আন্তর্জাতিক
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ডিজিটাল বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সহযোগিতায় ও এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিপিআই অ্যান্ড এআই ফর জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’শিরোনামে দুই দিনব্যাপী (৩০-৩১ অক্টোবর) এ আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনা প্রয়োজন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ পুরো দেশের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে একটি ওপেন প্ল্যাটফর্ম অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। এই অবকাঠামোর নাম ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)। দেশের প্রেক্ষাপটে ডিপিআই কোনো স্বপ্ন নয়, বরং একে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এর মাধ্যমে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জুডিশিয়ারিসহ সব খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে সহজ, পরিমাপযোগ্য ও টেকসই সমাধানসমূহ দুর্বল ও প্রান্তিকদের উন্নয়নের গল্পে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম করে তুলবে।
দেশের সমৃদ্ধ ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিপিআই ও এআইয়ের সর্বোত্তম ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বিষয় উল্লেখ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ডিপিআইয়ের তিন স্তর নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ। এগুলো হলো- ডিজিটাল পরিচয়, ডিজিটাল পেমেন্ট ও ডাটা বিনিময়।
দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ডিপিআই ও এআই নির্ভর আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সেক্টরভিত্তিক ১৪টি বিশেষ সেশনের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা সেশনগুলোতে অংশ নেবেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সিনিয়র সহসভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকার সঞ্চালনায় জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রযুক্তিবিষয়ক দূত আমানদীপ সিং গিল বিশ্বে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড কাজ করার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন।
পাঠদান পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক মানের করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য পাঠদান পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক মানের করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও নতুন উদ্ভাবনের কারণে পাঠ্যক্রম ও পাঠদান পদ্ধতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষকদের তদারকির জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শিশুদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে সুযোগ তৈরির আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, ‘আপনারা (শিক্ষকরা) বিদেশে কতটা প্রশিক্ষণ পান এবং দেশে ফিরে শ্রেণিকক্ষে এর কতটা প্রয়োগ করেন তা পর্যবেক্ষণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় তারা যাতে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য তাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই যারা শিক্ষকতা করছেন তাদেরও আন্তর্জাতিক মানের হওয়া উচিত। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, কিছু শিক্ষকসহ অসাধুদের একটি অংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোচিং সেন্টার থেকে মুনাফা করছে। ‘শিক্ষার মান উন্নয়নে কোচিং ব্যবসা পরিত্যাগ করুন।’
আরও পড়ুন: পাবনা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনায় একযোগে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে মন্ত্রণালয়, শিক্ষক, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী সুশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি সুনাগরিকও হয়ে উঠুক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখুক।
মো. সাহাবুদ্দিন সব শিক্ষক ও অভিভাবককে শিশুদের প্রতিভা বিকাশের পথ দেখাতে কাজ করার পরামর্শ দেন।
তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য স্মারক ও ক্রেস্টপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষকদের অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি
আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন মূল্যবোধের সর্বজনীনতা পুনর্ব্যক্ত করে: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, মানবতার সহজাত মঙ্গলের প্রতি মহাত্মা গান্ধীর দৃঢ় বিশ্বাস, পরিবর্তনের শক্তি হিসেবে শান্তি ও অহিংসার প্রতি তার অবিচল বিশ্বাস আজও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মতোই প্রাসঙ্গিক।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৯৪৬ সালে গান্ধীর ঐতিহাসিক নোয়াখালী সফর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও সংলাপ, সহানুভূতি ও বোঝাপড়ার অসাধারণ শক্তির দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
এক সেমিনারে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, অহিংসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নীতির প্রতি তার অদম্য নিবেদন শুধু নোয়াখালীকে সান্ত্বনাই দেয়নি, মানবতার বিবেকেও অবিস্মরণীয় ছাপ রেখে গেছে।
মহাত্মা গান্ধীর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হাইকমিশনার ভার্মা নোয়াখালীর ঐতিহাসিক গান্ধী আশ্রম পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সেমবার (২ অক্টোবর) তিনি গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট আয়োজিত ‘গান্ধিজিস কোয়েস্ট ফর পিস্ অ্যান্ড হারমনি ইন নোয়াখালী অ্যান্ড ইটস রিলেভ্যান্স ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কাছে যোগ হলো ভারতের উপহার: প্রণয় ভার্মা
দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি।’
তিনি বলেন, 'যারা দেশে-দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আজকে বিএনপি-জামায়াত তাদের হাতে, বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। দেশটাকে তারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়।’
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন (২৮ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন ভণ্ডুল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অনেক অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এ অপচেষ্টায় কোনো লাভ হবে না।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই অপচেষ্টা যারা করছে সেই বিএনপি হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর ছানা। তাদের কেউ বাতাস দিচ্ছে এবং সেই বাতাসে ফখরুল সাহেব লাফাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা লাফাতেই থাকবেন আর এদিকে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনে আবারও ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে আসীন হবেন।'
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক অংশীদাররা দেশের সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে তাদের সহায়তা প্রসারিত করতে পারে এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজেএ’র উচ্চ পর্যায়ের সভায় দেওয়া বক্তেব্যে এই পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি প্রথম যে ক্ষেত্রটি উল্লেখ করেছেন তা হলো- শিশু, মা এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য টেকসই উন্নয়ন সহায়তা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু-স্বাস্থ্য সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তার দ্বিতীয় পরামর্শটি ছিল সকলের জন্য স্বাস্থ্য আইডিসহ একটি আন্তঃ-পরিচালন পদ্ধতি, ডেটা-চালিত স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বিকাশে দক্ষতা ভাগ করে নেওয়া।
তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপযোগী একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প গড়ে তুলতে সহায়তা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ আহ্বানটি ছিল দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্ট আপ সহ স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তার পঞ্চম প্রস্তাবে তিনি জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পেটেন্ট প্রকাশ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে টিআরআইপি বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম ইউএইচসি প্রচার করে ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে। আসুন আমরা সকলে এটি সম্ভব করার জন্য হাত একতাবদ্ধ হই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অথচ এসডিজি’র অর্জনযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত একটি দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।’
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিচ্ছে। সরকার মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৬৩ জনে নামিয়ে এনেছে। নবজাতকের মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুহার ২৮ জনে নেমেছে।
অধিবেশনে তিনি বলেন,‘শিশুদের টিকাদানের উপর আমাদের জোর প্রচেষ্টায় সার্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’
শেখ হাসিনা আরও জানান, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবিলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি।’ সরকার ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মান নির্ধারণ করেছে।’
মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়বিক রোগের বিষয়ে সরকারের নীতি ও হস্তক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে বলে উল্লেখ কর তিনি বলেন, এটি সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।
তিনি বলেন, সরকার অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতে 'ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ' প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং ডুবে যাওয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সুবিধা শূন্য বা সর্বনিম্ন খরচে সেবা প্রদান করে, যা জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে কভার করে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি স্বাস্থ্য ব্যয়ের জন্য কেউ কষ্ট পাবে না। একটি প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী দিয়ে তাদের পরিষেবার গুণমান উন্নত করার দিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।’
তিনি বলেন, তার সরকারের পরবর্তী টার্গেট হলো খরচ পরিশোধের জন্য একটি কার্যকর অর্থায়ন মডেল তৈরি করা।
বাংলাদেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে বিবিএনজে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ
গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের চেষ্টা করছে সরকার: জ্বালানি সচিব
বাংলাদেশ সরকার এক মাসের মধ্যে অফশোর হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
বুধবার (৯ আগস্ট) ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ উপলক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি সচিব বলেন, ‘গত সপ্তাহে অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি নতুন মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) অনুমোদন করেছে। এখন আমরা এক মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
তিনি বলেন, সরকার অনুমান করছে এবার আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির (আইওসি) কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে কারণ মডেল পিএসসিকে আরও আকর্ষণীয় করে সংশোধন করা হয়েছে। ‘আমরা ইতোমধ্যে এই বিষয়ে কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ শুরু
মজুমদার বলেন, সরকার জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে এবং এর অংশ হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের জন্য এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক এলাহী বলেন, গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়টি বাস্তবভিত্তিক হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস না পাওয়া পর্যন্ত যে কোনো জায়গায় গ্যাসের রিজার্ভ নির্ধারণ করা অবাস্তব। বিভিন্ন স্থানে নতুন ১০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) থাকার সম্ভাবনা শুধুমাত্র তত্ত্বীয় হতে পারে।
দেশে নতুন গ্যাসের সম্ভাবনা সম্পর্কে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের পরিসংখ্যানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না আমরা খনন করে এটি খুঁজে পাচ্ছি, ততক্ষণ আমাদের ১০ টিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা থাকার কথা বলা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: ইলিশা-১ দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র: নসরুল হামিদ
আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সরকার যদি ১৮টি নতুন কূপ খনন করে তাহলে সহজেই ৯ থেকে ১০ টিসিএফ গ্যাস পাওয়া যাবে কারণ দেশের খনন কাজের সাফল্যের অনুপাত ১:৩।
মোল্লা আমজাদ বলেন, কূপ খনন করা খুবই ব্যয়বহুল একটি বিষয়। তাই বিদেশি কোম্পানিগুলোকে এ ব্যাপারে নিয়োজিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার ডলার সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে এবং এখন এটি আইওসি, বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী এবং এলএনজি সরবরাহকারীদের অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার অনেক ভালো নীতিমালা করেছে। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়নে নানা সমস্যা এখন বর্তমান জ্বালানি সংকট তৈরি করেছে।
বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার আগামী ২ থেকে ৩ বছরে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান
বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন, তা আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হলো।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে রংপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্র প্রকল্পস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপির কয়েকজন সদস্য যখন কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। কানাডার একটি আদালত সেসময় তাদের রায়ে বলেছিলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে বল প্রয়োগ করে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তারা গাড়ি-ঘোড়া ও মানুষ পোড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এরপর আবার কয়েক দিন আগে বিএনপির আরেকজন সদস্য সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এবং সে ক্ষেত্রে কানাডার ফেডারেল আদালত আবার একই রায় দিয়েছেন যে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সুতরাং তাদেরকে আর রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না এবং এই মর্মে তার আবেদন তারা খারিজ করে দিয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির লজ্জা থাকা উচিত যে কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো তাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলো এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এভাবে যখন বিএনপি সদস্যরা আবেদন করেছে, অনেক জায়গাতেই প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করেছে।
বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও ডিবি কার্যালয়ে গয়েশ্বর রায়কে সরকারের পক্ষ থেকে উন্নত খাবার ও সেবাদান নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, এটি আওয়ামী লীগের শিষ্টাচার এবং ১৫ বছর তাদের আদর করা হয়নি সেটি সঠিক নয়। যখনই তারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে এবং কারাগারের মধ্যে যতটুকু সম্ভব ভালো রাখা যায়, সে চেষ্টা সব সময় করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এবং আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে অনেক নেতা যখন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের খোঁজখবর নিয়েছি, যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।
হাছান বলেন, এটি আমাদের দলের শিষ্টাচার, যা আমাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন। এই শিষ্টাচার বিএনপির মধ্যে নাই, এর মর্মও তারা বোঝে না।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ বেগম মতিয়া চৌধুরীকে রাসেল স্কোয়ারে টানাহেঁচড়া করেছে, আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে পুলিশ লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। তাদের সেবা-শুশ্রূষা তো দূরের কথা, কোনো কিছুই করা হয়নি।
বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা যেটি করেছেন, এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচার। এটির প্রশংসা আমানউল্লাহ আমান নিজেও করেছেন। আবার বের হওয়ার পর ভোল পাল্টিয়েছেন।
সোমবারের সমাবেশ প্রসঙ্গে হাছান বলেন, তারা নিজেরাই তো বোল্ড-আউট হয়েছে। বিএনপি ঢাকা অবরোধ করতে চেয়েছিল, সেখান থেকে পালিয়েছে। সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের জনসভা দেখে আমার নিজেরই লজ্জা লাগলো যে, ফাঁকা মাঠ, বিএনপির জনসভায় মানুষ এতো কম কেন!
এর আগে বিটিভি রংপুর কেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে বলেন, আমাদের সরকার প্রত্যেকটি বিভাগে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, একনেকে অনুমোদন হয়েছে।
তিনি বলেন, রংপুর বিভাগেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপনের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। সেটি হলে এখানকার শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সবাই সংস্কৃতির নানা বিষয়ে তাদের দক্ষতা সারা দেশে তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতিকেও তুলে ধরার সুযোগ পাবে।'
আরও পড়ুন: ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ‘ আগুনসন্ত্রাস’ বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশে' প্রতিফলিত: চীন
চীন বলেছে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘শুধু বাংলাদেশের জনগণের শক্তিশালী অবস্থান নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের একটি বড় অংশের মনে প্রতিফলিত।’
বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্য করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যটি লক্ষ করেছি। প্রকৃতপক্ষে, নিজস্ব জাতিগত বৈষম্য, বন্দুক সহিংসতা এবং মাদকের বিস্তারের সমস্যাগুলোর প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রেখে, একটি নির্দিষ্ট দেশ দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে অনেক উন্নয়নশীল দেশ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী।
আরও পড়ুন: চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,‘আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায়, স্বাধীন দেশীয় ও বৈদেশিক নীতিকে সমুন্নত রাখতে এবং এর জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই উন্নয়নের পথ অনুসরণে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।’
তিনি বলেন, তারা সব ধরনের আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে, জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার মৌলিক নিয়মগুলোকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এবং জাতিসংঘের সনদের নীতিগুলো এবং মানবজাতির জন্য একটি ভাগ করা ভবিষ্যতসহ একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলুন।
আরও পড়ুন: চীনের প্রেসিডেন্ট শি বাংলাদেশি শিশু আলিফা চিনের চিঠির জবাব দিয়েছেন
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল
ভারতে আট দেশের ১৪তম দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) চ্যাম্পিয়নশিপ '২০২৩-এর আগে নমপেনে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি খেলা খেলতে শনিবার বিকালে কম্বোডিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল।
বাংলাদেশ ১৫ জুন নমপেন জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রথম পর্যায়ের প্রীতি ম্যাচ খেলবে এবং ২১ জুন থেকে ৫ জুলাই বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ -এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পরের দিন (১৬ জুন) ভারতের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে।
৩৪ সদস্যের জাতীয় দলের মধ্যে, ২১ জন খেলোয়ার এবং ১০ জন কর্মকর্তা শনিবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে কম্বোডিয়া যাওয়ার পথে টিজি-৩২২ ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রাজধানী ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫৫মিনিটে নমপেনে পৌঁছানোর আশা করেন।
দলের বাকি তিন সদস্য - ম্যানেজার শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, দুই খেলোয়াড় বিশ্বনাথ ঘোষ এবং ইসা ফয়সাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় ভিসা পাননি, তারা ভারতীয় ভিসা পাওয়া সাপেক্ষে রবিবার বা সোমবার সেখানে দলে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ দল কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন হোটেলে অবস্থান করবে এবং ১২ জুন নমপেনের আর্মি স্টেডিয়ামে বিকাল ৫টায় টিফি আর্মি এফসির বিপক্ষে একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে।
আরও পড়ুন: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়া কাপ: অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনের সঙ্গে বি গ্রুপে বাংলাদেশ
শুক্রবার বাফুফে হাউসে একটি প্রি-ট্যুর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ জাভিয়ের ফার্নান্দেজ ক্যাব্রেরা বলেছেন, ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়াকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ -এর সেমিফাইনালে খেলা তাদের লক্ষ্য।
পরে তিনি সাত খেলোয়ার টুটুল হোসেন বাদশা, মাসুক মিয়া জোনি, এলেটা কিংসলে, শাহরিয়ার ইমন, রিমন হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন এবং মেহেদী হাসান শ্রাবণকে বাদ দিয়ে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের সদস্যরা হলেন: আনিসুর রহমান, তপু বর্মন, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক রায়হান কাজী, সোহেল রানা, রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, শেখ মোরসালিন (বসুন্ধরা কিংস), সহিদুল আলম সোহেল, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রহমত মিয়া, সোহেল রানা, আলমগীর মোল্লা, মোহাম্মদ রিদয় (ঢাকা আবাহনী লিমিটেড), মেহেদী হাসান (মোহামেডান এসসি), জামাল ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ইব্রাহিম (শেখ রাসেল কেসি), রবিউল হাসান, ইসা ফয়সাল (পুলিশ এফসি), মজিবর রহমান জনি, মিতুল মারমা, রফিকুল ইসলাম (ফর্টিস এফসি) এবং আমিনুর রহমান সোজিব (মুক্তিযোদ্ধ সংসদ কেসি)।
এর আগে বাংলাদেশ (সাফ) চ্যাম্পিয়নশিপের বি গ্রুপে শীর্ষ বাছাই এবং আমন্ত্রিত লেবানন, দুইবারের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ ও ভুটানের সঙ্গে ড্র করেছে এবং গ্রুপ এ দলে রয়েছে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত, আমন্ত্রিত কুয়েত, নেপাল ও পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ফেডারেশন কাপ: ১৪ বছর পর আবাহনীকে হারিয়ে মোহামেডানের শিরোপা জয়
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে, স্বাগতিক ভারত তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে ২১ জুন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উদ্বোধনী দিনের দুটি ম্যাচের একটিতে খেলবে এবং আমন্ত্রিত কুয়েত বিকাল সাড়ে ৩টায় টায় উদ্বোধনী দিনের অন্য ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে।
২০০৩ সালের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পরের দিন (২২ জুন) একই ভেন্যুতে বিকাল সাড়ে ৩টায় ফেভারিট এবং শীর্ষ বাছাই লেবাননের বিপক্ষে তাদের অভিযান শুরু করবে।
গত পাঁচটি আসরের মতো গ্রুপ পর্বের বাধা অতিক্রম না করা বাংলাদেশ ২৫ জুন মালদ্বীপের সঙ্গে বিকাল সাড়ে ৩টায় এবং ২৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভুটানের সঙ্গে তাদের বাকি গ্রুপ ম্যাচে মুখোমুখি হবে।
রাউন্ড-রবিন লিগের ম্যাচের পর, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল, ১ জুলাই সেমিফাইনালে খেলবে এবং ফাইনালটি ৪ জুলাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: অবশেষে ইন্টার মায়ামিকে বেছে নিলেন লিওনেল মেসি
রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।
রবিবার ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠানোর মাধ্যমে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর কাছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে এবং এখানকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে।
‘রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত’ উল্লেখ করে ওআইসি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ওআইসির জন্য একটি অগ্রাধিকার ইস্যু।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাইয়ে কক্সবাজারে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ওআইসির কাছে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, ওআইসিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান অবদানের কথাও স্মরণ করেন।
ওআইসি মহাসচিব বিশ্ব শান্তিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে জোলিয়ট-কিউরি শান্তি পুরস্কার প্রদানের ৫০তম বছরে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক ইউনিট) রিয়ার আমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম এবং ওআইসি সহকারী মহাসচিব অ্যাম্বাসেডর আসকার মুসিনভ উপস্থিত ছিলেন।
ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা পাঁচ দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় এসেছেন।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি ৩০ মে অনুষ্ঠিতব্য আইইউটির ৩৫তম সমাবর্তনে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা মামলা: সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন ওআইসি মহাসচিব