদিন ভারতজুড়ে ১২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) পথ ভ্রমণ করে।
আরও পড়ুন: ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ২৩৩ জন নিহত, ৯ শতাধিক মানুষ আহত
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য হটলাইন
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য বা অনুসন্ধানের জন্য একটি হটলাইন খোলা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এ বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।
আরও তথ্য জানার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে +৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ (হোয়াটসঅ্যাপ) নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ওড়িশার ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর সুধাংশু সারঙ্গি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছে: ডেপুটি হাইকমিশন
তিনি বলেন, আহত ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছে: ডেপুটি হাইকমিশন
ভারতের কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন দেশটিতে শনিবারের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি যাত্রীর সামান্য আহত হওয়ার খবর পেয়েছে। একজন কূটনীতিক ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আহত বাংলাদেশিদের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, হাইকমিশনের একটি দল দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
ভারতে গত রাতে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ২৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনায় এক ডজনেরও বগির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন আরও শতাধিক মানুষ।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
ভারতে শুক্রবার দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পরে ঘটা দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮০ জন মানুষ নিহত এবং ৯ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকশ’ মানুষ এখনও দুর্ঘটনাকবলিত বগিগুলোর মধ্যে আটকা পড়েছে।
প্রেস ট্রাস্ট জানায়, লাইনচ্যুত করমণ্ডল এক্সপ্রেস পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে দক্ষিণ তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই যাচ্ছিল।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
ওড়িশার ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর সুধাংশু সারঙ্গি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আহত ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উদ্ধারকারীরা দুর্ঘটনাকবলিত বগিগুলোর মধ্যে এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
সারঙ্গি বলেন, বগিগুলোর নিচে আরও মানুষ আটকে থাকতে পারে, তবে তাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা কম।
তিনি বলেন, ‘রাত ১০টা থেকে (শুক্রবার) আমরা জীবিতদের উদ্ধার করা শুরু করি। এরপর থেকে লাশ উদ্ধার শুরু করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আমি আমার ক্যারিয়ারে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখিনি।’
দেশটির রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেছেন, একটি ট্রেনের ১০ থেকে ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে এবং কিছু ছিন্নভিন্ন কোচের ধ্বংসাবশেষ কাছাকাছি ট্র্যাকের উপর পড়েছে। দ্বিতীয় ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
প্রেস ট্রাস্ট-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মালবাহী একটি তৃতীয় ট্রেনও দুর্ঘটনাকবলিত হয়েছিল, তবে রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা থাকায় উদ্ধারকারী ও পুলিশের দল শনিবার সকালেও উদ্ধার অভিযান অব্যঅহত রেখেছেন। রক্তদানের জন্য স্থানীয় হাসপাতালেও বহুসংখ্যক লোক উপস্থিত হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২০০ উদ্ধারকারী ১১৫টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০টি বাস এবং ৪৫টি মোবাইল হেলথ ইউনিট নিয়ে রাতভর দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করেছে।
শনিবার ওড়িশায় শোক দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক আহত যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
গ্রামবাসীরা বলেছেন, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে একটি বিকট শব্দ শুনে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধারে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
জীবিত এক যাত্রী রূপম ব্যানার্জি পিটিআইকে বলেছে, ‘স্থানীয় লোকেরা সত্যিই আমাদের সাহায্য করেছে। তারা কেবল মানুষদের উদ্ধার করতেই সাহায্য করেনি, আমাদের লাগেজ উদ্ধার করেছে এবং আমাদের জল খাইয়েছে।’
আরেক যাত্রী বন্দনা কালেদা বলেন, ‘আমি যখন ওয়াশরুম থেকে বের হলাম, হঠাৎ ট্রেনটি কাত হয়ে গেল। এসময় আমি আমার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম... সবকিছু উল্টে যায়, একজনের ওপর অন্যজন পড়তে শুরু করে।’
তিনি আরও জানান, তিনি ভাগ্যবান বলে বেঁচে গেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ২৩৩ জন নিহত, ৯ শতাধিক মানুষ আহত
অপর একজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি যিনি তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি বলেছেন যে আঘাতের সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি ভাঙ্গা অঙ্গ ও বিকৃত মুখসহ অন্যান্য যাত্রীদের দেখেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা জানিয়েছেন।
মোদি এক টুইটে লিখেছেন, ‘আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।’
আরও জানান, তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ‘সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা’ দেওয়া হচ্ছে।
রেল নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারতে প্রতিবছর কয়েকশো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় মানবিক ত্রুটি বা সেকেলে সিগন্যালিং যন্ত্রপাতিকে।
১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে নয়াদিল্লির কাছে দুটি ট্রেন সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মারা যায়, এটি ভারতের সবচেয়ে খারাপ ট্রেন দুর্ঘটনা।
২০১৬ সালে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ইন্দোর ও পাটনা শহরের মাঝামাঝি একটি জায়গায় লাইনচ্যুত হয়ে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রতিদিন ভারতজুড়ে ১২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) পথ ভ্রমণ করে।
এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতের সর্বশেষ মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনায় শুক্রবার দুই শতাধিক মানুষ নিহত এবং ৯শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনও কয়েকশ’ মানুষ দুর্ঘটনাকবলিত রেল গাড়ির মধ্যে আটকা পড়েছে।
প্রতিদিন ভারতজুড়ে ১২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) পথ ভ্রমণ করে।
রেল নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারতে প্রতিবছর কয়েকশো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় মানবিক ত্রুটি বা সেকেলে সিগন্যালিং যন্ত্রপাতিকে।
এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
২০১৮ সালের অক্টোবর- উত্তর ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের একটি শহর অমৃতসরের উপকণ্ঠে একটি ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে আতশবাজি দেখার জন্য জড়ো হওয়া জনতার ওপর দিয়ে একটি ট্রেন ছুটে যায়। যাতে কমপক্ষে ৬০ জন মারা যায় এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ২৩৩ জন নিহত, ৯ শতাধিক মানুষ আহত
২০১৬ সালের নভেম্বর- ইন্দোর ও পাটনা শহরের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ট্র্যাক থেকে লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ১৪৬ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল।
২০১১ সালের জুলাই- উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ফতেহপুরের কাছে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত এবং ২৩৯ জন যাত্রী আহত হয়।
২০১০ সালের মে- পশ্চিমবঙ্গে একটি যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ১৪৫ জন নিহত হয়। কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনার জন্য মাওবাদী বিদ্রোহীদের নাশকতাকে দায়ী করে।
২০০৫ সালের অক্টোবর- ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের ভেলিগন্ডা শহরে বন্যার পানিতে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ১১১ জন নিহত হয়। এছাড়াও প্রায় ১০০ জন যাত্রী আহত হয়।
২০০২ সালের সেপ্টেম্বর- ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনায় কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২১ জন নিহত হয়।
১৯৯৯ সালের আগস্ট- গৌহাটি শহরে দুটি ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৮৫ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়।
১৯৯৮ সালের নভেম্বর- উত্তরের শহর খান্নাতে দুই টেনের সংঘর্ষে ২১০ জন নিহত হয়।
১৯৯৫ সালের আগস্ট- নয়াদিল্লির কাছে দুটি ট্রেন সংঘর্ষে ৩৫৮ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় ৯৮ জন নিহত
ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৬০, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এর চালক ও এক পথচারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) গভীর রাতে উপজেলা সদরের দশদোনা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার আইয়ূবপুর গ্রামের মৃত জিলানীর ছেলে মো. নূরে আলম (৩২) এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার দামদরোদী গ্রামের নিরঞ্জন দাসের ছেলে রনি দাস (২৪)।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ মাসে ৫৭৯ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম জানান, দশদোনা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলের চালক নূরে আলম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী রনিকে ধাক্কা দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নুরে আলমের। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় রনিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় তিনিও মারা যান।
তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক ভাই নিহত, অপর ভাই আহত
মধুমতি সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
নাটোরে কৃষকের বুদ্ধিমত্তায় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস
নাটোরের নলডাঙ্গায় সাইদুল ইসলাম নামে এক কৃষকের বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেন।
এলাকাবাসী জানায়, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পঞ্চগড় থেকে রাজশাহীগামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর স্টেশন অভিমুখে আসতে থাকে।
এ সময় স্টেশনের উত্তর প্রান্তে একটি অননুমোদিত রেল ক্রসিংয়ের সময় ধানবাহী একটি ট্রলি রেললাইনের ওপর আটকে যায়।
ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় কৃষক সাইদুল ইসলাম তার গলার লাল গামছা খুলে ট্রেনটিকে থামার সংকেত দেয়। পরে এলাকার আরও কিছু লোক তার সঙ্গে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৭ আ.লীগ নেতাকর্মী আহত
বিষয়টি বুঝতে পেরে চালক ট্রেনটি থামিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রলিটি অপসারণ করলে ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করে।
মাধনগর স্টেশন মাস্টার আব্দুল হামিদ জানান, উভয়পক্ষের সচেতনতার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেন ও ট্রলিটি।
আরও পড়ুন: নাটোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রের মৃত্যু
ময়মনসিংহে আম কুড়াতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১০ মে) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মুক্তাগাছা পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাড়াটুঙ্গি মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ঝগড়ার মাঝে পড়ে জীবন দিল ৩ মাসের শিশু
নিহত শিশুরা হলো-ওই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে জেরিন আক্তার (৬) এবং প্রতিবেশী আমিরুল ইসলামের মেয়ে চাঁন মনি (৪)।
তারা সর্ম্পকে চাচাতো ও জেঠাতো বোন হয়।
মুক্তাগাছা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিকালে হঠাৎ ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হলে নিহত শিশু জেরিন ও চাঁন মনি বাড়ির পাশে আম কুড়াতে গিয়েছিল। এ সময় তাদের মাথায় আম গাছের ডাল ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই জেরিন মারা যায়।
পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় চাঁন মনিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ঝড়ে দুই শিশু নিহত হওয়ার খবরটি শুনেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ও রামচন্দ্রপুর এলাকায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতরা হলো-চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার দারিয়াপুর চৌহদ্দিটোলা এলাকার সাইফুলের ছেলে জাহিদ (১৯), ইসলামপুর কাজিপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে উমর ফারুক (১৭) এবং হায়াতপুর ট্যাপাপাড়া এলাকার রকিবের মেয়ে আফিয়া (৩)।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শাহজাহানপুর থেকে দুই বন্ধু জাহিদ ও উমর ফারুক একটি মোটরসাইকেলে করে জেলা শহরের দিকে আসছিলেন। এসময় শাহজাহানপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।
ওসি আরও জানান, অপরদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বিহার পাড়া মোড় এলাকায় একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে ওভারটেক করার সময় অপর একটি অটোরিকশা ধাক্কা দেয়। এসময় সামনের অটোরিকশায় মায়ের কোলে থাকা শিশু আফিয়া রাস্তায় পড়ে আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রসহ নিহত ৩
কুড়িগ্রামে ঈদে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
মাগুরায় সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
মাগুরায় চারতলা ভবনে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মাগুরা পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান জানান।
নিহত মো. আবু সালেহ ফয়সাল (২৩) পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানার আকনবাড়ি উত্তর বালিপাড়া এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে।
আবু সালেহ পিটিআই একাডেমি ভবন কাম প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ করার জন্য গত ১৪ এপ্রিল মাগুরাতে আসেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
নির্মাণ কাজের ফোরম্যান নাজমুল হাসান জানান, আবু সালেহ সকাল থেকে ওই ভবনের চারতলায় রড বাধার কাজ করছিলেন। চারতলা থেকে নামতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আবু সালেহের সঙ্গে কর্মরত অন্য শ্রমিকরা বলেন, সকালে ভাত না খেয়ে অল্প খাবার ও দুপুরে না খেয়ে রোদে চারতলা বিল্ডিংয়ের কাজ করায় অনেকটা ক্লান্ত ছিলেন তিনি। দুপুরে চারতলার থেকে নামতে গিয়ে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান।
মাগুরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ এহসানুল হক মাসুম বলেন, হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মাগুরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজম বিশ্বাস জানান, এটি দুর্ঘটনা না কি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। মাগুরা থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উলিপুরে ডায়রিয়ায় কিশোরের মৃত্যু