সড়ক দুর্ঘটনা
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী চিকিৎসক নিহত
বরিশালের গৌরনদীতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় এক নারী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন প্রাইভেটকারের চালক।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কটকস্থল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইন্টার্ন চিকিৎসক ইকরা বিনতে হাফিজ (২৮) এবং আহত চালকের নাম নাহিদ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকচাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত
গৌরনদী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তমাল সরকার বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিল প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ ১০৬৫৪৯)। গৌরনদীর কটকস্থল এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
তিনি আরও বলেন, এতে প্রাইভেটকারে থাকা চালক নাহিদ ও যাত্রী চিকিৎসক আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত ইকরা বিনতে হাফিজ উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তার স্বামীর নাম মাহী বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মহাসড়ক থানার এসআই তমাল সরকার। আহত চালক নাহিদ গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মালবাহী ট্রাকচাপায় নিহত ১
দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় বাইসাইকেল চালক নিহত
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালন শেষে দাম্মামে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শনিবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সৌদি আরবের আল-কাসিম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোবারক হোসেন (৪৮), তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তানজিল আব্দুল্লাহ (১৭) ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মাহিয়া মাহি (১৪)।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মোবারক হোসেনের স্ত্রী শিখা আক্তার (৪০) ও বড় মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীম (১৯)।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মোবারক হোসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ওমরাহ পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশে রওনা হন।
ওমরাহ্ পালন শেষে শনিবার সৌদি আরব সময় সকাল ১০টার দিকে তারা দাম্মাম শহরের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথে আল-কাসিম নামে স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাদের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে তাদের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়।
মোবারক হোসেন ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের গাজিরটেক গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখের বড় ছেলে।
তার পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে চার ভাই সৌদি প্রবাসী।
মোবারক হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে পরিবার নিয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তার একটি কার রিপেয়ার শপ (গাড়ি মেরামতের দোকান) রয়েছে।
প্রায় ৩০ বছর সৌদি আরবে বসবাস তাদের। গত চার মাস আগেও পরিবার নিয়ে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন তারা।
নিহতের পিতা শেখ মোহম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বড় নাতনি মিমের কানাডা যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল।
তার আগে তারা পরিবার নিয়ে ওমরাহ করতে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে আর দুই নাতির জীবন শেষ হয়ে গেল এই দুর্ঘটনায়। আমি আর কী বলব।’ একথা বলে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।
নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত বুধবার রাতে বড় ভাই মোবারক হোসেন তাদের ফোন করে জানান যে, তারা পরের দিন ওমরাহ করতে যাবেন।
তার ভাইয়ের বড় মেয়ের কানাডা যাওয়া এবং বাচ্চাদেরও পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা সপরিবারে ওমরায় যাচ্ছেন বলে জানান। এটিই ছিল তাদের সঙ্গে শেষ কথা।
এরপর দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পরে জানতে পারি গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে তারা। তবে তারা মারা গেছেন একথা প্রথমেই জানতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ থেকে নিহতের শ্যালক গিয়েছেন সৌদি আরবে। এ ছাড়া প্রবাসে থাকা দুই ভাই আহত ও নিহতদের কাছে রয়েছেন।
তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার লাশটি যেন সরকার দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৬
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৬
জুলাই মাসে সারা দেশে ৫০৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৫ জন।
শনিবার (৫ আগস্ট) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সময় রেলপথে ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।
নৌ-পথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে এ সময় ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানা যায়।
সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৪৪ জন নিহত ও ১ হাজার ৭৫ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৮০টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৫ জন নিহত ও ১২২ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, নিহতের ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ও আহতের ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ১৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৩ জন নিহত ও ২৭১ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সড়কে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১৫৪ জন চালক, ৮৯ জন পথচারী, ৪২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন শিক্ষক, ১১৭ জন নারী, ৬৪ জন শিশু, একজন সাংবাদিক এবং ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- একজন সেনাবাহিনীর সদস্য, ৩ পুলিশ সদস্য, একজন নৌ বাহিনীর সদস্য, একজন বিজিবি সদস্য, একজন ফার্য়ার র্সাভিস কর্মী, ১১৯ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৭৭ জন পথচারী, ৮২ জন নারী, ৪২ জন শিশু, ২৯ জন শিক্ষার্থী, ১৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭ জন শিক্ষক, ও ৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে।
এতে দেখা যায়, ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ বাস, ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ গাড়ির চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ ট্রেন ও যানবাহনের সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ ফিডার রোডে ঘটেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, জুলাই মাসের উল্লেখযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হলো- মহাসড়কে ধীরগতির থ্রি-হুইলার ও হিউম্যান হলার চলাচল, তিন চাকার যানবাহনের চলাচল বৃদ্ধি, স্ট্রিট নাইট ও রোড সাইনের অভাব, ট্রাফিক আইন অমান্য, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল, মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজ, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, চাঁদাবাজি, অদক্ষ চালক ও হেলপার এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোকে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩
সড়ক দুর্ঘটনার ১৬ প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ
সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে প্রায় ১৬টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনস রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ)।
শনিবার (২২ জুলাই) ঝালকাঠিতে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। আর এর ঘটনার পর সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২৩ জুলাই) এসসিআরএফ তাদের পর্যবেক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে সারাদেশে ২ হাজার ৭৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৮৯৮ জন মারা গেছে এবং ৪ হাজার ৭২০ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে ১ হাজার ৭৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এসসিআরএফের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের নীতিনির্ধারণী সংস্থাগুলো আন্তরিক। তবে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর জবাবদিহিরও অভাব রয়েছে।
পরিবহন খাতে মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রভাব, জনপ্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ এবং চালক, শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাবও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনায় ৬ মাসে নিহত ৫৭: এসসিআরএফ
এসসিআরএফের চিহ্নিত সড়ক দুর্ঘটনার ১৬টি প্রধান কারণ হলো- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; অদক্ষ, অসচেতন ও অসুস্থ চালক; বিপজ্জনক গতিতে গাড়ি চালানো; প্রচলিত আইন ও নিয়ম না মেনে ওভারটেকিং;
কোনো নির্দিষ্ট সাপ্তাহিক ছুটি এবং কাজের সময় নির্দিষ্ট না থাকায় ড্রাইভার ও হেলপার ক্লান্ত থাকা; জরাজীর্ণ রাস্তা; জাতীয় মহাসড়ক এবং আন্তঃজেলা সড়কে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মোড়; দূরপাল্লার রাস্তায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল; হাইওয়েতে ধীর গতিতে চলা তিন চাকার গাড়ি; অদক্ষ নাবালক ও তরুণদের মোটরসাইকেল চালানো দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
এ ছাড়া বিআরটিএর সক্ষমতার অভাব এবং সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম ও দুর্নীতি; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং হাইওয়ে পুলিশ ও অন্যান্য সম্পদের অভাব; সাধারণ জনগণের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব; চালক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; বিদ্যমান আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শিথিলতা; এবং টার্মিনাল ও মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজিও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
জলাভূমি, গাছ এবং নদী রক্ষা করুন: এসসিআরএফ
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক সেনা সদস্য এবং এক বাসচালক নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পৃথক ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, দিনাজপুরের চাম্পাতলীতে রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
নিহত রুহুল আমিন দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলার খোলাহাটির জাকির হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮ম ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নে কর্পোরাল পদে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের চিরিরবন্দরের ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়নের চম্পাতলী ফকিরের মোড় এলাকায় ব্রিজের পূর্ব পাশে সৈয়দপুর হয়ে রংপুরগামী একটি মাইক্রোবাস মোটর সাইকেলকটির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে দুঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন মোটরসাইকেলের চালক।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, নিহত রুহুল আমিন সেনা বাহিনীর ৮ম ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ে কর্পোরাল পদে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে। তবে আরোহীসহ চালক পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে, ফুলবাড়ী সড়কের পাঁচবাড়ীতে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় বাসের চালক নিহত হয়েছেন। এসময় কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছে।
রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টায় দিনাজপুর ফুলবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাঁচবাড়ীতে প্রণয় পরিবহনের একটি যাত্রী বাসকে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে পড়ে বাসটি। এতে দুর্ঘটনাস্থলে বাসের চালক আবু বক্কর নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম তানভীর জানান, নিহত বাস চালক আবু বক্কর (৩০) জেলা সদরের উমরপাইল গ্রামের গোয়ালপাড়ার আফতাব উদ্দিনের ছেলে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত
বগুড়ার আদমদীঘি ও শাজাহানপুর উপজেলায় শুক্রবার রাত ও শনিবার ভোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী ও তার ছেলেসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
আদমদীঘি উপজেলার মুড়াইল নামক স্থানে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে শনিবার ভোরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নিহতদের মধ্যে দুইজনের নাম মোস্তাক (৪৫) ও রফিকুল ইসলাম (৩৪)। অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়।
অন্যদিকে, শাহজাহানপুর উপজেলার কাটাবাড়িয়ায় শুক্রবার রাতে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একটি ট্রাকের ধাক্কায় এক নারী ও তার পাঁচ বছরের ছেলে নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- বরঞ্জুল গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মিঠুর স্ত্রী জাকিয়া আক্তার তাসলী (২৫) ও ছেলে তাশফিয়ান রহমান।
শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, রাত ৮টার দিকে ধানবোঝাই এক ট্রাক তিনজনকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই জাকিয়া ও তাশফিয়ানের মৃত্যু হয় এবং জাকিয়ার স্বামী মিঠু আহত হয়।
মিঠুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে এবং চালককে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অটোরিকশা দুর্ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে জাফলং চা-বাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফসা আক্তার (৭) উপজেলার নলজুরি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং স্থানীয় গুচ্ছগ্রাম বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: বীরগঞ্জে পুকুরের পানিতে পড়ে ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে জাফলং থেকে রাধানগর যাওয়ার পথে জাফলং চা-বাগান এলাকায় অটো দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে স্থানীয়রা গুরুতর আহত হাফসাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। আমাদের কাছে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় পরের ৩ মাসে (এপ্রিল-জুন) সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে নারী মৃত্যুর হার কমেছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
অন্যদিকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৫ দশমিক ১২ শতাংশ বাড়লেও মৃত্যুর হার কমেছে ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সব মিলিয়ে গত ৩ মাসে নিহত ও আহতের হার বছরের শুরুর ৩ মাসের তুলনায় যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭১ ও ২০ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে।
জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে হওয়া সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা শেষে এসসিআরএফ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: জলাভূমি, গাছ এবং নদী রক্ষা করুন: এসসিআরএফ
সংস্থাটি বলেছে, ১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও নিউজ এজেন্সি এবং ৬টি আঞ্চলিক দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ মাসে সারাদেশে ২ হাজার ৭৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৮৯৮ জন নিহত এবং ৪ হাজার ৭২০ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে প্রথম ৩ মাসে ১ হাজার ৩০২টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৮৪ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪৮৫ জন আহত হয়েছেন। পরবর্তী ৩ মাসে ১ হাজার ৪৭৯টি দুর্ঘটনায় যথাক্রমে ১ হাজার ৪১৪ জন নিহত এবং ২ হাজার ২৩৫ জন আহত হয়েছেন।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৩ মাসে নিহত ও আহতের হার শুরুর ৩ মাসের তুলনায় যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭১ ও ২০ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে।
৬ মাসে ৪০৪ জন নারী ও ৪৫৫টি শিশুর প্রাণ ঝরেছে। এক্ষেত্রে, নারী ও শিশুর মৃত্যুর হার যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৯৪ ও ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম ৩ মাসে ২১১ জন নারী এবং পরের ৩ মাসে ১৯৩ জন নারী সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে নারী মৃত্যুর হার কমেছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
একই সময়ে প্রথম ৩ মাসে ২১০টি শিশু এবং পরের ৩ মাসে ২৪৫টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ফলে, শিশুমৃত্যু হার বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এসসিআরএফ
অন্যদিকে, ৬ মাসে ১ হাজার ৭৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৮৮ জন নিহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির যথাক্রমে ৩৮ দশমিক ৭৯ ও ৩৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম ৩ মাসে ৫২৭টি দুর্ঘটনায় ৫৭৯ জন এবং পরের ৩ মাসে ৫৫২টি দুর্ঘটনায় ৫০৯ জন নিহত হয়েছেন।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রথম ৩ মাসের তুলনায় গত ৩ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৫ দশমিক ১২ শতাংশ বাড়লেও মৃত্যুর হার কমেছে ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ।
এসসিআরএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৭ জন পথচারী মারা গেছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩৭০ জন এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৩০৭ জন নিহত হয়েছেন। এতে, ৩ মাসের ব্যবধানে পথচারীদের মৃত্যুর হার কমেছে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ।
পর্যালোচনায় সড়ক দুর্ঘটনার ১৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ। সেগুলো হলো- ফিটনেসবিহীন যানবাহন; অদক্ষ ও শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত চালক; বেপরোয়া গাড়ি চালানো; প্রচলিত আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘন করে ওভারটেকিং; নিয়োগপত্র না থাকা এবং নির্ধারিত সাপ্তাহিক ছুটি ও কর্মঘণ্টা না থাকায় চালক ও সহকারীদের মানসিক অবসাদ; বিভিন্ন স্থানে জরাজীর্ণ সড়ক; জাতীয় মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট; দূরপাল্লার সড়কে ভাড়ায় বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেলের চলাচল; মহাসড়কে ধীর গতির ৩ চাকার গাড়ি; যুবক ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানো; বিআরটিএ'র সক্ষমতা না থাকা এবং সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম ও দুর্নীতি; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব; চালক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; বিদ্যমান আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শিথিলতা এবং টার্মিনাল ও মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি।
আরও পড়ুন: ঈদে সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে ৯০ লাখ মানুষ: এসসিআরএফ
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান নিহত
পাবনার সুজানগরে বাসের ধাক্কায় সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নিহত হয়েছেন। রবিবার উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জালাল উদ্দিন মিয়া (৬৫) আহমেদপুর গ্রামের মৃত ইরাদ আলী মিয়ার ছেলে। তিনি ২০০৩-২০০৮ সাল পর্যন্ত আহমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
মাধপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রবিবার সকাল ৬টার দিকে জালাল তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তিনি ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের আহমেদপুর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী পাবনা এক্সপ্রেসের একটি বাস তার মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
পাবনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭: পরিবহন শ্রমিক নেতাদের মধ্যস্থতায় বাসচালকের আত্মসমর্পণ
যশোরে যাত্রীবাহী বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনায় বাসচালক মিজানুর রহমান (৪২) আত্মসমর্পণ করেছেন।
শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যস্থতায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১
মিজানুর রহমান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পাঠান পাইকপাড়ার নজরুল শেখের ছেলে এবং যশোর-মাগুরা সড়কের স্থানীয় রয়েল পরিবহনের বাসচালক।
শনিবার রাতে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, যশোরের পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সেই চালককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই দুর্ঘটনা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি। তাকে রবিবার (৯ জুলাই) আদালতে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
যশোরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু