মৃত্যুদণ্ড
গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশ জারি
গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজার বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৬ নভেম্বর এই অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল গঠনের করা হবে। এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ হবে জামিন ও আপসের অযোগ্য।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য যদি কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর বিষয়টি অস্বীকার করে অথবা ওই ব্যক্তির অবস্থান, অবস্থা বা পরিণতি গোপন রাখে এবং এ কাজের ফলে ওই ব্যক্তি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন, তাহলে কাজটি গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধে দায়ী ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আর গুমের ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বা গুমের পাঁচ বছর পরও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব না হলে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
যদি কোনো ব্যক্তি গুমের স্বাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করেন বা গুমের উদ্দেশ্যে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করেন, তাহলে ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারদের জন্যও সাজার বিধান রয়েছে অধ্যাদেশে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কমান্ডার বা দলনেতা এ ধরনের অপরাধ সংঘটনে অধস্তনদের আদেশ, অনুমতি, সম্মতি, অনুমোদন বা প্ররোচনা দেন, কিংবা নিজেই অংশ নেন, তাহলেও তিনি মূল অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারের অবহেলা বা অদক্ষতার কারণে অধস্তনরা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ালেও সাজা পাবেন সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধান করার ব্যর্থতার ফলে অধস্তনরা যদি এ ধরনের অপরাধ করে, তাহলেও তিনি মূল অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হবেন বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার আগ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির অবস্থান ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ গোপন রাখা যাবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হলেও তার অনুপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগে
কক্সবাজারে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মো. সোলেমান নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গনি এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মো. সোলেমান টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল এলাকার বাসিন্দা।রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে আদালত থেকে হাজতে নেওয়ার পথে সোলেমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: ডা. নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিহত শিশুটি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলার বাদী ও মেয়েটির বাবা জানান, ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তার মেয়ে। পরে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া বাঁধ এলাকা তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ৩ ডিসেম্বর মহেশখালী থানায় মামলা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন টিটু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নৃশংস খুনিকে দণ্ডিত করার ফলে অপরাধীরা আর এ ধরনের অপরাধ করার সাহস পাবে না।
১০০ দিন আগে
ডা. নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
রাজধানীর বনানীতে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত (নিতাই) হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মো. রেজাউল করিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— কামরুল, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, হাসান মিজি, সাঈদ ব্যাপারী ওরফে আবু সাঈদ। এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছে।
আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন— সাইদুল, প্যাদা মাসুম, আবুল কালাম ও ফয়সাল। তাদেরও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে রিকশাচালক আটক: ওসির কাছে ব্যাখ্যা তলব
এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম নামে আরও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাতে রাজধানীর মহাখালী ডাক্তারের কোয়ার্টার এলাকায় নিজের বাসায় খুন হন ডা. নিতাই। সেদিন দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে নিতাইয়ের মা মঞ্জু দত্ত দ্বিতীয় তলায় চিৎকার শুনে ছেলের ঘরে গিয়ে ছেলের বুকে ও মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে নিতাইয়ের মায়ের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী ডা. আক্তার হোসেনসহ নিরাপত্তা কর্মীরা ছুটে আসেন এবং তাকে দ্রুত বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই নিহতের বাবা তড়িৎ কান্তি দত্ত বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান। অভিযোপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, চুরি করতে গিয়ে তারা ডা. নিতাই চন্দ্রকে হত্যা করেন।
মিন্টু, রফিকুল, পিচ্চি কালাম, সাইদুল, প্যাদা মাসুম ও ফয়সাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই বছরের ২২ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত মোট ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামিপক্ষ থেকে পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
১০৯ দিন আগে
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ মেয়ে মীরা আক্তার আছমাকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে আসামিদের অনুপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নুরুল আমিন বিপ্লব এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন— করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া গ্রামের জহিরকোনা এলাকার নিহত মীরা আক্তার আছমার বাবা আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আঙ্গুর মিয়া, চাচা খুরশিদ মিয়া ও চাচাতো ভাই সাদেক মিয়া।
এই ঘটনায় অপর আসামি আছমার মা মোছা. নাজমুন্নাহারকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আঙ্গুর মিয়া, খুরশিদ মিয়া, সাদেক মিয়া ও নাজমুন্নাহার দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করছিল।
আরও পড়ুন: যশোরে ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর রাতে আনোয়ারুল ইসলাম তার বাড়ির পাশে নুরুল ইসলামের পতিত জমিতে বাঁশঝাড়ের নিছে অপর আসামিদের সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার নিজ মেয়ে আছমাকে জবাই করে হত্যা করে। হত্যার পরে আসামিরা প্রতিপক্ষের নামে করিমগঞ্জ থানা একটি হত্যা মামলা করে।
তবে মামলার তদন্তে বের হয়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য মামলার বাদীরাই তাদের মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দত্ত বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ ৬ আগস্ট এই রায় দেন আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অনামিকা রেজা রোজি ও রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এপিপি মাজহারুল ইসলাম।
১২০ দিন আগে
যশোরে ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মাগুরার শালিখার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক আল আমিন হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। একই সঙ্গে অপর এক আসামিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকালে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জয়ন্তী রাণী দাস এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এসএম আব্দুর রাজ্জাক।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন— শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে জুয়েল খান, একই এলাকার সেলিম হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ এবং যশোর সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আলামিন।
দুই বছরের সাজা পাওয়া আসামি রাসেল মোল্যা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সবুজনগর গ্রামের সুলতান মোল্যার ছেলে। তিনি যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া বিল্লাল মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় হারুন অর রশিদ ও রাসেল মোল্যা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া আসামিদের মধ্যে হারুন কারাগারে আটক আছেন। জুয়েল কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে এসে কোর্ট পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান। তাছাড়া জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন আরেকিআসামি আলামিন। আর দুই বছরের সাজা পাওয়া রাসেল মোল্যাও কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মাগুরার শালিখার হরিশপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আল আমিন। তিনি ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিকালে আল আমিন বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় চালানের উদ্দ্যেশে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় আল আমিনের মোবাইলে কল করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরদিন দুপুরে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আল আমিনের স্বজনরা জানতে পারেন, তার ইজিবাইক যশোর চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে বাঘারপাড়ার বুধোপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে আল আমিনের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর নিহতের পিতা মোস্তাফিজুর রহমান বাঘারপাড়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
একই বছরের ২৫ ডিসেম্বর আল আমিনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আসামি জুয়েল, হারুন ও আলামিন এবং চোরাই ইজিবাইক ক্রয় করায় রাসেলকে আটক করে র্যাব। পরে ২০২২ সালের ১৫ মে ওই চারজনকে আসামি করে আদালতে আভিযোপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হরষিত রায়।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি জুয়েল, হারুন ও আলামিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এ মামলার অপর আসামি রাসেল মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১২৩ দিন আগে
সিলেটে স্কুলছাত্র হত্যা: সাইফুলসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটের বিশ্বনাথে চৈতন্নগর গ্রামে স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া (১৮) হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরও ১৭ জন আসামিকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে একজন এখনো পলাতক।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহীন এ রায় ঘোষণা করেন। সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম, নজরুল, সদরুল, সিরাজ, জামাল, শাহিন, আব্দুল জলিল ও আনোয়ার।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— ইলিয়াছ, আব্দুন নুর, জয়নাল, আশিক, আছকির, ফরিদ ও আকবর।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতন্নগর গ্রামের নজির উদ্দিনের খেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম। এসময় তাকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া। এতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে ওইদিন সুমেল মিয়া নিহত হন। এ সময় সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিয়ের প্রলোভনে গণধর্ষণ, দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২০২১ সালের ৩ মে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলার প্রায় চার বছর পর আজ (বুধবার) এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
এর আগে, গত ১৩ জুলাই মামলাটি যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল। ওইদিন আদালত ৩০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার ৩২ জন আসামির মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি মামুনুর রশীদ পলাতক এবং প্রধান আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে ৪ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।
১২৭ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যায় স্কুলশিক্ষক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় স্ত্রী শান্তা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী ও স্কুলশিক্ষক আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারুদী এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে আমিরুল ইসলামের সঙ্গে শান্তা আক্তারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর শান্তা আরও একটি বিয়ে করে সাত মাস সংসার করেন। পরে আমিরুল ইসলাম তাকে ফুসলিয়ে পুনরায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা বন্দরের রাজবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।
বিয়ের মাত্র দুই মাস ৬ দিনের মাথায় স্ত্রী শান্তাকে হত্যা করেন আমিরুল ইসলাম।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, ‘আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী শান্তাকে শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছেন। এরপর মাছ কাটার বঁটি দিয়ে শরীরের কয়েক জায়গায় চামড়া ছিলে তাতে লবণ লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় শান্তার বাবা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে এ রায় ঘোষণা করেছেন।’
১৩৪ দিন আগে
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে চাচার মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে ১৩ বছর বয়সী এক মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে তার চাচা নুরুদ্দিন মোল্যাকে (৫৭) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
দণ্ডিত নুরুদ্দিন ফরিদপুর সদরের ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ওই প্রতিবন্ধি কিশোরীর চাচা। রায় ঘোষণার সময় নুরুদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশের পাহারায় কারাগারে নেওয়া হয়।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন নুরুদ্দিন। ওই সময়ে স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মা-মেয়ে হত্যা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়। পরদিন তার বাবা কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূইয়া রতন বলেন, ‘একটি প্রতিবন্ধী কিশোরীর সঙ্গে তার বয়স্ক চাচা যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তা সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ, যার সর্বোচ্চ শাস্তিই আমরা কামনা করেছিলাম। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।’
১৩৬ দিন আগে
রাজধানীতে মা-মেয়ে হত্যা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর কদমতলী এলাকায় মোসাম্মৎ ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হত্যার অভিযোগে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।
রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলাম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—আল আমিন, মো. মিরাজ মোল্লা। আসামি আল আমিন ও মিরাজ কারাগারে আছেন।অপর আসামি নুর আলম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার অপর আসামি নুরুল আলমের বিচার শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের স্বামীর পূর্বের স্ত্রী ও অন্যান্য আসামিদের সহযোগীতায় ২০১০ সালের ৮ মে হাত-পা বেঁধে ও গলায় ফাঁস দিয়ে ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় কদমতলী থানায় নিহতের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট গোয়েন্দা ও অপরাধ বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
১৩৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, প্রত্যেককে অর্থদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে সংঘটিত দুটি পৃথক হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মো. আকবর আলী শেখ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের পুলিশি প্রহরায় কোর্ট হেফাজতে নেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মণ্ডলের ছেলে জমির উদ্দীন (৫০), আলমডাঙ্গা উপজেলার বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে স্বাধীন আলী (৪০) এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশা (৩৮)।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
আদালত সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা গ্রামের কামাল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের সালাউদ্দীনের গংদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ২০২২ সালের ৯ মে রাতে স্বাধীন আলীর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন কামালকে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়।
পরে স্ত্রী সেলিনা আক্তার তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কামাল নিজেই হামলাকারীদের নাম বলে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার দুদিন পর, ১১ মে নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও অজ্ঞাতদের আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরামুল হোসাইন সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
মামলায় ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক স্বাধীন আলী ও আশিকুর রহমান আশিক ওরফে বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অপর পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
অপর মামলায় ২০২২ সালের ১৬ জুন সকালে জীবননগরের গঙ্গাদাসপুর গ্রামের ফজলুর চায়ের দোকানের সামনে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে বাবলু রহমানকে একা পেয়ে কোদাল দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন একই গ্রামের জমির উদ্দীন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বাবলুকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিনই নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় জমির উদ্দীনকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৈকত পারে তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন এবং অভিযুক্ত জমির উদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
আরও পড়ুন: মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড
সরকারি পিপি অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু বলেন, ‘দুটি হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’
১৪১ দিন আগে