প্রযুক্তি
এআই ক্যাটাগরিতে ১২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতল অপো
‘কম্পিউটার ভিশন অ্যান্ড প্যাটার্ন রেকগনিশন কনফারেন্স (সিভিপিআর)-২০২১’ শীর্ষক ইভেন্টে অংশ নিয়ে সর্বমোট ১২টি পুরস্কার জিতেছে অপো। এর মধ্যে একটিতে প্রথম স্থান, সাতটিতে দ্বিতীয় স্থান এবং চারটিতে তৃতীয় স্থান দখল করে।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে অপো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অপো উদ্ভাবিত উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ‘স্মার্ট হোম’ সেবা বিশেষ করে বাসায় শিশুদের কর্মকাণ্ড মনিটরিং করতে সক্ষম। এমনকি পাশের রুমে থাকা সন্তান যদি ডিভাইসে ক্ষতিকর কিছু করে থাকে তাহলে এআই প্রযুক্তি বাবা-মাকে সতর্ক করে দিবে। জীবনযাত্রাকে সহজ করে দেয় এমনই কিছু প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে অপো।
আরও পড়ুন: অপো’র নতুন স্মার্টফোন রেনো৪ শিগগিরই দেশের বাজারে
অপোর ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উন্নয়নে এসব পুরস্কার লাভ করে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
অপোর ইন্টেলিজেন্ট পারসেপশন অ্যান্ড ইন্টারেকশন ডিপার্টমেন্ট ও অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর ইউএস রিসার্চ সেন্টার থেকে সিভিপিআর এর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে শিগগিরই আসছে অপো এফ১৭
অপোর ইন্টেলিজেন্ট পারসেপশন এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এরিক গুয়ো তাদের এই অর্জন সম্পর্কে বলেন, সিভিপিআর চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে এ কৃতিত্ব অর্জন করায় আমরা সত্যিই আনন্দিত। আমরা যেসব চ্যালেঞ্জে জয়লাভ করি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাল্টি-এজেন্ট বিহেভিয়ার, এভিএ-কাইনেটিক্স এবং থ্রিডি ফেস রিকনস্ট্রাকশন ফ্রম মাল্টিপল টুডি ইমেজ।
এরিক বলেন, এসব প্রযুক্তি ম্যানুফ্যাকচারিং, হোম, অফিস, ফটোগ্রাফি, স্বাস্থ্য এবং মবিলিটি কাজে ব্যবহৃত হয়। কারণ অপো সবসময় উন্নতমানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অপো এফ১৯: স্লিম ডিজাইনের এক বহুমুখী মিডরেঞ্জার
১১টি সম্মাননার মধ্যে অপো মাল্টি-এজেন্ট বিহেভিয়ার চ্যালেঞ্জ ক্যাটাগরিতে তিনটি পুরস্কার লাভ করে। এর মধ্যে লার্নিং নিউ বিহেভিয়ার ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান, ক্লাসিক্যাল ক্লাসিফিকেশন দ্বিতীয় স্থান এবং অ্যানোটেশন স্টাইল ট্রান্সফার বিভাগে তৃতীয় স্থান লাভ করে।
অপোকে যেসব কারণে পুরস্কার দেয়া হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অপো উদ্ভাবিত নিজস্ব অ্যালগরিদম এক মিলিমিটারের মধ্যে ত্রুটিযুক্ত ত্রিমাত্রিক ফেসিয়াল আকার ঠিক করে ফেলতে পারে। অস্বচ্ছ ফেসিয়াল ফিচার, অতিরঞ্জিত প্রকাশভঙ্গি এমনকি গতিশীল ভিডিওতে নষ্ট হয়ে যাওয়া ইমেজ ডেটাসহ নানাবিধ সমস্যা সমাধানে এসব প্রযুক্তি সাহায্য করে। তাছাড়া অপো উদ্ভাবিত ফেসিয়াল ডিটেকশন অ্যালগরিদম প্রতি সেকেন্ডে ৩০ বার ৬৩৫টি প্রধান ফিচার চিহ্নিত করতে সক্ষম। এ প্রযুক্তি প্রোর্ট্রটে ভিডিও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সাহায্য করে।
অপোর এআই প্রযুক্তি স্থান ও সময়ানুসারে ‘হিউম্যান অ্যাকশন’ চিহ্নিত করতে পারে। সকারনেট চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে অ্যাকশন স্পটিং অ্যান্ড রিপ্লাই গ্রাউন্ডিং উভয় ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় স্থান দখল করে অপো।
বাংলাদেশ কখনও ঋণের ফাঁদে পড়বে না: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন যে, বাংলাদেশকে কখনও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঋণ বা কথিত ঋণের ফাঁদে পড়ার চিন্তা করতে হবে না। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতায় ‘ঋণ’ কখনও কূটনৈতিক নিয়ন্ত্রণের চাবি-কাঠি হয়ে উঠবে না বলে আশ্বস্ত করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ খুব দক্ষতার সাথেই বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা করে আসছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘আমি অবশ্যই বলবো যে, আপনারা খুবই দক্ষতার সাথে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা করেছেন এবং আপনাদের কোনও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঋণ নেই। আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধ ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বেশ সুনাম অর্জন করেছে। তাই, কথিত ঋণের ফাঁদ নিয়ে চিন্তা করবেন না।’
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
বৃহস্পতিবার কসমস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় (ওয়েবিনার) এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানটি কসমস ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
উক্ত আলোচনায় উদ্বোধনী ও সমাপনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান এবং সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।এছাড়া সভায় আলোচক প্যানেলে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের এম চৌধুরী, ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী গবেষক ড. জু ইওংমেং, চীনা ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সহকারী গবেষণা ফেলো ড. নিং শেংনান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। ওয়েবিনারে মূল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
আরও পড়ুন: দ্রুতই টিকা রপ্তানি শুরু করতে পারে সেরাম
আলোচনার এক পর্যায়ে চীনের অর্থায়নে সরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার ঋণের ফাঁদে পড়ার বিষয়টি উঠে আসে। ঋণের ফাঁদ বর্তমান বিশ্বে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারের এক অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আর এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ অঞ্চলে চীনের ব্যাপক ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলার অভিযোগ করে আসছে বিভিন্ন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংস্থা।
এরই প্রেক্ষিতে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর কোনও দেশেই ঋণের ফাঁদ তৈরির চেষ্টা করেনি চীন। তিনি দাবি করেন এমন কোনও কার্যক্রমের প্রমাণ নেই।লি বলেন, ‘আপনাদের দেশে সুপরিকল্পিত নীতিগত কাঠামো এবং দক্ষ কর্মকর্তা ও মন্ত্রী রয়েছেন। তাই আপনাদের এই ব্যাপারে চিন্তিত হবার কিছু নেই।’এসময় চীনা রাষ্টদূত জানান, সম্প্রতি এক নিবন্ধ পড়ে তিনি জানতে পারেন, শ্রীলঙ্কার বর্তমান মোট ঋণের মাত্র ৮ শতাংশ চীনের কাছ থেকে নেয়া। তাছাড়া, এই ৮ শতাংশ ঋণের অধিকাংশই বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে রয়েছে।
আলোচনায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, চীন বাংলাদেশের শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে পরিণত হচ্ছে। দেশের বড়-বড় প্রকল্পগুলোতে চীনের বিনিয়োগ বাড়ছে। তার মতে, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে চীনের এমন অর্থনৈতিক কাযক্রমকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা ঋণের ফাঁদ হিসেবে উল্লেখ করছে। আর এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
তবে এই অর্থনীতিবীদ বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে এবং দেশের মোট ঋণের বড় অংশই আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া।’কিন্তু ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক শুধুমাত্র ঋণের কারণেই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে, বলে মনে করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি: মানবজাতি শিগগিরই মহামারি কাটিয়ে উঠবে
ওয়েবিনারে ঋণ বিষয়ক আলোচনার জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বর্তমান চলমান সম্পর্ক ও বাংলাদেশের প্রতি চীন সরকার ও জনগণের সমর্থনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি দুই দেশের সুসম্পর্ক বাংলাদেশকে আরও লাভবান করবে বলে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশের সুতোয় বাঁধবে চীন-ভারত সম্পর্ক
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশ চীনের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় চীনা রাষ্ট্রদূত বেশ হৃদ্যতা প্রকাশ করেন। তার মতে, ভারতকে কখনও নিজেদের কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেনি চীন।তিনি বলেন, ‘চীন কখনও ভারতকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে না। আমরা মনে করি আমাদের (চীন-ভারত) সম্পর্ক আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। তাই এটা কখনও ভাববেন না যে, ভারতের প্রতি চীনের বিদ্বেষমূলক মনোভাব রয়েছে। এমন কিছুই নেই।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশ
ভারতের মানুষ ও এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে লি বলেন, ‘আমরা এখনও অনেক বিষয়ে একসাথে কাজ করে যাচ্ছি। আর ঐতিহাসিক ভাবে গত দুই থেকে তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দুই অঞ্চলের মানুষের মাঝে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক আছে। যেকোনও শিক্ষিত চীনা নাগরিকের ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আলাদা একটি শ্রদ্ধার জায়গা রয়েছে, যা কখনও জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়নি।’
ভারত সম্পর্কে চীনা রাষ্ট্রদূতের আলোচনার আলোকে কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান ২০০৪ সালে চীনের বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই-এর (তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) সাক্ষাৎকার নেয়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ‘আমি তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম ভারত-চীন সম্পর্কে মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? তিনি তাৎক্ষণিকভাবেই উত্তর দিয়েছিলেন- ভারত এবং চীনের মাঝে সেতু বন্ধন করতে পারে বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন বাণিজ্যে স্বচ্ছতার আহ্বান বাংলাদেশের
প্রযুক্তির আদান-প্রদান
প্রযুক্তির আদান-প্রদান বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত লি জানান, বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে ব্যাপক হারে প্রযুক্তির আদান-প্রদান চলছে।এসময় উদাহরণ হিসেবে লি আরও জানান, বেশ কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের কাছ থেকে পোশাক আমদানি করতো না চীন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের এক নম্বর রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক শিল্প খাত চীনেও জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এখন চীনে পোশাক আমদানি করছে।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনাদের তৈরি পোশাক শিল্প খাত এখন এতটাই উন্নতি করেছে যে, বাংলাদেশের কাছ থেকে চীন গারমেন্টস পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় যে, দুই দেশের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির আদান-প্রদান ঘটছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা দেবে জার্মানি
‘কোয়াড’ প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের ভাবনা
আলোচনার এক পর্যায়ে একজন আলোচক চীন বিরোধী আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারতের জোট- কোয়াড প্রসঙ্গ তুলে আনেন। এ বিষয়ে গত মে মাসে লি জিমিং এর মন্তব্য চীন-বাংলাদেশের মাঝে বেশ অস্বস্তির তৈরি করে।কোয়াড প্রসঙ্গ উঠে আসায় চৈনিক এই কূটনীতিক নিজের সাফাই দেয়ার সুযোগটি লুফে নিয়ে জানান, একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি শুধু এই জোটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো সম্ভাবনার কথা আলোচনা করতে চেয়েছিলেন।এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হবার পর এদেশের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে প্রথম যা জানতে পেরেছি, তা হলো বাংলাদেশ সকলের সাথে বন্ধুত্বে বিশ্বাস করে এবং কারো সাথে বৈরিতায় জড়াতে চায় না। তাই আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ কোনও ক্ষুদ্র চক্রান্তকারী গোষ্ঠির সাথে জড়াবে না, বিশেষ করে কোনও যুদ্ধবাজ সামরিক জোটে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের জন্য চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিস্তা প্রকল্প
চীনের অর্থায়নে তিস্তার গভীরতা বাড়ানো প্রকল্পের ব্যাপারে লি জিমিং কে প্রশ্ন করা হয়।তিনি জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা প্রকল্পের ব্যাপারে যে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত সাধারণ মানের।চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রস্তাবনার ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা প্রথমে একটি পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাই এর প্রতিবেদন তৈরি করুন। এর পরে আমরা এই প্রকল্প মূল্যায়নের কাজ শুরু করবো। এই প্রকল্পের অর্থনৈতিক, প্রকৃতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটগুলোও আমাদের যাচাই-বাছাই করতে হবে।’
২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার হবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি
হুয়াওয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে অগমেন্টেড রিয়েলিটির (এআর) বাজার দাঁড়াবে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এ বিষয়টির ওপর আবারও জোর দিলেন হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা বব কাই।
তিনি বৃহস্পতিবার চীন থেকে অনলাইনে আয়োজিত হুয়াওয়ের বেটার ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২১ -এ ‘ফাইভজি + এআর, টার্নিং ড্রিমস ইনটু রিয়েলিটি’ শীর্ষক মূল বক্তব্যের সময় এ বিষয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ঢাকা নর্থ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
তিনি বলেন, ‘ফাইভজি এআর চালু করবে এবং এআর ফাইভজি প্রযুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। শিক্ষা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, কেনাকাটা, ভ্রমণ ও নেভিগেশন এবং গেমিং-এই পাঁচটি শিল্পখাত প্রথমেই এআর প্রযুক্তিকে বিস্তৃতভাবে গ্রহণ করবে। জড়জগৎ আর ডিজিটাল জগতকে একসাথে করার মাধ্যমে আমাদের কল্পনাগুলোকে বাস্তবে পরিণত করবে এআর।’
আরও পড়ুন: ‘উপায়ে’ কর্মীদের বেতন দেবে ফ্যালকন গ্রুপ
সামিটে শেনঝেন কমিউনিকেশন ম্যানেজমেন্ট ব্যুরো’র পরিচালক হে চেংজিয়ান, স্ট্রাটেজি অ্যানালিটিক্স’র নির্বাহী পরিচালক ডেভিড ম্যাকক্যুইন, শেনঝেন টিভি স্টেশনের প্রধান নির্মাতা হুয়াং হে, রিয়েলম্যাক্স’র সিইও ওয়েই রঙ্গজি, মিলিপ সিইও হিরোশি ফুকুদা, এইচএডিও চীন রিজিওন’র প্রতিনিধি লিয়াং জিনহাও এবং শেনজেন এআর অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক ফু জি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
তারা এআর-এর সাম্প্রতিক ব্যবহার এবং এআর প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ প্রবণতা সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা সবার সামনে তুলে ধরেন।
অপো ‘সার্ভিস ডে’ উপলক্ষে ৩০ শতাংশ ছাড়
গ্রাহক সেবার লক্ষ্যে ‘র্সাভিস ডে' পালন করতে যাচ্ছে অপো বাংলাদশে। সারাদেশে অনুমোদতি সব অপো সেন্টারে ১০-১২ জুন পর্যন্ত সার্ভিস ডে পালিত হবে। এই তিন দিনে অপো ভক্ত ও ব্যবহারকারীদরে র্স্মাটফোন সংশ্লষ্টি নানা ধরনরে সেবা প্রদান করবে অপো।
‘প্রযুক্তি মানবকল্যাণরে জন্য’ এটা ধারণ নিয়ে অপো বিশ্বাস করে গ্রাহক সন্তুষ্টরি জন্য সঠিক সেবা প্রদান অপরিহার্য। এই সেবা শুধুমাত্র ফোনের র্পাটস মেরামতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং র্দীঘময়োদে গ্রাহকের চাহিদা বুঝে তাকে সন্তুষ্ট করাই উদ্দশ্যে। তারই অংশ হিসেবে অপো র্সাভিস ডে চালু করছে।
আরও পড়ুন: অপো এফ১৯: স্লিম ডিজাইনের এক বহুমুখী মিডরেঞ্জার
সার্ভিস ডে উপলক্ষে অপো এর সব ফোন রক্ষণাবক্ষেণে (মেইনটেন্যান্স) ১০-৩০ শতাংশ র্পযন্ত ছাড় পাওয়া যাবে। এসময় ফোনের স্থায়িত নিশ্চিতে পুরো স্মার্টফোনটি ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেয়ারও সুযোগ রয়ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ফোন অ্যাকসেসরিজ কিনলে ১০ শতাংশ ও আইওটি ডিভাইসে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।
এছাড়াও বিনা খরচে সেবা প্রদান, ফ্রি প্রোটকেটিভ ফিল্ম এবং ফ্রি সফটওয়্যার আপগ্রেড করা যাবে। সাথে রয়েছে বিনামূল্যে ফোন জীবাণুমুক্ত করার সুবিধা।
অপো মনে করে, তারা শুধুমাত্র ডিভাইস বিক্রি করে না, গ্রাহকের পুরো জীবনযাত্রায় একটা পরর্বিতন আনতে কাজ করে থাকে।
চিকিৎসকদের ছয় মাস বিনামূল্যে ৩৩ জিবি করে ডাটা দেবে রবি
করোনা মহামারী মোকাবিলার অগ্রণী সৈনিক চিকিৎসকদের সম্মানে স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) নিবন্ধিত চিকিৎসকদের জন্য আকর্ষণীয় ডাটা অফার দিচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি।
রবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, অফারটির আওতায় রবি ও এয়ারটেলের নেটওয়ার্কে আগামী ছয় মাসের জন্য প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩৩ জিবি ডাটা উপভোগ করতে পারবেন চিকিৎসকরা।
রবি-এয়ারটেল সংযোগ ব্যবহারকারী চিকিৎসকরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফারটি উপভোগ করবেন। অন্য অপারেটরের সংযোগ ব্যবহার করা চিকিৎসকরা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবার মাধ্যমে অথবা নতুন রবি বা এয়ারটেল সংযোগ কিনে অফারটি উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জুনের পর অবৈধ ও নকল মোবাইল সেট বন্ধ: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ইউএসএসডি কোড *২১২*৯০০০# ডায়াল করে অফারটি চালু করতে নির্ধারিত চিকিৎসকদের এসএমএস দিয়ে জানানো হবে। যেসব চিকিৎসকরা নতুন রবি-এয়ারটেল সংযোগ অথবা এমএনপি সেবা পেতে চান তারা প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য ০১৮১৯৪০০৪০০ নম্বরে ডায়াল করতে পারবেন। চিকিৎসকদের সুবিধাজনক স্থানে সেবা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত রবি’র প্রতিনিধিরা।
এছাড়া জাতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করা সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে #থ্যাঙ্কইউলাইফসেভারস নামে একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে রবি। এই হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে যে কেউ চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতার গল্পগুলো শেয়ার করতে পারেন। এই গল্পগুলো কোভিড-১৯ এর সাথে লড়াইয়ে তাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে কি করবেন?
বাংলাদেশে যারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন তাদের শতকরা ৮০ ভাগই নারী। সবচেয়ে ভীতিকর ব্যাপার হলো, এদের বয়সের পরিধি ১৪ থেকে ২২ বছর। এমনকি শিশুরাও এই ঝুকির বাইরে নয়। বৃহৎ পরিসরে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির দরুণ অনেক জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই সাইবার বুলিংয়ের কারণে। প্রযুক্তির উত্তরোত্তর উন্নয়নের ফলে পারস্পরিক যোগাযোগ প্রতিনিয়ত সহজলভ্য হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সংখ্যালঘু দুষ্ট চক্রের বিকৃত মানসিকতার কারণে সেই প্রযুক্তি ব্যবহারের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সবাইকে।
কি এই সাইবার বুলিং
এক কথায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে কারো উপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা নাশকতা চালানোকে সাইবার বুলিং বলা হয়। যারা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙ্গে গোপনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারে তাদের হ্যাকার বলা হয়। হ্যাকিং একটি পারদর্শিতা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর অসদ্ব্যবহারই হয়ে এসেছে। হ্যাকারদের মধ্যে যারা নিজেদের এই ক্ষমতাটি অন্যের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহার করে তারাই মুলত সাইবার বুলিং এর জন্য দায়ী।
কিভাবে হচ্ছেন সাইবার বুলিংয়ের শিকার
বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কারণে আপনি সারা বিশ্বের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছেন। আপনার তথ্যগুলো যেহেতু অনলাইন সামাজিক মাধ্যম ইমেইল, মোবাইল ফোন দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত, তাই হ্যাকাররা হয়রানির জন্য এগুলোকেই ব্যবহার করে। অধিকাংশ হ্যাকাররা ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সের হয়ে থাকে। অন্যদিকে এদের শিকার নারী ও শিশুরা হলেও, এখন সব বয়সের এবং সব পেশার লোকেরাই বিপদে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের ব্যাপার হলো, সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে অনেকেই বেছে নিচ্ছে আত্মহননের পথ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাইবার নিরাপত্তা হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে: পলক
সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে যা যা করণীয়
→ সকল নেতিবাচকতা অগ্রাহ্য করা
অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন, ম্যাসেজ অথবা অনলাইন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অনাকাঙ্ক্ষিত কমেন্ট, ম্যাসেজ আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে। এমনকি হয়ত আপনার ব্যাপারে রটে যাওয়া ভুল ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকেও কথা শুনতে হতে পারে। ব্যাপারটাকে গভীরভাবে না দেখে এড়িয়ে যান। কেননা আপনি পাত্তা দিলেই উত্যক্তকারীর উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে।
→ অভিভাবক মহলের সাথে পরামর্শ করা
বাবা-মা, বড় ভাই-বোন, প্রিয় শিক্ষক অথবা এমন কারো সাথে ব্যাপারটি শেয়ার করুন যে আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেবে না বলে আপনি দৃঢ়ভাবে বিঃশ্বাস করেন। আবেগপ্রবণ না হয়ে নিজের অবস্থানটা স্পষ্ট করে তুলে ধরুন। এতে সামাজিকভাবে আপনি একটা পৃষ্ঠপোষকতা পাবেন।
আরও পড়ুন: ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ এ গৃহবধুর অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার
→ প্রমাণ রাখা
অনলাইন অথবা ফোন যে মাধ্যমেই বুলিংটা হোক না কেন চেষ্টা করুন যে কোনো ভাবেই তার একটা অফলাইন কপি রাখতে। পরবর্তী আইনী সহায়তা নেবার সময় এগুলো প্রমাণ হিসেবে আপনার কাজে লাগবে।
→ রিপোর্ট করা
প্রতিটি ওয়েবসাইটেরই অভিযোগ বক্স বা রিপোটিং পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলুন। এতে বুলিং কন্টেন্ট মুছে যাওয়ার পাশাপাশি অপরাধীও সেই সাইট চিরতরে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
→ সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত থাকা
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেক্ষেত্রে হতাশ না হয়ে নিজেকে নিজের কাজে মগ্ন রাখুন। বিশেষত সৃজনশীল কাজের দিকে মনযোগ দিন।
→ আত্মবিশ্বাসের সাথে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া
এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশী দরকার। প্রায় দেখা যায়, সাইবার বুলিংয়ের শিকার ব্যক্তি জনসম্মুখে নিজেকে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন। তা না করে বরং প্রতিটি সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সাবলীলভাবে উত্তর দিন। এখানে যেহেতু আপনি কোন দোষ করেন নি সেহেতু নিজেকে লুকিয়ে রাখার কোন অর্থ নেই। বরং আপনার ইতিবাচক সাড়া অপরাধ ও অপরাধীর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে ইন্ধন যোগাবে।
শেষ কথা
প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে আপনার নেয়া সিদ্ধান্তগুলো পরবর্তীতে সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্ম দিবে। তাই নিজেকে গুটিয়ে না রেখে নেতিবাচকতাগুলো উপেক্ষা করে আত্মবিঃশ্বাসের সাথে নিজের স্বপক্ষে কথা বলুন।
আরও পড়ুন: ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকড হলে সহায়তা দিবে ‘সাইবার সিকিউরিটি হেল্প ডেস্ক’: পলক
অন্ধকারে ছবি তুলতে আসছে ডুয়েল স্পটলাইট স্মার্টফোন ভিভো ভি২১
অন্ধকারে ছবি তুলতে নতুন একটি প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে বহুজাতিক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। ডুয়েল স্পটলাইট প্রযুক্তি যুক্ত হবে ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ভি২১।
রবিবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিভো ভি২১ এর ডিসপ্লের একেবারে ওপরে যুক্ত করা হয়েছে দু’টি লাইট। অন্ধকার অবস্থায় সেলফি তোলার আগে এই স্পটলাইটগুলো জ্বালিয়ে নিলেই পরিস্কার ও ডিটেইলসহ চমৎকার সেলফি পাওয়া যাবে। ফ্ল্যাশলাইটের মতো হঠাৎ করে জ্বলে না বলে, এতে ঝাপসা বা চোখ বন্ধ ছবিও আসবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পথচলার ৩ বছর পার করল ভিভো
ডুয়েল স্পটলাইটের কারণে ভিভো ভি২১ স্মার্টফোনে তোলা ছবি; ১৫ লাক্স পর্যন্ত উজ্জ্বল হবে। ছবি তোলা ছাড়াও ডুয়েল স্পটলাইট ব্যবহার করা যাবে আরও তিনটি অ্যাপ; হোয়াটস অ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার এবং ইন্সটাগ্রামেও। ভিডিও কলে কথা বলার সময় তাই অন্য কাউকে বিরক্ত না করেও স্পষ্ট যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
মজার ব্যাপার হলো- এ দু’টি স্পটলাইট ব্যবহারের জন্য কোনো বাড়তি জায়গা নেয়নি ভিভো। ভি২১ এর ব্যাজেলের ওপরেই এমনভাবে লাইটদুটো বসানো হয়েছে- যাতে একটুও কমেনি স্মার্টফোনের সৌন্দর্য।
আরও পড়ুন: দেশে এল ভিভো ভি২০ এসই
ডুয়েল স্পটলাইটসহ আরও বেশ কিছু প্রযুক্তির কারণে ইতোমধ্যেই ভিভো ভি২১ বিপুল সুনাম কুড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে। এবার বাংলাদেশেও আসছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোন। তবে কবে নাগাদ স্মার্টফোনটি দেশের বাজারে আসবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি ভিভো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর ধরন অর্থাৎ সেটি যোগাযোগ উপগ্রহ নাকি আর্থ কিংবা আবহাওয়া উপগ্রহ হবে সে বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ বাস্তবায়নে কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর।
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের চতুর্থবর্ষ পদার্পণ উপলক্ষে ঢাকায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বুধবার রাতে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাঙালির মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন পূরণের দিন ১২ মে ২০১৮ সাল। এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় দেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। বিশ্বে স্পেস সোসাইটিতে ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হিসেবে লিপিবদ্ধ হয় বাংলাদেশের নাম।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন: মোস্তফা জব্বার
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘মহাকাশে বাংলাদেশের পদচারণার প্রথম সোপান ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’। জাতীয় জীবনে এ এক ঐতিহাসিক সূচনা অবিশ্বাস্য এক অগ্রযাত্রা। এই অগ্রযাত্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় চলমান ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রাম এগিয়ে নেয়ার এক উজ্জ্বল সোপান অতিক্রম করা। অবিস্মরণীয় এই যাত্রা উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার আরও একটি মাইলফলক।’
তিনি বলেন, টেলিকম প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এবং ইউপিইউর সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০০৯ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী গর্বিত দেশ হিসেবে তুলে ধরেছেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিএসসিএল এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মো. সিরাজউদ্দিন, বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, বিএসসিএলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল হায়দার চৌধুরী, ক্যাবল শিল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জগদীশ চন্দ্র, বিএসসিএলর পরিচালনা পরিষদের সদস্য ড. সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসসিএল এর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান।
রিয়েলমি-দারাজের যৌথ ঈদ ক্যাম্পেইন শুরু
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজের সাথে ঈদ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রিয়েলমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন, স্মার্টফোন গ্রাহকেরা নির্বাচিত রিয়েলমি স্মার্টফোন স্পেশাল প্রাইজে দারাজ থেকে কিনতে পারবেন। স্মার্টফোন কেনার সময় ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাবেন ক্রেতারা। দারাজ থেকে রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনতে ক্লিক করুন https://rebrand.ly/realme_DarazEidCampaign। গ্রাহকরা আগামী ৮ মে পর্যন্ত এ অফার উপভোগ করতে পারবেন।
এই ঈদ ক্যাম্পেইনে দারাজে রিয়েলমি ৮ প্রো (৮+১২৮ জিবি) ২৬,৪৯০ টাকায়, রিয়েলমি ৮ (৮+১২৮ জিবি) ২১,৭৯০ টাকায়, রিয়েলমি সি১৭ (৬+১২৮ জিবি) ১৪,৬৪০ টাকায়, রিয়েলমি সি২৫ (৪+১২৮ জিবি) ১৪,২৯০ টাকায়, রিয়েলমি সি২৫ (৪+৬৪ জিবি) ১৩,৩৯০ টাকায়, রিয়েলমি সি২১ (৪+৬৪ জিবি) ১১,৩৯০ টাকায় ও রিয়েলমি সি২১ (৩+৩২ জিবি) ১০,৪৯০ টাকায় ৮ মে পর্যন্ত কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঈদে আসছে স্লিম এবং ট্রেন্ডি রিয়েলমি ৮, সি২৫ এবং গেম প্রো কিট
রিয়েলমি ৮ প্রো হচ্ছে ১০৮ মেগাপিক্সেল আলট্রা কোয়াড ক্যামেরা সেটআপসহ রিয়েলমি নম্বর সিরিজের প্রথম ফোন, যা স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ পিক্সেলের স্মার্টফোন। আর ৮ মিলিমিটার পুরুত্ববিশিষ্ট ইনফিনিট বোল্ড ডিজাইনের রিয়েলমি ৮ এই ঈদের সবচেয়ে ট্রেন্ডি ফোন। এতে রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম জি৯৫ গেমিং প্রসেসর প্লাস সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের কম্বিনেশন। ৬৪ মেগাপিক্সেল এআই কোয়াড ক্যামেরা। ৫০০০এমএএইচ মেগাব্যাটারি সাথে ৩০ ওয়াটের ডার্ট চার্জার।
আরও পড়ুন: ঈদে আরও দু’টি নতুন স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি
অন্যদিকে, রিয়েলমি সি২৫ সি সিরিজের সবচেয়ে আপগ্রেডেড ফোন, যাতে রয়েছে ৪৮ মেগা পিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা এবং টিইউভি রাইনল্যান্ড উচ্চ নির্ভরযোগ্য মানের স্বীকৃতি। আর, রিয়েলমি সি২১ এন্ট্রি-লেভেলের প্রথম অল-রাউন্ডার ফোন, যার আছে রাইনল্যান্ড কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন ও ফোনটিতে রয়েছে সুদীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ ও রিভার্স চার্জিং সুবিধা।
এতসব অফারের পাশাপাশি, গ্রাহকেরা দারাজ অফারে অন্তর্ভুক্ত রিয়েলমি স্মার্টফোন কেনার সময় ভাউচার পাবেন এবং মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ইএমআই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বাজারে এলো ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার রিয়েলমি ৮ প্রো
সকল পণ্যে ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়াল স্যামসাং
ক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনায় স্যামসাং পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবার সময়সীমা বাড়াচ্ছে স্যামসাং বাংলাদেশ।
গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে যেসব স্যামসাং পণ্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং শেষ হবে, সেসকল পণ্যের ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়িয়েছে প্রযুক্তি পণ্যের বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানটি।
স্যামসাং এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, লকডাউন শেষ হবার দিন থেকে অতিরিক্ত ১৪ দিন পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়বে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫,৯৯৯ টাকায় স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন!
করোনার সংক্রমণ এবং ভাইরাসের কারণে মৃত্যু কমাতে সরকার দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করে। লকডাউন চলাকালে চলাফেরায় বিধি-নিষেধের কারণে ক্রেতারা ওয়ারেন্টি সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। তাই, ক্রেতাদের এ সমস্যা লাঘবে এবং তাদের জীবনযাত্রাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়িয়েছে স্যামসাং।
আরও পড়ুন: স্যামসাং বাজারে নিয়ে এলো বাজেটবান্ধব গ্যালাক্সি এম০২এস
এ নিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোয়ানসাং উ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দেশের নাগরিকরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ দেশব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায়, মানুষ এমনিতেই নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন, এ সময়ে আমরা চাই না ক্রেতারা ওয়ারেন্টির সময় শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করুক। এজন্য, কিছুটা হলেও তাদের দুশ্চিন্তা কমাতে এবং তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে আমরা ওয়ারেন্টির সময় বাড়াতে পেরে আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, ক্রেতারা এর থেকে উপকৃত হবেন। এ প্রতিকূল অবস্থায়, আমরা সবাইকে বাসায় থেকে নিরাপদ ও সুস্থ থাকার অনুরোধ জানাই।’
আরও পড়ুন: বছর শেষে অফার নিয়ে এসেছে স্যামসাং বাংলাদেশ
গত বছর সাধারণ ছুটি চলাকালেও স্যামসাং এর সকল পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়িয়েছিল।