সিটি করপোরেশন
বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বরিশালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশন এবং প্রশাসনের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা খুব শিগগিরই সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমাবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কখনো কখনো ভুল বোঝাবুঝি হয়, আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা নিরসনও হয়।
‘বরিশালে যে অনাঙ্খাকিত ঘটনাটি ঘটেছে তা সমাধানের দিকে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। আমি আশা করি এটি খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে,’ বলেন মন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের লোকজন সেখানে কিছু অপ্রয়োজনীয় পোস্টার, বর্জ্য অপসারণ করার জন্য গেলে প্রশাসনের কর্মচারীর সঙ্গে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় নেতারা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র সেখানে সমস্যা মিমাংসা করতে যান।
তিনি বলেন, সেখানে অবশ্যই কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, যে কারণে ইউএনও হয়তো অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আবার রাজনৈতিক নেতারা বলছেন তারা মিমাংসা করার জন্য সেখানে গেছেন। সেখানে আসলে কি হয়েছিল সেটি এখন সময়ের ব্যবধানে জানা যাবে। আমরা সবাই স্ব স্ব পদে দায়িত্বশীল, সবাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থাশীল, সে কারণে আশা করি সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন
সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়ায় এ বিষয়ে কোন তদন্ত করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যেহেতু মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করবে। আমাদের পক্ষ থেকে যদি তদন্ত করার দরকার হয়, প্রয়োজনে ঘটনার তদন্ত অবশ্যই করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি সংক্ষুদ্ধ কোন ব্যক্তি প্রতিকার পাওয়ার জন্য মামলা করে থাকেন। মামলা করা হয় সমস্যা সমাধানের জন্য। তদন্ত সাপেক্ষে কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রেখেছে। সেখানে যেন কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং তারা তা পালন করছে। অন্যদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
আরও পড়ুন: বরিশালের মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
বরিশালে ইউএনও’র অফিসে হামলা: গ্রেপ্তার ২১
জীবন বাঁচাতে হিন্দু পরিচয়ে থাকতে হয়েছে: মেয়র সাদিক
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ১৫ আগস্টের হত্যার কথা স্মরণ করে জানিয়েছেন, জীবন বাঁচাতে একটা সময় হিন্দু পরিচয়ে থাকতে হয়েছে।
বিসিসি মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি গোষ্ঠী পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু তা দেশের জনগণ হতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ৩
শনিবার দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বরিশালের সিটি মেয়র।
সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমার দাদা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ৭৫ এর সেই রাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই মিন্টো রোডের বাসায় আমি মায়ের কোলে ছিলাম। আমার মা মরহুমা সাহানারা বেগমও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। জীবন বাঁচাতে আমরা ভারতে হিন্দু পরিচয়ে ছিলাম। যাতে কারও সন্দেহ না হয়। সে সময় আমাদের পেলেও মেরে ফেলতো।’
আরও পড়ুন: বরিশালে একদিনে ২৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৫
তিনি বলেন, জনগণের টানে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা দেশে ফিরে এসেছি। সেই জনগণের সেবা ছাড়া অন্য কোন লক্ষ্য আমার নেই। অতীতে বরিশালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন টেকসইয়ের গ্যারান্টি দিয়ে নির্মাণ করেছি। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও নগরীতে নতুন সড়ক নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও খালের নাব্যতা রক্ষায় কাজ করেছি। এই মহৎকাজে সবসময় বরিশালের জনগণকে পাশে চাই।
সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশাল এর সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন এর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ফিরদাউস সোহাগ, সিনিয়র সাংবাদিক মুরাদ আহমেদ, মাহমুদ হোসেন চৌধুরী, সহ-সভাপতি রাহাত খান, সাবেক সভাপতি গোপাল সরকার প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সিলেট নগরীতে গণটিকা নিলেন ২২ হাজার ৭৫৩ জন
সিলেট মহানগরে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের প্রথম দিনে করোনা প্রতিরোধে গণটিকা নিয়েছেন ২২ হাজার ৭৫৩ জন। শনিবার নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি বুথে পঁচিশোর্ধ সাধারণ মানুষ এই গণটিকা নেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান- এই ২২ হাজার ৭৫৩ জন শুধু ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে টিকা গ্রহণ করেন। যদিও একই দিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়মিত টিকা কেন্দ্রে ২৫৬০ জন টিকা নিয়েছেন। এছাড়া পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে আরও ৫৩০ জন টিকা নিয়েছেন। তবে নির্ধারিত দু’টি টিকা কেন্দ্রে আজ সিনোফার্মার ২য় ডোজ দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় একদিনে ১৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৫৮
এর আগে শনিবার সকাল ৯টায় সিলেটের মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সিলেট নগরীতে তিন দিন চলবে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন। সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি কেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা তিন দিন এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন চলবে। প্রথম দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ৩শ জনকে দেয়া হয় টিকা। তবে ৮ ও ৯ আগস্ট থেকে প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্রে ২শ জনকে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইয়াবাসহ আটক ২
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি কেন্দ্রে দেয়া হচ্ছে টিকা। প্রতিটি কেন্দ্রে দুজন করে টিকাদানকর্মী ও তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এছাড়া ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকেও স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে।
নগরীতে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনদিনে মোট ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লায় একদিনে আরও ৯ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৪১
কুমিল্লায় করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যুর হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২৪ জনে। এছাড়া একই সময় নতুন করে ৪৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
পড়ুন: কিশোরগঞ্জে করোনা ও উপসর্গে ১৫ জনের মৃত্যু
খুলনার চার হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু
তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে আট জন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের বয়স ৩৫ বছর থেকে ৭৫ বছর মধ্যে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে মধ্যে ১৭৮ জন সিটি করপোরেশনের। এ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ হাজার ৪০৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশ। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৬৬৬ জন।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় একদিনে আরও ১৪ মৃত্যু
‘মশার কোন বর্ডার নেই, সচেতনতার বিকল্প নেই’
মশার কোন বর্ডার বা সীমানা নেই, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দু-একজন মানুষের দায়িত্বহীনতার কারণে শহর বা গোটা দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার দশম আন্তঃমন্ত্রণালয় অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৭০
তিনি বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনে মশা মারলে দক্ষিণ সিটিতে হবে না অথবা দক্ষিণে মারলে উত্তর হবে না এমনটি ভাবা উচিত নয়। প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি-ঘর যারই হোক, আমি-আপনি যেই হই না কেন আমরা সবাই এই শহর ও দেশের মানুষ। মশা নিধনে সবাইকে অর্পিত নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগে কাজ না করলে সুফল আসবে না।‘
জেল-জরিমানা করার পরও ঐসব বাসা-বাড়ি অথবা ভবনে পুনরায় মশার লার্ভা পাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে এমন তথ্য জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করা গুরুতর অপরাধ। আর এই অপরাধের সাথে কেউ সম্পৃক্ত হলে তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুল
ইচ্ছাকৃতভাবে এডিস মশার প্রজননের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশনে চিরুনি অভিযানের অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বেজমেন্ট এবং ছাদে বিভিন্ন জায়গাতে জমা পানি থাকে। আর এখানেই এডিস মশার প্রজনন বেশি হয়। যারা ভবন নির্মাণ করছেন অথবা নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছেন বা যাদের পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে তাদেরকে জমানো পানিতে লার্ভিসাইড অথবা সামান্য পরিমাণ কেরোসিন ঢেলে দেয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
ডেঙ্গু নিয়ে এখনও আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা বিস্তার বা প্রজননের সকল ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এডিস, অ্যানোফিলিস বা কিউলিক্স মশা যে মশাই হোক না কেন এগুলো নিধনের জন্য কি করতে হবে তা সবারই জানা। করোনার মধ্যে যেন ডেঙ্গু মাথা ব্যথার কারণ না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন তিনি।
প্রত্যেক ওয়ার্ডকে দশটি সাব জোন ভাগ করে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে নিয়ে গঠিত কমিটিকে স্থায়ী রূপ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ত্রাণ বিতরণ, মশা নিধন, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকসহ যেকোন সমস্যা দ্রুত সমাধানে এই কমিটিকে কাজে লাগানো সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু: একদিনে ৪৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা বা ঘাস কাটা বছর ভিত্তিক অথবা কোয়ার্টালি না করে নিয়মিত করার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং সিভিল এভিয়েশনসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অধিক্ষেত্রে মশকের বিস্তার রোধে নিজ নিজ উদ্যোগে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অবহেলার কোন সুযোগ নেই।
সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসী এবং সিটি করপোরেশনকে যৌথভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু: একদিনে ৪৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
মন্ত্রী বলেন, এডিসসহ অন্যান্য মশা থেকে মুক্ত থাকতে হলে সিটি করপোরেশন যেমন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে তেমনি নগরবাসীকেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। শতভাগ সফলতার জন্য উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আবশ্যক।
শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশক নিধনে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ নতুন ৩৬ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
তিনি বলেন, ‘নাগরিকরা যদি তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন না করে, সিটি করপোরেশন একক প্রচেষ্টায় সকল সমস্যার সমাধান করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারবে না। আমরা নিজেরাই যদি অসচেতন হয়ে মশার প্রজননে সহায়তা করি তাহলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে কী করে সম্ভব মশামুক্ত নগর উপহার দেয়া। তাই সবাই মিলে একত্রে কাজ না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।‘
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যদি নিজের বাড়ির আঙিনা, ফুলের টব, এয়ার কন্ডিশন বিশেষ করে নির্মাণাধীন বা পরিত্যক্ত ভবনের বেসমেন্ট, ছাদে পানি জমিয়ে না রাখে অথবা রাখলেও তিনদিন পরপর পরিষ্কার বা জমা পানিতে অল্প পরিমাণ কেরোসিন দেয় তাহলে এডিস মশা প্রজননের সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু নির্মাণাধীন ভবনে অনেকেই তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করেন না।‘
আরও পড়ুনঃ একদিনে ৩৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
তিনি বলেন, উভয় সিটি করপোরেশনে দশ জন করে ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেখানে জমে থাকা পানি পাবে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই ডেঙ্গু প্রজননে ভূমিকা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাউন্সিলর নেতৃত্বে এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তা শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, এনজিও কর্মীকে নিয়ে কমিটি করে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে দশটি সাব জোনে ভাগ করে একত্রে কাজ করায় গত বছর সাফল্য এসেছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মেয়র-কাউন্সিলরা যখন আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে তখন স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিটি এবং নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবে। সবক্ষেত্রে জনসম্পৃক্ততা করতে পারলে কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না।
ঢাকার উভয় মেয়র শহরবাসীকে মশামুক্ত রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনকে পর্যাপ্ত লোকবল, কীটনাশক, ফগিং মেশিন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য মেজিস্ট্রেট দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শুধু উত্তর সিটি করপোরেশন নয়, দক্ষিণ সিট করপোরেশনেও অভিযান শুরু হয়েছে। রাজধানীতে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগী কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সে কারণে জোরালোভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শুধু রাজধানী নয় সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রত্যন্ত গ্রামকে অর্ন্তভূক্ত করে ইন্টিগ্রেটর ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট-গাইডলাইন অনুযায়ী কার্যক্রম চালানোর আহবান জানান তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মত অবস্থায় আসেনি। এডিস মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অল্প সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু মারাত্মক রূপ নিলে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই আজকে আমি, মেয়র, কাউন্সিলর, গণ্যমান্য ব্যাক্তিরাসহ মাঠে নেমে অভিযান শুরু করেছি।
ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে খাল হস্তান্তর করার পর দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধ ও দখল থেকে মুক্তির মাধ্যমে সুফল লক্ষ্য করা যাচ্ছে জানিয়ে তিনি খাল-জলাশয়, ড্রেন, কালভার্ট পরিষ্কার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এ সময় যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
আসন্ন নাসিক নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন চান আইভি
নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি সফলভাবে তৃতীয় বারের মতো দায়িত্ব পালন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিযোগিতার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন চেয়েছেন আইভি।
আরও পড়ুনঃ নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, অপেক্ষা ফলাফলের
রবিবার নারায়ণগঞ্জ শহরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইভি বলেন, ‘যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুসারে হয়, তবে আমি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মনোনয়ন চাইব।'
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন আইভি।
যত্রতত্র পশুর হাট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যত্রতত্র যেন পশুর হাট না হয় সেটি সিটি করপোরেশন দেখবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘পশুর হাট যেন যত্রতত্র না হয় সেটি সিটি করপোরেশন দেখবে। পশুর হাটে পুলিশ টিম থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন পশুর হাট হয় এবং অনলাইনে কেনা কাটা উৎসাহিত করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান বলেন, ঈদ সামনে রেখে কোথাও যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করবে।
কুরবানির পশুর চামড়া পাচার বন্ধে বর্ডারে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা শহরে চুরি ও ডাকাতি বন্ধে র্যাব টহল থাকবে।
আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ঈদে হাইওয়ে যাতে যানজট তৈরি না হয় সেজন্য হাইওয়ে পুলিশ ও আনসার দায়িত্ব পালন করবে। বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ টাওয়ার থাকবে।
গামের্ন্টস কর্মীদের বেতন ভাতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিকেএমইএ ও বিজিএইএ যথাসময়ে তাদের বেতন ভাতা দিবে বলে নিশ্চিত করেছেন।
গার্মেন্টস কর্মীদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: আবু ত্ব-হা আদনানের ক্লু বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিল্প কারখানা এলাকায় নাশকতা বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় জানান।
নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ পশুর হাট বসানোর জন্য এবং পশু জবাইয়ের যে স্থান নির্ধারণ করবেন শুধু সেখানেই হাট বসবে। এর বাইরে কোরবানির পশুর হাট ও পশু জবাই করতে দেয়া হবে না। শহর-নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ এলাকায় সবার জন্য সুবিধা মত জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুই দেশের সকল উন্নয়ন চিন্তা-চেতনার ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন: এলজিআরডি মন্ত্রী
রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত ঈদ-উল আযহা-২০২১ উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইকরণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আমাদের দেশেও কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় এ ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। তাই এবছর সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করেই পশুর হাট বসানো হবে।
আরও পড়ুন:হাতিরঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালুর প্রকল্প নেয়া হয়েছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
আমাদের দেশের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে দেশে বৈধ-অবৈধ পথে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কোন অবস্থাতেই যেন ভারত থেকে বৈধ-অবৈধভাবে মানুষ এবং পশু না আসে সে জন্য স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক এবং রেললাইনের উপরে কুরবানির পশুর হাট বসানো হয়। কর্তৃপক্ষ এসব জায়গায় হাট বসানোর ইজারা দেয় না। কিন্তু অবৈধভাবে এসব জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়। রাস্তার উপরে পশুর হাট বসানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রোডস এন্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগ এটি বন্ধ করতে হবে। যেখানে সেখানে হাট বসতে দেয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী
কুরবানি দেয়ার পর পরই দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র, পৌর মেয়রসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল জনপ্রতিনিধিরা স্ব স্ব উদ্যোগে দ্রুত সময়ে বর্জ্য অপসারণ করবেন ।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাট বসানোর জন্য গত বছর গণমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো যা এ বছরও করা হবে।
সিটি করপোরেশন ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারনা চালাবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় সকল সিটি করপোরেশনের মেয়রদের মন্ত্রী জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনদুর্ভোগ কমাতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেরসহ সকল সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জলাশয়ের ময়লা অপসারণে অত্যাধুনিক মেশিন আনা হচ্ছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এডিস মশা ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতির মশা নিধনে খাল এবং জলাশয়ে থাকা কচুরিপানা এবং ভাসমান ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে জার্মানি থেকে অত্যাধুনিক মেশিন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাসহ সকল সিটি করপোরেশনের খাল ও জলাশয় থেকে কচুরিপানা এবং অন্যান্য ভাসমান পদার্থ পরিষ্কার করে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস ও পানির প্রবাহ ঠিক রাখার লক্ষ্যে এই মেশিন আমদানি করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত এডিস মশা নিধন এবং ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ১৪০টি ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন: প্রতিমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, চীন, জাপান, কোরিয়া এবং ব্রিটেনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই মেশিনগুলো চালু রয়েছে। সবগুলো দেশের মেশিন যাচাই-বাছাই করে জার্মানি থেকে ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই মেশিন কচুরিপানাসহ ভাসমান পদার্থ এমনকি পানির এক মিটার নিচের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতেও সক্ষম।
চলমান সময়টিকে এডিস মশার প্রজননের ঊর্বর সময় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্মে থাকে তাই বাসা বাড়িতে কোথাও পানি জমিয়ে রাখা যাবেনা। নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ব্যাপারে অনেক সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এরপরও যারা এডিস মশার প্রজননে ভূমিকা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুই দেশের সকল উন্নয়ন চিন্তা-চেতনার ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন: এলজিআরডি মন্ত্রী
তিনি জানান, এডিস মশা নিধনে প্রয়োজনীয় কীটনাশক ওষুধ বিশেষ করে এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এছাড়া, পর্যাপ্ত ফগিংমেশিন, প্রশিক্ষিত জনবলও প্রস্তুত আছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে অভিযান চালাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য সিটি করপোরেশনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। নগরবাসীকে মশার উপদ্রপ থেকে বাঁচাতে সব ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, মানুষ সচেতন না হলে এবং খাল-জলাশয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করতে পারলে মশার প্রজনন বৃদ্ধি ঠেকানো সম্ভব হবে না। জনমানুষের অংশগ্রহণ অর্থাৎ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে যেকোন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাদের আওতাধীন অফিস এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে যেন এডিস মশার লার্ভা না জন্মে সেদিকে নজর রাখতে হবে এবং নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন:হাতিরঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালুর প্রকল্প নেয়া হয়েছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, খুলনা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক এবং ওয়াসার এমডি অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন।