ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি ডিপোতে আগুনে নিহত ১৯, নিখোঁজ ৩
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীতে একটি জ্বালানি ডিপো থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার পর রবিবার আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি ও ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধার ও দমকল বাহিনী।
উত্তর জাকার্তার তানাহ মেরাহ’র ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কাছে রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি পের্টামিনা পরিচালিত প্লাম্পাং ফুয়েল স্টোরেজ স্টেশনটি অবস্থিত। এটি ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি চাহিদার ২৫ শতাংশ সরবরাহ করে।
দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার মধ্যরাতের ঠিক আগে অন্তত ২৬০ জন দমকল কর্মী এবং দমকলের ৫২টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কালো ধোঁয়া ও কমলা রঙের আগুনে আকাশ ভরে যাওয়ায় শত শত মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করছে।
জাতীয় পুলিশ প্রধান জেনারেল লিস্টিও সিগিত প্রবোও বলেন যে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে- পশ্চিম জাভা প্রদেশের পের্টামিনার বালোনগান শোধনাগার থেকে ডিপোটি জ্বালানি গ্রহণ করার কারণে অতিরিক্ত চাপের সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া
শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পের্টামিনায় উৎপাদিত এক ধরনের জ্বালানি তেলের কথা উল্লেখ করে লিস্টিও বলেন, ‘জানা গেছে যে পার্টাম্যাক্স জ্বালানি ভর্তি করার সময় আগুন লেগেছিল।’
যেহেতু এখনও তদন্ত চলছে তাই তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উদ্ধারকারীরা এখনও নিখোঁজ তিনজনকে খুঁজছেন বলে জানা গেছে। পাঁচটি হাসপাতালে প্রায় ৩৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
লিস্টিও বলেন, প্রায় এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ ঘরহারা হয়ে ১০টি সরকারি অফিস, একটি রেড ক্রস কমান্ড পোস্ট ও একটি স্পোর্টস স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার সৈকতে আরও ১৮৩ রোহিঙ্গার অবতরণ
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ: পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ১৭৪
ইন্দোনেশিয়ার সৈকতে ৫৮ রোহিঙ্গার অবতরণ
ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আচেহের একটি সমুদ্র সৈকতে কয়েক সপ্তাহ ভেসে বেড়ানোর পর রবিবার কয়েক ডজন ক্ষুধার্ত ও দুর্বল রোহিঙ্গাকে পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান রোলি ইউইজা অ্যাওয়ে বলেন, ৫৮ জনের দল রবিবার ভোরে আচেহ বেসার জেলার মাছ ধরার গ্রাম লাদং-এর ইন্দ্রপাত্র সৈকতে পৌঁছায়। গ্রামবাসীরা জাতিগত রোহিঙ্গাদের দলটিকে একটি কাঠের নৌকায় দেখে তাদের অবতরণ করতে সাহায্য করে এবং তারপর কর্তৃপক্ষকে তাদের আগমনের কথা জানায়।
ইউইজা অ্যাওয়ে আরও বলেন, ‘তারা ক্ষুধা ও পানিশূন্যতার কারণে খুব দুর্বল দেখায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সমুদ্রে দীর্ঘ ও তীব্র সমুদ্রযাত্রার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আচেহ-তে অভিবাসন ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করার সময় রোহিঙ্গারা গ্রামবাসী ও অন্যদের কাছ থেকে খাবার, পানি পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং অন্যরা বিভিন্ন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আন্দামান সাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেসে বেড়ানো একটি ছোট নৌকায় থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে বিশ্বাস করা ১৯০ জনকে উদ্ধার করার জন্য শুক্রবার জাতিসংঘ ও অন্যান্য গ্রুপগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে অনুরোধ করে।
আরও পড়ুন: অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জুলিয়েটা ভলস নয়েসের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
অবিলম্বে ২০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকা উদ্ধার করুন: দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংসদ সদস্যদের আহ্বান
ইন্দোনেশিয়ার জাভায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভা শনিবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। তবে হতাহতের কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পটি ৫ দশমিক ৭ মাত্রার। এটি ১১২ কিলোমিটার (৭০ মাইল) গভীরতায় পশ্চিম জাভা এবং মধ্য জাভা প্রদেশের মধ্যবর্তী শহর বানজার থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে কেন্দ্রীভূত ছিল।
এর আগে গত ২১শে নভেম্বর একটি ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে পশ্চিম জাভার সিয়াঞ্জুর শহরে কমপক্ষে ৩৩১ জন নিহত এবং প্রায় ৬০০ জন আহত হন। সুলাওয়েসিতে ২০১৮ সালের ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রায় চার হাজার ৩৪০ জন নিহত হওয়ার পর এটি ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮
ইন্দোনেশিয়ার মেটিওরোলজি, ক্লাইমাটোলজি এন্ড জিওফিজিক্যাল এজেন্সির প্রধান দ্বিকোরিতা কর্নাবতী বলেছেন, সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই, তবে সম্ভাব্য আফটারশকের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পটি ৬ দশমিক ৪ মাত্রার।
২৭০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের বাসকারী দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামি আক্রান্ত হয়। কারণ এটি ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় বেসিনে আগ্নেয়গিরি এবং ফল্ট লাইনের মাঝে অবস্থিত।
২০০৪ সালে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্পের ফলে সুনামি আঘাত করে। যা ফলে এক ডজন দেশে দুই লাখ ৩০ হাজার জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। যাদের বেশিরভাগই ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫২
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ৪৬ জনের মৃত্যু, আহত ৭০০
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভাতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৬৮ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া বাড়িঘর এবং ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ খুঁজে পেতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বুধবার আরও উদ্ধারকারী ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকালে দেশটিতে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে এই প্রাণহানি ও বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকারী দল আরও ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শহর সিয়াঞ্জুরে পৌঁছেছে। সোমবার বিকালের ভূমিকম্পে আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসে। যাদের অনেকে রক্তাক্ত ও ধ্বংসাবশেষে আহত ছিল।
আরও পড়ুন: উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত
এর আগে পুলিশ, উদ্ধারকারী দল, স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হলেও বুধবার এই যাত্রায় ১২ হাজারেরও বেশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের যুক্ত করা হয় উদ্ধার কাজ দ্রুত করার জন্য।
ভূমিকম্পের পরবর্তী ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, সেতু এবং বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউট এবং ভারী যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারীদের কাজে বিঘ্ন ঘটে। ভূমিধসের কারণে রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ হয়ে যায় এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাড়িচালককে চাপা দেয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫২
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ৪৬ জনের মৃত্যু, আহত ৭০০
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫২
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভাতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫২ জনে পৌঁছেছে। এছাড়াও এখনও কয়েকশ’ মানুষ আহত হয়ে চিকিসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া বাড়িঘর এবং ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ খুঁজে পেতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে সোমবার বিকালে দেশটিতে পাঁচ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে এই প্রাণহানি ও বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকারী দল আরও ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শহর সিয়াঞ্জুরে পৌঁছেছে। সোমবার বিকালের ভূমিকম্পে আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসে। যাদের অনেকে রক্তাক্ত ও ধ্বংসাবশেষে আহত ছিল।
ভূমিকম্পের পরবর্তী ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, সেতু এবং বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউট এবং ভারী যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারীদের কাজে বিঘ্ন ঘটে। ভূমিধসের কারণে রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ হয়ে যায় এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাড়িচালককে চাপা দেয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ৪৬ জনের মৃত্যু, আহত ৭০০
মঙ্গলবার ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ফোন যোগাযোগের উন্নতি হতে শুরু করেছে।
পশ্চিম জাভা গভর্নর রিদওয়ান কামিল নিহতদের সংখ্যা ঘোষণার সময় বলেন, প্রত্যন্ত, গ্রামীণ এলাকায় বিল্ডিং ধসে পড়ার সময় সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনেকে তাদের সেদিনের ক্লাস শেষ করে ইসলামিক স্কুলে অতিরিক্ত পাঠ নিচ্ছিল।
হাসপাতালগুলো আহতদের দ্বারা পূর্ণ হয়েছিল এবং এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। বড় গ্রামীণ এলাকাটির জনসংখ্যার কারণে তাৎক্ষণিকভাকে ক্ষয়ক্ষতির কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি। অনেকগুলো অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ফলে এলাকার বাসিন্দা এবং জরুরি কর্মীরা ভয়ঙ্কর সংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলেন।
পাবলিক ওয়ার্কস অ্যান্ড হাউজিং মুখপাত্র এন্ড্রা আত্মাভিদজাজা বলেছেন, উদ্ধার কার্যক্রমে সিয়াঞ্জুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কারণ এই সকল এলাকায় বেশি মানুষ এখনও আটকে আছে বলে ধারণা করা হয়।
আত্মাভিদজাজা বলেন, ‘আমরা মানুষকে উদ্ধার করার জন্য সময় নিয়ে দৌড়াচ্ছি,’ গাছ এবং মাটি দ্বারা সিয়াঞ্জুর এবং সিপানাস শহরের সংযোগকারী অবরুদ্ধ রাস্তাগুলোকে পরিষ্কার করতে পার্শ্ববর্তী বান্দুং এবং বোগর শহর থেকে সাতটি খননকারী এবং ১০টি বড় ট্রাক মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানী জাকার্তা থেকে খাদ্য, তাঁবু, কম্বল এবং অন্যান্য সরবরাহ বহনকারী কার্গো ট্রাকগুলো অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বিতরণের জন্য মঙ্গলবার ভোরে পৌঁছায়। তারপরও আবারও ভূমিকম্পের ভয়ে খোলা জায়গায় রাত কাটিয়েছে হাজারো মানুষ।
পার্শ্ববর্তী জেলায় ইসলামিক শিক্ষা ফাউন্ডেশনে কর্মরত দ্বি সারমাদি বলেন, ‘বিল্ডিংগুলো সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে।’
সিয়াঞ্জুর শহরে আনুমানিক এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ বাস করে। যেটি পার্বত্য ২৫ লাখ মানুষের জেলার অংশ। তারা ধার্মিক হিসেবে পরিচিত। সিয়াঞ্জুরের বেশিরভাগ মানুষ শহরের একতলা বা দোতলা বাড়িতে বাস করেন।এছাড়া আশেপাশের গ্রামাঞ্চলেও ছোট বাড়িতে থাকেন তারা।
কামিল বলেছেন যে ১৩ হাজারেরও বেশি লোকের বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদেরকে সরিয়ে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জরুরি কর্মীরা হাসপাতালের বাইরে, টেরেস এবং পার্কিং লটে স্ট্রেচার এবং কম্বলে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। শিশুসহ আহতদের অক্সিজেন মাস্ক এবং আইভি লাইন দেয়া হয়েছে।
শত শত মানুষ সিয়াঞ্জুর আঞ্চলিক হাসপাতাল ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছে।
সারমাদি বলেন, ‘আমি আমার অফিস বিল্ডিংয়ের ভিতরে কাজ করছিলাম। ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তবে ভূমিকম্পে খুব প্রবলভাবে কেঁপে উঠলে অনেক কিছু পড়ে যায়। এতে আমার পায়ে ভারী জিনিসের আঘাত লেগেছে।’
সারমাদি হাসপাতালের বাইরে একটি তাঁবুর কাছে ক্লিনিকে তাকে দেখতে না পেয়ে অনেক লোক অপেক্ষা করছিলেন। অনেক লোক খারাপ অবস্থায় আসছিল।
তিনি বলছিলেন, ‘আমি সত্যিই আশা করি তারা শিগগিরই আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারবে।’
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, পাঁচ দশমিক ছয় মাত্রার ভূমিকম্পটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে ১০ কিলোমিটার (ছয় দশমিক দুই মাইল) গভীরে ছিল। এটি বৃহত্তর জাকার্তা অঞ্চলে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। প্রায় তিন ঘন্টার দূরবর্তী জায়গা থেকে উঁচু-নিচু জায়গাগুলো দোলা দিয়েছিল এবং কিছু লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
সিয়াঞ্জুরের অনেক বাড়িতে, কংক্রিটের টুকরো এবং ছাদের টাইলস বেডরুমের ভিতরে পড়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা, এবং ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা কমপক্ষে ২৫টি কম্পন রেকর্ড করেছে।
২৭০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের দেশটি প্রায়শই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামিতে আক্রান্ত হয়। কারণ এটি ‘রিং অফ ফায়ার’ নামে পরিচিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় বেসিনে আগ্নেয়গিরি এবং ফল্ট লাইনের চাপে অবস্থিত।
ফেব্রুয়ারিতে, পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে একটি ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং ৪৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে, পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে একশ’র বেশি লোক নিহত এবং প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জন আহত হয়।
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং সুনামিতে বেশ কয়েকটি দেশে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল ইন্দোনেশিয়ায়।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
ঢাকায় ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ৪৬ জনের মৃত্যু, আহত ৭০০
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে সোমবার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এসময় প্রায় ৭০০ মানুষ আহত হয়েছেন।
এসময় রাজধানীর কয়েক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বাসিন্দারা দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে রাস্তায় আশ্রয় নেয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে যে পশ্চিম জাভার সিয়ানজুড় শহরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ভ্যান খাদে পড়ে নিহত ২০, আহত ১৩
ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির প্রধান সুহরিয়ানতো বলেছেন, ‘সিয়ানজুর আঞ্চলিক হাসপাতালে ৪৬ জন মৃত এবং প্রায় ৭০০ জন আহত লোক রয়েছে। ধসে পড়া ভবনের আঘাতে অনেকেই আহত হয়েছেন।’
সংস্থাটি জানিয়েছ, সিয়ানজুরের আশেপাশে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল, একটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য পাবলিক সুবিধা সহ কয়েক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য এখনও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দক্ষিণ জাকার্তার একজন কর্মচারী ভিদি প্রিমধানিয়া বলেন, ‘ভূমিকম্পটি খুব শক্তিশালী অনুভূত হয়েছিল। আমার সহকর্মীরা এবং আমি জরুরি সিঁড়ি ব্যবহার করে নবম তলায় আমাদের অফিস থেকে বের হই।’
বিস্তীর্ণ দ্বীপপুঞ্জের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। তবে জাকার্তায় এর পরিমাণ খুব কম।
২৭০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাসকারী এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকায় আগ্নেয়গিরি এবং ফল্ট লাইনের একটি আর্ক ‘রিং অফ ফায়ার’ এর অবস্থানের কারণে প্রায়ই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে আক্রান্ত হয়৷
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে একটি ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং ৪৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে, পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ১০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং প্রায় ৬৫০০ জন আহত হয়।
২০০৪ সালে একটি শক্তিশালী ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে এক ডজন দেশে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল ইন্দোনেশিয়ায়।
আরও পড়ুন: মিজোরামে পাথর খনি ধসে ৮ জনের মৃত্যু
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৬ আসামির মুক্তির নির্দেশ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া: রাষ্ট্রদূত
ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে দেশটির ঢাকাস্থ ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস। বৃহস্পতিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি বর্ধিত অংশীদারিত্ব প্রদর্শন করে দিবসটি উদযাপন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক বিভাগ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামরিক কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষাবিদদের পাশাপাশি সাংবাদিক অতিথিদের স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত হেরু তুলে ধরেন, এ বছর ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও আরও বেশ কিছু খাতে সহযোগিতা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আশিয়ান-এ ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা এবং জি ২০-তে ইন্দোনেশিয়ার সভাপতিত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
মন্ত্রী এসময় জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন বহুপক্ষীয় সংস্থার অংশীদার থেকে শুরু বিভিন্ন শক্তিশালী সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশসমূহের চারটি সংস্থার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এগুলো হলো- জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম উল্লেখযোগ্য।
হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে ইন্দোনেশিয়ার আরও বেশি ভূমিকার প্রত্যাশাও করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ইন্দোনেশিয়ার আগ্রহের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের কথার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী এও কামনা করেন যে বর্তমান সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উন্নত করার একটি উপায় হিসেবে কাজ করবে।
এসময সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলার পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথিদের আকৃষ্ট করতে ‘ইন্দোনেশিয়ান পণ্য প্রদর্শনী’- শিরোনামের বেশ কয়েকটি রপ্তানিমুখী পণ্যের প্রচার করা হয়।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কম দামে রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কমাতে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কথা ভাবছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে উইদোদো বলেছেন, ‘আমরা সর্বদা সমস্ত বিকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করি। যদি কোনো দেশ আমাদের ভালো দামে দেয় আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করবো।’
আরও পড়ুন:দশ বছর মেয়াদী ভিসা দিচ্ছে থাইল্যান্ড: কারা যোগ্য?
মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসাবে আর্থিক উদ্বেগ উল্লেখ করে উইদোদো চলতি মাসের শুরুতে ভর্তুকিযুক্ত জ্বালানির দাম ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী দেশটির রাজধানী জাকার্তা এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেছে।
জি-৭ ভুক্ত দেশের বেঁধে দেয়া মূল্যের চেয়ে বেশি দামে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনার যেকোনো সিদ্ধান্ত ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনমন্ত্রী স্যান্ডিয়াগা উনো আগস্টে দাবি করেছেন যে, ইন্দোনেশিয়া রাশিয়ান পেট্রোলিয়ামে ৩০ শতাংশ ছাড় পেয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কর্পোরেশন পেরটামিনা তখন জানিয়েছিল, তারা রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়ে সম্ভাব্য সব ঝুঁকি পরীক্ষা করে দেখছে।
ক্রমবর্ধমান খাদ্য খরচের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়ায় আগস্টে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ৪ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত
আসিয়ান ঢাকা কমিটির ৫৫তম আসিয়ান দিবস উদযাপন
ঢাকায় ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসে সোমবার অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) প্রতিষ্ঠার ৫৫তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে আসিয়ান ঢাকা কমিটি (এডিসি)।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন পূর্ব-রেকর্ড করা ভিডিও ভাষণের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হাজি হারিস ওসমান, ইন্দোনেশিয়ারর রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মো, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন, ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটের মিশন প্রধান শীলা পিল্লাই, ফিলিপাইনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ক্রিশ্চিয়ান হোপ ভি. রেয়েস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে আসিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল হয়, যা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ওপর ভিত্তি করে আসিয়ান ঐক্য ও সম্প্রীতিকে প্রতিফলিত করে।
কয়লার প্রথম চালান রামপালে, অক্টোবরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে জ্বালানির কয়লার প্রথম চালান পৌঁছেছে এবং অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে শুক্রবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজিম জানান, বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি আকিজ হেরিটেজ’ করে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৩১ জুলায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
তিনি জানান, সেখান থেকে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা হয় এবং তিনটি লাইটার জাহাজে করে বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টার্মিনালে আনা হয়।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
ডিজিএম আনোয়ারুল আজিজ জানান, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে, এরপর অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনে যাবে।
এমভি আকিজ হেরিটেজের মালিক ও টগি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক মো. খানদাকার রিয়াজুল হক জানান, গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তানজুম ক্যাম্ফা বন্দর থেকে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর গত ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজটি ভিড়ে। সেখানে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে তিনটি লাইটার জাহাজে ওঠানো। বাকি ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আকিজ হেরিটেজ মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের মতে, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড (বিএইচএল),
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিদ্যুৎ সুবিধা বাড়াতে পায়রা ও রামপালের বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মূল অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যাল লিমিটেড (বিএইচইল) নামে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা। ২০১০ সালে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় নির্মাণকাজ।
প্রকল্পটির নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এখান থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে।