সৌদি আরব
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ তিন জেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদ
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পঞ্চগড়ের কয়েকটি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় সাতক্ষীরা সদরের ভাড়–খালী বাজারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের জামাত শেষে ইমাম মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সিদ্ধান্ত মতে বিশ্বের সকল মুসলমানদের সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে ৪ পরিবারের ঈদের জামাত
এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরা জেলার বাউখোলা, তালা উপজেলার উপলোর ইসলামকাঠি, শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারিসহ জেলায় মোট সাতটি স্থানে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বরিশালের ৬টি উপজেলার কিছু গ্রামে আগাম ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। এসকল গ্রামে বসবাসরত চট্টগ্রামের চন্দনাইশ শাহসুফি দরবার শরিফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফ এবং আহমাদিয়া জামাত অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।
আরও পড়ুনঃ ঈদুল আজহা ২১ জুলাইমঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দশটা পর্যন্ত বরিশালের ৬ উপজেলার ১০ হাজারের অধিক মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেয়।বরিশালের বাবুগঞ্জ, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ, সদর উপজেলা ও মহানগরীর এই অনুসারীরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও একদিন আগে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুনঃ ঈদুল আজহা: হিলি স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি ৬ দিন বন্ধবরিশাল নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের তাজকাঠি, জিয়া সড়ক, টিয়াখালী, সিকদার বাড়ি, হরিণাফুলিয়াসহ সদর উপজেলার সাহেবের হাট এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত উদযাপিত হয়েছে। পুলিশ পাহারায় ৪ পরিবারের ৭ জন মুসল্লি এই ঈদের জামাত আদায় করেছেন।
সৌদি সরকারে নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ প্রবাসীদের
প্রবাসীদের সৌদি আরবের আইন কানুন ও করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশটির বুরাইদা শহরে বাংলাদেশ দূতাবাসে কনস্যুলার সেবা প্রদানের সময় এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়, রিয়াদ থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শুক্রবার থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সৌদি সরকারের নির্দেশিত বিধিনিষেধ মেনে কয়েকশত বাংলাদেশি অভিবাসীকে কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়।
এ সময় অভিবাসীদের ইকামার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পাসপোর্ট নবায়ন, পাসপোর্ট রি-ইস্যু ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের পক্ষ থেকে স্পেশাল অ্যাক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় হূরুব প্রাপ্ত, ইকামাবিহীন, ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ ও অ্যাক্সিট ভিসায় মেয়াদোত্তীর্ণ অভিবাসীদের আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়। অভিবাসীদের প্রবাসী কল্যাণ কার্ডের জন্য নিবন্ধন করা হয়।
আরও পড়ুন: সৌদিতে বিনিয়োগে অভিবাসীদের জন্য নতুন সুযোগ
দূতাবাসের সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে অ্যাকাউন্ট খোলা ও ওয়েজ আর্নার্স বন্ড করার সেবা প্রদান করা হয়। সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি প্রবাসীদের বৈধ পথে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
বুরাইদা ও আশেপাশের এলাকায় সহস্রাধিক বাংলাদেশি বসবাস করেন। এখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যবসা, কৃষি কাজ, পোলট্রি ফার্মসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। সৌদি আরবের বুরাইদা ও আল কাসিম খেজুর চাষের জন্য অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। বুরাইদা শহরের পাশে আল কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি সরকারের বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
সেবা গ্রহণ করতে আসা প্রবাসীদের নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা প্রদান করা হয়। তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যাগ্রস্ত অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়।
কনস্যুলার সেবা প্রদান করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. হুমায়ূন কবীর, শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব মো. সফিকুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মো. জসীম উদ্দিন খান প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শাখার দূতাবাসের স্টাফরা কনস্যুলার সেবা প্রদান কাজে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: সৌদিকে তৈরি পোশাক আমদানির আহ্বান বাংলাদেশের
কনস্যুলার সেবা শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রদান করা হবে। এ এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা দূতাবাসের সেবা পেয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এখানে অভিবাসীদের জরুরি বিভিন্ন সেবা প্রদানের জন্য একটি প্রবাসী সেবা কেন্দ্র ও কাজ করছে। সেবা কেন্দ্র থেকে প্রবাসীরা সপ্তাহের যেকোন দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
সৌদি থেকে ৬ মাসের সন্তান নিয়ে দেশে ফিরলেন গৃহকর্মী
ভাগ্য ফেরানোর আশায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক নারী। দেড় বছর পর ৬ মাসের ছেলে সন্তান নিয়ে আজ মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে দেশে ফিরেছেন ৩২ বছরের এই নারী।
ওই নারীর দাবি, সৌদি আরবে যে বাড়িতে কাজ করতেন সেই গৃহকর্তা তার সন্তানের বাবা। এখন এই সন্তানকে নিয়ে কীভাবে নিজের বাড়িতে যেতে পারবেন বুঝতে পারছেন না।
তিনি জানান, সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকেই প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হতেন। এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে পরে তাকে সফর জেলে পাঠানো হয়। সফর জেলেই জন্ম হয় আব্দুর রহমান নামের এই ছোট্ট শিশুটির।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার পরিবারের কেউ বিষয়টি জানে না। তাকে নিয়ে আমি পরিবারে ফিরতে পারব না। সমাজের লোকেরা ভালোভাবে নিবে না।
বিমানবন্দরে নেমেই কোন উপায়ন্তর না পেয়ে বিষয়টি জানান বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কাছে। এরপর সেখান থেকে এই নারীকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য হস্তান্তর করেন ব্র্যাক মাইগ্রশন প্রোগ্রামের কাছে। এই নারী বর্তমানে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে অবস্থান করছেন।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, এই ধরনের ঘটনাটি ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক। তবে এই ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। সৌদি আরবের কোন বাড়িতে তিনি কাজ করতে গিয়েছিলেন, তার নিয়োগকর্তা কে এগুলো তদন্ত হওয়া উচিত। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করে সন্তানের পিতৃপরিচয় বের করা উচিত।
তিনি বলেন, এর আগে আমরা এই ধরনের ১২টি ঘটনা দেখেছি। তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু এই ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে আমাদের সোচ্চার ও নীতি নির্ধারকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৬ মার্চ সৌদি আরব থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে সন্তান দিয়ে দেশে ফিরেছেন নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার কুমারী শাহনাজ আক্তার (২৭)। শাহনাজ সৌদি আরবের মক্কাস্থ কেন্দ্রীয় জেলে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছেলে সন্তান জন্ম দেন।
আরও পড়ুন: মে মাসে ১০৪ শিশু, ১৩৬ নারী নির্যাতনের শিকার: মহিলা পরিষদ
চট্টগ্রামে ৫ শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বাবুর্চি গ্রেপ্তার
গত ২ এপ্রিল নিজের নাড়িছেঁড়া বুকের মানিক আট মাসের শিশু সন্তানকে বিমানবন্দরে ফেলেই চলে গেছেন সৌদি ফেরত আরেক মা। হয়তো-বা সেই মা'র পরিস্থিতি সন্তানের ফেলে যাওয়ার চাইতে পরিবার বা সমাজে খারাপ।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ চার মাসের মেয়ে সন্তান নিয়ে ওমান থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হন সাথী আক্তার নামের আরেক নারী গৃহকর্মী। বিমানবন্দরে পৌছার পর সাথী আক্তার তার বিষয়টি এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ অফিসে গিয়ে বলেন তার সন্তানের পিতা একজন ওমানি নাগরিক।
তিনি বলেন, নির্যাতনের একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে ওমান পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। এরপর ওমান ডির্পোটেশন ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় তার সন্তানের জন্ম হয়।
এর আগেও ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মাসে ওমান থেকে হবিগঞ্জ জেলার গুলজাহান বেগম নামের আরেক গৃহকর্মী তিন মাস বয়সী সন্তানসহ দেশে ফিরতে বাধ্য হয়।
এধরনের ঘটনো এখন প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনি পরিস্থিতির শিকার নারী ও তাদের সন্তানরা সমাজ ও পরিবারে অবহেলিত হয়ে বেড়ে উঠবে। এমন ১২ সন্তানকে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে, এখনও করা হচ্ছে বলে শরিফুল হাসান জানান।
২৯ মে সৌদি আরবে বিমান ফ্লাইট শুরু
সৌদি আরবে হোটেল কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজ সুবিধার সাপেক্ষে আগামী ২৯ মে থেকে ফ্লাইট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সৌদিগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট ৫ দিন স্থগিত
এতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সৌদি আরবে হোটেল কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজ সুবিধা নিশ্চিত করণ সাপেক্ষে আগামী ২৯ মে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। সৌদিগামী যাত্রীদের হোটেল বুকিংসহ কোয়ারেন্টাইন প্যাকেজ ও বিমানের আসন সংরক্ষণের জন্য নিকটস্থ বিমান সেলস কাউন্টার এ যোগাযোগ করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক বিমান পরিসেবা চালু করেছে সরকার
উল্লেখ্য যে ভিসার মেয়াদের উপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীদের আসন সংরক্ষণ করা হবে।
বিস্তারিত তথ্যে জানতে বিমান সেলস সেন্টার /কাউন্টার বা বিমান ওয়েবসাইটঃ www.biman-airlines.com অথবা
বিমান কল সেন্টারঃ০১৯৯০ ৯৯৭ ৯৯৭ - এ যোগাযোগ করা যাবে।
আরও পড়ুন: ‘কে-নাইন’: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অন্যন্য এক বাহিনী
এছাড়া বিমান ফেসবুক আইডিতে যোগাযোগের ব্যবস্তা রয়েছে : https://www.facebook.com/bimanbalaka/?modal=admin_todo_tour
ফরিদপুর ও মাদারীপুরের কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১৩ গ্রামে ও মাদারীপুর জেলার ২০ টি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শেষে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মাইটকুমড়া জামে মসজিদ, ১০টায় রাখালতলী জামে মসজিদ ও সহস্রাইল দায়রা শরীফে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিনটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুরেও বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউিয়নের তাল্লুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের কয়েকটি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন
জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করে। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে ওই ১৩ গ্রামের মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার কয়েকটি গ্রাম আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে
বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা জানান, উপজেলার শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের মানুষ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ও ১০টায় ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করেছেন।
আরও পড়ুন: শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি, শুক্রবার ঈদুল ফিতর
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এই গ্রামগুলোর মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুইটি ঈদ উৎসব পালন করে আসছেন।
এদিকে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যর সাথে মিল রেখে মাদারীপুর জেলার ২০ টি গ্রাম সুরেশ্বরের পীরের নির্দেশে ঈদ পালন করছে।
সাতক্ষীরার কয়েকটি গ্রাম আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরার কয়েকটি গ্রাম আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৬টি স্থানে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ভাদড়া, ভাড়–খালী, মাহমুদপুর, বাউখোলাসহ ৬টি স্থানে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।জামায়াতে মহিলাদের অংশগ্রহণও ছিলো।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের কয়েকটি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন
বিগত একযুগ ধরে সাতক্ষীরা সদর, তালা ও আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিন ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারও ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি, শুক্রবার ঈদুল ফিতর
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে লালমনিরহাটের তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা ইমান আলী।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় এক টাকায় ঈদ বাজার
কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন এবং প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ করেন এসব গ্রামের মুসল্লিরা।
লালমনিরহাটের কয়েকটি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিন ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করলেন বৃহস্পতিবার।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা ইমান আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ করেন এসব গ্রামের মুসল্লিরা।
আরও পড়ুন: শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি, শুক্রবার ঈদুল ফিতর
এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে ঈদের জামাত সরকারি নির্দেশনা মেনে মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
এ ব্যাপারে মুন্সীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ইমান আলী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে সকল মুসুল্লিরা জামাত আদায় করেছি।’
কালীগঞ্জ উপজেলার হাড়িশহরের মুন্সীপাড়ার ঈদগাহ মাঠের সভাপতি মাওলানা মাছুম বিল্লাহ্ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার মানুষ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে-কদর, শবে মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। সেই হিসেবে আজ ঈদুল ফিতর পালন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় এক টাকায় ঈদ বাজার
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে কাকিনা-তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোতলা ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে কিছু মানুষ।’
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত খুলনা নগরবাসী
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও তুষভান্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ ও মুন্সীপাড়া এলাকায় কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে এসব এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। বিষয়টি নজরদারি করার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।’
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশনে নির্বাচিত বাংলাদেশ
আগামী তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশনের (সিএনডি) সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ইকোসকের ব্যবস্থাপনা সভায় সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রত্যক্ষ ভোটে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, এবং ইরান এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সংস্থাটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সব দাপ্তরিক ভাষায় ৭ মার্চের ভাষণ বিষয়ক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) সহযোগী সংস্থা সিএনডি-এর এই নতুন পরিষদ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দায়িত্বভার গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ২৬টি প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরল বাংলাদেশ
নির্বাচনে জয় লাভের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, সিএনডি’র এই নির্বাচনটি ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বাংলাদেশ এতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে (৪৩ ভোট)। এই বিজয় বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থারই বহিপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় প্রশংসিত বাংলাদেশের ভূমিকা
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মাদক সমস্যার সকল দিকের প্রতি বাংলাদেশ সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরও বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে কমিশনের সদস্য হিসেবে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব।
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন (সিএনডি) ৫৩ সদস্যের একটি সংস্থা। কমিশনটি বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস বিবেচনা এবং রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ বিষয়ক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর সদরদপ্তর ভিয়েনায় অবস্থিত।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বর্তমানেও বোর্ডটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাহী বোর্ডই জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থাটির মূল পরিচালনা পর্ষদ।
সৌদি আরবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশিদের নিয়োগের আহ্বান
সৌদি সরকার আগামী ১০ বছরে কার্বন নিঃসরণকে ৫০ শতাংশ কমানোর জন্য ১০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে কর্মসূচিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ আবু থুনিয়ানের সাথে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ করেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক দশ বছরে কার্বন নিঃসরণকে ৫০ শতাংশ কমানোর জন্য ১০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্র এবং বৃক্ষরোপণে দক্ষতা রয়েছে। এক্ষেত্রে সৌদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদি হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক
জবাবে উপমন্ত্রী এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তিনি এ অনুরোধটি প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট কৃষিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন।
রাষ্ট্রদূত সৌদি আরব ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমানভাবে অবদান রেখে চলেছে এমন প্রায় ২৩ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর সৌদি আরবে বসবাস ও তাদের চাকরির জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শ্রম সংস্কার উদ্যোগ চালু করার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান যা সৌদি আরবে বসবাসরত সকল অভিবাসী কর্মীদের উপকৃত করছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, বিপুল সংখ্যক নারী গৃহকর্মী এই উদ্যোগের বাইরে রয়েছেন এবং গৃহকর্মীদের সৌদি শ্রম সংস্কার উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি উপমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
উপমন্ত্রী ড. আবদুল্লাহ আবু থুনিয়ান জানান, সৌদি আরবের জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
তিনি বলেন, সৌদি শ্রম সংস্কার উদ্যোগের বাস্তবায়ন মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সরকার গৃহকর্মীদের এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে যদিও বর্তমানে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে আরও একটি প্রক্রিয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন: অটিজম সচেতনতায় সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস নীল আলোয় সজ্জিত
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের এক অনুরোধের প্রেক্ষিতে সৌদি উপমন্ত্রী জানান, তারা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য চলমান বিশেষ এক্সিট কর্মসূচিটি ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে, ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ কর্মীদের চূড়ান্ত এক্সিট ভিসা ইস্যু করার প্রক্রিয়াটি আরও কম সময়ে সম্পন্ন হবে। বৈঠকে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত অভিবাসীদের বিনামূল্যে করোনার চিকিৎসা এবং টিকা সরবরাহের জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান যা অনেক বাংলাদেশি শ্রমিকের জীবন বাঁচিয়ে চলেছে। বৈঠকে দুপক্ষ শ্রম সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য একত্রে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন:কাতারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সৌদি আরব
ভার্চুয়াল বৈঠকে সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আব্দুল মাজিদ আল রাশুদী, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এস এম আনিসুল হক, বাংলাদশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার কনসাল জেনারল মো. নাজমুল হক, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং কাউন্সেলর মো. হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউন: আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু ১৭ এপ্রিল
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে গমনেচ্ছু আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের গমনের জন্য ১৭ এপ্রিল থেকে বিশেষ ফ্লাইট চালু হচ্ছে।
এক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বাংলাদেশি অন্যান্য এয়ারলাইন্স এবং সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের ন্যাশনাল ক্যারিয়ারসহ অন্যান্য ক্যারিয়ার বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার এ সিন্তান্ত গৃহীত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পাঁচটি দেশে গমনেচ্ছু প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে যাদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স রয়েছে, তাদেরকে বিদেশ গমনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তবে এসব দেশের ক্ষেত্রে যাদের ভিজিট ভিসা আছে, কিন্তু বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নেই, তারা বিদেশ গমনে অগ্রাধিকার পাবেন না। ভিজিট ভিসা নিয়ে যেসকল বাংলাদেশি কর্মের উদ্দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন, তারা বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে যেতে পারবেন।
বিগত তিন দিন ধরে যেসকল যাত্রী টিকেট কেনা সত্ত্বেও লকডাউনের কারণে বিদেশ গমন করতে পারেননি, তাদেরকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বা সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের ন্যাশনাল ক্যারিয়ারের অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা হবে। যেসব যাত্রী ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম হতে ভ্রমণ করার জন্য টিকিট ক্রয় করেছেন, তাদেরকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কানেকটিং ফ্লাইটের মাধ্যমে ঢাকায় আনা যাবে।
টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য যাত্রী পরিবহনের জন্য পরিচালিত বিশেষ ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং চার্জ সাধারণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চার্জের সমপরিমাণ প্রদেয় হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিদেশগামী যাত্রীদের পিসিআর টেস্ট নির্বিঘ্নে এবং স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে ফলাফল প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে সরকার
এতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে উল্লিখিত পাঁচটি দেশ ব্যতীত অন্যান্য দেশে যারা জরুরি প্রয়োজনে যেতে ইচ্ছুক, তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র সাপেক্ষে ট্রানজিট-প্যাসেঞ্জার হিসেবে বিশেষ ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে পারবেন।
এ পাঁচটি দেশে বা ট্রানজিট যাত্রীরা এয়ারপোর্টে আসার পথে পাসপোর্ট-ভ্যালিড ভিসা-বিমানের টিকিট-বিএমইটি কার্ড অথবা নিরাপত্তা এজেন্সি কর্তৃক ইস্যুকৃত পাস সঙ্গে রাখবেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন পয়েন্টে উল্লিখিত ডকুমেন্টধারীদের অভ্যন্তরীণ চলাচলে যথাযথ সহযোগিতা প্রদান করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশিরা জরুরি প্রয়োজনে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের শর্তে দেশে আসতে পারবেন। প্রত্যেক যাত্রীকে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলকভাবে প্রদর্শন করতে হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করবে।
বিদেশ হতে ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ দিয়াবাড়ি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে। পাঁচটি দেশ হতে যেসকল যাত্রী দেশে আসবেন, তারা বোর্ডিংয়ের পূর্বেই কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্দিষ্ট হোটেলে বুকিং নিশ্চিত করবেন।
কাতার ও ওমানে ক্রমহ্রাসমান করোনা সংক্রমণের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নিষিদ্ধ দেশসমূহের তালিকা হতে উক্ত দেশ দু’টিকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের লকডাউন চলাকালে দেশে আসার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এক্ষেত্রে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বাংলাদেশ মিশনের ওয়েব সাইট, নিউজ পোর্টাল ইত্যাদি ব্যবহার এবং কমিউনিটি লিডারদের সহযোগিতা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।