রোগ
খাগড়াছড়িতে ঠান্ডাজনিত রোগে ৩ মাসে ১৫ শিশুর মৃত্যু
খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত তিনমাসে ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ৩ মাসে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ১১৪ জন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া শিশু রোগী ভর্তি হয়। তার মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি এলাকায় ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে খাগড়াছড়িতে শিশুদের রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তিনি এই ঠান্ডায় শিশুদের ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে তিনজন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র এক জন। যার কারণে শিশু রোগী বাড়লে এক জন ডাক্তারের পক্ষে সবাইকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক ছাড়া নবজাতক প্রসব করাতে গিয়ে কপাল কেটে ফেললেন নার্স-আয়া
সিরাজগঞ্জে মস্তকবিহীন নবজাতকের লাশ উদ্ধার
অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত রিপন, চিকিৎসার জন্য সহায়তা চায় পরিবার
গ্রামের লোকজন তাকে বৃক্ষশিশু নামে ডাকে। হাত পায়ের তালুর ঘাগুলো গোলাকার ও লম্বাকৃতির। নখগুলো বড় হয়ে সামনের দিকে কুঁকড়ে গেছে। মাথাতে কালো শুকনো ঘা। ঠোঁটেও ছোট ছোট ঘা। রিপনের (১৩) শরীরে অজ্ঞাত রোগ বাসা বেঁধেছে।
রিপনের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কেউটগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম মহেন্দ্র দাস রাম। সে কেউটগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। জন্মের চার মাসের মাথায় অজ্ঞাত জটিল রোগে আক্রান্ত হয় সে।
আরও পড়ুন: হাত-পা বিহীন এসএসসি পরীক্ষার্থী সালাহ উদ্দিনের স্বপ্ন বড়
এর আগে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য রিপনকে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে কয়েকটি অপারেশন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর কিছুটা ভালো হলে তাকে বাড়িতে ফিরে আনা হয়। এরপর আর কোন চিকিৎসা হয়নি বলে রিপনের বাবা জানিয়েছেন।
রিপন বলে, ‘আমার হাতে-পায়ে অনেক ব্যথা। আমি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। আমি সুস্থ হতে চাই। মা-বাবা আর দুই বোন ছাড়া আমার কেউ পছন্দ করে না। স্কুলে কেউ আমার কাছে আসতে চায় না। ঠিকমতো খাইতে পারি না। চামচ দিয়া ভাত খাই।’
রিপনের মা গোলাপী রানী রায় জানান, ২০০৭ সালে জন্মের চার মাসের মাথায় রিপনের মাথা, হাত ও পায়ের তালুতে ঘামাচির মতো দেখা দেয়। তবে ঘামাচিতে কোনো রস দেখা যায়নি। চার-পাঁচ মাস পর ঘামাচিগুলো বড় আকার ধারণ করে। তিন-চার মাস পর সেগুলো কালো হয়ে যায়। ধীরে ধীরে হাত-পায়ের তালুগুলো জালের মতো ফাটতে থাকে। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে ঘাগুলো বড় হতে থাকে।
আরও পড়ুন: বাস্তবে জীবিত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা মৃত!
রিপনের বাবা মহেন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি সামান্য জুতা সেলাইয়ের কাজ করি। এই সামান্য উপার্জনে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলছে। আমার পক্ষে তার চিকিৎসা ব্যয় অসম্ভব। সহযোগিতা পেলে আমার ছেলের চিকিৎসার সুযোগ হতো।’
দৌলতপুর ইউপির চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা যত দূর সম্ভব সহযোগিতা করছি।’ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
যশোরে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৯
যশোরে আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বয়সী মানুষ জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে (শিশু) জেলার নতুন উপশহর এলাকার মেহেদী হাসান তাঁর তিন বছর বয়সী শিশু পুত্র মামুনকে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত তার ছেলে।
সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের জুয়েল রানা পাঁচ দিনের নবজাতক ইয়াসিনকে নিয়ে আসেন বহির্বিভাগে। তিনি জানান, তার কন্যার ঠাণ্ডা লাগার কারণে চিকিৎসকের কাছে এসেছেন।
অপরদিকে ধর্মতলা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসেন আব্দুল গফুর (৩৫)। তিনি গত তিন সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ৫২টি জটিল রোগে আর্থিক সুরক্ষা দিতে মেটলাইফ বাংলাদেশের নতুন স্বাস্থ্য বীমা
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের রোগী বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বেড না পেয়ে ওয়ার্ডের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ১ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শিশু আন্তবিভাগ থেকে চার হাজার ৫২৩ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়া শুধু বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) হাসপাতালে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে ৭২৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫০৩ জন শিশু ও ২২৬ জন বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও আন্তবিভাগের রেজিস্টার খাতা অনুযায়ী, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১২৩ জন শিশু ভর্তি এবং মেডিসিন বিভাগে ও সিসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ৩৬ জন নারী ও পুরুষ।
যশোর মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, এখন শিশুরা ভাইরাল ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। এখন যে আবহাওয়া তা শিশুদের জন্য উপযোগী নয়।
এ পরিস্থিতিতে শিশুদের সুস্থ রাখতে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঠাণ্ডা বা গরম পরিবেশে শিশু ও বয়স্কদের রাখা যাবে না। ঘাম শরীরে শুকানো যাবে না। শিশুদের বুকে ঘাম জমলে দ্রুত তা মুছে ফেলতে হবে। সময়োপযোগী জামা-কাপড় ব্যবহার করতে হবে।’
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে শিশু রোগী বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে বয়স্ক ও শিশুদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে (হাসপাতালে) শতাধিক রোগী ভর্তি থাকছেন।’
আরও পড়ুন: যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু
যশোরে ট্রেনের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
কাবুলে বায়ুদূষণে ১৭ জনের মৃত্যু
কাবুলে গত এক সপ্তাহে চরম বায়ুদূষণে কমপক্ষে ১৭ ব্যক্তি মারা গেছের বলে গণস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ফিদা মোহাম্মদ পাইকান জানিয়েছেন।
শীতজনিত রোগে নতুন করে আক্রান্ত ৪,১৯৬
শীতজনিত নানা রোগে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে চার হাজার ১৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরকার জানিয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ৫,৯৪৫
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ।
শীতে যেসব নিয়ম-কানুন মেনে চলবেন...
শীতের সময় মানুষের সর্দি-কাশি, টনসিলাইটিস, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট, আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যথা, হার্টের সমস্যার প্রকোপ বেড়ে যায়।
কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগ বাড়ছে
কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জেলায় শীতজনিত রোগ বাড়ছে।
দেশে প্রতিবছর স্তন ক্যান্সারে মারা যান ৭ হাজার নারী
ঢাকা, ২৫ অক্টোবর (ইউএনবি)- সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও স্তন ক্যান্সারে নারীদের অবস্থান শীর্ষে। প্রতিবছর দেশে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি নারী আক্রান্ত হন এ রোগে। এর মধ্যে প্রায় ৭ হাজার রোগীই মারা যান।
স্তন ক্যান্সার চিকিৎসার প্রধান বাধা ‘লজ্জা’
ঢাকা, ২৫ অক্টোবর (ইউএনবি)- স্তন ক্যান্সার নিরাময়ের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে রোগ দ্রুত শনাক্ত করা। কিন্তু রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থার কারণে অনেক নারী এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনাও করতে চান না।