তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন বর্জন কারো জন্য সমীচীন নয়: জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটানা নির্বাচন বর্জন কোনো দলের জন্যই সমীচীন নয়।
রবিবার (১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আলোচনায় আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠেছিল। আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি যে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হওয়ার নীতিকে সমুন্নত রাখবে; এর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ।’
তিনি নির্বাচন বয়কটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘অবশ্যই আমি তাকে জানিয়েছি আগামী নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এন্ড ট্রান্সপারেন্ট হবে এবং ইলেকশন অনুষ্ঠান করা সেটি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এবং ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা যে কখনো কারো জন্য সমীচীন নয়, সেটি আমি তাকে বলেছি। একইসঙ্গে দেশে যাতে কোনো রাজনৈতিক ভায়েলেন্স না হয় যেটি ২০১৩-১৪-১৫ সালে হয়েছে এবং সময়ে সময়ে বিএনপি করে এবং এখনো করার চেষ্টা করছে, উস্কানি দিচ্ছে এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
হাসান মাহমুদ বলেন, ‘পাশাপাশি আগামী নির্বাচন জনগণ এবং অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, সুন্দর সর্বমহলে কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, সেটি আমি তার সঙ্গে আলোচনায় বলেছি।’
জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গত ৫২ বছরে জাপানের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত সহায়তার জন্য আমি জাপানি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের কথোপকথন দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্ভাবনাকেও স্পর্শ করেছে।’
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক।
তিনি বলেন, বরং বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে নতুনভাবে চালুকৃত কেবল-কার (রোপওয়ে) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া যতবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাচাঁনো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হযয়ে বাড়ি ফেরত গেছেন। এখনো বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান সরকার সেজন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করছে।'
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ও উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি।’
তিনি বলেন, 'যারা দেশে-দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আজকে বিএনপি-জামায়াত তাদের হাতে, বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। দেশটাকে তারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়।’
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন (২৮ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন ভণ্ডুল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অনেক অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এ অপচেষ্টায় কোনো লাভ হবে না।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই অপচেষ্টা যারা করছে সেই বিএনপি হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর ছানা। তাদের কেউ বাতাস দিচ্ছে এবং সেই বাতাসে ফখরুল সাহেব লাফাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা লাফাতেই থাকবেন আর এদিকে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনে আবারও ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে আসীন হবেন।'
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ়তর হচ্ছে। সুতরাং কোনো একটা ভিসানীতি বা কিছু নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই নীতি তাদের বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হবে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে।'
তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ সেটিই প্রমাণ করে।'
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আজকে বিএনপি নানা ধরণের কথা বলে। ভিসানীতি ঘোষণার পর এক কথা বলে, আবার পত্রিকায় গত পরশু দিন খবর আসার পর আরেক ধরণের কথা বলে। এগুলো বলে কোনো লাভ নেই।'
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু পরাশক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো। কিন্তু সেইসব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমাদের পূর্বসূরী মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো। আজকেও অনেকেই চোখ রাঙ্গায়, অনেক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার ধমনীতে, শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত পরাভব মানে না, আপোষ জানে না। সমস্ত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।'
হাছান বলেন, '১৯৭১ সালে যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদেরই নতুন সংস্করণ হচ্ছে বিএনপি। এবং তাদের সহযোগী হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, যারা দেশের স্বাধীনতার শুধু বিরোধিতাই করেনি, স্বাধীনতা সংগ্রামে এদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে অস্ত্রধারণ করেছিল। তাই এই বিএনপি-জামাত চক্র আজকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে, আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।'
'কিন্তু, সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে'-এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, 'সেই নির্বাচনে যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসে আমরা স্বাগত জানাই। তবে কেউ না আসলেও কোনো অসুবিধা নাই। এই নির্বাচন আমাদের, এই দেশ আমাদের, এখানে নির্বাচন কিভাবে হবে সেটি আমরা ঠিক করবো। আমাদেরকে কারো গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা আমরা জানি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।'
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। তাই এরই মধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না- এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কি না- এমন প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন এলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না- এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না এলেও কোনো অসুবিধা নেই।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে।
বিএনপি লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে। দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দেবে না। সেই অপচেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না আর যেই দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না, সেই দল তো সবাই করবে না।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন আর নির্বাচনে আসা না আসা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনমনে বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করতে চায়।
আরও পড়ুন: আগস্ট মাস ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে নাশকতার ছক আঁকা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, গতবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা যেমন বলেছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণ নেবে না কিন্তু শেষমেষ অংশ নিয়েছিল। এবারও তাদের এখনকার বক্তব্য আর এক মাস আগের বক্তব্যের মধ্যে কিছুটা তফাৎ আছে। যারা একটু অনুসন্ধিৎসু তারা এটা বুঝতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন, একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করে তাহলে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সদ্য সমাপ্ত কানাডা সফরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান জানান, ‘টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে। ২ ঘণ্টা ৫৮ মিনিটের বিরতিহীন এ প্রদর্শনীতে একজন দর্শকও আসন থেকে নড়েননি। সেখানে বাংলাদেশি, ভারতীয় ছাড়াও বিভিন্ন দেশের দর্শকরা ছিল, প্রত্যেকেই সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন। সিনেমাটি প্রকৃতপক্ষে আমাদের ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। আগামী মাসে আমরা বায়োপিকটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, কানাডা সফরে সে দেশের উচ্চকক্ষ সিনেটের মানবাধিকার কমিটির চেয়ার সিনেটর সালমা আতাউল্লাজানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
এ ছাড়া কানাডা পার্লামেন্টের ইমিগ্রেশন এবং নাগরিকত্ববিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ার সালমা জাহিদ এমপি’র সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশিদের সহজতর ইমিগ্রেশন এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের সহজতর ভিসার জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়েছি।
এ সময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশে ফেরার পথে আমি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি খুবই ভালো আছেন। দেশে নানা আলোচনা হয়েছে কিন্তু আমি দেখেছি তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই ভালো।
আরও পড়ুন: যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই। আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়। তাদেরকে বলব মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব গতদিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু বিএনপির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা মাঠ ছেড়েই চলে যেতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব মাঠে আসার জন্য এবং আমাদের সঙ্গে খেলার জন্য। আমরা খেলেই জিততে চাই। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করুক।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, প্রতি শহর-গ্রামের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মুখে আগের ডাল-ভাতের পরিবর্তে এখন মাংসের দাম বাড়লে সেটি নিয়ে কথা শোনা যায়।
তিনি বলেন, আগে মানুষ ইট বিছানো রাস্তার দাবি দিতো, এখন কার্পেটিং করা রাস্তার দাবি দেয়। এখন মানুষ ভাত-কাপড়ের কথা বলে না, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কথা বলে এবং আমাদের সরকার সেটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত করেছে, দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের জীবনমানের এই উত্তরণ ও পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়।
সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সংলাপের ডাক দেবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা তো আয়োজক পক্ষ নই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি কোনো অভাব-অভিযোগ কিছু থাকে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। আর নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে আমরা সেখানে যাবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল, পরে সেটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল; এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করবো এ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নাই। ২০১৪ সালে আমরা তাদেরকে মোকাবিলা করেছি, ২০১৪ সালের পরিস্থিতি বিএনপি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না। নির্বাচনে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক আমরা সেটিই চাই। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শ্লোগান দেওয়া হয়েছিল ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। অথচ ১৯৭০ সালে সেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তখন অনেক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই, কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি, তবুও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেখানে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে সেই ভোট নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের বিচারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার গুলশানে একটি হোটেলে সদ্য প্রকাশিত ‘দৈনিক বাংলা পত্রিকা’র প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদে করা ‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়’-এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আসলে বিএনপি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে চায়। ২০১৪ সালে তারা এটি করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। এবার চেষ্টা করলে জনগণ তা দমন করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকবো না।
নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়াবে না জানিয়ে হাসান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন যেমন কারো জন্য দাঁড়ায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পা দানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা আশা করব এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের কোন নেতা কি বলল তাতে কিছু যায় আসে না। জনগণ নির্বাচনে অংশ নিল কি না সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই এটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক বাংলা পত্রিকা, এর সকল সদস্য ও পাঠকের জন্য শুভকামনা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তিনি কেক কাটায় অংশ নেন এবং পত্রিকার সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার জীবনের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তার হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিলম্বে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সঠিক সমাধান।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে 'গণহত্যা ও বিচার: রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান' শীর্ষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবির সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এ সেমিনার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং এবং তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন ছাড়া আমরা আর কোনো উপায় দেখছি না।
রোহিঙ্গা সংকটের ষষ্ঠ বছর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু শরণার্থীকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা এটি সমাধান নয়, বরং এটি সমস্যা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন চালুকে অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সেমিনারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ এবং সঠিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশ। আমাদের প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্টসহ অনেক গুরুতর সমস্যা রয়েছে। যার সমাধান করার জন্য আমাদের শরণার্থী সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, যখন সামরিক জান্তা তাদের হত্যা করেছিল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসতে এবং থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। এটি মানবিক আহ্বানের দুর্দান্ত সাড়া ছিল।
তিনি আরও বলেন, যাইহোক এখন আমাদের ২ মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী রয়েছে। তারা যখন প্রথম এসেছিল তখন আমাদের শুরুতে ধর্মান্ধতার মতো কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু আমাদের প্রশাসন খুব সফলতার সঙ্গে সেই সমস্যাগুলো পরিচালনা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যখন রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে আসি তখন এনজিওর পক্ষ থেকে শুরুতে অনেক আপত্তি ছিল। কারণ ভাসান চর প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় তারা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তবে তারা কিছু দিন পরে আমাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না। তাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য আরও অনেক কিছু করার আছে। কিছু শরণার্থী স্থানান্তর একটি সমাধান নয়। প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান।
মন্ত্রী বলেন, সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ভারত ও চীন যদি হাত মেলায় তাহলে কোনো কিছুই তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে বাধা দেবে না।
ঢাবি ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাসহ তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসার দাবি রাখে। বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোও রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছে যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এটা চূড়ান্ত সমাধান নয়। আমরা এর সম্পূর্ণ সমাধান চাই। আমরা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে দেখতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ, মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট স্পেশালিস্ট আসিফ মুনির, প্রফেসর ড. জিয়া রহমান, ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে না, করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য। এজন্য জনগণ বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী মনমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঘা জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দলটির অবস্থা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দলটির যা অবস্থা, ভবিষ্যতে তাদের হামাগুড়ি কর্মসূচি দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি এখন কোমরভাঙা দলে পরিণত হয়েছে, মির্জা ফখরুলের মুখে এখন হতাশার সুর, এখন ঘন ঘন বিদেশিদের কাছে যায় না। কারণ, গিয়ে দেখলো কোনো লাভ হয় না। বিদেশিরা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করে নাই। নিরপেক্ষ সরকার সমর্থন করে নাই।'
আওয়ামী লীগের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে নিয়োজিত দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, দেশের উন্নয়ন ফখরুল সাহেবদের চোখে পড়ে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি তখন বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়েছে। কিন্তু বিদেশিরাও তাদের নালিশে কর্ণপাত করছে না। বিদেশিরা চায় দেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হোক। আমরাও দেশের সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের গ্যারান্টি দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রধান কুশীলব দু'জন – একজন খন্দকার মোশতাক, অন্যজন জিয়াউর রহমান। হত্যার মাধ্যমেই জিয়া পরিবারের উত্থান। জিয়া ঘটিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট, আর তার ছেলে তারেক ঘটিয়েছে ২১ আগস্ট।'
সভায় মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন এক কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী, দেশের মানুষ বাস্তুচ্যুত, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন করেছেন, দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'এই হত্যার ঘটনা ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা। তবে তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার দেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ বদলে গেছে। তবে বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া বিএনপি-জামায়াতের পছন্দ না। তারা টেনেহিঁচড়ে আমাদের নামাতে চায়।'
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের এমপি শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, আয়েন উদ্দিন এমপি, আদিবা আনজুম এমপি, রাজশাহী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আখতার জাহান।।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি