হেফাজতে ইসলাম
হেফাজতের তাণ্ডব: ৩ মামলায় বাবু নগরী ও মীর হেলালসহ আসামি ৩ হাজার
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজতের তাণ্ডবের অভিযোগে এবার দলটির নতুন আহ্বায়ক কমিটির আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর হেলাল ও উপজেলা জামায়েতের আমিরসহ ১৪৮ জনকে আসামি করে ৩টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
গত ২৬ ও ২৭ মার্চ হাটহাজারী থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী থানায় এসব মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ৪দিন মামলার বিষয়টি গোপন রাখলেও সোমবার গণমাধ্যমকে জানায়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৩ হাজার জনকে নতুন করে দায়ের করা এ ৩ মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তৌহিদুল করিম বলেন, ‘গত ২৬ ও ২৭ মার্চে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সব ডকুমেন্টস আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
পৃথক তিন মামলার এজাহারে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে হাটহাজারী সদর, ইছাপুর বাজারে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও রাস্তায় দেয়াল দিয়ে আসামিরা অস্থিরতা সৃষ্টি করে। আসামিরা ২৬ থেকে ২৮ মার্চ রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ, থানা ও ভূমি অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগসহ পুলিশের ওপর হামলা করেন।
একটি মামলার বাদী চট্টগ্রাম পুলিশের জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) কনস্টেবল মো. সোলায়মান। এ মামলায় বাবুনগরী, হেফাজত নেতা মীর ইদ্রিস, নাছির উদ্দিন, জাকারিয়া নোমান, আহসান উল্লাহসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের দেড়শ থেকে ২শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
কনস্টেবল মো. সোলায়মানকে ২৬ মার্চ মাদ্রাসার ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখার পরের দিন সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
আরেক মামলার বাদী হাটহাজারী থানার পরিদর্শক আমির হোসেন। এ মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা জাকারিয়া নোমান ও উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আসামি আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার জন। এ মামলাটি করা হয় সড়কে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিবন্ধকতার মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টির দায়ে।
অন্যদিকে হাটহাজারী থানার এসআই হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে তৃতীয় মামলাটি করেছেন। এ মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সৈয়দ ইকবাল, উপজেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমরান শিকদারসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আসামি আড়াইশ থেকে তিনশ জন। তাদের বিরুদ্ধেও ইছাপুর বাজারে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, থানা ও ভূমি অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়।
গত ২৬ মার্চ হেফাজতের তাণ্ডবের পাঁচ দিন পর গত ৩১ মার্চ চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা ভবনে হামলা, ভূমি অফিসে ভাঙচুর, ডাকবাংলোয় আগুন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ছয়টি ও পটিয়াতে একটি মামলা করে পুলিশ। হাটহাজারী থানায় চারটি ও পটিয়ায় একটি মামলার বাদী পুলিশ। আর ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা দায়ের করেন দুটি মামলা। তবে প্রায় দুই হাজার জনকে আসামি করা হলেও কারো নাম নেই এসব মামলায়। সাত মামলার সব আসামিই অজ্ঞাত। ওই সময় থেকে মামলাগুলো তদন্ত করছিল পুলিশ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ ও ২৭ মার্চ হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা দু’দিন ধরে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। তারা ওই সময় হাটহাজারী উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ৫৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এসিল্যান্ড অফিসের সব নথি পুড়িয়ে দেয়া হয়। তছনছ করা হয় সব আসবাবপত্র। সরকারি ডাক বাংলোতে আগুন দেয়া হয়। সেখানে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলও আগুনে পুড়ানো হয়।
এছাড়া সদর ভূমি অফিস তছনছ করার পাশাপাশি জমির খতিয়ান সব পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই অফিসের অধীন পৌরসভা, মেখল ও ফতেপুর ইউনিয়নের জমির খতিয়ান ও খাজনার সব রেকর্ড ছিল। ডাকবাংলোর ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে জেলা পরিষদ। তবে এসিল্যান্ড অফিস ও সদর ভূমি অফিসে হেফাজতের নেতাকর্মীদের তাণ্ডবে শুধুমাত্র ভৌত অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
মামুনুল ৭ দিনের রিমান্ডে
ঢাকার একটি আদালত পল্টন ও মতিঝিল থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় সোমবার হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড এবং ২০১৩ সালে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় মামুনুলকে ৪ দিনের রিমান্ড দেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
তবে দুটি মামলার প্রত্যেকটিতেই পুলিশ ২০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। পল্টন থানার ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও মতিঝিল থানার ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম আদালতে এই আবেদন করেন।
২০২০ সালে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ভাঙচুর মামলায় মামুনুলকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী নিখোঁজ; পল্টন থানায় জিডি
গত ১৮ এপ্রিল, তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল মামুনুলকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া আরবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
সাম্প্রতিক কিছু বিতর্কের কারণে আলোচনায় থাকা মামুনুলকে গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্ট থেকে এক মহিলার সাথে আটক করা হয়েছিল যাকে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
পরে হেফাজতের নেতারা দাবি করেন যে মামুনুল তার “দ্বিতীয় স্ত্রী” নিয়ে রিসোর্টে গিয়েছিলেন, সেখানে স্থানীয়রা তাকে বন্দী করে এবং পুলিশে ফোন দেয়ার আগে হয়রানি করে।
বিলুপ্ত ঘোষণার ২ ঘণ্টার মাথায় হেফাজতের ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
সাবেক আমীর আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর চার মাস আগে গঠিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার দুই ঘণ্টার মধ্যে দলটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের বক্তব্য দিয়ে আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ডিবি হেফাজতে
এর মাত্র দুই ঘণ্টা পর পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করে দলটি।
রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান অস্থির ও নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হলেন- আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম। সদস্যরা হলেন- সালাউদ্দিন নানুপুরী ও অধ্যক্ষ মিজানউর রহমান চৌধুরী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে হেফাজতের সাবেক আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী ইনআমুল হাসান ফারুকী জানান, এই পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অতি দ্রুত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের আরেক শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার
এর আগে, রাত ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে হেফাজতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন আল্লামা বাবুনগরী।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়।
ওই সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এ পর্যন্ত হেফাজতের অন্তত এক ডজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ আটক হন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত।
আরও পড়ুন: থানায় হামলা: হেফাজত নেতা আবুল হুসাইন রিমান্ডে
সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
গত সপ্তাহে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসায় দেখা করে দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ভেঙে দেন হেফাজত নেতারা।
মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ডিবি হেফাজতে
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমানকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির একটি দল ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা থেকে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
ওলিয়ার রহমান আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল বিকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ওলিয়ার রহমানকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। হয়তো ডিএমপির ডিবি পুলিশ তাদের মামলার তদন্তের স্বার্থে তার (ওলিয়ার) সঙ্গে কথা বলবে।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী নিখোঁজ; পল্টন থানায় জিডি
তিনি বলেন, এর আগে শুক্রবার রাতে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিবির একটি দল তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। যতটুকু জানি মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।
ওলিয়ার রহমানের স্ত্রী শিরিনা বেগম জানান, রাতে ওসি সাহেব ও থানার লোকজন এসে উনাকে (ওলিয়ার রহমান) নিয়ে গেছেন। কি কারণে নিয়ে গেছেন জানিনা।
এর আগে ১২ এপ্রিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে ওলিয়ার রহমানকে কেন বহিষ্কার করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। ১৯ এপ্রিল ওই সাত দিন পার হয়। এই প্রেক্ষাপটে ২১ এপ্রিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নির্বাহী সভায় ওলিয়ারকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি রিসোর্টে গত ৩ এপ্রিল হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এক নারীসহ ঘেরাও করা হয়। ওই নারীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। তখন হেফাজত নেতা মামুনুল হক তাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য, গত রবিবার হেফাজতের এই নেতাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৪ এপ্রিল (ইউএনবি)-হেফাজত ইসলাম তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি ও সরাইল থানায় দুটিসহ মোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ১০ জন গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি ও সরাইল থানায় দুটিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
এ সকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৮ জন গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি ও সরাইল থানায় দুটিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
এসব মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সর্বমোট ৩৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।
সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের হয়রানির অভিযোগ জাপার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে ভাঙচুরের ঘটনায় সরকার জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, ৩ এপ্রিল এক নারীসহ হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের আটকের পর সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে হামলায় জাতীয় পার্টি বা তাদের কোনো নেতা-কর্মীই জড়িত নন।
আরও পড়ুন: পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য: জাপা সভাপতি
তবে, তারা বলেছেন, জাতীয় পার্টির সোনারগাঁও উপজেলা শাখার সভাপতি ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রউফ এবং সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি এবং পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক আহমেদকে 'মিথ্যা' মামলায় জড়িত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 'এছাড়াও আমাদের কমপক্ষে আরও ৩৫ জন নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।'
জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা সরকারের কাছে রউফ ও ফারুককে অবিলম্বে মুক্তি এবং তাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
তারা অভিযোগ করেছেন, এই পবিত্র রমজান মাসে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে থাকতে পারছেন না। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও পুলিশ প্রতি রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
জিএম কাদের ও বাবলু আরও বলেন, অবিরাম পুলিশি অভিযানের কারণে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করা এক নারীসহ আটক হন।
কয়েক ঘণ্টা পর হেফাজতের একদল নেতা-কর্মী ও স্থানীয় কয়েকজন রিসোর্টটিতে হামলা চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
হেফাজতের আরেক শীর্ষ নেতা রাজধানীতে গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিজাত বাহিনীর সদস্যরা আমিনকে একটি মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজত কর্মীদের হামলায় বাগেরহাটে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির সহ সভাপতি ও খেলাফতে মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা কুরবান আলী কাসেমীকে মঙ্গলবার ঢাকার বাসাবো এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ১৮ এপ্রিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে মোহাম্মদপুর এলাকার একটি মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
গত মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত সমর্থকদের সহিংস কর্মকোণ্ডের পর সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের আরও ৭ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার হওয়া অন্য নেতার মধ্যে রয়েছেন হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনায়েদ আল-হাবিব, সহকারী মহাসচিব জালালউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর শাখার সহ সভাপতি মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, সহ প্রচার সম্পাদক শরিফুল্লাহ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
ধর্মীয় নেতা নয়, সরকার দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকার কোনো আলেম বা ধর্মীয় নেতাকে নয়, দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘যে সব দুষ্কৃতিকারীরা ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সমগ্র দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি-সহায়-সম্পত্তি, যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জমির দলিলপত্র পুড়িয়েছে, ফায়ার স্টেশন-রেল স্টেশনে হামলা করে ক্ষতি করেছে এবং যারা মানুষের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে, তাদের এবং তাদের নির্দেশদাতাদের সরকার গ্রেপ্তার করছে।’
আরও পড়ুন: দেশ গড়ার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে সরকারি বাসভবন থেকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও এটুআই আয়োজিত 'ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংবাদিকদের ভূমিকা' শীর্ষক অনলাইন কর্মশালা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান মহমুদ বলেন ‘কোনো ভালো আলেম এসব অপরাধের সাথে যুক্ত ছিল না, আলেমের মুখোশধারীরাই এসবে যুক্ত এবং সরকার তাদেরকেই গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'বরাবরই বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, অপশক্তি নিয়ে রাজনীতি করে। যারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, দেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়, তাদেরকে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করে। মামুনুল হক যেভাবে রাসূলকে (স.) ব্যঙ্গ করেছে, এটা যদি অন্য কেউ করতো, হেফাজতের নেতারা সারাদেশে মিছিল-মিটিং-শোরগোল করতেন আর মির্জা ফখরুল সাহেবরাও তাতে সুর মিলাতেন।'
আরও পড়ুন: মোদির বিরোধিতাকারীদের ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সোমবার হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'সরকারের সঙ্গে কেউ দেখা করতে চাইলে, দেখা করতেই পারে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখা করেছেন। কিন্তু তাতে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো ব্যত্যয় হবে না।'
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান এর আগে বাসসের কর্মশালায় দেয়া বক্তব্যে সংস্থাটির সকল জেলা প্রতিনিধিদের ল্যাপটপ সরবরাহের ওপর গুরুত্ব দেন।
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান অনলাইনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।