গণহত্যা
প্রস্তাবিত মানবিক শহর হবে ফিলিস্তিনিদের জন্য বন্দিশিবির: ইহুদ ওলমার্ট
গাজা উপত্যকার রাফাহ অঞ্চলকে ‘মানবিক শহর’ হিসেবে গড়ে তুলতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টস যে প্রস্তাব দিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য সেটি মূলত একটি ‘বন্দিশিবির’ (কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প) হবে বলে জানিয়েছেন অবৈধ রাষ্ট্রটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট।
সেখানে ফিলিস্তিনিদের বাধ্যতামূলকভাবে ঠেলে দেওয়া হলে তা ‘জাতিগত নির্মূলের’ শামিল হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইহুদ ওলমার্ট বলেন, ইসরায়েল এরইমধ্যে গাজা ও পশ্চিমতীরে যুদ্ধাপরাধ করছে। আর এ শিবির নির্মাণ হলে তা হবে আরও ভয়াবহ মাত্রার অপরাধ।
২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মানবিক শহরের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইহুদ ওলমার্ট বলেন, ‘আমি দুঃখিত, তবে এটা হবে একটি বন্দিশিবির। যেখানে বন্দিদের নির্যাতন করা হবে।
‘সম্প্রতি সেনাবাহিনীকে দক্ষিণ গাজার ধ্বংসস্তূপে এই মানবিক শহর নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন কার্টজ। যেখানে প্রাথমিকভাবে ছয় লাখ এবং পরবর্তীতে গাজার পুরো জনগোষ্ঠীকে রাখা হবে। এই শিবিরে একবার ঢোকানো হলে ফিলিস্তিনিরা কেবল অন্য দেশে যাওয়ার জন্যই বের হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক বন্দিদের ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের শাস্তি দিতে এই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প কিংবা বন্দিশিবির স্থাপন করা হয়। হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দির জন্য ১৯৩৩ সালে নাৎসি জার্মানিতে প্রথম কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তখন এই ক্যাম্পে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
ইহুদ ওলমার্ট বলেন, যদি ফিলিস্তিনিদের নতুন মানবিক শহরে জোরপূর্বক পাঠানো হয়, তাহলে সেটিকে জাতিগত নির্মূল বলাই যায়। যদিও এখনও এমন কিছু ঘটেনি, তবে এমন একটি শিবির গঠনের চেষ্টা হলে এটিই হবে ওই ঘটনার অবধারিত ব্যাখ্যা।
তবে বর্তমানে গাজায় চলমান ইসরায়েলের অভিযানকে তিনি জাতিগত নির্মূল হিসেবে দেখছেন না। তার ভাষ্যে, যুদ্ধ থেকে বাঁচাতে বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়া আন্তর্জাতিক আইনে বৈধ এবং তারা কিছু এলাকায় পুনরায় ফিরে এসেছেন।
এদিকে, কার্টজের মানবিক শহরের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে যে এলাকায় মানবিক শহর তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখান থেকে সেনা না সরাতে চাওয়ার শর্তে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বড় বাধা তৈরি হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমের খবরে এমন বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওলমার্ট বলেন, ‘গাজার অর্ধেক মানুষকে সরিয়ে এনে একটি শিবির বানাতে চাইছে তারা। অথচ তাদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের বাঁচানোর উদ্দেশ্যে নাকি তারা এটি নির্মাণ করছে— যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এটি আসলে তাদের বিতাড়নের, ঠেলে ফেলে দেওয়ার কৌশল। এর অন্য কোনো ব্যাখ্যা অন্তত আমার নেই।’
ইসরায়েলের মানবাধিকার আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞরা এই পরিকল্পনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের নীলনকশা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ সতর্ক করে বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে এটি গণহত্যার অপরাধেও পরিণত হতে পারে।
এদিকে, যারা এই মানবিক শহরের পরিকল্পনাকে নাৎসি জার্মানির বন্দিশিবিরের সঙ্গে তুলনা করছেন, তাদের উপর চড়াও হয়েছে দেশটির সরকার। তাদের দাবি, ফিলিস্তিদের বাঁচাতেই তারা এমনটা করতে চাইছেন।
এমন তুলনার জন্য ইয়াদ ভাশেম নামের এক সাংবাদিককে ‘গুরুতর ও অনুপযুক্ত বিকৃতির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে ইসরায়েলের হলোকাস্ট স্মৃতিসংগ্রহ কেন্দ্র।
২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ওলমার্ট এই সাক্ষাৎকার দেন ঠিক যেদিন পশ্চিম তীরে দুই ফিলিস্তিনির দাফন সম্পন্ন হয়। ওই দুজনের মধ্যে একজন ছিলেন আমেরিকান নাগরিক, যাদের ইসরায়েলি বসতির বাসিন্দারা হত্যা করেছে।
এই হত্যাকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দিয়ে ওলমার্ট বলেন, ‘এটা ক্ষমার অযোগ্য, অগ্রহণযোগ্য। একদল মানুষের দ্বারা অব্যাহত, সংগঠিত, নিষ্ঠুর ও অপরাধমূলক পদ্ধতিতে এসব হামলা পরিচালিত হচ্ছে।’
এই হামলাকারীদের সাধারণত ‘হিলটপ যুবক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যাদের একপ্রান্তিক চরমপন্থী হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু ওলমার্ট বলেন, আমি তাদের ‘হিলটপ নৃশংসতা’ বলে আখ্যায়িত করতে চাই।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে সংগঠিত সহায়তা ও সুরক্ষা কাঠামো দিচ্ছে, সেটি ছাড়া ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এমন অব্যাহত ও বিস্তৃত সহিংসতা চালানো সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
যেসব চরমপন্থী মন্ত্রীরা গাজা ও পশ্চিমতীরে সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছেন, ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণকে অনুমোদন দিচ্ছেন এবং আইনপ্রয়োগ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন—তাদেরকে দেশের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার জন্য বাইরের শত্রুর চেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করেন ওলমার্ট।
তিনি বলেন, ‘এই লোকগুলো আমাদের ভিতরের শত্রু।’
তার মতে, গাজায় চরম মানবিক দুর্দশা ও পশ্চিম তীরে বসতিদের বর্বরতা—এই দুটি বিষয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ক্ষোভকে শুধু ‘ইহুদিবিদ্বেষ’ বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
ওলমার্ট বলেন, ‘আমেরিকায় ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব ক্রমেই বাড়ছে। তারা ইহুদিবিদ্বেষী— এই বলে হয়তো আমরা নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছি। তবে আমি মনে করি, তারা ইহুদীবিদ্বেষী বরং টেলিভিশন বা সামাজিকমাধ্যমে যা দেখছেন তাতে অনেকেই ইসরায়েলবিরোধী হয়ে উঠছে।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি যন্ত্রণাদায়ক, কিন্তু এটিই স্বাভাবিক মানবিক প্রতিক্রিয়া। তোমার সব সীমা অতিক্রম করে ফেলেছো।’
আন্তর্জাতিক চাপের ভার অনুভব করলে ইসরায়েলের জনগণের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন ওলমার্ট। এ সময় দেশে কার্যকর রাজনৈতিক বিরোধীশক্তির অভাবে তিনি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবি জানান। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা নিয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের নীরবতা নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি।
দ্য গার্ডিয়ানকে ওলমার্ট জানান, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর ইসরায়েলের প্রাথমিক সামরিক অভিযানে তিনি সমর্থন দিলেও, চলতি বছরের বসন্তে সরকার ‘জনসমক্ষে ও নির্লজ্জভাবে’ শান্তি আলোচনার পথ ছেড়ে দিলে তিনি বুঝতে পারেন ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে।
তিনি বলেন, ‘আত্মরক্ষার যুদ্ধ যে অন্যকিছুতে রূপ নিয়েছে, তা দেখে আমি লজ্জিত ও মর্মাহত। আমি এখন যেটা করতে পারি তা হলো, এই অন্যায়গুলো স্বীকার করা এবং সমালোচনা করা—যাতে আন্তর্জাতিক জনমত জানতে পারে, ইসরায়েলের ভেতরেও অনেক ভিন্ন কণ্ঠস্বর আছে।’
এসব যুদ্ধাপরাধ কোনো সংগঠিত নৃশংস অভিযানের অংশ নয় বরং এটি অবহেলা, মৃত্যু ও ধ্বংসের অগ্রহণযোগ্য মাত্রা মেনে নেওয়ার ফল বলে মত দেন তিনি। ওলমার্ট বলেন, কম্যান্ডাররা কি এসব কাজের আদেশ দিয়েছেন? কখনোই না।
তিনি বিশ্বাস করেন, যখন এমন কিছু করা হয়েছে যার পরিণতিতে বহু নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, তখন সেনাবাহিনী চুপচাপ থেকেছে। এ কারণেই এই সরকারের ওপর যুদ্ধাপরাধের দায় চাপানো থেকে আমি নিজেকে আটকাতে পারি না।
তবে চলমান সব পরিস্থিতি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলোচনাভিত্তিক সমাধান খুঁজে পাওয়ার শেষ বাস্তব প্রচেষ্টা চালানো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওলমার্ট এখনো বিশ্বাস করেন— দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান সম্ভব।
তিনি সাবেক ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের আল-কিদওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই সমাধানের পক্ষে কাজ করছেন। এমনকি যদি নেতানিয়াহু চায়, তাহলে গাজা যুদ্ধের সমাপ্তির বিনিময়ে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সুযোগও এখন পর্যন্ত রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তবে সেই নেতানিয়াহুকেই সম্প্রতি অবাক হয়ে দেখেছেন ওলমার্ট। কারণ যে ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের যুদ্ধাপরাধের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মুখোমুখি, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিচ্ছেন!
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা: প্রতিবাদকারীদের ওপর যেভাবে নীরবতা ছড়িয়ে চলেছে হলিউড
১৪৪ দিন আগে
গাজায় গণহত্যা: প্রতিবাদকারীদের ওপর যেভাবে নীরবতা ছড়িয়ে চলেছে হলিউড
শিল্প হলো প্রতিবাদের সবচেয়ে নান্দনিক ভাষা। একসময় যুক্তরাষ্ট্রের হলিউড চলচ্চিত্র শিল্প মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। অথচ, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিষয়ে হলিউড পাড়ায় চরম নীরবতা। কেন ও কিভাবে হলিউড পাড়ায় এই ঐতিহাসিক নীরবতা তৈরি হলো—এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন বিশ্লেষকরা।
এই শিল্পের শিল্পী, অভিনেতা ও প্রযোজনা কর্মীদের অভিযোগ, ইসরায়েল গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিনোদন জগৎ এখন আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতীক নয়, বরং এই খাত ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি দমন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় চাকরি খুঁইয়েছেন অনেকে, এমনকি এসব ব্যক্তির ভবিষ্যতে কখনোই কাজ না পাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ও বিনোদন জগতের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক ডজনকর্মী জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতা করায় তাদের চাকরি হারাতে হয়েছে বা কালোতালিকায় পড়তে হয়েছে।
এসব ব্যক্তির মধ্যে আছেন—অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, কাঠমিস্ত্রি, সেট ডিজাইনার, অ্যানিমেটর, সুরকার ও স্ক্রিপ্ট লেখক। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৫৭ হাজার ৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে চলচ্চিত্রখাতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পদক ‘অস্কার’ জয়ী ফিলিস্তিনি নির্মাতা হামদান বল্লাল ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অধিকৃত পশ্চিমতীরে মারধরের শিকার ও আটক হন। সে সময় অস্কার কমিটি ‘অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস’ এই ঘটনার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানায়। এটি হলিউডের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মৃত্যুর সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নিতে গিয়ে মে থেকে প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত
হামদান ও বেসেল আদরার পরিচালিত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী আন্দোলনবিষয়ক ডকুমেন্টারি ‘নো আদার ল্যান্ড’ ২০২৪ সালে অস্কার লাভ করে। এই চলচ্চিত্র বানানোর প্রতিশোধ নিতেই হামদানের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন সহপরিচালক আদরার।
এর কয়েক সপ্তাহ পর ‘স্নো হোয়াইট’ সিনেমার তারকা র্যাচেল জেগলারের একটি ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের টুইট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘এবং মনে রাখবেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন।’
চলচ্চিত্র প্রযোজকরা এই অভিনেত্রীকে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য প্রচণ্ড চাপ দেন। এমনকি এই টুইটকে সিনেমাটির বক্স অফিসে ভরাডুবির কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়।
ইসরায়েলি আগ্রাসনকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন দেশ। এর বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ও বিনোদন জগতে ক্ষমতাধর মহলের আগ্রাসনবিরোধীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার অন্যায় প্রচেষ্টা ও ইসরায়েলকে সমর্থনের বিষয়টি বল্লাল ও জেগলারের সাম্প্রতিক উদাহরণ দুটির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে।
শিল্প ও সৃজনশীলতার মুক্ত পরিবেশ হিসেবে বিবেচিত একটি ইন্ডাস্ট্রিতে এখন সহজে ভয় ও দমন-পীড়নের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
মিডল ইস্ট আইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের কেউ কেউ সুপারহিরো ও হরর চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কেউ কেউ আবার এইচবিও, প্রাইম ও ফক্সের মতো জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের সিরিজেও কাজ করেছেন।
তবে তাদের কেউই শীর্ষ পর্যায়ের অভিনেতা নন। তাই, তাদের বরখাস্ত বা কালোতালিকাভুক্ত করার ঘটনা বিনোদন জগতে প্রধান শিরোনামও হয়নি, হয়নি কোনো ধরনের আলোচনা। এই স্বীকৃতির অভাবই তাদেরকে আরও বেশি ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
১৪৪ দিন আগে
এক সপ্তাহের মধ্যেই গাজা যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস এক সপ্তাহের মধ্যেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি হতে পারে।
শুক্রবার (২৮ জুন) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান ট্রাম্প। তার দাবি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপের পর যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে তিনি আশাবাদী।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা মনে করি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি হতে পারে।’ তবে তিনি কার সঙ্গে কথা বলেছেন, এ সময় তা প্রকাশ করেননি।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দপ্তর অবশ্য গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য দিতে পারছে না।
বাইডেন সরকারের সময় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল, সেটির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ছিলেন উইটকফ। তবে, মার্চে ইসরায়েল চুক্তি লঙ্ঘন করে আকস্মিক বিমান হামলা শুরু করলে সেই চুক্তি ভেঙে যায়।
এদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদক নুর ওদ শুনিয়েছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ট্রাম্পের এই মন্তব্য গাজার ক্ষুধার্ত ও নিপীড়িত জনগণের জন্য আশার বাণী হতে পারে। তবে, বাস্তবে এই মুহূর্তে কোথাও কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর এই আলোচনা কিছুটা বেড়েছে। তবে ইসরায়েল এখনই গাজায় যুদ্ধ থামানোর কথা আলোচনা করতে চায় না।’
এই বিশ্লেষকের মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই মুহূর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতির কথা বললে উল্টো তিনিই রাজনৈতিকভাবে বড়সড় ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে ওদ আরও বলেন, ‘আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইলে নেতানিয়াহুকে কোনো না কোনোভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিতে হতে পারে। এই সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রচেষ্টা মূলত ট্রাম্প প্রশাসনই এগিয়ে নিচ্ছে।’
অন্যদিকে হামাস বলছে, ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং তারা মার্চ থেকে যেসব অঞ্চল দখল করেছে, তা ছেড়ে দিতে হবে। এরপরই তারা যুদ্ধবিরতিতে যাবে।
হামাসের দাবি, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চয়তা দিতে হবে। পাশাপাশি ইসরায়েল যেন পুনরায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করতে না পারে, তারও নিশ্চয়তা চেয়েছে এই সংগঠনটি।
ইসরায়েলের কৌশল-বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে যাওয়ার কথা রয়েছে। এই সফরে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজা, ইরান ও নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আলোচনা করবেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
১৬০ দিন আগে
ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে আজ ঢাকায় 'মার্চ ফর গাজা'
গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার লক্ষ্যে আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে 'মার্চ ফর গাজা'র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ এই সমাবেশের আয়োজন করে। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজার হাজার মানুষের জড়ো হওয়ার কথা রয়েছে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর শেখ ফজলুল করিম মারুফ জানান, বিকাল ২টায় পাঁচটি পয়েন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে বিকাল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করা এবং ফিলিস্তিনের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করাই এ সমাবেশের উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে প্রকৌশলীদের মানববন্ধন
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুহাম্মদ আবদুল মালেক।
একই স্থানে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য খাতের শীর্ষ নেতারা মঞ্চে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এবং সমাকবেশস্থলে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে শুক্রবার(১২ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বৈঠকস্থল পরিদর্শন করেন।
ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর পাশাপাশি বিভিন্ন খাতের বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা ও পেশাজীবীরা 'মার্চ ফর গাজা' সমাবেশের আয়োজন করে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম 'মার্চ ফর গাজা' শিরোনামে একটি ফেসবুক ইভেন্ট তৈরি করেছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৭৩ হাজার মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ৬ হাজার ৩০০ জন তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।
আয়োজকদের মতে, ফিলিস্তিনের সমর্থনে ঢাকায় এটিই হবে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা: বিক্ষোভের সময় হামলা-ভাঙচুর, গ্রেফতার ৭২
তারা সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন অঙ্গনের লোকদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার তালেবুর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে সমাবেশকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তায় ডাইভারশনসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
২৩৭ দিন আগে
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের মানববন্ধন
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধে বিশ্ব মোড়লদের এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।
এ সময় জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে ফিলিস্তিনে যা হয়েছে, তা অতীতের যেকোনো ভয়াবহতাকে হার মানায়। গণতন্ত্রের দোহায় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে হামলাকে হালাল বানিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাই দ্রুত ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধান করুন।‘
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচি: জাবি প্রশাসনের সংহতি
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যে বর্বর গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে, পৃথিবীর কোথাও এমন গণহত্যার কোনো নজির নাই। এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল যদি এখনই কার্যকর ভূমিকা পালন না করে তাহলে ফিলিস্তিন মুছে যাবে।’
জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘আমরা দেখেছি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের উপর ইসরায়েল নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এই মানববন্ধন থেকে বলতে চাই, অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করতে হবে। বিশ্বশক্তিগুলোকে হামলা বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে। ফিলিস্তিনে মানবতার চরম বিপর্যয় বন্ধ করতে হবে।’
২৪০ দিন আগে
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপকভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাইরের বিভাগ ও জেলাগুলোতে মানববন্ধন এবং সমাবেশ করা হয়েছে। এসব সমাবেশ থেকে ইসরাইলি পণ্য বর্জন ও ইহুদিবাদী দেশটিকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়াও বিক্ষোভ থেকে ‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বয়কট ইসরাইল’, ‘ইসরাইলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইসরায়েল উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘নিউইয়র্ক উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়।
নিচে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভের চিত্র তুলে ধরা হলো:
গোপালগঞ্জ—
সারাদিন ইসরাইল ও ট্রাম্পবিরোধী স্লোগানে উত্তাল ছিল এই জেলা। গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরও কর্মসূচি ছিল।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের আয়োজনে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীরা স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। এছাড়া বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওলামা পরিষদের আয়োজনে গোপালগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র লঞ্চঘাট এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
খুলনা—
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছেন। তাদের বর্বরতা থেকে নারী-শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। অনবরত বোমার আঘাতের মসজিদ-মাদরাসা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিশ্ব মানবতা তার দিকে কোনো নজর দিচ্ছে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান।
কিশোরগঞ্জ—
কিশোরগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাধারণ মানুষ। জোহরের নামাজের পর কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শহীদী মসজিদ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদী মসজিদ চত্বরে এসে একত্রিত হয়।
পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এ সময় জেলা শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এদিকে সকালে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একই দাবিতে ‘নো ক্লাস, নো এক্সাম, নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
এই কর্মসূচিতে ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজ ভূমিতে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা
২৪১ দিন আগে
গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে ২৫ দিন বয়সী শিশু উদ্ধার
গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের বাইরে সীমান্তের কাছে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ভেঙেপড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষ তন্নতন্ন করে খুঁজছিলেন উদ্ধারকারীরা। কেউ আটকে পড়েছে কিনা; তা দেখছিলেন তারা। তখনই ইট-পাথরের নিচ থেকে একটি নবজাতকের কান্না ভেসে আসে।
এ সময়ে বিস্ময়ে সবার মুখ থেকে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি বেরিয়ে আসে। এক লোক দৌড়ে এসে একটি জীবন্ত শিশু কোলে তুলে নিল। তার শরীরে কম্বল মোড়ানো। এরপর তাকে অপেক্ষারত একটি অ্যাম্বুলেন্স ক্রুদের হাতে তুলে দিল।
প্যারামেডিকরা যখন শিশুটিকে পরীক্ষা করছিল, তখন সে থেমে থেমে নড়ে উঠছিল। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সেহরির সময় আকস্মিক ইসরাইলি বিমান হামলায় শিশুটির বাবা-মা ও ভাই নিহত হয়েছেন।
হাজেন আত্তার নামের একজন বেসামরিক প্রতিরক্ষাকর্মী বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে আমরা জানতে পারি, শিশুটির বয়স ২৫ দিন। বিমান হামলার পর থেকেই ইট-পাথরের ভেতরে আটকাপড়ে সে।’আরও পড়ুন: গাজায় এমন হামলা হবে, যা আগে কেউ কখনো দেখেনি: ইসরায়েল
‘তখন থেকে শিশুটি কান্না করে যাচ্ছিল। ধীরে ধীরে তার গলার স্বর কমে নীরব হয়ে যায়। আর কাঁদতে পারছিল না। এরপর তাকে আমরা উদ্ধার করেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে সে এখন নিরাপদ,’ বলেন তিনি।
শিশুটির নাম ইল্লা ওসামা আবু দাগ্গা। ২৫ দিন আগে গাজায় নড়বড়ে যুদ্ধবিরতির মধ্যে শিশুটি জন্ম নিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা ধরে নিয়েছিলেন, যুদ্ধ শেষ। যদিও পনেরো মাসের যুদ্ধে পুরো উপত্যকাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাসিন্দারা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন সবাই। নিহত হয়েছেন ৪৯ হাজারের বেশি মানুষ, যাদের বেশির ভাগ নারী-শিশু।
হামলায় শিশুটির দাদা ছাড়া পুরো পরিবার নিহত হয়েছেন। অর্থাৎ তার বাবা-মা ও ভাই বেঁচে নেই। তাদের সঙ্গে আরেকটি পরিবারের সাত বছরের শিশু ও তার বাবা নিহত হয়েছেন।
ধ্বংসস্তূপের ভেতরে একটি জাজিমের ওপর ঘুমিয়েছিল শিশুটি। সেখান থেকে তার ছোট্ট শরীরটি বের করে নিয়ে আসেন উদ্ধারকর্মীরা। শিশুকন্যাটিকে তাৎক্ষণিকভাবে কে আশ্রয় দিয়েছেন, তা জানা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে দুপক্ষের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর গেল দুদিনে ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতদের বেশির ভাগ নারী-শিশু।
খান ইউনিসের বাইরে ইসরাইলি সীমান্তের কাছে আবাসান আল-কাবিরা নামের একটি গ্রামে শিশুটির বাড়ি। ইসরাইলি হামলায় সেখানে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ‘তারা কেবল হামাস যোদ্ধাদের নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে। বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনটিই দায়ী। কারণ, আবাসিক এলাকার ভেতরে থেকে কার্যক্রম চালায় হামাস।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করে হামাস। এ সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে তারা। এরপর থেকে হামাসকে ধ্বংস করতে অবিরত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী।
২৫৯ দিন আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় বাংলাদেশের সমর্থন চায় গাম্বিয়া
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা সম্পর্কে অবহিত করেছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা। তিনি বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে তার দেশ কাজ করছে।
বুধবার (১২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিকে সমর্থন করছেন এবং বিষয়টি দেখছেন। 'আমরা এই বিষয়টিকে আবার সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে চাই।’
তিনি বলেন, 'গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং গাম্বিয়ার জনগণ এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করার জন্য এবং এই মামলার সফল হওয়ার জন্য আফ্রিকান দেশটির অবিরাম প্রতিশ্রুতি ও অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই এই মামলা সফল হোক। আমরা আপনাদের সমর্থন চাই। এটি আমাদের জন্য একটি বড় সহায়ক।’
মামাদু টাঙ্গারা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, ‘গাম্বিয়ার জনগণের কাছে আপনি পরিচিত নাম। আপনার আভা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নতুন দায়িত্বে ড. ইউনূসের সাফল্য কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা আপনার মহৎ কাজ এবং চ্যালেঞ্জিং যাত্রার সাফল্য কামনা করি।’
অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ত্রাণ সংগ্রহে ঢাকার প্রচেষ্টা এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তাসহ রাখাইনে মানবিক সাহায্য ও সহায়তা এবং সীমান্ত পেরিয়ে আরও বেশি লোকের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া বন্ধ করার বিষয়ে তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১/১১ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র ভুল করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে গভীর বাণিজ্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কীভাবে আমরা সাহায্য করতে পারি—তা আমাদের জানান।’
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌথভাবে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি সইয়ের বিষয়েও দুই নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তারা আফ্রিকার লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে এবং ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে মহাদেশটির সহিংসতাপীড়িত কয়েকটি অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
২৬৮ দিন আগে
শাপলা চত্বর গণহত্যা: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১২ মার্চ) গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্যা নজরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গণহত্যা: ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম কয়েকজন ব্লগারের 'ইসলাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অবমাননার প্রতিবাদে' ১৩ দফা দাবি পেশ করেছিল।
দাবি আদায়ে সরকার ব্যর্থ হলে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে জড়ো হন হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা।
ওইদিন রাত ১১টা থেকে পরদিন ভোর ৪টা পর্যন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ মাদরাসা ছাত্র ও পথচারীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে দাবি করা হয়, নিহতদের লাশ সিটি করপোরেশনের যানবাহন ব্যবহার করে গুম করা হয়।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম, তারেক আহমেদ সিদ্দিকী ও মাহবুব খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
এদিকে সাভারের আশুলিয়ায় লাশের স্তূপীকরণের মামলায় নায়েক মো. সোহেল মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না
২৬৮ দিন আগে
এমন গণহত্যার পর আ. লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, নিশ্চিহ্ন করতে হবে: আসিফ মাহমুদ
জুলাই অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছে, সে জন্য দলটিকে শুধু নিষিদ্ধ নয়; নিশ্চিহ্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে তারুণ্যের উৎসব আয়োজনে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত আসবে: আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে লিগ্যালি এবং সোশ্যালি (ট্রুথ কমিশন কিংবা বিশ্বের যেসব স্থানে এমন নজির আছে তাদের প্রক্রিয়া অনুসরন করে) আওয়ামীলীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিক ভাবে নির্মূল করতে হবে।’
২৮৯ দিন আগে