জরিমানা
পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালত সাজাপ্রাপ্তকে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন যা আদায় করে নিহতের পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত কামাল হাওলাদার (৪৫) জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ফুলঝুড়ি গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে হত্যা, নারীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
মামলা চলাকালীন এজাহারভুক্ত এক আসামি মারা যান এবং অন্য চার আসামির বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য না থাকায় আদালত তাদের মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা জানান, যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় ২০১২ সালের ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধে নিজের স্ত্রী শাহীনুর বেগমকে হত্যা করে কামাল। এ ঘটনায় ওই দিন নিহতের মামা মো. ছগির শরীফ বাদী হয়ে কামালসহ তার ছয় স্বজনের নাম উল্লেখ করে মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই বছর ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণ ও দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর মৃত্যুদণ্ড
এনামুলের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ, ৮০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত
পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার ৮০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছেন।
বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া বিচারিক আদালতের যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এর আগে গত ৬ এপ্রিল বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন এনামুল বাছির। এছাড়া একই মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমানের করা আপিলও গত ৬ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল মিজানুরকে। পরে তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের তৎকালীন পরিচালক এনামুল বাছির। ২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন মিজানুর। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন তিনি। মিজানুর রহমান এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে দাবি করেন তিনি।
ওই প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
আরও পড়ুন: এনামুল বাছিরের জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে ডিআইজি মিজানকে এ মামলাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিচার শেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলার রায় দেন। রায়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও এ মামলার প্রধান আসামি খন্দকার এনামুল বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয়। পরে গত ১০ এপ্রিল অর্থ পাচারের অভিযোগে তার সাজা চেয়ে হাইকোর্টে দুদক আপিল করে। এছাড়া গত ৬ এপ্রিল এনামুল বাছিরও তার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন যা শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুলের মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি
ঘুষ কেলেঙ্কারি: এনামুলের জামিন আবেদন খারিজ
খালেদকে জরিমানা করল আইসিসি
পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড় কাইল ভেরেনের দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বল ছুঁড়ে দেয়ায় বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদকে ম্যাচ ফি'র ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি।
মঙ্গলবার আইসিসি জানিয়েছে, সেন্ট জর্জ পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের ২য় দিনে আইসিসি আচরণবিধির লেভেল ১ ভঙ্গ করায় খালেদকে এ জরিমানা করা হয়েছে।
খালেদ আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের ধারা ২.৯ লঙ্ঘন করেছেন। এই ধারা অনুযায়ী একজন খেলোয়াড় প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বা অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তির দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বল ছুঁড়ে মারলে দোষী বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুন: দ.আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩২ রানের হার বাংলাদেশের
জরিমানার পাশাপাশি পেসারের একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের ৯৫তম ওভারে এই ঘটনা ঘটে।
মাঠের আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস ও আল্লাহুদিন পালেকার, থার্ড আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক এবং চতুর্থ অফিসিয়াল বোঙ্গানি জেলে এ ব্যাপারে অভিযোগ তুলেছিলেন। খালেদ অপরাধ স্বীকার করায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ ৩৩২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে।
আরও পড়ুন: তাইজুলের ৬ উইকেট, প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪৫৩
নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক মামলায় দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
মামলা বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ রাতে লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন পাটোয়ারী নেতৃত্বে লোহাগড়া কালনাঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানবাহন তল্লাশি ও মাদক উদ্ধার পরিচালনার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালনা ঘাটের বটগাছ সামনে রাস্তায় নড়াইল-ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনে তল্লাশি করে বাসের চালক মিলন পোদ্দারের সিটের নিচ থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এঘটনায় মিলন পোদ্দারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গাড়ির হাওয়া ট্যাংকির ওপর চ্যাসিসের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দুটি সাইড ব্যাগ থেকে ১২৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চালক ও চালকের সহকারীকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গায় সয়াবিন তেল মজুত রাখায় ব্যবসায়ীর জরিমানা
চুয়াডাঙ্গা অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুত রাখার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ৬২৮ লিটার সয়াবিন তেল।
বুধবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়ায় ব্যবসায়ী গোলাম রসুলের বাড়িতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এই অভিযান চালান হয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে বেশি দামে চাল বিক্রি, ৩ ব্যবসায়ীর জরিমানা
এ বিষয়ে ইউএনও জানান, দেশে সয়াবিন তেলের কোন সংকট নেই। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়ায় ব্যবসায়ী গোলাম রসুলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় ৬২৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, গোলাম রসুল চুয়াডাঙ্গা শহরের মেসার্স গোলাম স্টোরের স্বত্বাধিকারী। বর্তমানে তার ছেলে রুবেল হোসেন ওই দোকান পরিচালনা করেন। পরে সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করাসহ সর্তক করা হয়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে ভেজাল ওষুধ তৈরির অপরাধে ৪ জনের জরিমানা
এসময় অভিযানে ইউএনও’র সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপপরিদর্শক গোপাল চন্দ্রের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশের একটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে সহযোগিতা করেন।
শৈলকুপায় সয়াবিন তেল মজুদ রাখায় ২ জনের জরিমানা
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদ রাখার অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কবিরপুর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন শৈলকুপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ প্রতীম শীল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদ করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু ব্যবসায়ী, এমন খবরে কবিরপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেসময় কবিরপুর এলাকার ব্যবসায়ী শংকর কুমার কুন্ডুর গুদামে প্রায় তিন শত ব্যারেল সয়াবিন তেল মজুত পাওয়া যায়। যার পরিমান ৬১ হাজার লিটারের বেশি হবে। এছাড়াও রাজু কুন্ডু নামের আরেক ব্যবসায়ীর গুদামে ২০ ব্যারেল তেল মজুত পান। যার পরিমান ৪ হাজার ৮০ লিটার। অতিরিক্ত মজুদ রাখার অপরাধে শংকর কুন্ডুকে ২০ হাজার ও রাজু কুন্ডুতে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালতের বিচারক।
মজুদকৃত তেলের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ প্রতীম শীল।
অভিযানে শৈলকুপা থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে ডিএনসিআরপির অভিযান: ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী, ৪ মামলাসহ জরিমানা আদায় ডিএনসিসি’র
নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁয় ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলার অপর ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা মিঠাপুর ইউনিয়নের উজালপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম, আইজুল হক, হেলাল হোসেন, জালাল হোসেন, বেলাল হোসেন, জায়েদ আলী, আবুল হোসেন, মোস্তফা ও সোহাগ আলী। এদের মধ্যে সাইদুল ইসলাম, জায়েদ আলী ও সোহাগ আলী পলাতক রয়েছেন। আমৃত্যূ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে আসামি হাসেম আলীর। তিনি বদলগাছীর উজালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম বলেন, সামান্য বিষয় থেকে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড খুবই মর্মান্তিক। এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য সমাজে একটা বার্তা দেয়া উচিত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের উজালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও তাঁর ভাই আমজাদ হোসেন ও শ্যালক আব্দুল ওয়াদুদের পরিবারের সঙ্গে প্রতিপক্ষ হাসেম আলী, সাইদুল ইসলাম, আইজুল হক ও হেলাল হোসেনসহ অন্যান্য আসামিদের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে জমির দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের ৬ জুন বিকাল ৩টার দিকে তাদের তিনজনকে হত্যা করা হয়।
২০ আসামির মধ্যে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডে সাজা দিয়েছেন আদালত। এ মামলার রায়ে বাদী পক্ষ অত্যন্ত খুশি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বাদী নিহত শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এই রায়ে আমরা খুশি। অবিলম্বে আসামিদের সাজা কার্যকর হলে আবার বাবা, চাচা ও মামার আত্মা শান্তি পাবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। হত্যার কারণে যে বাকিদের হত্যা এ রকম চিন্তা থেকে এ রকম রায় আসছে। বিচারে নয় জন আসামিকে ঢালাওভাবে মৃত্যুদন্ডের আদেশ সঠিক হয়নি। মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
সুগন্ধা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৬ জনের জরিমানা
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় সুগন্ধা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ছয় জনকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বশির গাজী ও মং এছেন যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝালকঠির নলছিটি পাওতা গ্রামের মো. মোস্তফা (৬০), নলছিটি প্রেমহার গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫), কুমারখালী এলাকার ইমরান হোসেন (২০), উত্তমপুর এলাকার শাহিন সরদার (২০), বরিশাল জাগুয়া এলাকার রাজীব মুন্সি (৩৮) ও ভোলার মো. নাহিদ (২০)।
আরও পড়ুন: গুলশানে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনডিসি বশির গাজী বলেন, ‘আমাদের কাছে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ, রাতের আঁধারে সুগন্ধা নদী থেকে অবৈধভাবে একটি চক্র বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে আমরা অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ছয় জনকে আটক করি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তারা অপরাধ স্বীকার করায় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের জেল দেয়া হয়। আটক ছয় জন ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ডের তিন লাখ টাকা দিয়ে মুক্ত হয়।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪ প্রতিষ্ঠানের অর্থদণ্ড
তিনি বলেন, ঝালকাঠিতে কোনো নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা যাবে না। বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তাদেরকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সীতাকুণ্ডে ২৯ বছরের পরিত্যক্ত জাহাজ কেটে নেয়ায় ২৩ লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে সাগর উপকূলে আটকে যাওয়া একটি পরিত্যক্ত জাহাজের মালিকানা দাবি করে কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে ২৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ে শুনানী শেষে এই আদেশ দেন পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক মফিদুল ইসলাম।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মফিদুল ইসলাম বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে জাহাজ না কাটার কারণে জাহাজের মালিকানা দাবি করা তিন ব্যক্তিকে ২৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে নোটিশ দিলেও হাজির হননি ভাটিয়ারী শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক পক্ষের লোকজন। তাদের পুনরায় নোটিশ করা হবে। এরপরও হাজির না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মফিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা: ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধারের আকুতি নাবিকদের
জানা গেছে, সাগর উপকূলে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে আটকে থাকা রয়েল বার্ড নামের একটি পরিত্যক্ত জাহাজের মালিকানা দাবি করে জাহাজ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। যে ইয়ার্ডে জাহাজটি কাটা হচ্ছে সে ইয়ার্ডের লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় জাহাজ কীভাবে কাটা হচ্ছে, কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দায়ভার কে নেবে ইত্যাদি নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে গত সোমবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কয়েকজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা। এ সময় জাহাজের মালিক দাবি করা গিয়াস উদ্দিন, মাহবুব ও কামাল উদ্দিন নামের তিন ব্যক্তি ও ভাটিয়ারী শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিককে নোটিশের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, নিহত এক নাবিক
ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকে ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনের ওপর দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।আগামী দু’মাস চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা; শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা এবং বরিশাল জেলার হিজলা, মেদেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু মঙ্গলবার
এ পাঁচটি অভয়াশ্রমে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে।
আইন অমান্যকারীর জন্য কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জেলায় এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের ইতোমধ্যে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থা