সেনাপ্রধান
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ রবিবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি সেনাবাহিনীর উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সবার জন্য ভালো কিছু করুন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সেনাবাহিনীর কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
বৈঠকে সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতিকে তার সাম্প্রতিক ভারত সফরের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে জনগণের জন্য কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
তিন দিনের ভারত সফরে ঢাকা ত্যাগ করেছেন সেনাপ্রধান
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দীন আহমেদ ভারতে তিন দিনের সরকারি সফরে বুধবার ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
পরিদর্শনকালে জেনারেল শফিউদ্দিন চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাসিং আউট প্যারেডে যোগদানের পর কুচকাওয়াজের সালাম নেবেন।
আরও পড়ুন: যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান
তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী প্রধান, প্রতিরক্ষা স্টাফ প্রধান, প্রতিরক্ষা সচিব, পররাষ্ট্র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জেনারেল শফিউদ্দিন দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করবেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও পরিদর্শন করবেন তিনি।
সেনাপ্রধানের ৩০ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়: সেনাপ্রধান
ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নিম্ন আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশীদের জামিনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হারুনের করা আপিল এক বছর পর শুনানির জন্য ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন শুনে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শাহীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
এর আগে গত বছরের ৩০ আগস্ট এ মামলায় নিম্ন আদালতে হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য তিন মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন আদালত। পরে আপিল বিভাগও তার জামিন বহাল রাখেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা ওই মামলায় গত বছরের ১২ মে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক।
রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশিদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেয়া হয়। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত হারুন-অর-রশিদকে সাজা কমিয়ে চার বছরের দণ্ডদেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
এই সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন সাবেক এই সেনা প্রধান। একই সঙ্গে তিনি জামিনের আবেদনও জানান।
গত বছরের ৯ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ সাবেক সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালত থেকে তার মামলার নথি তলব করেন।
পরে গত বছরের ২৯ জুন ৪ বছরের হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই বছরের ৩০ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। রবিবার ওই জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাত ও পাচারের মামলাটির বিচার শেষ হলও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলাটি এখনও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের দেয়া যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব জানান তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে এই কার্য-অধিবেশন হয়।
আরও পড়ুন: সামরিক-অসামরিক প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান বলেন, 'গতবারও আমি ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি, এবারও এসেছি। আমি কিন্তু কোন প্রতিনিধি পাঠাইনি। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে পরপর দু'বছর সশরীরে উপস্থিত হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে, এটাকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছি আমি।'
তিনি বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রশাসনে মাঠ পর্যায়ে যারা সবচেয়ে বেশি বড় ভূমিকা রাখেন তারা হলেন ডিসিগণ। ডিসিরা আছে, বিভাগীয় কমিশনাররা আছে; বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের অনেক দায়িত্ব পালন করে, যেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের আওতায়। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা যে সকল কর্মকাণ্ড করি, সেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া করা অসম্ভব।'
'আমি তাদেরকে এই সিগন্যালটা ক্লিয়ারভাবে দিয়ে গেলাম- আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছি, সেনাবাহিনী চাচ্ছে, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের প্রদত্ত যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে।'
শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জাতি গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, অনেক সিকিউরিটি দায়িত্ব পালন করে থাকি। এখানে কথা প্রসঙ্গে গত বন্যায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা সবাই করেছে। অন্যান্য কাজেও আমাদের প্রশংসাগুলো তারা বলেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরাও বলেছি বর্তমান সেনাবাহিনীতে নিচের পর্যায়ে সবার ভেতরে একটা অনুভূতি এসেছে যে, সিভিল প্রশাসন আগের তুলনায় আমাদের সঙ্গে অনেক ফ্রেন্ডলি। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করে আগের চেয়ে অনেক ভালো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। এই যে আমাদের একটা কালচারাল ডিফারেন্স, সেনাবাহিনী তাদের মত করে কাজ করছে, বেসামরিক প্রশাসন তাদের মত করে কাজ করছে। উদ্দেশ্য একই কিন্তু কর্মপদ্ধতির ভিন্নতার কারণে কিছু কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়তো হয়ে থাকে।'
শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'যত আমরা এগুলো দূর করতে পারব নিজের কাজের স্বকীয়তা বজায় রেখে, আমার মনে হয় উই উইল বি আবেল টু পারফর্ম হোয়াট ইজ এক্সপেক্টেড ফ্রম আস বাই দ্য গভর্নমেন্ট অ্যান্ড দ্য পিপল অফ দ্য কান্ট্রি।'
মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাপ্রধান জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি তার।
আরও পড়ুন: যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে ২৪ দেশের সেনাপ্রধান
যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস.এম. শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংবিধান ও দেশমাতৃকাকে রক্ষায় সেনাবাহিনীর সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ এ বাহিনী দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাসে সাত পদাতিক ডিভিশনের অধীনে চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফোর্সের গোল ২০৩০-এর আলোকে আমাদের সামরিক শক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আধুনিক সরঞ্জাম মোতায়েনের মাধ্যমে আমরা জাতিসংঘ ও বিশ্ববাসীর কাছে আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। এভাবে আধুনিকায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একসময় বিশ্বের অন্যতম সেনাবাহিনীতে রূপান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে 'গণহত্যা' ঘোষণার আহ্বান
এ সময় শেখ হাসিনা সেনানিবাসে নবগঠিত ইউনিটগুলো হলো- ৫২ স্বতন্ত্র এমএলআরএস ব্যাটারি আর্টিলারি, ৩৫ বীর, ১৬৩ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কোম্পানি এবং ৮৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স।
অনুষ্ঠানে প্যারেড কমান্ডার মেজর রেজোয়ানুল হাফিজ চন্দনের নেতৃত্বে প্যারেড দল সালাম প্রদান করেন।
এ সময় সাত পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে 'গণহত্যা' ঘোষণা করুন: মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের রেজ্যুলেশন পেশ
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নদের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা সেনাবাহিনীর
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে ২৪ দেশের সেনাপ্রধান
কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় মঙ্গলবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ২৪টি দেশের সেনাপ্রধানরা।
এ সময় বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা আগত প্রতিনিধিদলকে সমস্যা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন।
১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি ওসমান গণি বলেন, আমরা তৃতীয় কোন দেশ নয়, আমাদের দেশেই ফিরতে চাই। সেনা কর্মকর্তাদের আমরা জানিয়েছি আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করা হোক।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসন ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না
এছাড়াও সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ব্রিফিং করেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার ইনানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
৪৬তম ইন্দো প্যাসিফিক আর্মি ম্যানেজম্যান্ট সেমিনারের (আইপিএএমএস) তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি।
গত সোমবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনদিন ব্যাপী এ সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ‘আঁরা রোহিঙ্গা’ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালের পর তৃতীয়বারের মতো সহ-আয়োজক হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ এই আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করছে বাংলাদেশ।
রুশ হামলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৯ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য
ইউক্রেনে রুশদের হামলায় গত ছয় মাসে ৯ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য মারা গেছে। সোমবার তথ্যটি জানিয়ে দেশটির সেনাপ্রধান বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
ইউক্রেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, অনেক ইউক্রেনীয় শিশুর দেখভাল প্রয়োজন। কারণ তাদের বাবা যুদ্ধক্ষেত্রে গেছে এবং সম্ভবত তারাও ৯ হাজার মৃত সৈন্যের মধ্যে আছে।
একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেনের প্রধান পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের অদূরে নিপার নদীর পাশে অবস্থিত নিকোপোল শহরে রুশদের গোলাবর্ষণে সোমবার চারজন আহত হয়েছে। শহরটি গত ১২ জুলাই থেকে অনবরত হামলার শিকার হচ্ছে। এতে ৮৫০টি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে এবং শহরটির অর্ধেক নাগরিক (এক লাখ) পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংঘাতে ৩৭৫২ বেসামারিক মানুষের প্রাণহানি: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ জানায়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ হাজার ৫৮৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি মারা যায় এবং সাত হাজার ৮৯০ জন আহত হয়। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা সোমবার জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৯৭২ শিশু মারা গেছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেন, ‘সংখ্যাগুলো জাতিসংঘ নিশ্চিত করলেও আমরা মনে করি তা আরও বেশি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থেকে শুধু অস্ত্র উৎপাদনকারীরা লাভবান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
জনদুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য যুদ্ধ দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোনো ধরনের যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা সর্বদাই জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মঙ্গলবার সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘এমনকি মার্কিন সরকারও আমেরিকান জনগণকে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বলছে।’
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা আবারও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সশস্ত্র বাহিনী ও ভারতের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের জীবন দিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচলের সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যার কারণে এটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বিশেষ শিশুদের জন্য সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে চমৎকার বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দারিদ্র্যের অবসান এবং এ অঞ্চলের জনগণের অবস্থা দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করা।
ভারতীয় সেনাপ্রধান দুই দেশের মধ্যে চলমান সামরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন। আগামীকাল কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে যাবেন বলে জানান তিনি।
মনোজ পান্ডে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে তিনি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ‘এই জাদুঘরটি ত্যাগের প্রতীক হিসেবে রয়ে গেছে এবং এটি নতুন প্রজন্মকে তাদের দেশকে ভালবাসতে অনুপ্রাণিত করবে।’
জেনারেল পান্ডে বলেন, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়মিত শীর্ষ পর্যায়ের সফর তাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
ভারতে বিজয় দিবস উদযাপনের কথা উল্লেখ করে জেনারেল পান্ডে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান ‘প্রয়াস’-এরও প্রশংসা করেন। যা বহুমাত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সার্বিক শিক্ষাগত উন্নয়নে সেবা প্রদান করে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমাতে জনগণের সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
সোমবার ৩ দিনের বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘চমৎকার’ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অব্যাহত রেখে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে ১৮ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত তিনদিনের বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
জেনারেল মনোজ পান্ডের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই প্রথম বিদেশ সফর।
রবিবার ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) জানিয়েছে, সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে সোমবার শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে সফর শুরু করবেন।
এরপর তিনি নিরাপত্তা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়াও জেনারেল মনোজ পান্ডে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের আসাম সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
সফরের দ্বিতীয় দিনে সেনাপ্রধান মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
এরপর তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অ্যান্ড অপারেশন ট্রেনিং-এর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। যা বাংলাদেশের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান, যা জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তি অভিযানে কর্মসংস্থানের জন্য শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেয়।
এরপর মিরপুরের বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর পরিদর্শন করবেন তিনি।
পিআইবি বলেছে, জেনারেল পান্ডের সফর ‘দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং অনেক কৌশলগত বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও সহযোগিতার জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: এনামুল হকের মৃত্যুতে ভারতীয় হাইকমিশনের শোক
অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় মোদি
ভারতের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে
ইঞ্জিনিয়ার কোরের প্রথম অফিসার হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পান্ডে শনিবার ভারতীয় সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন।
পূর্বে সেনাবাহিনীর উপপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারী জেনারেল মনোজ পান্ডে জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি কলকাতা শহরে অবস্থিত ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডের প্রধান ছিলেন।
ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির সাবেক ছাত্র জেনারেল পান্ডে ১৯৮২ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করেন।
আগের দিন বিদায়ী সেনাপ্রধান ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ, সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংকটের মধ্যেই ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন মোদি
দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক টুইটে বলা হয়,‘সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে ও তার স্ত্রী শ্রীমতি বীনা নারাভানে প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ এবং তার স্ত্রী শ্রীমতি সবিতা কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও এক টুইটে জানান, সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানের সঙ্গে এ অবিস্মরণীয় বৈঠক করা হয়েছে। তিনি ৪২ বছর ধরে জাতির সেবা করার পর আজ অবসর নিচ্ছেন। একজন সামরিক নেতা হিসেবে তার অবদান ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও সক্ষমতাকে
ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু
মার্কিন আইনপ্রণেতার কাশ্মীর সফরের নিন্দা ভারতের