মেয়র
৩ মাসের মধ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন নতুন এলাকার সড়ক নির্মাণকাজ শেষ: আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকার অন্তত তিনটি প্রধান সড়কের নির্মাণকাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সড়কের জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে রবিবার (৯ জুলাই) বিকালে নগর ভবনে ডিএনসিসি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র বলেন, ‘জনদুর্ভোগ কমাতে নতুন এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিনটি প্রধান সড়ক: কসাইবাড়ি রোড, আজমপুর রোড ও হরিরামপুর রোড আগামী ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।’
এছাড়া প্রকল্পের আওতাধীন অন্যান্য সড়কের উন্নয়ন কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নতুন এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে দ্রুত গতিতে এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
মেয়র বলেন, ‘আমি ওই এলাকার জনগণকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছি। রাস্তার সীমানার মধ্যে যাদের অবৈধ স্থাপনা আছে, নিজ থেকে সরিয়ে ফেলুন। আমরা সিটি করপোরেশন থেকে কোনো নোটিশ জারি করব না। মালিকরা যদি স্থাপনাগুলো অপসারণ না করে তাহলে সিটি করপোরেশন বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবে।’
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ব্যবস্থার উন্নয়ন (ফেজ-১) শীর্ষক ৪০২৫.৬২ কোটি টাকার জিওবি প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি প্রধান সড়ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের অন্যান্য সড়কের কাজও অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিএনসিসি ও স্কাউট
রাজশাহী ও সিলেটের নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথ গ্রহণ
রাজশাহীর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দুই সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
পরে দুই সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের ৭৬ জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররাও একই স্থানে শপথ নেন।
এর মধ্যে রাজশাহীর ৪০ জন ও সিলেটের ৩৬ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিচ্ছেন নবনির্বাচিত বরিশাল, খুলনা ও গাজীপুর সিটির মেয়ররা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম।
এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য উপস্থিত ছিলেন।
গত ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুর্শিদ আলমকে ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোটে পরাজিত করেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০টি।
একই দিনে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুকে ৫০ হাজার ৩২১ ভোট পরাজিত করেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪টি।
আরও পড়ুন: বরিশালে শপথ গ্রহণের ৫ দিন আগে কাউন্সিলরের মৃত্যু
এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নগরীর নথুল্লাবাদে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির প্রতীক বিতরণ করেন।
তাদের বরাদ্দ প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন মেয়র প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
প্রার্থী ও তাদের প্রতীকগুলো হলো- আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।
খুলনা সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ৪ মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৩
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে জাকের পার্টির প্রার্থীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনজন মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।
ফলে কেসিসি নির্বাচনে বৈধ তিন মেয়র প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল এবং জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
বাতিল চার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মধ্যে এস এম শফিকুর রহমান, আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম তাদের ৩০০ ভোটারের সমর্থনকারীদের সমর্থনে তথ্য ভুল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আয়কর রিটার্ন দাখিল, রশিদ ও প্রত্যয়নপত্র জমা না দেওয়ায় জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সলর পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই চলছে। যাচাই বাছাই শেষ হলে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা দিবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
গত ১৬ মে খুলনা নির্বাচন কার্যালয়ে সাত মেয়র প্রার্থীসহ সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সলর পদে মোট ১৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন।ি
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: বিএনপি নেতা কায়সারের বাড়িতে হামলা, নির্বাচনে অংশ না নিতে হুমকি
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাত প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কেসিসি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ মঙ্গলবার (১৬ মে)।
জেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, কেসিসি নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৯৫ জন প্রার্থী।
মেয়র পদে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগুয়ান-৭১ এর আবদুল্লাহ চৌধুরী ও সাম্যবাদী দলের সাবেক নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম।
এছাড়া নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৪৯ জন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৯ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: কেসিসি ভোট: মেয়র পদে ৭ জনসহ ২২২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় প্রার্থীসহ ৫ জনকে আসতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের কথা বলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
কেসিসি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। আগামী ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।
৩১টি ওয়ার্ডের অধীনে মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ (৫ দশমিক ৩৫ লাখ) ভোটার ১২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বন্ধ থাকা কেসিসির উন্নয়ন প্রকল্প ফের শুরু
কেসিসির নবনির্বাচিত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন (কেসিসি) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার জন্য মনোনয়নপত্রসংগ্রহ করছেন প্রার্থীরা।
বুধবার (৩ মে) বিকাল পর্যন্ত কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জনসহ ১৫৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এদিন দুপুরে আগুয়ান-৭১ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর আগে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আওয়াল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফফার বিশ্বাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন জানান, বুধবার বিকাল পর্যন্ত মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ইসির
গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
মুসলিম মেয়রকে হোয়াইট হাউসের ঈদ উদযাপনে বাধা
নিউ জার্সির প্রসপেক্ট পার্কের একজন মুসলিম মেয়রকে মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউস একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাধা দিয়েছে।
সোমবার তাকে তারা এই বাধা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস।
মেয়র মোহাম্মদ খায়রুল্লাহ বলেন, ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের জন্য তিনি হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস তাকে কল করে জানায় যে তাকে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি এবং তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।
অনুষ্ঠানে বাইডেন শত শত অতিথির উদ্দেশ্যে মন্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করেননি কেন সিক্রেট সার্ভিস তার প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
পরে ৪৭ বছর বয়সী খায়রুল্লাহ আমেরিকান-ইসলামিক সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের নিউ জার্সি শাখাকে অবহিত করেন যে তাকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ভিসা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র, ‘মাফ করবে না’ রাশিয়া
গোষ্ঠীটি বাইডেন প্রশাসনকে এফবিআইয়ের তথ্য প্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে যা সন্ত্রাসবাদী স্ক্রীনিং ডেটা সেট হিসাবে পরিচিত যার মধ্যে কয়েক হাজার ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গ্রুপটি খায়রুল্লাহকে জানিয়েছিল যে তার নাম এবং জন্মতারিখ সহ একজন ব্যক্তি একটি ডেটাসেটে ছিলেন যা ২০১৯ সালে সিএআইআর অ্যাটর্নিরা পেয়েছিলেন।
খায়রুল্লাহ বেশ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার একজন স্পষ্ট সমালোচক ছিলেন। যে নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের ভ্রমণকে সীমিত করেছিল।
তিনি সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি এবং ওয়াতান ফাউন্ডেশনের সঙ্গে মানবিক কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ও সিরিয়া ভ্রমণ করেছেন।
খায়রুল্লাহ সোমবার সন্ধ্যায় নিউ জার্সিতে বাড়ি যাওয়ার সময় একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘এটি আমাকে বিস্মিত, হতবাক এবং হতাশ করেছে।’ ‘এটা কোন বিষয় নয় যে আমি একটি পার্টিতে যেতে পারিনি। তাই আমি যাইনি। এবং এটি এমন একটি তালিকা যা আমার পরিচয়ের কারণে আমাকে টার্গেট করেছে। এবং আমি মনে করি না যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অফিস এই ধরনের প্রোফাইলিং নিচে থাকা উচিত।’
ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি নিশ্চিত করেছেন যে খায়রুল্লাহকে হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তবে কেন তা বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন। খায়রুল্লাহ জানুয়ারিতে বরোর মেয়র হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হন।
গুগলিয়েলমি এক বিবৃতিতে বলেছেন,‘যদিও আমরা এটির কারণে কোনো অসুবিধার জন্য দুঃখিত, তবে মেয়রকে আজ সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ ‘দুর্ভাগ্যবশত আমরা হোয়াইট হাউসে আমাদের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত সুনির্দিষ্ট প্রতিরক্ষামূলক উপায় এবং পদ্ধতি সম্পর্কে আরও মন্তব্য করতে পারছি না।’
হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সিএআইআর-এর নিউ জার্সি শাখার নির্বাহী পরিচালক সেলাদিন মাকসুত এই পদক্ষেপকে ‘সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
মাকসুত বলেন, ‘যদি এই ধরনের ঘটনাগুলো মেয়র খায়রুল্লাহর মতো উচ্চ-প্রোফাইল এবং সু-সম্মানিত আমেরিকান-মুসলিম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ঘটতে থাকে, তাহলে এটি প্রশ্ন জাগবে; মেয়রের এমন কী আছে যার দৃশ্যমানতা নেই এবং তার প্রবেশাধিকার নেই?
খায়রুল্লাহ বলেছেন যে তাকে ২০১৯ সালে কর্তৃপক্ষ আটক করেছিল এবং নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এবং সে কোনো সন্ত্রাসীকে চেনে কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি ব্যাংক ব্যর্থতা: ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক জেপি মরগানের কাছে বিক্রি
ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি তুরস্কে পারিবারিক সফর শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন যেখানে তার স্ত্রীর পরিবার রয়েছে।
অন্য একটি অনুষ্ঠানে, তিনি বলেছিলেন যে তিনি পরিবারের সঙ্গে দেশে ফিরে যাওয়ার সময় তাকে মার্কিন-কানাডা সীমান্তে সংক্ষিপ্তভাবে রাখা হয়েছিল।
গ্রুপটি বলেছে যে খায়রুল্লাহ নিউ জার্সি ডেমোক্রেটিক পার্টিকে স্থানীয় মুসলিম নেতৃত্বের নাম কম্পাইল করতে সাহায্য করেছিল হোয়াইট হাউসের ঈদ উদযাপনে আমন্ত্রণ জানাতে এবং সপ্তাহান্তে নিউ জার্সির গভর্নরের প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন।
খায়রুল্লাহ সিরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে হাফেজ আল-আসাদের সরকারের দমন-পীড়নের মধ্যে তার পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে প্রসপেক্ট পার্কে যাওয়ার আগে তার পরিবার সৌদি আরবে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি সেখানে বসবাস করছেন।
তিনি ২০০০ সালে একজন মার্কিন নাগরিক হয়েছিলেন এবং ২০০১ সালে শহরের মেয়র হিসাবে তার প্রথম মেয়াদে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি তার সম্প্রদায়ের একজন স্বেচ্ছাসেবক ফায়ার ফাইটার হিসাবে ১৪ বছর অতিবাহিত করেছিলেন।
খায়রুল্লাহ বলেছেন যে তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সিরিয়ায় সাতটি ভ্রমণ করেছিলেন কারণ গৃহযুদ্ধ দেশের বেশিরভাগ অংশকে ধ্বংস করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি সিরিয়ান এবং আপনি জানেন যে আমরা টিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে যা দেখেছি তা দেখা এবং লোকেদের সাহায্য করার জন্য সাড়া না দেওয়া খুব কঠিন ছিল,’ ‘মানে আমরা খুব অসহায় বোধ করি।’
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজীপুরে মেয়র পদে সাবেক সচিব নিয়াজউদ্দিনকে মনোনয়ন দিল জাতীয় পার্টি
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাবেক সচিব এম এম নিয়াজউদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি।
সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জলিল ইউএনবিকে জানান, দলের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশালে এবং ২ জুন রাজশাহী ও সিলেটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন আ. লীগের
বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের অনুদান দেওয়া হবে ২ কোটি টাকা: মেয়র তাপস
৫ সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন আ. লীগের
দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিন নতুন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
দলীয় দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়র পদে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন রাজশাহীতে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক, বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, গাজীপুরে অ্যাডভোকেট আজমতুল্লাহ খান ও সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার মেয়র পদে তিনজন নতুন মুখ আনা হয়েছে এবং বাকিরা বর্তমান মেয়র।
গত ৩ এপ্রিল পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশালে এবং ২ জুন রাজশাহী ও সিলেটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফরুল্লাহ, ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম নিলেন ৪১ প্রার্থী
মামলা প্রত্যাহারে হুমকির অভিযোগ: কুয়াকাটার মেয়রের বিরুদ্ধে সমন জারি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
কুয়াকাটার কেরানীপাড়ার সুইচিং মং রাখাইন হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই সমন জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে কলাপাড়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মামুনুর রহমান এ আদেশ জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন
মেয়র আনোয়ার হাওলাদার সুইচিং মং রাখাইন হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য তার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ০৩ মার্চ মেয়রের বিরুদ্ধে কলাপাড়া আদালতে মামলা করেন তিনি।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত সিআইডি পরিদর্শক, পটুয়াখালী, মো. বাহাউদ্দিন ফারুকীকে বিজ্ঞ আদালতে এ বিষয়ে তদন্ত-পূর্বক রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর প্রতিবেদনে হুমকি দেয়ার সত্যতা উঠে আসায় আদালত কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে এ সমন জারির আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে মামলা প্রত্যাহারে চাপ, সহোদরাকে নির্যাতনের অভিযোগ
বরিশালের মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি