সেনাপ্রধান
মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে সবকিছু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, 'আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।'
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে 'ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি : স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সেনাবাহিনী প্রধান।
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির বাণী 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে তারা সবকিছু করছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, 'কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশে-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
সেনাপ্রধান বলেন, যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, তারা সুযোগ গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করেন।
সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ‘আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়, কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’
মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই আছি।’
জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন তারা দেশেই তৈরি করেছেন যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো, তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আমরা জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তাও জানে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হব না।’
একই সঙ্গে জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনো ভুলে যান না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না মন্তব্য করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু নাও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার, মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অপহরণসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় বড় আকারের যৌথ অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সমন্বয়ে এই অভিযান জননিরাপত্তা বজায় রাখার প্রচেষ্টার একটি বড় অগ্রগতির চিত্রায়ন করছে।
রবিবার বান্দরবান সেনানিবাসে সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই অপারেশনে সফল হতে প্রকাশ্য ও গোপন উভয় কৌশল প্রয়োগ করছি।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
সাম্প্রতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনগণকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে জনগণকে আশ্বস্ত করতে জেনারেল আহমেদসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা বান্দরবান সফর করেছেন।
শুক্রবার রাতে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের পর এই অভিযানের আরও অগ্রগতি হয়। জেনারেল আহমেদের মতে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন দলগুলোর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দৃঢ় সংকল্পের ইঙ্গিত হলো তাদের গ্রেপ্তার করা। তিনি বিশেষভাবে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কথা উল্লেখ করে জানান, এই দল আগে শান্তি আলোচনায় জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, ‘শান্তির সম্ভাবনা সত্ত্বেও কেএনএফ অপরাধমূলক আচরণে ফিরে গেছে।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
তিনি আরও বলেন, ‘গত জুনে কোণঠাসা হওয়ার পর তারা আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক বলে মনে হয়েছিল। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখায় বোঝা যায় শান্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার দৃঢ় ছিল না।’
এর আগে সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনকল্যাণে এই মিশনের গুরুত্ব তুলে ধরে অপরাধ দমনে সাহসিকতা ও সতর্কতার আহ্বান জানান জেনারেল আহমেদ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
কাতার সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
কাতারে সরকারি সফর শেষে আজ বুধবার (৬ মার্চ) দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সফরকালে তিনি কাতারের রাজধানী দোহাতে ৪-৫ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন এন্ড কনফারেন্স (ডিআইএমডিএক্স-২০২৪)’ এ অংশগ্রহণ করেন।
এই সম্মেলনে স্ব-স্ব স্থল বাহিনীসমূহের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদারি সম্পর্ক উন্নয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, সংঘাতপূর্ণ সমস্যাসমূহ মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থল বাহিনীসমূহের আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা হয়।
পাশাপাশি সেনাপ্রধান কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান) এবং বিভিন্ন দেশ হতে আগত সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, তিনি ৩ মার্চ সরকারি সফরে কাতার যান।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
১৯তম এশিয়ান গেমস আয়োজনে যোগ দিতে চীন যাচ্ছেন সেনাপ্রধান
সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর (ইউএনবি)-
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের সাধারণ পরিষদ-২০২৩-এ যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সফরকালে তিনি কমনওয়েলথ গেমস অ্যাসোসিয়েশন (সিজিএ) বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের (সিজিএফ) সাধারণ পরিষদ-২০২৩-এ অংশ নেন।
সাধারণ পরিষদে সেনাপ্রধান কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের (সিজিএফ) সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেন।
সেনাবাহিনী প্রধান সেখানে অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্কশপ অ্যান্ড রিজিওনাল মিটিং' এবং 'প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড প্রি-অ্যাসেম্বলি ডিসকাশন'-এ অংশ নেন।
তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্রীড়া উন্নয়ন ইস্যুতে মতবিনিময় করেন।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের অ্যাসেম্বলিতে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: এয়ার মার্শালের র্যাংক ব্যাজে সজ্জিত বিমান বাহিনী প্রধান
সাধারণ পরিষদে সেনাপ্রধান কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের (সিজিএফ) সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেন।
সেনাবাহিনী প্রধান সেখানে অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্কশপ অ্যান্ড রিজিওনাল মিটিং' এবং 'প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড প্রি-অ্যাসেম্বলি ডিসকাশন'-এ অংশ নেন।
তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্রীড়া উন্নয়ন ইস্যুতে মতবিনিময় করেন।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের অ্যাসেম্বলিতে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন বিমান বাহিনী প্রধান
যশোর সফরে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন
সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও যশোর এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
রবিবারের এই সফরে প্রথমে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে নড়াইলে জাতীয় মহাসড়ক (এন-৮০৬) প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান।
তিনি কাজের গুণগত মান বজায় রেখে এবং জনসাধারণের কোন দুর্ভোগ না করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার নির্দেশ দেন।
এরপর তিনি ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনের অংশ হিসেবে নড়াইল জেলার মোচড়া এলাকায় বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত আর্মড কমান্ডো ক্যাডারের চূড়ান্ত অনুশীলন পরিদর্শন করেন।
তিনি জনস্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে তার জমিতে স্থাপিত 'অধ্যক্ষ শেখ রোকনউদ্দিন আহমেদ মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল' উদ্বোধন করেন এবং স্থানীয়দের মাঝে খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
পরে তিনি সেনাবাহিনী আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিদর্শন করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও যশোর এরিয়া কমান্ডার, ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেছেন, ভারত একটি মুক্ত ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; যেখানে সকল জাতির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হয়। কারণ এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্সে জেনারেল মনোজ পান্ডে এসব কথা বলেন।
সামরিক কূটনীতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রচারের লক্ষ্যে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ৩০টি দেশের সেনাপ্রধান ও প্রতিনিধিদল দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, যা বুধবার শেষ হবে।
পান্ডে বলেছেন, এই অঞ্চলের দেশগুলো যখন একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিতে কাজ করছে, তখন ‘আমরা আন্তঃরাজ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছি।’
পরোক্ষভাবে তিনি চীনের কথা বলেছেন, কেননা দেশটি সম্প্রতি এই অঞ্চলে তার কার্যক্রম বাড়িয়েছে।
পান্ডে বা মার্কিন সেনাপ্রধান র্যান্ডি জর্জ কেউই তাদের মন্তব্যে স্পষ্টভাবে চীনের কথা উল্লেখ করেননি।
একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনা সম্প্রসারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জর্জ বলেন, অঞ্চলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। ‘এ কারণেই আমরা এই কনফারেন্স আয়োজন করেছি এবং এজন্যই আমরা প্রশান্ত মহাসাগরের অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এই অঞ্চলে বেশি সক্রিয়।’
মার্কিন সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘এই সম্মেলন যা প্রমাণ করে... তা হলো (আমাদের) ঐক্য ও প্রতিশ্রুতি।’
পরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পান্ডে বলেন, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, বলপ্রয়োগ এড়ানো এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা।
তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো ছাড়াও, আঞ্চলিক বিরোধসহ ‘কৃত্রিমভাবে সম্প্রসারিত দ্বীপগুলোকে রিয়েল এস্টেট অধিগ্রহণ এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপন’-সহ অঞ্চলটি স্থল নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং মানবিক উদ্বেগের সম্মুখীন হয়েছে।’
এখানেও চীনের নাম উহ্য রাখেন তিনি।
দ্বীপগুলোর উপর পূর্ব চীন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আঞ্চলিক দাবি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাশাপাশি জাপানের বেইজিংয়ের ছোট প্রতিবেশীকে বিচলিত করেছে।
এদিকে ২০২০ সাল থেকে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
সেসময় হিমালয় লাদাখ অঞ্চলে অনির্ধারিত সীমান্তে সংঘর্ষে মোট ২৪ জন ভারতীয় ও চীনা সৈন্য নেহত হয়। তাদের মধ্যে ২০ জন ছিল ভারতীয় এবং চার জন ছিল চীনা সৈন্য।
১৯তম এশিয়ান গেমস আয়োজনে যোগ দিতে চীন যাচ্ছেন সেনাপ্রধান
১৯তম এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চীনের হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে বিভিন্ন খেলা ও ইভেন্ট পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি।
চীন সফরকালে তিনি বিভিন্ন দেশের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: আমরা জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ: সেনাপ্রধান
চীন সফর শেষে সেনাপ্রধান ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস’ কনক্লেভে (আইপিএসিসি) যোগ দেবেন।
বিভিন্ন দেশের সেনাপ্রধানরা বৈঠকে যোগ দেবেন এবং তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা জোরদারে কীভাবে একযোগে কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
সেনাপ্রধান ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
আমরা জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ: সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্জন অনেক উল্লেখ করে বরিশালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। তবে আমাদের এই অর্জনে খুশি হয়ে থেমে থাকলে হবে না আরও আগাতে হবে। সারাবিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বরিশালের শেখ হাসিনা সেনানিবাসে ১৫ তলা বিশিষ্ট সেনাসদস্যদের পারিবারিক বাসস্থান 'সেনানীড়' উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্মার্ট হচ্ছে, সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীকে স্মার্ট হতে হবে। ভবিষ্যতের টেকনোলজি, রণকৌশল ও বিশ্বপরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
এ সময় তিনি স্টেশন অফিসার্স মেস-বি, ডিভিশন মডেল রুম, ডিভিশন সুইমিং পুল, গ্যারিসন মসজিদ-৩ এর উদ্বোধনের ঘোষণা করেন।
সেনা প্রধান আরও বলেন, স্থাপনাগুলো তৈরির মাধ্যমে আপনাদের (সেনাসদস্যদের) জীবনযাত্রার মান আগের চেয়ে আরামদায়ক হবে। তা আপনাদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো সেবা করা, বহিঃশত্রু থেকে দেশকে রক্ষা করা। আত্মত্যাগের মানসিকতা নিয়ে আমাদের সব সময় কাজ করতে হবে। কষ্ট করার জন্যই আমরা সেনাবাহিনীর এই চ্যালেঞ্জিং পেশা বেছে নিয়েছি। নিজেদের প্রস্তুত করে দেশ-বিদেশে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে মানুষের কাছে আমাদের নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হব বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার বৈঠকে যোগ দেবেন সেনাপ্রধান
থাইল্যান্ড থেকে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এশিয়া অলিম্পিক কাউন্সিলের ৪২তম সাধারণ সভায় যোগদান শেষে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
থাইল্যান্ড সফরকালে, সেনাপ্রধান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে বৈঠকে যোগ দেন। ২০২৩-২০২৭ সেশনের জন্য ওসিএ-এর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ভোট দেন।
আরও পড়ুন: শান্তি মিশনে যৌথ কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের লক্ষ্যে গাম্বিয়া সফরে সেনাপ্রধান
মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ জনসংযোগ (আইএসপিআর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন এবং পারস্পরিক ক্রীড়া উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার ৪২তম সাধারণ সভায় যোগ দিতে সরকারি সফরে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার বৈঠকে যোগ দেবেন সেনাপ্রধান
স্ত্রীকে নিয়ে হজে রওনা হয়েছেন সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন
স্ত্রীকে নিয়ে হজে রওনা হয়েছেন সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ তার স্ত্রীকে নিয়ে শুক্রবার পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে দেশটির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশত্যাগের আগে সেনাবাহিনী প্রধান সঠিকভাবে হজ পালন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বলে।
ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হজ পালন শেষে আগামী মাসের ৩ জুলাই দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: শান্তি মিশনে যৌথ কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের লক্ষ্যে গাম্বিয়া সফরে সেনাপ্রধান
ঢাকায় এসেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
সৌদি আরবের উদ্দেশে সেনাপ্রধানের ঢাকা ত্যাগ