আদালত
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালতে নিক্সন চৌধুরীর হাজিরা
ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় ফরিদপুর আদালতে নির্বাচন তদন্ত কমিটির সভাপতি ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন চৌধুরীর কার্যালয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে হাজির হন।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জনপ্রতিনিধি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কাউকে আমন্ত্রণ করিনি। এত মানুষ কোথা থেকে এসেছে আমি নিজেও জানি না। রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে পাঁচজনের বেশি ঢুকতে দিইনি। আমার মতো জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের নেতার মনোনয়ন জমা দেওয়া দেখতে এসেছেন।’
কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার চালাব। দেশের সব জায়গায় বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হয়েছিল, কিন্তু আমিসহ কয়েকজনকে তিরস্কার করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: জবাবে যা বললেন সাকিব
তিনি আরও বলেন, ‘এটা ভালো যে অন্য প্রার্থীরা এখন আরও সতর্ক হবেন। আমিসহ সবাই আগামীতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলব। সরকার যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, তাই আমরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদেরও একই কাজ করার নির্দেশ দেব। গণমাধ্যম আমার ও সাকিব সম্পর্কে বেশি লেখালেখি করেছে, তাই আমরা এই নোটিশ পেয়েছি।’
নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন আড়াই শতাধিক মাইক্রোবাস ও ২০০টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে হুট খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ রয়েছে। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং জনসাধারণের অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার তাকে ফরিদপুর ৪-এর নির্বাচন তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, তিনি রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের আচরণবিধির ধারা ৮(এ) এবং ৩৮(বি), ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল যোগ দিয়েছে
হোম রাজনীতি নির্বাচন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭৪১টি মনোনয়ন ফরম জমা
হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
যৌতুকের দাবি করে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে একই পরিবারের ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের রাসেল মিয়া (২৫) তার বড় ভাই কাওছার মিয়া (৩২) মাতা তাহেরা বেগম (৫০), ছোট বোন হোছনা বেগম (২০) বড় রোজী বেগম (২৭)। রায় ঘোষণাকালে কাওছার মিয়া পলাতক ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে রাসেল মিয়া তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাহেরা খাতুন ওরফে আয়েশার নিকট এক লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
উল্লেখ্য, ঘটনার ৮ মাস পূর্বে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়।
পরদিন ভুক্তভোগীর বাবা একই উপজেলার পঞ্চাশ গ্রামের আব্দুস ছত্তার দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় এজাহার দায়ের করেন। এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
বিশেষ পিপি (২) আইনজীবী আবুল মনসুর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
আদালতের পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, যত বড় নেতাই হোন না কেন, কোনো মামলার পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (১১ অক্টোবর) নগরীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা।
তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব পথে চলবে এবং কোনো প্রভাব কাজ করবে না।
ডিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে তার বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানার বিষয়ে বারবার জানানো হলেও তিনি আদালত থেকে জামিন নেননি। লক্ষ্মীপুরে তার বিরুদ্ধে দুটি পরোয়ানা জারি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের অনুরোধে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলারও আসামি তিনি।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ দুটি কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকলেও তিনি আদালতে হাজির হননি এবং জামিনও নেননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কোনো মামলায় তিনি আদালতে হাজির হননি। পরোয়ানা থাকায় বিএনপি নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান ডিবি প্রধান।
ধানমন্ডির বাসা থেকে বুধবার ভোরে অ্যানিকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে মারধর: অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত
চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরিন এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে অভিযুক্ত ছাত্র।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
এদিকে, এ ঘটনায় ওই ছাত্রের শাস্তির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
জানা গেছে, এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে থাপ্পড় মারার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ঘটনার দিন, পরীক্ষার হলে বিশৃঙ্খলা ও অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণির এক ছাত্রের খাতা কেড়ে নেন শিক্ষক হাফিজুর। এতে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষককে থাপ্পড় মারে অভিযুক্ত ছাত্র।
এ ঘটনায় শিক্ষকদের পক্ষে রবিবার রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান।
অভিযোগটি পুলিশ মামলা হিসেবে রুজু করে আমলে নেয়।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
এসময় কিছুক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর রোডে অবস্থান নিলে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে যানযট নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি’ প্রতিষ্ঠা করল পুলিশ
মানববন্ধনে ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের ঘটনা আর যেন চুয়াডাঙ্গায় না ঘটে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। সামাজিকভাবে আমরা এত নিচে নেমে গেছি, এটা থেকে উত্তরণ দরকার।
তারা আরও বলেন, আমরা এই ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি চাই।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানছিল না। যে কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষক তার খাতাটি নিয়ে নেন এবং বসতে বলেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকের ওপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মারে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক লিখিতভাবে বিচারের আবেদন করেছেন। তার আবেদন ও সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সহকারে বিদ্যালয়ের সভাপতির পরামর্শে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, সরকারি কর্মচারিকে কর্তব্য পালনে বাধাপ্রদান, আক্রমণ, অপরাধমূলক বল প্রয়োগ এবং আঘাতসহ ভয়-ভীতি প্রদানের অপরাধে ৩৩২, ৩৫৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী আবু তালেব বলেন, আদালতে হাজির হয়ে ওই শিশু জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে শিশুটি সংশোধনাগারে (যশোর শিশু ইন্নয়ন কেন্দ্র) পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাটোরের নলডাঙ্গায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ওসমান গনীকে (৬২)মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন বলে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আনিসুর রহমান জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের ওসমান গনী ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই একাব্বর হোসেন বাদি হয়ে ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কিছু করার নেই, কারণ এটি আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীই ভালো জানেন।’
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার কথা নয়। আমাদের মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা পড়লে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যদি আইন মন্ত্রণালয় মনে করে বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, তাহলে তা আদালতে পাঠানো হয়।’
খালেদা জিয়ার ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনো আবেদন মুলতুবি থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো আবেদন পাইনি। এরকম আবেদন আসলে কি হতে পারে সেটা আপনাদের বলার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন: ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির আগের আবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তারা যতবার আবেদন করেছে, আমরা সাধ্যমত অনুমোদন দিয়েছি। এর বাইরেও তাদের আদালতে যেতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, কারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন ভিসা নীতি সম্পর্কে ঘোষণা শুনেছি, কিন্তু তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমরা জানি না কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে। যেহেতু আমাদের কাছে এই তথ্যের অভাব রয়েছে, তাই আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি তাদের প্রণয়ন করা ভিসা নীতি এবং কারা তাদের দেশে প্রবেশ করতে পারে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের উপর নির্ভর করে। এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশেষ কারো বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিককে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ রফিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চ সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতদিয়াড়ে রফিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়ি তল্লাশি করে ১৯ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন নামক মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে সদর থানায় রফিকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে আরও জানা যায়, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ২০২০ সালের ১৫ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে মামলার ৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
আদালতের কপি হাতে পেলে তারেকের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর ব্যবস্থা নেব: মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে অনুরোধ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা এবং অবৈধ ও যাচাইবিহীন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: নগদ-এর অর্জন মানে ডাক বিভাগের অর্জন: মোস্তাফা জব্বার
সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পরে আমরা আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যা করতে পারি তা করব, তবে ডিজিটাল অঙ্গনে কী বিষয়বস্তু খোলা রাখা উচিত বা কী নয় তা নিয়ে বিশদ আলোচনার প্রয়োজন।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে তারেক রহমানের সব ভিডিও কনটেন্ট ও বক্তৃতা অপসারণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, আমরা তারেক রহমানের বিষয়বস্তু অপসারণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব। আমরা যতদূর জানি, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করার মানসিকতা সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর নেই।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
নিপুণ রায়কে ৮ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
রাজধানীর ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে আট সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন তার বাবা আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৯ জুলাই রাজধানীর ধোলাইখালে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় জামিনে মুক্ত
এই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় নিপুণ রায়সহ বিএনপির ৪২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
এই মামলায় নিপুণের পক্ষে হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী।
গত ১ আগস্ট হাইকোর্ট এ মামলায় নিপুণ রায় চৌধুরীকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন নিপুণ রায়
বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
সিলেটে আদালতে এপিপির উপর হামলা: ছাত্রলীগে নেতাসহ ২৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর প্রবাল চৌধুরী পূজনের উপর হামলার ঘটনায় রবিবার (১৩ আগস্ট) ৫৫ অজ্ঞাতনামা ও দুই শতাধিক জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার (১৩ আগস্ট) ভুক্তভোগী প্রবাল চৌধুরী বাদী হয়ে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ, সিসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিসবাউল করিম রফিকসহ ৫৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
এদিন দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান ভূঁইয়া কোতোয়ালি থানা পুলিশকে এই আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার পাশাপাশি মামলাটি যেন দ্রুত বিচার আইনে নথিভুক্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও মামলার বাদী আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী পূজন।
সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও মামলার বাদী আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী জানান, মামলার আসামিরা সিলেটের চিনি চোরাকারবারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। একই সঙ্গে তারা অছাত্র দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে আমি ফেসবুকে পোস্ট করি। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। হামলার সময় আসামিরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
তিনি আরও জানান, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করলে আদালত থানাকে অভিযোগের এজাহারটি দ্রুত বিচার আইনে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, প্রবাল চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য গত শুক্রবার (১১ আগস্ট) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপদপ্তর সম্পাদক সানি মোহাম্মদ আকাশ বলেন, হামলার বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার সদস্যের কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদত, সহসভপতি বরিকুল ইসলাম বাধন, সহসভাপতি মাইনুল হাওলাদার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক তাওহিদ বনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী পূজনের সিলেট নগরীর দাঁড়িয়াপাড়াস্থ বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হন পূজন। এমনকি তিনি স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা যায়।
আরও জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে অ্যাডভোকেট পূজনের সমালোচনার জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসিয়া নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার