শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রীর মা মারা গেছেন
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ শুক্রবার মারা গেছেন।
দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের ইউএনবিকে এতথ্য জানান।
মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৯ বছর।
শিক্ষামন্ত্রী এখন রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তিনি আগামীকাল (রবিবার) সকাল ১১টায় দেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।
আগামীকাল বাদ আসর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র খেলার মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সারাদেশে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই। গুজব রটতে পারে, গুজব রটিয়ে ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি হবে।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গুজব রটানো ঠেকাতে সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানেই কোনো ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে, কেউ গুজব ছড়াবার চেষ্টা করছে বা কিছু হচ্ছে, সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আগামী বছর পরীক্ষার সময় আরও এগোবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর পরীক্ষা এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। তবে যারা পরীক্ষা দেবে তারা পুরো প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কি না তা দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের শিক্ষকদের একটি মতামত নেওয়া হবে—তারা কোন সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে পারবেন। শুধু তো তাড়াহুড়া করে শেষ করলে হবে না, স্বস্তিতে শেষ করতে হবে। শিক্ষকদের মতামত নিয়েই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর আমরা পরীক্ষা এগিয়ে আনতে পারতাম, কিন্তু বন্যার কারণে আমাদের পেছাতে হয়েছে। এইবার আমরা গত বছরের তুলনায় অনেক এগিয়ে নিয়ে এসেছি। সামনের বছর চেষ্টা করব, স্বাভাবিকের যতো কাছাকাছি যাওয়া যায়।
প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভুলভ্রান্ত্রি যেটা সেটাই তো ভুলই। গতবার যে কয়েকটি জায়গায় যে কয়েকটি ভুল হয়েছে তাদের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের যাতে ভুল না হয়, সেদিকে যেন সচেতন থাকেন।
আরও পড়ুন: ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই: দীপু মনি
আগামীকালের এসএসসি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার বিকালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হবে কি হবে না তা নীতিগত বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার এটা নিয়ে ভাবছে। প্রথমে এটা বিশ্লেষণ করা দরকার কারণ এর সঙ্গে আর্থিক ফ্যাক্টর জড়িত।’
দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
এর আগে দীপু মনি শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক, জ্যাকব টাওয়ার, দেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব কেন্দ্রীয় খাসমহল জামে মসজিদ এবং বেগম রহিমা ইসলাম কলেজসহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন সুবিধা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার হলের ২০০ গজের মধ্যে প্রার্থী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রবিবার
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী বছর থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ভর্তি পরীক্ষা নিতে ন্যাশনাল টেস্টিং অথোরিটি (এনটিএ) গঠন করা হবে।
সোমবার বিকালে ইউজিসিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন বিষয়ক এক নীতি-নির্ধারণী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে এখন থেকেই সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
এছাড়া একক ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে শিগগির একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও তিনি জানান।
সভায় দীপু মনি জানান, একক ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এইচএসসি পরীক্ষার পরে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সূচি প্রকাশ করা হবে এবং উচ্চশিক্ষার সবক্ষেত্রে একই সময়ে ক্লাস শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একক ভর্তি পরীক্ষার মান বজায় রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব পরীক্ষার ফলের মান নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন ওঠে না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে এর মান নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।
একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্, স্বায়ত্তশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভূক্তিমুলক করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বার্থে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ- এর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ মিয়া এবং ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববদ্যিালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠান বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে পাঠদান শুরু করা যাবে। একক ভর্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলে সবার কাছে এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। একক ভর্তি পরীক্ষার সফলতা উচ্চশিক্ষায় বিশাল একটি অর্জন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভায় একক ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটি কাঠামো, জাতীয় পর্যায়ে একটি নীতিমালা তৈরি ও পরীক্ষার মাধ্যমে একটি স্কোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম একক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বিশেষ শিশুদের পাবলিক পরীক্ষার খাতা ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হয়। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটউটে ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, সূবর্ণ শিশুদের (অটিস্টিক) এক সময় অভিশাপ ও বোঝা মনে করা হত। কিন্ত এই শিশুদের বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। আমাদের উচিত তাদের এই দক্ষতাগুলো বের করে আনা। কেননা এই শিশুরাও আমাদের সমাজে অবদান রাখতে পারে।
অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বেই অটিজম বিষয়ে তেমন সচেতনতা ছিল না। আত্মীয়দের কাছ থেকেও গোপন করা হত। এই শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ দেওয়া হত না। কিন্ত এই বিষয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: ৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চান শিক্ষামন্ত্রী
৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চার লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অসহায়দের মাঝে সমাজসেবার সহায়তার চেক, কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ এবং ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকেল্পর আওতায় সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খুব সহজভাবে বলেছিলেন-আমি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। একজন দু:খী মানুষ কখন হাসে, যখন তার পেটে ভাত, পরনে কাপড় এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে। যখন তার ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার ব্যবস্থা থাকে, যখন আয় রোজগার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে।
আরও পড়ুন: ১২ বছরে কারিগরি শিক্ষা ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এরপর যারা সামরিক-আধাসামরিক নানান চেহারায় স্বৈরশাসন এসেছে, জিয়াউর রহমান অবৈধ ক্ষমতা দখল করে তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য দল গঠন করলেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে দল গঠন হয়, সে দলতো আর গণতান্ত্রিক দল হয় না। সে দল সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করে না। তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য কাজ করে, আর তা হয়েছেও ঠিকই।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৯৬ সালে মানুষের ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন। তখন থেকে এই যে বিধবা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তাদের ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, অর্থাৎ দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আশ্রয়ণ প্রকল্প করে, গুচ্ছগ্রাম, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘরে করে দেয়া। মাত্র কয়েকদিন আগে ৪০ হাজার মানুষকে ঘর করে দিলেন।
তিনি আরও বলেন, এই পর্যন্ত চার লাখ মানুষকে ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। যাদের ঘর ছিল না, জায়গা ছিল না। আজকে তাদের ঘর আছে এবং কর্মসংস্থানের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা বিরল।
দীপু মনি বলেন, আজকে কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির আমলে সার চাওয়া হয়েছে, তখন ১৮ জন কৃষককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চাইছে, পানি চাইছে, গুলি করে মানুষ হত্যা করতে হবে কেন? শেখ হাসিনা বলেছেন, সারের পেছনে কৃষককে ছুটতে হবে না, সার কৃষকের কাছে পৌঁছে যাবে। শেখ হাসিনা সব কথা রাখেন। তিনি বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন, তা করেছেন। এখন আপনাদের সকলের হাতে হাতে মোবাইল। আজকে মানুষ না খেয়ে থাকে না, সকলের পরনে কাপড় আছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে ৩০ প্রকারের ওষুধ পাওয়া যায়। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে তৈরি করছেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, হাইমচর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানিয়া, হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চান শিক্ষামন্ত্রী
রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে ও ধর্মের অপব্যবহারের মাধ্যমে মগজ ধোলাই অব্যাহত রাখতেই নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে।
এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের বিরোধিতার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের বছর, রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা করা হচ্ছে।
আর আরেকটি পক্ষ রয়েছে, যারা ধর্মটাকে অপব্যবহার করে সংকীর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বিরোধিতা করছে।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও দেশব্যাপী প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যেমন ষড়যন্ত্র হয়েছে, তেমনি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়েও অনেক বাধা তৈরি হচ্ছে। আমাকে এবং যারা বইয়ের লেখক, জাফর ইকবাল ভাইসহ (শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল) তাদের বেশ কয়েকজনকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা দমে যাওয়ার পাত্র নই। আমাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করার জন্য, আর যে স্বপ্ন নিয়ে এত ত্যাগের বিনিময়ে দেশটি তৈরি হয়েছিল সেই স্বপ্নের জায়টিতে পৌঁছানো জন্য আমাদের যা কিছু এখন করণীয়, তা আমাদের করতেই হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি তো নির্বাচনের বছর, রাজনৈতিক বিরোধিতা তো আছেই। সব দেশেই থাকে, আমাদের দেশেও আছে। আমাদের দেশের ধরনটা হয়তো ভিন্ন, টক্সিট। এখানে (বাংলাদেশে) বিরোধিতা করলে একটি পক্ষ আছে যারা আমাদের পক্ষটাকে নিশ্চিহ্নই করে দিতে চায়।
তিনি বলেন, কোচিং ও নোট-গাইডের কারণে অনেকে বিরোধিতা করছেন। কোচিংয়ের সব কিছু খারাপ তা তো নয়, কোচিং কথাটাও খারাপ নয়, বাণিজ্য কথাটাও খারাপ নয়, কিন্তু যারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে যেতে, সেখান থেকে রোজগারটা করেন অতিরিক্ত। সেখানে সমস্যা।
এছাড়া আরেকটি পক্ষ আছে নোটবই-গাইড বই, তাদেরও ভয় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হয়ে গেলে তো নোট-গাইড বই দরকার হবে না। তাদের ভয়টিও অমূলক নয়, এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে নোটবই-গাইড বই প্রয়োজন হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরেকটি শ্রেণি আছে, সমাজে যাদের অংশ বিশাল বড়, তারা স্ট্যাটাসকে পছন্দ করেন, অর্থাৎ যা আছি তাই, আমি ছাপোষা মানুষ এর মধ্যেই থাকি কীসের আবার পরিবর্তন। আমরা পরিবর্তন চাই-টাই না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আস্থা রাখুন এই যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে বাচ্চাদের যে পরিবর্তন দেখতে পাবো, আমরা গর্ব অনুভব করবো, দৃঢ় প্রত্যয়ে তা বলতে পারি। আগামী প্রজন্মের প্রতি আমাদের যে অঙ্গীকার যে প্রত্যয় আমাদের দেশটা যেখানে নিয়ে যেতে চাই, সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের এই কাজটি করতেই হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
১২ বছরে কারিগরি শিক্ষা ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বার বার বলেছেন ও এশিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাই করছেন। ২০০৯ সালে কারিগরি শিক্ষার হার ছিল এক শতাংশেরও কম।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী মেধা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের স্মার্ট ক্লাস রুম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃতে আমরা ১২ বছরে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৭ শতাংশ উন্নীত করেছি। এটি সম্ভব হয়েছে সঠিক নেতৃত্বের কারণে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: দীপু মনি
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আজকে যারা টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনালে শিক্ষায় পড়ছে, অনেক সময় সমাজের আশপাশে দেখবেন অনেকে বলে ‘তুমি ভোকেশনালে পড়ছ? ’ তার মানে ভোকেশনালে যারা পড়ে তাদের মেধা কম বলে মনে করে। আবার মনে করে তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না।কথাটা একেবারে সঠিক নয়। সারা পৃথিবীতে যে দেশ যত বেশি উন্নত হয়েছে, সে দেশ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় পারদর্শী হয়েছেন। আমাদের পিছিয়ে থাকার কোন উপায় নেই। তাই আমাদের কারিগরি বিদ্যায় আরও জোর দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। সারাবিশ্ব এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব। এখন শিখতে হবে। তাই আমরা এই শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছি। আমাদের আরও অনেক সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে দেশের সব স্কুলগুলো ডিজিটাল করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রযুক্তির শিক্ষা দিতে চাই। যেন তারা উন্নত বিশ্বে সমান তালে চলতে পারে। বর্তমান সরকার প্রধান শিক্ষায় বিনিয়োগ করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান ও চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান।
হুয়াওয়েই টেকনোলজিস্ট বাংলাদেশের ম্যানেজার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজিয়া শামান্তা ইসলাম এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন হুয়াওয়েই টেকনোলজিস্ট বাংলাদেশের সিইও পেন জুনপেং।
পরে মন্ত্রী অতিথিদেরকে নিয়ে ফিতা কেটে ক্লাস রুমের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর থেকে একটি মাত্র পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মেধাক্রম তৈরির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে।
বুধবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজ মাঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বিজ্ঞান মেলা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
দীপু মনি বলেন, এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে কিছু সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা ছিল। আগামীতে এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, র্যাগিং সামাজিক সমস্যা। সমম্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
এজন্য তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বক্তব্য দেন।
এছাড়া বিজ্ঞান মেলায় ১৮টি কলেজ অংশ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি
মায়ের মতো মাতৃভাষাকেও ভালোবাসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছেন, আমরা দেশমাতাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি ভাষাকেও ভালোবাসতে হবে। বাংলা ভালোভাবে শিখতে ও ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, ভাষার বিকৃতি যেন আমরা না করি। কমপক্ষে আরেকটি ভাষা শিখি। ইংরেজি ভাষা সারা বিশ্বে চলে, সেই ভাষা অন্তত শিখব।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
আর কেউ যদি তৃতীয় ও চতুর্থ ভাষা শিখো, তাহলে তো কথাই নেই। সারা পৃথিবীর দরজা তোমার জন্য খোলা।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন অলিম্পিয়াড ২০২২ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ভাষার শেখার পাশাপাশি তোমাদেরকে আইসিটিও শিখতে হবে। আইসিটিও কিন্তু এখন স্বাক্ষরতার অংশ। এক সময় আমরা শিখতাম ক, খ, এ বি সি এবং এক দুই তিন।
কিন্তু এখন আইসিটির বর্ণমালা শিখতে হচ্ছে। পাশাপাশি তোমাদেরকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং সূক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।
দীপু মনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছিলাম। আজকে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পন্নোয়ন দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছি। আগামী দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।
তার জন্য স্মার্ট নাগরিক লাগবে, আর সেই স্মার্ট নাগরিক হবে তোমরা। তার জন্য তোমাদেরকে সে গুণাবলী অর্জন করতে হবে।
তিনি ছেলে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি আশা করি তোমরা ছেলেরা নিজেদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলবে, যাতে তোমরা নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। তুমি যেমন মানুষ, একজন নারীও মানুষ। কাজেই তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, হাজীগঞ্জ পাইলট সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি