ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)
ফেডেক্স শুটারকে গত বছর জেরা করেছিল এফবিআই
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপলিস শহরে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এক বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ৮ জন নিহত হবার ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে চারজনই স্থানীয় শিখ কমিউনিটির সদস্য বলে জানায় পুলিশ। যদিও আততায়ী ওই ঘটনায় নিজেই নিজেকে গুলি করে।
এদিকে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) আততায়ী ব্র্যানডন স্কট হোলের (১৯) পরিচয় নিশ্চিত করে জানায়, তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালে হোলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এফবিআই। তার মায়ের ধারণা ছিল হোল পুলিশের সাথে সহিংসতার মাধ্যমে আত্মহত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন: হৃদরোগই ফ্লয়েডের মৃত্যুর কারণ: দাবি বিশেষজ্ঞের
যুক্তরাষ্ট্রে ঝড় তোলা এই হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। নিহতরা হলেন- ম্যাথিও আর অ্যালেক্সান্ডার (৩২), সামারিয়া ব্ল্যাকওয়েল (১৯), আমারজিত জোহাল (৬৬), জাসউইনদার কউর (৬৪), জাসউইনদার সিং (৬৮), আমারজিত সেখন (৪৮), কারলি স্মিথ (১৯) এবং জন ওয়েসার্ট (৭৪)।
নিহতদের মধ্যে ৪ জন স্থানীয় শিখ কমিনউনিটির সদস্য হওয়ায় আবারো নতুন করে এশিয়ান আমেরিকানদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। মার্চ মাসেই আটলান্টতে এমনই এক ঘটনায় ছয়জন এশিয়ান আমেরিকানের মৃত্যু হয়।
ইন্ডিয়ানাপলিস শহরের সহকারী পুলিশ প্রধান ক্রেইগ ম্যাককার্ট মিডিয়াকে জানান, আততায়ী হোলের ঘর সার্চ করে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদী সংগ্রহ করেছে পুলিশ। হোলের ব্যবহৃত ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসও জব্দ করে পুলিশ।
ম্যাককার্ট বলেন, বৃহস্পতিবার ফেডেক্সের অফিসে ঢুকে হোল কোনও উস্কানি বা কথা বলা ছাড়াই এলোপাতাড়িভাবে চারজনকে গুলি করে এবং পরে ফেডেক্স বিল্ডিং এর ভেতরে প্রবেশ করে আরও চার জনের ওপর গুলি চালাই। এর পরপরই হোল নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই ঘটানাটি ঘটে যায়।
আরও পড়ুন: সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাইডেনের নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) এফবিআই এর ইনিয়ানাপলিস ফিল্ড অফিসের প্রধান এজেন্ট পল কেনান জানান, হোলের মায়ের অভিযোগ পাওয়ার পর গতবছরই তাকে জেরা করে এফবিআই। তার ঘরে কিছু সন্দেহজনক জিনিস পাওয়া যাওয়ায়, তাকে নানারকম প্রশ্ন করা হলেও কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি সেসময়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ক্লিন সার্টিফিকেট দেয় এফবিআই।
এদিকে আমেরিকায় দিন দিন আততায়ীর গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে চলাকে মহামারির সাথে তুলনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।