দুর্ঘটনা
ভাসানচরে দুর্ঘটনার কবলে কন্টেইনারবাহী জাহাজ
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলের ভাসানচরে দুর্ঘটনায় নিমজ্জিত চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারবাহী জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস। এতে মালামাল ভর্তি ৩টি কন্টেইনার সাগরে ভেসে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সূত্রে এ এ তথ্য জানানো হয়। জাহাজটি উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর সদস্যরা।
আইএসপিআর জানায়, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে কনটেইনারবাহী জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। এ সময় জাহাজটি কাত হয়ে গেলে ৯৬ টিইইউসের মধ্যে তিনটি কনটেইনার পানিতে ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানায়, বন্দর থেকে জাহাজটি সী গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভাড়ায় নিয়ে পরিচালনা করছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এটি সাগরে দুর্ঘটনায় পড়ে। জাহাজের নাবিকদের একটি বোটে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর চার্টারারের নিযুক্ত একটি টেকনিক্যাল টিম (ডলফিন মেরিন) চেষ্টা করছে জাহাজের পানি ও কনটেইনার অপসারণের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বন্দরের শক্তিশালী টাগবোট কাণ্ডারী-১১সহ ভাড়া করার একটি টাগ দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবি, ১৩ জন উদ্ধার
নড়াইলে ইজিভ্যান দুর্ঘটনায় নববধূর মৃত্যু
নড়াইলের লোহাগড়া ব্যাটারিচালিত ইজিভ্যান দুর্ঘটনায় এক নববধূ নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সারোল বৌবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তাহেরা খানম (১৯) লোহাগড়ার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের নাওরা গ্রামের কামরুল সিকদারের মেয়ে। প্রায় তিন মাস আগে তাহেরার বিয়ে হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তাহেরা বাবার বাড়ি নাওরা গ্রাম থেকে স্বামী সুজন মোল্যার সঙ্গে ইজিভ্যানে দিঘলিয়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সারোল বৌবাজার মোড়ে ইজিভ্যান বাঁক নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাহেরা আহত হন। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তার মৃত্যু হয়।
তবে তাহেরার স্বামী ও ভ্যানচালক সুস্থ আছেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
মহারাষ্ট্রে বাস দুর্ঘটনার পর আগুন লেগে নিহত ২৫
সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ওটি সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৩ ঘন্টা পর ৪ জনের মধ্যে ইঞ্জিনরুম থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
বাকি ৩ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি। রবিবার (২ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে জাহাজের ২য় ইঞ্জিনরুমের কর্নার থেকে তার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া আব্দুস সালম হৃদয় (২৭) জাহাজের গ্রিজারম্যান (ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিনিয়ারের সহকারী)।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গা উপকূলে ৮৫০ টন ডালসহ জাহাজ দুর্ঘটনা
দুঘর্টনাকবলিত জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর কর্তৃপক্ষ মাহাবুবুর রহমান জানান, জাহাজটিতে ১৩জন স্টাফ কর্মরত ছিল। ঈদের কারণে কয়েকজন ছুটিতে ছিলো। ছুটির দিন থাকার কারণে জানা সম্ভব হয়নি কে কে ছুটিতে ছিল।
তিনি জানান, এই ঘটনার পর থেকে এক পর্যায়ে জাহাজে ইঞ্জিন রুমে পানি প্রবেশ করে ১১ লাখ লিটার পেট্টোল ও ডিজেল বহনকারী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। পদ্মা পেট্টোলিয়াম করপোরেশন অন্য দুটো জ্বালানিবাহী জাহাজ দিয়ে জ্বালানি অপসারণ করে ডিপোতে নিয়ে আসে এবং জ্বালানির কোনো ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনা তদন্তে জিএম আব্দুস সোবাহানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাফায়েত আরবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিখোঁজদের সন্ধ্যানে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ, ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সার্বিক সহযোগীতা করছে।
তিনি আরও জানান, ইঞ্জিনরুম থেকে এক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় তিনি ইঞ্জিন রুমের দায়িত্বে ছিলেন।
বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচএম রাশেদুল জানান, শঙ্কা থাকলেও জাহাজ থেকে কোনো তেল নির্গত হয় নি। সে কারণে এক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য কোনো হুমকি নেই।
জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল এই ঘটনার পর থেকে সার্বক্ষনিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় বিষয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ডাটা বক্স ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে
নেপাল-ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি: বাংলাদেশে ভারতীয় সহযোগিতা 'দৃশ্যমান', বললেন নসরুল
নাটোরে মাটিবাহী ট্রাক্টরের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত, আহত ১
নাটোরের লালপুরে মাটিবাহী ট্রাক্টরের ধাক্কায় ভ্যানের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অপর এক নারী। শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মোহরকয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধা আফিয়া (৬০) মোহরকয়া গ্রামের জলির খামারুর স্ত্রী।
আহত নারী হলেন আনজেরা (৫৫)। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল হোসেন জানান যে দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মোহরকয়া এলাকায় মাটিবাহী ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন যে উত্তেজিত গ্রামবাসী ট্রাক্টরটি ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
কুষ্টিয়ায় আ. লীগ কর্মী ছুরিকাঘাতে নিহত
ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে শনিবার একটি মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে সাতজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, দুইজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাইমুল ইসলাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে মাইক্রোবাসে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চাকা বিস্ফোরণ হয়ে মার্কেটে ঢুকে গেল বাস, আহত ৩০
আহত মাইক্রোবাস চালক সদর উপজেলার বাসিন্দা মৃদুল মালো বিএসএমএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের বাড়ি জেলার বোয়ালমারী উপজেলায়।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং আহত চালকের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজির বাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক ও শ্রমিকবাহী পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও তিনজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস, সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সিএনজি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত, আহত ১
নিহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়া (৪৫) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়াহিদ আলী (৪০)।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছালে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্যাংকলরি ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত
ঘটনাস্থলে ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান। আর ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জুয়েল আহমদ সকাল পৌনে ৯টার দিকে জানান, হাসপাতালে মারা গেছেন আরও তিনজন।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর নাজির বাজারের দু'দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় তিন ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কটিতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসি এবং সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের লাশ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠাই।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা আশপাশে সন্ধান চালাচ্ছি আর কোনো হতাহত পড়ে আছে কি না দেখার জন্য।'
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে একটি ট্রেন ভুলভাবে ট্র্যাক পরিবর্তন করায় এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার নয়াদিল্লি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
এরআগে, শুক্রবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে দক্ষিণ তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই যাওয়ার পথে কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে বালাসোর জেলায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী একটি ট্রেন, একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং আরও শতাধিক আহত হয়।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘কে এটা করেছে এবং কারণ কী তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’
কয়েক দশকের মধ্যে এটি ভারতের সবচেয়ে মারাত্মক রেল দুর্ঘটনার মধ্যে একটি।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, উচ্চগতিসম্পন্ন করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে প্রধান ট্র্যাক লাইনে প্রবেশ করার জন্য একটি সংকেত দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে সিগন্যালটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং ট্রেনটি পরিবর্তে একটি সংলগ্ন লুপ লাইনে প্রবেশ করেছিল; যেখানে এটি একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোচগুলো অন্য ট্র্যাকে উল্টে যায়, যার ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয় এবং তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
যাত্রীবাহী ট্রেনে মোট ২ হাজার ২৯৬ জন যাত্রী ছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
পণ্য বহনকারী ট্রেনগুলো প্রায়ই পাশের একটি সংলগ্ন লুপ লাইনে পার্ক করা হয়, যাতে একটি পাসিং ট্রেনের জন্য মূল লাইন পরিষ্কার থাকে।
শনিবার সন্ধ্যায় ১৫টি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং রাতভর ভারি ক্রেন ব্যবহার করে একটি ইঞ্জিন অপসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।
ওড়িশার ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মহাপরিচালক সুধাংশু সারঙ্গি বলেছেন, ইঞ্জিনে কোনও লাশ পাওয়া যায়নি এবং রবিবার সকালে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে।
মোদি শনিবার ত্রাণ তৎপরতা পরীক্ষা করতে এবং উদ্ধার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি একটি হাসপাতালও পরিদর্শন করেন, যেখানে তিনি আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কিছু রোগীর সঙ্গেও কথা বলেন।
মোদি সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কষ্ট তিনি অনুভব করছেন।
তিনি বলেন, সরকার তাদের সাহায্য করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
একটি ট্রেনের ১০ থেকে ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় এবং কিছু বিধ্বস্ত কোচের ধ্বংসাবশেষ পাশের আরেকটি ট্র্যাকের উপর পড়ে।
রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেছেন, বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে আরেকটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। যার ফলে দ্বিতীয় ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
রেল নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারতে প্রতিবছর কয়েকশো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় মানবিক ত্রুটি বা সেকেলে সিগন্যালিং যন্ত্রপাতিকে।
১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে নয়াদিল্লির কাছে দুটি ট্রেন সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মারা যায়, এটি ভারতের সবচেয়ে খারাপ ট্রেন দুর্ঘটনা।
২০১৬ সালে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ইন্দোর ও পাটনা শহরের মাঝামাঝি একটি জায়গায় লাইনচ্যুত হয়ে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রতিদিন ভারতজুড়ে ১২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) পথ ভ্রমণ করে।
আরও পড়ুন: ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ২৩৩ জন নিহত, ৯ শতাধিক মানুষ আহত
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য হটলাইন
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য বা অনুসন্ধানের জন্য একটি হটলাইন খোলা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এ বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।
আরও তথ্য জানার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে +৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ (হোয়াটসঅ্যাপ) নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ওড়িশার ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর সুধাংশু সারঙ্গি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছে: ডেপুটি হাইকমিশন
তিনি বলেন, আহত ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি সামান্য আহত হয়েছে: ডেপুটি হাইকমিশন
ভারতের কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন দেশটিতে শনিবারের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি যাত্রীর সামান্য আহত হওয়ার খবর পেয়েছে। একজন কূটনীতিক ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আহত বাংলাদেশিদের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, হাইকমিশনের একটি দল দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
ভারতে গত রাতে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ২৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনায় এক ডজনেরও বগির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন আরও শতাধিক মানুষ।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
ভারতে শুক্রবার দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পরে ঘটা দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮০ জন মানুষ নিহত এবং ৯ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকশ’ মানুষ এখনও দুর্ঘটনাকবলিত বগিগুলোর মধ্যে আটকা পড়েছে।
প্রেস ট্রাস্ট জানায়, লাইনচ্যুত করমণ্ডল এক্সপ্রেস পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে দক্ষিণ তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই যাচ্ছিল।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
এর আগে শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
ওড়িশার ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর সুধাংশু সারঙ্গি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আহত ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উদ্ধারকারীরা দুর্ঘটনাকবলিত বগিগুলোর মধ্যে এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
সারঙ্গি বলেন, বগিগুলোর নিচে আরও মানুষ আটকে থাকতে পারে, তবে তাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা কম।
তিনি বলেন, ‘রাত ১০টা থেকে (শুক্রবার) আমরা জীবিতদের উদ্ধার করা শুরু করি। এরপর থেকে লাশ উদ্ধার শুরু করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আমি আমার ক্যারিয়ারে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখিনি।’
দেশটির রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেছেন, একটি ট্রেনের ১০ থেকে ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে এবং কিছু ছিন্নভিন্ন কোচের ধ্বংসাবশেষ কাছাকাছি ট্র্যাকের উপর পড়েছে। দ্বিতীয় ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
প্রেস ট্রাস্ট-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মালবাহী একটি তৃতীয় ট্রেনও দুর্ঘটনাকবলিত হয়েছিল, তবে রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা থাকায় উদ্ধারকারী ও পুলিশের দল শনিবার সকালেও উদ্ধার অভিযান অব্যঅহত রেখেছেন। রক্তদানের জন্য স্থানীয় হাসপাতালেও বহুসংখ্যক লোক উপস্থিত হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২০০ উদ্ধারকারী ১১৫টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০টি বাস এবং ৪৫টি মোবাইল হেলথ ইউনিট নিয়ে রাতভর দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করেছে।
শনিবার ওড়িশায় শোক দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক আহত যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
গ্রামবাসীরা বলেছেন, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে একটি বিকট শব্দ শুনে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধারে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
জীবিত এক যাত্রী রূপম ব্যানার্জি পিটিআইকে বলেছে, ‘স্থানীয় লোকেরা সত্যিই আমাদের সাহায্য করেছে। তারা কেবল মানুষদের উদ্ধার করতেই সাহায্য করেনি, আমাদের লাগেজ উদ্ধার করেছে এবং আমাদের জল খাইয়েছে।’
আরেক যাত্রী বন্দনা কালেদা বলেন, ‘আমি যখন ওয়াশরুম থেকে বের হলাম, হঠাৎ ট্রেনটি কাত হয়ে গেল। এসময় আমি আমার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম... সবকিছু উল্টে যায়, একজনের ওপর অন্যজন পড়তে শুরু করে।’
তিনি আরও জানান, তিনি ভাগ্যবান বলে বেঁচে গেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ২৩৩ জন নিহত, ৯ শতাধিক মানুষ আহত
অপর একজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি যিনি তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি বলেছেন যে আঘাতের সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি ভাঙ্গা অঙ্গ ও বিকৃত মুখসহ অন্যান্য যাত্রীদের দেখেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা জানিয়েছেন।
মোদি এক টুইটে লিখেছেন, ‘আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।’
আরও জানান, তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ‘সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা’ দেওয়া হচ্ছে।
রেল নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারতে প্রতিবছর কয়েকশো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় মানবিক ত্রুটি বা সেকেলে সিগন্যালিং যন্ত্রপাতিকে।
১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে নয়াদিল্লির কাছে দুটি ট্রেন সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মারা যায়, এটি ভারতের সবচেয়ে খারাপ ট্রেন দুর্ঘটনা।
২০১৬ সালে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ইন্দোর ও পাটনা শহরের মাঝামাঝি একটি জায়গায় লাইনচ্যুত হয়ে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রতিদিন ভারতজুড়ে ১২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) পথ ভ্রমণ করে।