হত্যা
সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে মুক্তিযোদ্ধার এক সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মো. আরাফাত নামে আরেক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আলী আহম্মদ বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব: মাগুরায় মাদরাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
নিহত মো. খুরশিদ আলম (৪২) একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আহম্মদের ছেলে এবং অভিযুক্ত আরাফাত মো. বাহাদুরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় খুরশেদ আলম তার সন্তানকে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাইভেট কারে বাড়িতে ফিরছিলেন। এই সময় বাড়ির রাস্তায় প্রাইভেট কারে সঙ্গে আরাফাতের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে আরাফাত ঘর থেকে বটি এনে খুরশেদ আলমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় ফুটপাতের হকারকে কুপিয়ে হত্যা
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক যুবক। এ ব্যাপারে পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
বগুড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওয়াজেদ হোসেন ঝন্টু (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর ভাটকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওয়াজেদ ওই এলাকার আফজাল হোসেন প্রামাণিকের ছেলে এবং পেশায় টাইলস মিস্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ভাটকান্দির একটি সরকারি জলাশয়ে মাছ ধরতে যান ওয়াজেদ। সেখান থেকে ফিরে তিনি সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় একটি হোটেলে সকালের নাস্তা করতে বসেন। সেখানেই প্রতিপক্ষ তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক)হাসপাতালে ভর্তির পর সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে একজনকে খুনি সন্দেহ করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। সে এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় মুরগির খামারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
নকল সন্দেহে বগুড়ায় ৭ ট্রাক টিএসপি সার জব্দ
ক্ষমতায় গেলে জিয়া হত্যার বিচারে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পিছনে যারা ছিল তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আমরা যদি ক্ষমতায় আসি তাহলে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে কমিশণ গঠন করবো। আমরা জানতে চাই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কারা ছিল।’
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমনের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে এ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি কমিশন গঠনে সরকারের পরিকল্পনার কথা বলার পরই এমন ঘোষণা দিলেন বিএনপি।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানুষের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে তাদের ক্যাডার বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের কার্যালয় ও কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তাদের দলের ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়েছে।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
ফখরুল বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বৃহস্পতিবার আমাদের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা হত্যাকারীর দ্রুত বিচার চাই।’
তিনি সরকারকে সতর্ক করেন যে হত্যা, গুম, দমন পীড়ন ও হামলা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থামানো যাবে না
ফখরু দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে দুপুর ১২টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার মাগরিফরাত কামনায় দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।
পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
আত্মনির্ভশীল বাংলাদেশ গড়তে ১৯৭৮ সালের ১ সে্প্টেম্বর ১৯ দফার ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তার স্ত্রী দলের নেতৃত্বে আসেন।
আরও পড়ুন: একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: সহিদুর রহমানের জামিন আবেদন খারিজ
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। সহিদুর রহমান খান মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় রানার জামিন আপিলে বহাল
এর আগে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তবর্তী জামিন বাতিল করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ২৭ এপ্রিল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিকে জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। পরে হাইকোর্ট চূড়ান্ত শুনানি করে আজ রুল খাজির করে রায় দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা: আলমগীরের জামিন স্থগিত
এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন। তাদের অপর দুই ভাই এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: এমপি রানার জামিন ফের নামঞ্জুর
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর
বরিশালে সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে শাহ আলম (৪০) নামে এক সিএনজি চালককে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক আড়ত মালিক ও ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
রবিবার রাত তিনটার পর বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাহ আলমকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহ আলম বরিশাল নগরীর রসূলপুর এলাকার মোসলেম হাওলাদারের ছেলে। তিনি আগে নগরীর পোর্ট রোডের ফলের আড়ত সুজন বাণিজ্য ভান্ডারে কাজ করতেন। পরে নগরীতে সিএনজি চালানো শুরু করেন তিনি।
শাহ আলমের স্বজন শুভ বলেন, শাহ আলম ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুজন খানের আড়তে কাজ করতেন। সুজন খান এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পেত শাহ আলমের কাছে। বর্তমানে শাহ আলম সিএনজি চালক।
তিনি আরও বলেন, রবিবার রাত ১১টার দিকে শাহ আলম সিএনজি নিয়ে রসূলপুর আসার পথে সুজন খান ও তার লোকজন শাহ আলমকে আটকে সুজনের পোর্ট রোডস্থ আড়তে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে পাওনা টাকা না পেয়ে শাহ আলমের চালিত সিএনজি রেখে তাকে রিকশায় করে পাঠিয়ে দেয় সুজন। এরপর শাহ আলম রাস্তায় বসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, আমরা প্রথমে শুনেছিলাম গতরাত ৩টার দিকে রিকশায় করে বাসায় যাওয়ার পথে রসূলপুর ব্রিজে বসে অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহ আলম। এরপর রিকশা চালক তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি শাহ আলম নামের ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে এবং এর ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এসব বিষয় শুনে আমরা শাহ আলমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। সোমবার ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ দিলে সেই অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পেকুয়ায় হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
মীরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আরিফ শিকদার হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি হৃদয় হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ জয়শ্রী সমাদ্দার আসামি হৃদয়ের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত হৃদয় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মে সকালে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বেলতলা গ্রামের শ্যালো মেশিন ঘরে আরিফকে একা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে গলায় পোচ দেয়। এ সময় আরিফের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হৃদয়কে ধরে ফেলে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়।
পরে তদন্ত শেষে সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল হাসান আদালতে হৃদয়কে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আজ মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকায় স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী শিরিনা আক্তারের (৩৫) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর থেকে স্বামী আলী আজগর (৪৫) পলাতক রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার থানা ধাওয়া ইউনিয়ন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ভোরে ইপিজেড আকমল আলী রোড ষাট কলোনিতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ইপিজেড থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরুল বশর বলেন, ভোরে শিরিনা আক্তার নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। তার শরীরের নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। আশপাশের প্রতিবেশিরা বলেছেন, স্বামী নির্যাতন করে এবং বালতির মধ্যে মাথা ডুকিয়ে শিরিনাকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
চোর সন্দেহে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ভারতীয় সীমান্তে গরু চোর সন্দেহে আব্দুস সালাম (৩৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সকালে পঞ্চগড়ে সদর উপজেলার অমরখানা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের চাউলহাটি এলাকার বড়ুয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে অফিসিয়ালি কোন পত্র না আসলেও পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়েছে। তার বাড়ি পঞ্চগড়ে সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের কাহারপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।
সাতমেরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মিন্টু কামাল ও নিহত আব্দুস সালামের বড় ভাই আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পরিবারের সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানান, আব্দুস সালামসহ কয়েক ব্যক্তি ভারতের ওই এলাকা থেকে গরু আনতে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে ওই এলাকার নাগরিকরা গোটা এলাকা ঘেরাও করে রাখেন। এসময় সালামের সহযোগিরা পালিয়ে আসলেও সালাম তাদের হাতে ধরা পড়ে। ভারতীয়রা তাকে গণধোলাই দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গলা থেকে মাথা পর্যন্ত নৃসংশভাবে পিটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:পেকুয়ায় হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
খবর পেয়ে ভারতের রাজগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত আব্দুস সালামের ভাই আলম জানান, আমার ভাইকে ভারতীয়রা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম জানান, অফিসিয়ালিভাবে আমাদের কেউ এ বিষয়টি অবহিত করেননি। তবে শুনেছি বাংলাদেশি এক নাগরিককে খুঁজে পাচ্ছে না। আমরা বিষয়টির সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন:মীরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা প্রমাণের জন্য রকেট সায়েন্স লাগে না। তার কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মারা না গেলে জিয়াউর রহমান এই মামলার আসামি হতেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের বিষয়ে অনেকেই এখন সোচ্চার। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সময়মত এ কমিশন অবশ্যই গঠন করা হবে এবং এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা কমবেশি চিহ্নিত। তাদের কর্মকাণ্ডকে দলিল হিসেবে সংরক্ষণের জন্য কমিশন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছাড় দেয়া হবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘উইচ হান্টিং’ বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল, যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন:আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
টঙ্গীতে ব্যবসায়ী হত্যা: অভিযানে গ্রেপ্তার ৪, একজন গুলিবিদ্ধ, ৩ পুলিশ আহত
গাজীপুর টঙ্গীর আউচপাড়ায় ব্যবসায়ী সুমন মোহাম্মদ পাটোয়ারী তানোন হত্যাকাণ্ডে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাতে টঙ্গী পশ্চিম এবং টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় এক আসামি গুলিবিদ্ধ হয় এবং তিন পুলিশ আহত হয়।
গ্রেপ্তাররা- হলো টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার মোবারক হোসেন (২২), দত্তপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম জাহাঙ্গীর (২০), একই এলাকার সাকিব (২২) এবং আউচপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেন (৩৮)।
রবিবার রাতে ২০/২৫ জনের একটি দল পূর্ব ঘটনার জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে টঙ্গীর বড়দরা এলাকায় বসবাসকারী সুমন মাহমুদ পাটোয়ারী তানোন (৩৩) কে হত্যা করে এবং নোয়াগাঁও এলাকায় বসবাসকারী সালাউদ্দিন তুহিন (২৮) কে আহত করে।
আরও পড়ুন: দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে এনে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা!
এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, তার নেতৃত্বে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানার চারটি দল এবং সহকারী পুলিশ কমিশনারের (ডিবি) নেতৃত্বে দুটি দল কাজ শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে টঙ্গী পশ্চিম এবং টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মূল হোতা মোবারককে গ্রেপ্তার করে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন কসাই বাড়ি রেল গেটে সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গেলে সহযোগীরা মোবারককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শটগান ব্যবহার করে গুলি করে। এক পর্যায়ে সহযোগী আসামিরা পালিয়ে যায়। মোবারককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠনো হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি ছুরি ও একটি চায়নিজ কুড়াল উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ফেনসিডিলসহ প্রাইভেট কার জব্দ, গ্রেপ্তার ১