আইএস
বুরকিনা ফাসোতে ৭০ জনের বেশি সেনা হত্যার দায় স্বীকার আইএসের
উত্তর বুরকিনা ফাসোতে একটি সামরিক কনভয়ে অতর্কিত হামলায় ৭০জনেরও বেশি সৈন্যকে হত্যা, কয়েক ডজন মানুষকে আহত এবং পাঁচজনকে জিম্মি করার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
গ্রুপের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ শুক্রবার পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাহেলের ওদালান প্রদেশের দেউয়ের কাছে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার দিকে অগ্রসরমাণ একটি কনভয়কে আক্রমণ করেছে তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মরুভূমিতে মাইলের পর মাইল পশ্চাদপসরণকারী সেনাদের তাড়া করেছে এবং অস্ত্র জব্দ করেছে।
তাদের প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায় যে সামরিক ইউনিফর্ম পড়া ৫৪জন মানুষের রক্তমাখা লাশ মাটিতে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরে মসজিদের বাইরে সন্ত্রাসীর গুলি, আহত ১
সেইসঙ্গে ৫০ টিরও বেশি জব্দ করা অ্যাসল্ট রাইফেল এবং বন্দী করা পাঁচজন সেনার ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।
আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত সহিংসতায় গত সাত বছরে দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সহিংসতা ঠেকাতে সরকারের অক্ষমতার কারণে সৃষ্ট গণঅসন্তোষ থেকে গত বছর দুটি অভ্যুত্থান ঘটে। যার প্রতিটির আগে সেনাবাহিনীর ওপর বড় হামলা হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরে নতুন জান্তা নেতা ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর ক্ষমতা দখলের পর থেকে এবারের হামলাই সৈন্যদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা এবং বিশ্লেষকরা বলছেন যে এটি তার ক্ষমতা দখলকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
সংবাদ বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টেলনিক্স ইন্টেলিজেন্স অ্যাডভাইজরির সিইও লেইথ আলখোরি বলেছেন, ‘দেশের উত্তরে ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি হামলার চলেছে এবং জনসাধারণ নিঃসন্দেহে নিরাপত্তা দিতে তাদের সরকারের অক্ষমতার বিষয়টি লক্ষ্য করছে। এই প্রচণ্ড আক্রমণের ফলে তার সরকার হুমকির মুখে পড়তে পারে এবং এমনকি জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চাপও দিতে পারে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গত এক দশকে গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলো চরমপন্থার সঙ্গে যুক্ত: প্রতিবেদন
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩
মধ্য সিরিয়ায় একটি সেনা তল্লাশি চৌকিতে এবং ছত্রাক সংগ্রহকারী বেসামরিক মানুষের ওপর ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর(আইএস) হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
শনিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং একটি যুদ্ধ বিরোধী পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটেন-ভিত্তিক যুদ্ধ বিরোধী পর্যবেক্ষক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহর সুখনার কাছের হামলাটি ছিল এই বছরের এখন পর্যন্ত চরমপন্থী গোষ্ঠীর সবচেয়ে ভয়াবহ ।
অবজারভেটরি বলেছে যে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর একটি তল্লাশি চৌকি এবং কাছাকাছি বন্য ছত্রাক সংগ্রহকারী লোকদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে।এতে ৬১ বেসামরিক নাগরিক সহ ৬৮ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
এতে বলা হয়, আইএস যোদ্ধারা মোটরসাইকেলে করে ওই এলাকায় পৌঁছেছিল।
শুক্রবার সংস্থাটি জানিয়েছিল যে হামলায় ৪৬ জন নিহত হয়েছে।
সিরিয়ার সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী অবজারভেটরি বলেছে, আইএস বন্দুকধারীরা ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের সুযোগ নেয়। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মারাত্মক ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। সিরিয়া গত দুই সপ্তাহ ধরে ভূমিকম্পের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা কেন্দ্রীয় শহর পালমিরার জেনারেল হাসপাতালের প্রধানকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে তারা ৪৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং সাত সেনার লাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার আলেপ্পোয় ভবন ধসে নিহত ১০
২০১৯ সালের মার্চে সিরিয়ায় তাদের পরাজয় সত্ত্বেও ইসলামিক স্টেট গুপ্তঘাতক দল এখনও সিরিয়া এবং ইরাকের চারপাশে আক্রমণ চালাচ্ছে। যেখানে একসময় তারা ‘খিলাফত’ ঘোষণা করেছিল।
শুক্রবার মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে যে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তার বাহিনীর নেতৃত্বে একটি হেলিকপ্টার হামলায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একজন সিনিয়র নেতা নিহত এবং চারজন আমেরিকান সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। এতে নিহত আইএস কমান্ডারকে হামজা আল-হোমসি বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স ইরাকের সীমান্ত বরাবর উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব সিরিয়ায় যৌথ অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: গাজায় হামাসের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা
কাবুলে অভিযানে ৭ আইএস সদস্য হত্যার দাবি তালেবানের
আফগানিস্তানের কাবুলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে। বুধবার একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত ও আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তালেবানের অন্যতম মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটে বলেছেন, ‘ইসলামী আমিরাতের নিরাপত্তা বাহিনী বুধবার সন্ধ্যায় কাবুলের কালাচা ও শুহাদাই সালেহেন এলাকায় আইএস জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান চালায়। এর ফলে সাত আইএস বিদ্রোহী নিহত এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ১৮, আহত ২১
এর আগে বুধবার বিকালে কাবুলের বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন যে পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট ৮-এর কারতা-ই-নাউ এলাকা এবং এর আশেপাশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
মুজাহিদ আরও বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বুধবার ভোরে পশ্চিম নিমরোজ প্রদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস বা ইসলামিক স্টেট গ্রুপের দুই সশস্ত্র বিদ্রোহীকে আটক করেছে।
আইএস বেশ কয়েকবার আফগান সরকারের বিরুদ্ধে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে কাবুলের একটি সামরিক বিমানবন্দরের গেটে সর্বশেষ হামলায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত ও আহত হয়।
তবে, তালেবানের হামলার বিষয়ে আইএস এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
‘আফগানিস্তান যুদ্ধের অবশিষ্ট অস্ত্রের বিস্ফোরণে ৪ শিশু নিহত’
শামীমা ও মঈন উদ্দিন: যুক্তরাজ্যের দ্বৈতনীতির নিন্দা বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের
১৯৭১ সালের একজন যুদ্ধাপরাধীকে দেশে ফেরত পাঠানোর বাংলাদেশের অমীমাংসিত অনুরোধ স্থগিত করায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিভাবের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক এবং সিরিয়ায় গিয়ে এক ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল এর বিপরীত বলেও উল্লেখ করেন তারা।
যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা শামীমা এখন তার নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে লড়ছেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার পর যদি তার বাবা-মার আদি দেশ বাংলাদেশে পাঠানো হয় তাহলে তাকে সম্ভাব্য মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হতে হতো। একটি আদালত যা শুনেছে তাতে তিনি এখন কার্যকরভাবে রাষ্ট্রহীন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদনের পেমেন্ট পদ্ধতির পরিবর্তন
শামীমার আইনি লড়াই সম্প্রতি সবার নজরে এসেছিল। কারণ বিশেষ অভিবাসন আপিল কমিশনে তার আপিলকে বলা হয়েছিল যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ২০১৯ সালে শামীমা বেগমের যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিলের ‘গুরুতর পরিণতি’ বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
শামীমার নাগরিকত্ব বাতিলে সাজিদ জাভিদ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি ১৯৭১ সালে চৌধুরী মঈন উদ্দিনের কর্মকাণ্ডকে ভয়ঙ্কর যুদ্ধাপরাধ বিবেচনা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের এই ধারাবাহিক ‘দ্বিভাব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিরোধীরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. অধ্যাপক একেএম জাকির হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়া ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরও মঈন উদ্দিনের প্রত্যার্পণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ যুক্তরাজ্য প্রত্যাখ্যান করেছে।
এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, এমনকি তারা মঈন উদ্দিন ও মানিলন্ডারিং মামলায় তারেকের রহমানের মতো দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে যারা আশ্রয় দিয়েছেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার তাদের নেই।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জঘন্য গ্রেনেড হামলার দায়ে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের নেতৃত্বকে ধ্বংস করতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা চালানো হয়েছিল।
এমনকি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলাটির বিষয়ে এফবিআইয়ের কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া ২০১৩ সালে নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনের সময় অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১০০ জন মানুষকে হত্যার দায়েও অভিযুক্ত করা হয়।
শামীমার বিপরীতে মঈন উদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এখন বাংলাদেশে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে তাদের গণহত্যা চালিয়ে যেতে সহায়তা করার জন্য এই ভূখণ্ডের জনগণের ওপর নৃশংস যুদ্ধাপরাধ চালিয়েছিল, যা বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম একটি। কারণ ১৯৭১ সালের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ লোককে হত্যা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরপরই, যখন বাংলাদেশ যুদ্ধে বিজয় অর্জন করে, তখন কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর নেতা মঈন উদ্দিন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে আসেন।
পলাতক হওয়া সত্ত্বেও, তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে সক্ষম হন এবং ইস্ট লন্ডন মসজিদ এবং লন্ডন মুসলিম সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে মুসলিম আধ্যাত্মিক তদারককারী পরিচালক হন।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান অনুসারে, তিনি এখন উত্তর লন্ডনের সাউথগেটে এক মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়িতে থাকেন।
তার অপরাধের চার দশক পর, বাংলাদেশের একটি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্তত ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক এবং চিকিৎসককে হত্যার জন্য মঈন উদ্দিন এবং তার সহযোগী আশরাফুজ্জামান খানের অনুপস্থিতিতে বিচার করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ২০১৩ সালের নভেম্বরে যুদ্ধাপরাধের জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও ঢাবির সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক এবং ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের মতে, ‘এটা স্পষ্ট যে এই ধরনের দ্বৈতনীতির পিছনে একটি নির্দিষ্ট স্বার্থ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্বার্থের বাইরে কিছুই নয়। মঈন উদ্দিনকে আশ্রয় দেয়ার এই নীতিটি দেখায় যে কীভাবে সেই স্বার্থ মানবাধিকারের ওপর জয়লাভ করে। শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, যুক্তরাজ্যের দ্বৈতনীতি আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে প্রদর্শিত হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেছেন, মানবাধিকার নিয়ে যতই বিড়ম্বনা থাকুক না কেন পররাষ্ট্র নীতির ফ্রন্টে যুক্তরাজ্য সবসময় তার নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়।
অধ্যাপক হাফিজুর আরও বলেন, ‘একজন যুদ্ধাপরাধীকে নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান মঈন উদ্দিনের মতো যুদ্ধাপরাধীর হাতে তাদের প্রিয়জন হারিয়ে লাখ লাখ ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সহায়তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্থগিত হতে পারে: প্রতিবেদন
ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে আইএস’র ৯ জঙ্গি নিহত
ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে। বুধবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক প্রদেশে এই অভিযান চালানো হয়। ইরাকি সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকি জয়েন্ট অপারেশন কমান্ডের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরাকি সৈন্যরা বাগদাদ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তরে ক্রাউ মাউন্টেনে একটি সুড়ঙ্গে লুকিয়ে থাকা নয় জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে, বোমা হামলা করে এবং ভিতরে থাকা সমস্ত জঙ্গিকে হত্যা করে।
চরমপন্থী জঙ্গিদের দমনে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে অভিযান চালাচ্ছে।
২০১৭ সাল থেকে ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। যাই হোক, আইএসের অবশিষ্টাংশ নগর, মরুভূমি এবং দুর্গম এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিকদের বিরুদ্ধে প্রায়ই গেরিলা আক্রমণ চালাচ্ছে।ি
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আলজাজিরার সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
শ্রীলঙ্কায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গী হামলায় নিহত ২০
বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে এক জঙ্গী হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন সামরিক কর্মকর্তা ও একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। রবিবার দেশটির সাউম প্রদেশের ইনাটা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন দেশটির নিরাপতমন্ত্রী ম্যাক্সিম কোনে।
বুরকিনা ফাসোর সরকারি টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিরাপত্তামন্ত্রী কোনে বলেন, (সামরিক) ফাঁড়িটি একটি কাপুরুষোচিত ও বর্বর হামলার শিকার হয়েছে। তবে লড়াইকালে আমাদের ফোর্স সম্মান ও নিষ্ঠার সাথে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
এক বার্তায় তিনি জানান, মৃতের সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে এবং বাড়তে পারে।
নাম প্রকাশের না শর্তে এক সৈনিক জানান, ঘটনাস্থলে দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় একটি সামরিক হেলিকপ্টার অনেক লাশ দেখতে পেয়েছে।
সংঘাতে জর্জরিত দেশটিতে ধারাবাহিক সহিংস ঘটনার তালিকায় সর্বশেষ যোগ হলো এ হামলা। আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর সাথে যুক্ত জিহাদি গোষ্ঠীগুলো দেশটি পাঁচ বছরেরও বেশি সময়য় ধরে দখলে নিয়েছে। আর তাদের বিভিন্ন সহিংস হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও ১৪ লাখের বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: ড্রোন হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী
মেক্সিকোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ২
কাবুলে সামরিক হাসপাতালে আইএসের হামলায় নিহত ৭
কাবুলে সামরিক হাসপাতালে আইএসের হামলায় নিহত ৭
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি সামরিক হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে মঙ্গলবার ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে দেশটির একজন সিনিয়র তালেবান কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, একজন শিশু এবং তিনজন তালেবান নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন।
তিনি বলেন, তালেবানের নিরাপত্তা কর্মীরা আইএস জঙ্গিদের হাসপাতালে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। ১৫ মিনিটের মধ্যে হামলা শেষ হয়। হাসপাতালের ভিতরে কেউ নিহত হয়নি।
তালেবান নিরাপত্তা কর্মীরা ৪০০ শয্যার সুবিধায় চিকিৎসা কর্মী ও রোগীদের লক্ষ্য করে আইএসের বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে বলে মুখপাত্র দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত বেড়ে ৩৭
দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাবুলের ১০ম জেলার সরদার মোহাম্মদ দাউদ খান হাসপাতালে এই হামলায় অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজন তালেবান যোদ্ধা রয়েছে।
এর আগে অন্য একজন তালেবান কর্মকর্তা বলেছেন, হামলায় ছয়জন আইএস অংশ নিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে দুজনকে বন্দী করা হয়েছে।
হামলার সময় শহরের বাসিন্দারা গুলির শব্দের পাশাপাশি এলাকায় দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
আগস্টে তালেবান দেশটির ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে আইএস।
পড়ুন: আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
আইএস নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চায় না তালেবান
আফগানিস্তানে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান। আফগানিস্তান থেকে আগস্ট মাসে সেনা প্রত্যাহারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবারের মত তালেবানের সাথে মুখোমুখি বৈঠক করেছে।
শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং মার্কিন প্রতিনিধিরা বৈঠক করছেন। আলোচিত সমস্যাগুলোর মধ্যে উভয় পক্ষের কর্মকর্তারাই চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণ এবং আফগান থেকে বিদেশি নাগরিক ও আফগানদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন।
তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন এপিকে বলেছেন, আফগানিস্তানে সক্রিয় আইএস গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের থেকে কোনো সহযোগিতা নেয়া হবে না। সম্প্রতি বোমা হামলাসহ বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
এ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা কোন মন্তব্য করেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন প্রতিনিধি বলেছেন, ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের, অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের এবং যেসব আফগানরা মার্কিন সামরিক বাহিনীতে এবং অন্যান্য আফগান মিত্রদের জন্য কাজ করেছিল তাদের আফগানিস্তান ত্যাগে তালেবানদের দেয়া প্রতিশ্রুতি যেন ঠিক থাকে সেই চেষ্টা করবে।
আরও পড়ুন: ভারতে কৃষক আন্দোলন: অবশেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলে গ্রেপ্তার
সৈন্য প্রত্যাহারের পর প্রথম তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
কাবুলে আইএসের আস্তানায় তালেবানের অভিযান
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বহু আইএস বিদ্রোহীকে হত্যা করার কথা জানিয়েছে তালেবান। রবিবার দেশটির রাজধানীর একটি মসজিদের বাইরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর সোমবার এ অভিযান চালায় তালেবান।
রবিবার কাবুলের ঈদ গাহ মসজিদের বাইরে বোমা বিস্ফোরণে পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এ হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। তবে আগস্টে তালেবান দেশটির ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে একের পর এক হামলা চালানোয় এ ঘটনায় আইএসকেই সন্দেহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান: বিপদে শিশুরা, বিবাদে তালেবান আর অথর্ব জাতিসংঘ
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, কাবুলের উত্তরাঞ্চলের খাইর খানায় ইসলামিক স্টেটের আস্তানায় অভিযান চালায় তালেবান যোদ্ধারা। তবে এ অভিযানে ঠিক কতজন আইএস বিদ্রোহী মারা যান কিংবা কোনো তালেবান যোদ্ধা আহত হয়েছেন কি না তা উল্লেখ করা হয়নি।
রবিবার জাবিউল্লাহ মুজাহিদের মৃত মায়ের স্মরণে এক দোয়া অনুষ্ঠানে ঈদ গাহ মসজিদে তালেবান কর্মকর্তারা একত্রিত হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তান থেকে ৩১ আগস্ট মার্কিন সৈন্যরা প্রস্থান করার পর এ হামলাকে সবচেয়ে প্রাণঘাতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বোমা হামলায় ১৬৯ জনের বেশি আফগান নাগরিক ও ১৩ মার্কিন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
পড়ুন: আফগানিস্তান দেখা হলো না
আখুন্দের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার
তালেবানের ওপর হামলার দায় স্বীকার করল ‘আইএস’
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় জালালাবাদে তালেবানদের গাড়ি লক্ষ্য করে ধারাবাহিক বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস।
রবিবার রাতে আইএসের মিডিয়া সংস্থা ‘আমাক’ এ কথা জানায়।
এর আগে আইএসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জালালাবাদে রবিবার ও শনিবারের হামলায় বেশ কয়েকজন তালেবান যোদ্ধাসহ কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছে।
গত মাসের মাঝামাঝিতে তালেবানরা কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেয়। এরপর ৩১ আগস্টের মধ্যে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী দেশটি ত্যাগ করে।
তালেবানরা এখন দেশ পরিচালনায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক এবং আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে ‘নৈতিকতা বিভাগ’ চালু করল তালেবান
আফগানিস্তানে ছাড়তে পারেনি শতাধিক মার্কিন নাগরিক!