উপহার
বৌভাতে ৫ লিটার সয়াবিন তেল উপহার!
জার্মান নাগরিক আলিসা ও বরিশালের ছেলে রাকিবুল আহসান শুভর বৌভাত অনুষ্ঠানে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল উপহার দিয়েছেন এক অতিথি। অনুষ্ঠানে ব্যতিক্রমী এই উপহার নিয়ে এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
পারভেজ রাসেল নামে এক ব্যক্তি নিজ পরিবারসহ বৌভাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই উপহার দেন।
বরিশাল সদরের চরবাড়িয়ার উলাল বাটনা এলাকার বাসিন্দা ও চরবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের বাড়িতে এই বৌভাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: জার্মান বউ নিয়ে দেশে ফিরলেন বরিশালের যুবক
উপহারের বিষয়ে অতিথি পারভেজ রাসেল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে আলোচিত ঘটনা সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি কিংবা তেল সংকট এসব বিষয়। এসব কারণসহ বিদেশি মেয়ের সঙ্গে দেশি ছেলের এই বিয়েতে বাড়তি আনন্দ দিতেই এই ধরনের উপহার দেয়া। আমি নিজেই এই বোতল র্যাপিং করেছি।
শুভর বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, ৬৫টি বড় বড় পাত্রে বৌভাতের রান্নার আয়োজন করা হয়। যেখানে দুপুরে খাওয়ার জন্য তিন হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন ছিল। সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের প্রতিটি আয়োজন দেখে ছেলের বউ ও তার বান্ধবী জেনিফা বেশি খুশি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
উল্লেখ্য, বরিশালের ছেলে রাকিব আহসান শুভর সঙ্গে আলিসার জামার্নিতে পরিচয়, এরপর বিয়ে হয়। তবে সেখানে বাঙ্গালি রীতি অনুযায়ী ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তেমনভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তবে এবার বরিশালের মাটিতে বাঙালি রীতিতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হলো। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় আলিসার শ্বশুর শহিদুল ইসলামের বাড়িতেই গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়। তারা বাংলাদেশে এসেছেন তাদের ৬ মাস বয়সী শিশু সন্তান ও আলিসার বান্ধবী জেনিফাকে নিয়ে।
স্বাবলম্বী জমির প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ও জমি দিলেন অন্য গৃহহীনকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ঘর ও জমি পেয়ে জমির উদ্দীন এখন নিজেই স্বাবলম্বী। নিজের বসবাসের ঘরটি এলাকার অন্য দরিদ্র অসহায় মানুষকে দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করে প্রশাংসায় ভাসছেন তিনি।
জমির উদ্দিন বিশ্বাস (২৮), চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের মৃত খেদের বকসোর ছেলে। এক মেয়ে, স্ত্রী নিয়ে সংসার তাঁর।
গত বছরের ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৮টি ঘর উদ্বোধন করেন। সেই থেকে ভূমিহীন দিনমজুর জমির উদ্দিন আন্দুলবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপহারকৃত বাড়িতে পরিবারসহ বসবাস শুরু করেন। তখন থেকে তার আয় বাড়ায় তিনি এখন স্বাবলম্বী।
আরও পড়ুন: ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ হচ্ছে
তাই জমির উদ্দিন বিশ্বাস সম্প্রতি সস্ত্রীক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার বসত ঘর ও জমির দলিল জমা দেন এবং অন্য কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে এই ঘর দেয়ার অনুরোধ জানান। এই ঘরটি অন্য কোনো গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
জমির উদ্দিন বিশ্বাস পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর। সারা দিনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোনো রকমে চলছিল সংসার। তবে ভূমিহীন হওয়ায় ঠাঁই হয়েছিল মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া শাহাপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে। এতে কিছুটা আর্থিক কষ্ট লাঘব হলেও স্বাচ্ছন্দ্য আসছিল না। তবে এবার মাথা গোজার ঠাঁই হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে কলা ক্রয় করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করে প্রতিদিন আয় করছেন ৫শ’ থেকে এক হাজার টাকা। এতে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ফলে পরিবারে এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন ভালোই আছেন তিনি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জমির উদ্দিন বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার বসত-ঘর ও জমির দলিল জমা দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী (অফিসার ইউএনও) আরিফুল ইসলাম রাসেল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবির, আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারসহ জমির উদ্দিনের বাড়িতে হাজির হন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমার তো এখন নিজের মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। সমাজে আমি ছাড়া এখনও অনেক দরিদ্র, ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তি আছে, এই ঘরটা আমি তাদের দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই আমি স্বাবলম্বী হয়ে জমি ও ঘর তৈরি করে ফেলেছি। এখন এই ঘর ও জমি আমার আর প্রয়োজন নেই। তাই আমি চাই, এই ঘরটা অন্য কোনো দরিদ্র মানুষ পাক।’
আরও পড়ুন: হুমকির মুখে আশ্রয়ণ প্রকল্প, গাইবান্ধায় ২১ গ্রাম প্লাবিত
আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যান্য বাসিন্দারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্রয়স্থল দিয়েছেন। আগে আমাদের খুব খারাপ দিন গেছে। এখন আমাদের থাকার জায়গা হয়েছে, সেই সঙ্গে সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য আয়ের সুযোগও হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্ন, দেশে যাতে কেউ গৃহহীন না থাকে, সে জন্য তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তিদের জমি এবং ঘর দিয়েছেন। সে ধারাবাহিকতায় জীবননগর উপজেলার শাহপুর গ্রামের দিনমজুর জমির উদ্দিনকে একটি ঘর দেয়া হয়েছিল। সেই ঘরে বসবাস করে নিজে পরিশ্রম করে আজ তিনি স্বাবলম্বী। এ জন্য তিনি নিজ নামে অন্য স্থানে জমি কিনে ঘর করে বসবাস করায় নিজে লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জমি ও ঘর হস্তান্তর করেন। এবং অন্য দরিদ্র ব্যক্তিকে দেয়ার জন্য বলেন। তাঁর এই মহতী উদ্যোগের জন্য জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, জীবননগর আন্দলবাড়িয়ার শাহাপুরে ভূমিহীন পরিবারগুলোর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একটি আদর্শ আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেয়া ঘর পান ভূমিহীনরা।
ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
প্রাণবন্ত প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে ভ্যালেন্টাইন ডে’র সাথে। তা না হলে কেনই বা বসন্ত বরণের সাথেই সময়রেখায় পদচিহ্ন রাখতে হবে! ঝরা পাতার ধুসর বিসর্জনের মুক্তি মেলে গাছে গাছে সবুজ পাতার হৈচৈ-এ। যেন দুঃখময় স্মৃতিগুলোকে চোখ রাঙিয়ে নতুন এক ভালবাসার দিন শুরুতে তৃপ্ত বাতাসে নৌকার পাল ছেড়ে দেয়া। তাতে বৈঠা হাতে হাজারো মানব-মানবীর পরিণয়ের উপাখ্যান। এমনি বিশেষ দিনটিকে চির স্মরণীয় করে রাখতে পারে প্রাণখোলা হাসি, শুভকামনা আর উপহার। ভাবনার রাজপথ জুড়ে প্রিয় মানুষটির অবিরাম পদচারণার টোটেম হিসেবে কাজ করা সেরকমি কয়েকটি ডিজিটাল উপহার নিয়ে আজকের ফিচার।
ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার ২০২২
ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশন
ইন্টারনেটের বদৌলতে টিভি-রেডিওর জায়গাটি এখন দখল করে নিয়েছে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলো। এখন নিজের পছন্দ মতই বেছে বেছে উপভোগ করা যাচ্ছে সাম্প্রতিক মুভি ও সিরিজগুলো।
মুভি ও নাটক পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নিদেনপক্ষে প্রতিটি স্ট্রিমিং সাইট এখন সব ধরনের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই সম্প্রচার করছে তাদের নিজ নিজ অরিজিনাল কন্টেন্টগুলো।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়ল
বিশ্ববিখ্যাত ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) সাইট নেটফ্লিক্সের কন্টেন্টগুলোর জন্য প্রত্যেকেই মুখিয়ে থাকে। এর ৭.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৬৮৭ টাকার বেসিক প্যাকেজটি এক মাসের জন্য একটি যুগোপযোগী উপহার হতে পারে। আর ৯.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৮৫৯ টাকার স্ট্যান্ডার্ড প্ল্যানটিতে পুরো মাস জুড়ে এমনকি অনেক দূরে থাকলেও দুজনেই উপভোগ করা যাবে নিজ নিজ কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের কন্টেন্ট-এর জন্য হৈচৈ-এর গিফ্ট কার্ড দেয়া যেতে পারে। এর ৬ মাসের প্যাকেজটি ৩১৭ টাকা।
ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক
বিভিন্ন উপলক্ষে কার্ড পেতে সবাই ভালবাসে। ভ্যালেন্টাইন ডে তে নানা গিফ্ট শপগুলো আকর্ষণীয় নকশায় তৈরি করে থাকে কার্ডগুলো। কিন্তু স্ক্র্যাপবুক এই কার্ডের ধারণাকে দিয়েছে এক অভাবনীয় মাত্রা। কার্ডের নকশা ছাড়াও এখানে জুড়ে দেয়া যায় ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা বিভিন্ন আকারের ছবি। আর এর ডিজিটাল ভার্সনটির নয়নাভিরাম কন্টেন্টগুলো গ্রাহকদের মধ্যে রীতিমত মন্ত্রমুগ্ধতা সৃষ্টি করে। ফটোশপ সহ ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফটো ইডিটরগুলোর জন্য দারুণ স্ক্র্যাপবুকগুলো এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহারকারিদের অনেকেই সেই গ্রাফিক্যাল কন্টেন্টগুলো রীতিমত নিয়ম করে কালেকশানে রাখে। তাই ভ্যালেন্টাইন ডে’র উপহার হিসেবে এটি একটি সেরা উপায় হতে পারে।
আরও পড়ুন: সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর: ভারতীয় সংগীতের জগতে অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র
এগুলো কেনা যেতে পারে বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন থেকে। তবে একটু সৃজনশীলতা খাটালে নিজে নিজেই বানিয়ে নেয়া যায় মনোমুগ্ধকর কিছু স্ক্র্যাপবুক। ইন্টারনেটের যে কোন একটি ইমেজ ইডিটর দিয়ে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় একটি সাইট হচ্ছে ক্যানভা। এর স্যাম্পল টেমপ্লেটগুলো ইডিট করে প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহুর্তের ছবিগুলো একত্রিত করে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলা যায় স্ক্র্যাপবুক। সাথে সাথে শেয়ারও করে দেয়া যায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অনলাইন জুকবক্স
শুধুমাত্র একটি স্থির চিত্র দিয়ে পটভূমিতে একসাথে অনেক গুলো গান বাজতে দেখা যায় জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে। এটি ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগের এ্যালবামে গান শোনার নস্টালজিয়া দেয়। মূলত অনলাইনে বিভিন্ন সাইট বা ইউটিউবেরই বিভিন্ন চ্যানেল থেকে সংগৃহীত গানের প্লেলিস্ট দিয়ে সাজানো হয় এই ডিজিটাল জুকবক্সগুলো।
ইউটিউবে এরকম প্লেলিস্ট তৈরি করা খুবই সহজ। যে কোন ভিডিও দেখার সময় ভিডিও ঠিক নিচেই সেভ বাটনে ক্লিক করে নতুন প্রদর্শিত ছোট্ট স্ক্রিণটি থেকে ক্রিয়েট নিউ প্লেলিস্টে ক্লিক করলেই তৈরি হয়ে যাবে প্লেলিস্ট। অতঃপর একে একে প্রিয় গানগুলোর ভিডিওতে যেয়ে সেগুলোকে এই প্লেলিস্টে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে। তারপর ইউটিউবের হোম পেজ থেকে বা দিকে প্রদর্শিত সদ্য তৈরিকৃত প্লেলিস্টে ক্লিক করলে প্লেলিস্টটির নিজস্ব পেজ প্রদর্শিত হবে। আর ব্রাউজারের একদম উপর থেকে এই পেজটির ঠিকানা কপি করে নিয়ে শেয়ার করা যাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
ভিডিও ডায়েরি
এটাকে বলা যেতে পারে ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুকের ভিডিও ভার্সন। প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহূর্তগুলোর ফুটেজ নিয়ে বানানো যেতে পারে এই ভিডিও ডায়েরি। ছোট-খাট একটা ফিল্মে পরিণত হবে ভিডিও ডায়েরিটা। ভিডিও ইডিটিং-এর মত বড় কাজ মনে হলেও এই ভিডিও তৈরি মোটেই তা নয়। ভিডিও বানানোর কারিগরি জ্ঞান থাকলে ভালো, তবে না থাকলেও তৈরি করা যাবে একদম নিখুঁত মানের ভিডিও। অনলাইনে খুঁজলে এমন অনেক ভিডিও ইডিটর পাওয়া যাবে, যেখানে ক্যামেরা দিয়ে তোলা ফুটেজগুলো পরপর বসিয়ে বানানো যাবে দারুণ একটি ভিডিও। জলছাপকে ঝামেলা মনে হলে কিনে ফেলতে হবে সেই ভিডিও ইডিটরটির সাবস্ক্রিপশন। তবে এক্ষেত্রে জলছাপ উপেক্ষা করে কন্টেন্টে জোর দেয়াটাই উত্তম। এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ভিডিও টেমপ্লেট পাওয়া যায় রেন্ডারফরেস্ট-এ। এত উন্নত মানের, প্রোফেশনাল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ টেমপ্লেট অনলাইনে নেই বললেই চলে। এখানকার স্লাইডশোগুলোও বেশ চমৎকার। এর প্রোফেশনাল ইন্ট্রো ও ইন্ডিং ভিডিও সংযোজন করার পর তৈরিকৃত ভিডিও ডায়েরিটিকে মনে হতে পারে পরিপূর্ণ একটি শর্টফিল্ম।
পরিশেষে
প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। একই পাত্রে রঙ বদলেছে প্রয়োজনীয়তাগুলো। এর মাঝেও মানুষ আগলে রেখেছে তাদের আদিম ও অকৃত্রিম অনুভূতিগুলোকে। ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার দেয়ার মাধ্যমগুলো যেন তারই জানান দিচ্ছে। হাত দ্বারা স্পর্শনীয় বস্তুগুলো বর্তমানে শুধু দর্শনেন্দ্রিয় ও শ্রবণেন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা বস্তুতে রূপান্তর হলেও, শুভকামনা দেয়ার ছলে অটুট রয়েছে যত্ন নেয়ার ভনিতাটি।
বাংলাদেশকে অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন জেনারেটর উপহার দিল কোরিয়া
করোনা মহামারি মোকাবিলা ও দেশের স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একশটি অক্সিজেন জেনারেটর অনুদান দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
মঙ্গলবার ঢাকার মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এই সরঞ্জামগুলো হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অ্যাম্বুলেন্স অনুদানসহ দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমাগত সহায়তা কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক। আমরা বাংলাদেশের বন্ধুদের পাশে থাকব।
আরও পড়ুন: ফের দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য আবেদন চালু
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আব্দুল বাশার খুরশিদ আলম কোরিয়ার সহায়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আশা করেন যে এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো সময়মতো প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, মহামারিটির অবসান ঘটাতে বাংলাদেশ সরকার কোরিয়ান সরকারের সাথে একযোগে কাজ করবে।
অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সগুলি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা বাক্স, অক্সিজেন সুবিধা, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য জরুরি ও আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম দ্বারা সুসজ্জিত।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া, কোইকা বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোহ ইয়াং-আহসহ ডিজিএইচএস-এর অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
উল্লেখ্য, কোরিয়া সরকার মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ডলার ইডিসিএফ ঋণ দিয়েছে। গত বছর ৫০ মিলিয়ন ডলার ও এই বছর ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের ব্যবস্থা করেছে। মহামারি শুরু পর গত বছর করোনা পরীক্ষার কিট ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম অনুদান দিয়েছে।
বাংলাদেশকে ৩২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা উপহার পোল্যান্ডের
কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ৩২ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিয়েছে পোলিশ সরকার। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক অ্যাডাম বুরাকোস্কি প্রতীকী টিকার টোকেন হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.)মো. খুরশেদ আলম পোলিশ রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে এই প্রতীকী উপহার গ্রহণ করেন
পোলান্ড সরকারের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মোট তিনধাপে ৩২ লাখ ৭২ হাজার ৮৮০ডোজ অ্যাস্টাজেনেকা টিকা ঢাকাকে দেয়া হবে। এরমধ্যে বুধবার প্রথম ধাপের ১০ লাখ ২৭ হাজার ২৯০ ডোজ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের ৯ লাখ ২০ হাজার ৭৯০ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছাবে। আর তৃতীয় ধাপে ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকায় আসবে।
এসময় পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী এই টিকাগুলো বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে পোল্যান্ড সরকার বাংলাদেশ সরকারকে উপহার হিসেবে দিয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশ শিগগিরই যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো.খুরশেদ আলম বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পোল্যান্ড সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এই দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কুমুদিনী হাসপাতালের জন্য ভারতের অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী উপহার
মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালকে ভারত একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী উপহার দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষে হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স এবং অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসাসামগ্রী–অক্সিজেন সিলিন্ডার, শ্বাস-প্রশ্বাস সহায়ক সরঞ্জাম ইত্যাদি কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা এবং হাসপাতালটির পরিচালক ড. প্রদীপ কুমার রায়ের কাছে হস্তান্তর করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ নতুন এসএমএল ব্র্যান্ডের আধুনিক, জরুরি জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি দ্বারা সজ্জিত অ্যাম্বুলেন্সটি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগামী রোগীদের মানসম্মত জরুরিসেবা এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্ট দিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকালে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই অ্যাম্বুলেন্সটি দেয়া হয়েছে। লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সটি এবং চিকিৎসাসামগ্রীগুলো কুমুদিনী হাসপাতাল মির্জাপুর, টাঙ্গাইল এবং তার আশেপাশের মানুষের জন্য কোভিড মহামারিকালে এবং এর বাইরেও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে সহায়তা করবে। লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সটি মহামারি পরবর্তীকালেও বাংলাদেশের জনগণের জন্য কুমুদিনী হাসপাতালের মানসম্মত চিকিৎসাসেবার চলমান সম্প্রসারণকে শক্তিশালী করবে। উপহারটি বাংলাদেশের মানুষের সাথে অনন্য এবং বিশেষ বন্ধুত্বের প্রতি ভারতের অটুট এবং দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকারের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার: আরও ৪০ লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পেল বাংলাদেশ
কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী কমপ্লেক্সের মধ্যে এবং এলাকায় স্থাপিত পূজা প্যান্ডেলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সবাইকে মহানবমীর শুভেচ্ছা জানান এবং উল্লেখ করেন যে সকল সম্প্রদায়ের দ্বারা পূজার আনন্দদায়ক উদযাপন এবং সমগ্র মানবতার সেবার মনোভাব বাংলাদেশের মানুষের উদার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ঐতিহ্যকে পুরোপুরিভাবে প্রতিফলিত করে, যেমনটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নির্ধারিত হয়েছে এবং যার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ঢাকায় পৌঁছেছে ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা
কোভ্যাক্সের আওতায় মঙ্গলবার ভোরে ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রায় ২৫ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ভ্যাকসিনের এই ডোজ বহন করে ভোর ৫ টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ, সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপো (সিএমএসডি) এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই টিকা গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: কাল আসছে ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, ‘ফাইজার ভ্যাকসিনের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা আসার ঘোষণা দিতে পেরে আমি আনন্দিত।’
এগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য একটি উপহার বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
এর আগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে প্রথম দফায় ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৬০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এনিয়ে ফাইজারের মোট ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গণটিকা: পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্যের ডিজি
এর আগে অ্যাস্ট্রেজেনেকা, সিনোফার্মা, মডার্না টিকাসহ ক্রয়কৃত ও কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মোট টিকা দেশে এসেছে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৪০ ডোজ। এর মধ্যে শনিবার(২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) প্রথম ডোজ মোট ২ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৯৮ জনকে এবং ১ কোটি ৬০ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭১ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও চীনের সিনোফার্মের ৬ কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি অনুযায়ী এ মাস থেকেই প্রতি মাসে ২ কোটি ডোজ করে ভ্যাকসিন দেশে আসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছে সিনোফার্মের আরও ৫০ লাখ ডোজ টিকা
এলওসির আওতায় শিগগিরই বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েল গেজ রেললাইন
বগুড়া থেকে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণের উদ্দেশে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, বিস্তারিত নকশা তৈরি, টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং নির্মাণ তদারকি কার্যক্রমের উদ্দেশে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতীয় কনসালটেন্সি সার্ভিস রাইটস এবং আরভি অ্যাসোসিয়েটস আর্কিটেক্টস ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড কনসালটেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিঞা এবং কনসালটেন্সি সার্ভিসের পক্ষে ভারতের রাইটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জয় আগারওয়াল স্বাক্ষর করেন।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এ লাইনটি তৈরি উত্তরাঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি। নতুন এ রেল লাইনের মাধ্যমে সমগ্র উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে, সময় কমে যাবে।
আরও পড়ুন: ছাতক-সুনামগঞ্জ রুটে রেললাইনের দাবিতে রেলমন্ত্রীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা যমুনা সেতু দ্বারা বিভক্ত। এর পশ্চিমাঞ্চলে মিটার গেজ লাইন এবং পূর্বাঞ্চলে ব্রডগেজ লাইন। বর্তমান সরকার সারাদেশকে একইভাবে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য পর্যায়ক্রমে ডাবল লাইন করা হচ্ছে।’বাংলাদেশ রেলওয়েতে ভারতের বিভিন্ন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তিনটি লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) মাধ্যমে ভারত সরকার রেলওয়েতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
এ সময় ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত কয়েকটি প্রকল্পের নাম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন নির্মাণ, টঙ্গী-জয়দেবপুর ডাবল লাইন নির্মান, সিরাজগঞ্জ-বগুড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ, পার্বতীপুর- কাউনিয়া পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ, খুলনা- দর্শনা, কুলাউড়া-শাহবাজপুর নতুন রেলপথ নির্মাণ, সৈয়দপুর কারখানার আধুনিকায়ন প্রকল্প ভারতীয় অর্থায়নে হচ্ছে।
এছাড়া ভারত আমাদের ক্যাটারিং সার্ভিসের উন্নয়নসহ ট্রেনিং ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ভারতের সাথে আমাদের কয়েকটি রেল কানেক্টিভিটি গড়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে যুক্ত হচ্ছে ডেমু ট্রেন
বর্তমানে ভারতের সাথে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়েছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেলযোগাযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এসময় মন্ত্রী ভারতের উপহার দেয়া দশটি লোকোমোটিভের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।উল্লেখ্য, বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মিত হলে রেল যাত্রা ১১২ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। এটি ৮৬ কিলোমিটার মেইন লাইন এবং ১৬ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মিত হবে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। আগামী ১৩ মাসের মধ্যে নিয়োগকৃত কনসালটেন্সি ফার্ম তাদের রিপোর্ট প্রদান করবে, এরপরে লাইন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা সহ অন্যান্য কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার সহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট কনসালটেন্সি সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে ‘চাঁদের জমি’ উপহার দিলেন স্বামী
বিয়ে বার্ষিকী আরও স্মরণীয় করে রাখতে খুলনায় স্ত্রীকে চাঁদে এক একর জমি কিনে উপহার দিয়েছেন স্বামী।
বৃহস্পতিবার ওই দম্পতির ষষ্ঠ বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রী ইসরাত টুম্পার হাতে জমির দলিল তুলে দেন স্বামী এমডি অসীম।
ওই দম্পতি খুলনা মহানগরীর মর্ডান মোড় এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। স্বামীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়, পেশায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের খুলনা বিভাগের প্রতিনিধি। আর স্ত্রীর বাবার বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী গ্রামে, পেশায় চিকিৎসক। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৪ সন্তানের মা হলেন লাক্সমিয়া
স্বামী অসীম বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে স্পেশাল কিছু উপহার দিব। গত বছর জানতে পারলাম ভারতের এক ব্যক্তি বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছেন। এরপর আমাদের বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদের জমি কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
তিনি বলেন, 'গত ২০ সেপ্টেম্বর মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে ৪৫ ডলারের বিনিময়ে এ জমি কিনেছি। জমি কেনার পর আমাদের একটি বিক্রয় চুক্তিনামা, কেনা জমির একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগোলিক অবস্থান ও মৌজা-পর্চার মতো আইনি নথিও পাঠিয়েছে সংস্থাটি৷'
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছে কাশফুলের খোঁজে: গন্তব্য যখন শরতের শ্বেতশুভ্র স্বর্গ
স্ত্রী ইসরাত টুম্পা বলেন, ‘চাঁদের দেশে এক টুকরো জমি উপহার পেয়ে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। গত বছর ভারতের একটি ঘটনা দেখে আমার স্বামী ইচ্ছা পোষণ করেছিল। এবার বিয়ে বার্ষিকীতে সে আমাকে সত্যিই সারপ্রাইজ গিফট দিতে পেরেছে। উপহারটি পাওয়ার পর আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন স্বপ্নে চাঁদে চলে গেছি।’
উল্লেখ্য, চাঁদে জমি কেনার জন্য মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’-ই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি। যার বাংলা অর্থ ‘চন্দ্র দূতাবাস’। তাদের তথ্যানুযায়ী, চাঁদে জমির দাম একর প্রতি ২৪.৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দুই হাজার ১৪২ টাকা থেকে ৪২ হাজার ৬৫২ টাকা।
বাংলাদেশকে ১০৯ কার্ডিয়াক এম্বুলেন্স উপহার ভারতের
ভারত বাংলাদেশকে ১০৯টি উন্নতমানের কার্ডিয়াক এম্বুলেন্স উপহার দিয়েছে। সোমবার বিকেলে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এই এম্বুলেন্সগুলোর চাবি হস্তান্তর করেছেন।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সিএমএসডিতে এম্বুলেন্স হস্তান্তরের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম ও সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে বর্তমানে টিকার সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতের এম্বুলেন্স উপহার দেয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘যেকোন দুঃসময়ে পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র ভারতই সবার আগে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়। আজ এই করোনাকালে দুঃসময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন করে ১০৯টি উন্নতমানের কার্ডিয়াক এম্বুলেন্স উপহার দিয়ে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ভালোবাসার আরেকটি নজির স্থাপন করেছেন। এম্বুলেন্সগুলো নিঃসন্দেহে দেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা আরও বেশি বৃদ্ধি করবে।’
আরও পড়ুন: সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতের উপহার এম্বুলেন্সের পাশাপাশি দেশের হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক ২১টি এবং উপজেলা হেলথ কেয়ারের অপারেশন প্লান থেকে আরও ৬০টি এম্বুলেন্স কেনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এম্বুলেন্সগুলো স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতাল, ঢাকা নর্থ সিটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতালগুলোর পরিচালক ও প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেন।