হত্যা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে গেলে হাসপাতালে নেয়ার পরে তার মৃত্যু হয়।
নিহত হাফেজ মাহবুব (২৭) উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি-৯ ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. আলী জানান, দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করার পর দ্রুত ক্যাম্পের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জি-৭ ব্লকের কাছে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। এছাড়া পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবককে গুলি করে হত্যা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তার মাথায় ও পিঠে গুলি করে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
নিহত স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ রশিদ (৩৫) বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. আলী জানান, এনজিও অফিসে রাতে ডিউটি করে তার নিজ শেডে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ রশিদকে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
পাবনায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে রিকশা চালককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
পঞ্চগড়ে ৬ মাসের মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
পঞ্চগড়ে ৬ মাসের মেয়েশিশুকে হত্যার দায়ে বাবাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নাজিমুল হকের উপস্থিতিতে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ২০১৯ সালের একটি হত্যা মামলায় এই আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নাজিমুল হক (৩৪) পঞ্চগড় সদর উপজেলার সিংরোড জয়দরভাঙ্গা গ্রামের জয়নুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৯ সালের ১ এপ্রিল সকালে সদর উপজেলার জয়দরভাঙ্গা গ্রামে তার বাড়িতেই স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। তার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রী রাশিদা বেগম এবং তিন মেয়ে নাজিরা (৮), রিয়ামনি (৭) ও রত্না (৬ মাস) গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ছোট মেয়ে।
এ সময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় রাশিদার বাবা রশিদুল ইসলাম মৃত অবস্থায় রত্নাকে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় দুই মেয়ে এবং রাশিদাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে ওই দিন সন্ধ্যায় রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় নাজিমুল ও তার মা নাসিমা এবং বাবা জয়নুল হককে অসামি করে মামলা করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৯ জন সাক্ষীর জেরা শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব ন্যায়বিচার না পাওয়ার অভিযোগ করে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
নোয়াখালী সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমকে (৩৫) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর সংবাদ সম্মেলনে এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে নৌ-পুলিশের ওপর হামলা: অর্ধশত জেলের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৮
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজলার পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মো. মমিন উল্যার ছেলে মো. মহিন (২৭), পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের রেজিয়াগো বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. কামাল ওরফে কামাল ডাকাত (৩৮), হারুন মোল্লা বাড়ির আনোয়ারুল হক নশুর ছেলে মো. আজাদ হোসেন (৩২), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের অজি উল্যাহ পাটোয়ারী বাড়ির শাহজাহানের ছেলে রিপু মিয়া (২১), আক্কাস সওদাগর বাড়ির আক্কাস সওদাগরের ছেলে জাহিদ হাসান (২৮), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মাহফুজের বাপের বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে সোহেল হোসেন ওরফে শাকিল (২৪), একই গ্রামের দোকান বাড়ির মকবুল আহমেদের ছেলে মমিন উল্যাহ (৩৭) এবং পাটোয়ারী বাড়ির অজি উল্যার ছেলে নূর আলম মিস্ত্রি (৫৫)।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে নিহত সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমের শক্রতা ছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে। পরিকল্পনাকারী শক্রতার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আব্দুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থের লোভ দেখিয়ে আব্দুল হাকিমের সিএনজি অটোরিকশার মালিক মহিনকে ব্যবহার করা হয়।
ঘটনার দিন রবিববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা হিসেবে মহিম তার বাড়িতে কামাল, রিপু, মোমেন, নূর আলমসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান করে। মহিন আব্দুল হাকিমকে অটোরিকশা রাখার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেয়।
তিনি আরও জানান, এরপর হাকিম অটোরিকশা জমা দেয়ার সময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজন মিলে তার মুখ বেঁধে ফেলে।
পরবর্তীতে সব আসামিরা হাকিমকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ রাস্তার পূর্ব পাশে ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পেছনের ডগির ভেতরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিতের পর সব আসামিরা মিলে হাকিমের লাশ বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে মাটি চাপা দেয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তদন্তকালে আসামি সোহেলের ভাষ্যমতে আসামি রিপুর বাড়ি থেকে হত্যঅয় ব্যবহৃত শাবল ও কোদাল উদ্ধার করা হয়। মূল পরিকল্পনাকারী হত্যাকাণ্ডের জন্য আসামি মহিমের সঙ্গে চার লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন।
এছাড়া তিনি জানান, আসামি রিপু ও সোহেল ওরফে শাকিল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। শনিবার ও রবিবার বিকালে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
কলাপাড়ায় ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ১
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁ সদর উপজেলার আতিথা সাকিন এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফরিদুল রেজা ফরিদ (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১২ মার্চ) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি ফরিদুল রেজা সদর উপজেলার আতিথা সাকিন গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে ফরিদুল রেজা তার স্ত্রী শামীমা আক্তারকে তার মেয়ে দীপার সামনে গলা কেটে হত্যা করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই কাঞ্চন হাওলাদার বাদী হয়ে নওগাঁ সদর থানায় ফরিদুল আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
দীর্ঘ শুনানি শেষে রবিবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন।
রায় প্রদানের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত মামলাটি আসামি পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ও অমরেন্দ্রনাথ ঘোষ পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা ও মেয়েকে হত্যার দায়ে তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রাজারামপুর কুমারপাড়া হুমায়ন কবির, মাহবুব আলম ও মো. রুবেল। রায়ের সময় তিন আসামির মধ্যে দুইজন আদালতে উপস্থিত এবং একজন পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রবিউল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রাজারামপুর কুমারপাড়া এলাকার প্রবাসী নাসির উদ্দীনের স্ত্রী নাসিমা বেগমকে হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা। এসময় মেয়ে নীলা জেগে উঠলে তাকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও জানান পরদিন পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে মা-মেয়ের লাশ ও হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে নাসিমার বাবা তৈমুর রহমান বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় ছয় জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সময় নাসিমার স্বামী সৌদি আরবে ছিলেন। মামলা চলাকালীন সময়ে এক আসামির মৃত্যু হয়। এছাড়া বাকী পাঁচ আসামির মধ্যে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
সাগর রুনি হত্যা: ৯৬ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ৯৬ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রবিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ঠিক করেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে তার স্বামী- জুয়েল হোসেনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক- আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
মৃত লাইলী বেগম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল হোসেনের স্ত্রী এবং ওই উপজেলার রসুলপুর দাহাড়পুকুর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২ উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জুয়েলের বাবা- জলিল হোসেন ও মা লিলি বেগমকে এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল সংসারকালীন লাইলী বেগমকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই নির্যাতন করতো। সে সময় লাইলী বেগম ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই রাতে জুয়েল তার স্ত্রীকে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন বাদী হয়ে নিহতের বোন রাবেয়া খাতুন তিনজনের নামে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও গর্ভে থাকা সাত মাসের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মঙ্গলবার (আজ) এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামির বাবা ও মাকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
সিরাজগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার নবগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৯) ওই এলাকার মৃত জেকাত সরকারের ছেলে। তিনি উল্লাপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন এবং দুই মাস পর পিআরএলে যাওয়ার কথা ছিল তার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, চাকরির শেষ সময়ে উল্লাপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি বাসায় একাই থাকতেন। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিউটি শেষে তিনি বাসায় যান। সকালে তিনি কর্মস্থলে না আসায় দুপুরের দিকে বাসায় খোঁজ নিতে গেলে ঘরের দরজা খোলা দেখা যায়। পরে শোয়ার ঘরে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় মোয়াজ্জেম হোসেনের লাশ দেখতে পায় পুলিশ।
ওসি আরও জানান, এটা পরিস্কার হত্যাকাণ্ড। রবিবার রাত থেকে সকালের মধ্যে তাকে কে বা কারা গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম মণ্ডল বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আটক ১
রাঙ্গামাটিতে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, আটক ১
রাঙ্গামাটি শহরে এক যুবককে ছুড়িকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ পিপিএম (বার) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবক এজাজুল হক রাব্বী (২৮) বনরূপাস্থ বিএম মার্কেটের ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হকের ছোট ছেলে।
অভিযুক্ত সেলিম মাহমুদ (৩৪) নরসিংদীর রায়পুরার নজুরবাড়ি গ্রামের মো. মাহমুদের ছেলে এবং বনরুপা ম্যাগপাই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সার্ভার হ্যাক করে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি: ৫ জন আটক
জানা যায়, রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপাস্থ কবরস্থান এলাকায় শনিবার ভোরে বুকে ছুরিকাঘাত করে এজাজুল হক রাব্বী নামের ২৮ বছরের এক যুবককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা দেখে ফেলায় মার্কেটের দায়োরান আমীর আলীকেও ছুরির আঘাতে হত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক।
গুরুতর আহত আমির আলী বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ ভোর ৬টায় রাঙ্গামাটি ফরেস্ট কলোনি এলাকায় একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পায়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল করে। পরে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের চারটি টিম রাঙ্গামাটি শহরে বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতের স্থানীয় মার্কেটের সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি বনরূপায় অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতো।
পুলিশ সুপার আরও বলেন,এ ঘটনায় আহত নৈশপ্রহরী মো. আমিন হোসেন বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম মো. মারুফ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা শাহনেওয়াজ রাজু, রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন আরিফসহ পুলিশে ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৬ আরসা সদস্য আটক
নাটোরে আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার, ভাবি আটক