আদালত
আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না বিডিনিউজের সম্পাদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর রায়ের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। এই সময় পর্যন্ত আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তৌফিক ইমরোজ খালিদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাহরিয়া কবির বিপ্লব।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর জামিন বাতিলের জন্য দুদকের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি আজ শেষ হয়েছে। রায় ১ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে খালিদী বিদেশ যেতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। একই বছরের ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন বাতিলে ১০ দিনের রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে ৩ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষের নির্দেশ
২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই।
ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে তিনি ওই টাকা অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তে প্রমাণিত। তৌফিক ইমরোজ খালিদী ওই অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত
চট্টগ্রামে পিবিআই’র মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখালো আদালত
চট্টগ্রামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলায় স্ত্রী মিতু হত্যার আসামি ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার শুনানী উপলক্ষে আসামি বাবুল আক্তারকে সকালে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১৭ অক্টোবর রাতে নগরীর খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশিকিউশন) মো. কামরুল হাসান।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে বাবুল আক্তার
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আব্দুল অয়াদুদ মিয়া।
একই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার।
পরে ১০ নভেম্বর সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এর আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’-শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করেছেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবুল ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে এবার পিবিআই পুলিশ সুপারের মামলা
পিবিআই প্রধানসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলা খারিজ
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে পেপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় টিএসর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেন। তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তার বাড়ি সিলেটে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যার মিশনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন।
গত রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত
হেফাজত থেকে জঙ্গি পালানোর মূল পরিকল্পনাকারী শনাক্ত: সিটিটিসি প্রধান
আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
আদালত চত্বরে পুলিশের হেফাজত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪)। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার আসামি রাফি।
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি- মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব এবং মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্যও।
আরও পড়ুন: পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেয়া সেই মাদক কারবারীসহ গ্রেপ্তার ২
সোমবার ঢাকার আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার পর পুলিশ যখন সোহেল ও শামীমকে লক-আপে নিয়ে যাচ্ছিল তখন কয়েকজন কোথাও থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশের ওপর পেপার স্প্রে করে তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসি ইউনিটের একটি দল মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে আটক করে। তিনি আনসার আল-ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন জানান, গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল।
তবে কোথা থেকে এবং কবে তাকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
ব্রাজিলের পতাকাবাহী অটোরিকশায় ৫৭ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ২
ঢাকার আদালত থেকে পালানো দুই জঙ্গি যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার গোয়েন্দা (ডিবি) হারুন অর-রশিদ দাবি করেছেন, ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের দুই সদস্য ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ট্র্যাক করছে।
সোমবার ঢাকার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, যারা দুই জঙ্গিকে পালাতে সাহায্য করেছিল তারাও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে কোনও সময় তাদের গ্রেপ্তার করব।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ডিবি পরিচয়ে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে আটক ৪
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, বরখাস্ত সেনা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া জঙ্গিদের পালানোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মূল পরিকল্পনাকারী। ‘তারা সবাই আমাদের নজরে আছে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন রবিবার মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মোট ১২ আসামি জঙ্গিকে আদালতে আনলে চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি যোগ করেন, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে অন্য জঙ্গিরা পুলিশ সদস্যদের ওপর পিপার স্প্রে ব্যবহার করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান। তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, জঙ্গিদের আদালতে হাজির করতে সব সময়ই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘কিন্তু গতকাল যা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। দায়িত্বে অবহেলার জন্য পাঁচ পুলিশ সদস্যকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।’
টহল জোরদার করা হচ্ছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে উল্লেখ করে ডিবি প্রধান বলেন, জঙ্গিদের আদালতে আনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ‘জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ঘটনার পর ডিবির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ বিভিন্ন টিমের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া সর্বত্র চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। রবিবার বাংলাদেশ পুলিশ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বহিষ্কৃত সাত ডিবি পুলিশের ৭ বছরের সাজা
ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
পেপার স্প্রে দিয়ে জঙ্গি ছিনতাই: নাটোর আদালতে বিপুল নিরাপত্তায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরিফ
ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে পেপার স্প্রে দিয়ে জঙ্গী ছিনিয়ের নেয়ার ঘটনার পর অতিরিক্ত নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) সদস্য আরিফকে নাটোর আদালতে হাজির করা হয়।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অনারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য আরিফুর রহমান আরিফ ওরফে রাজুকে জেলা কারাগার থেকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: পিপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: হিলি সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা
সেখানে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দুপুর দেড়টার দিতে তাকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতের এপিপি মাসুদ হাসান সেলিম জানান, ২০১৯ সালের ৩১ আক্টোবর নাটোর সদর উপজেলার কৈগাড়ি কৃঞ্চপুর এলাকার একটি মৎস্য খামাড়ের ঘরে অভিযান চালিয়ে আরিফুর রহমান আরিফ ওরফে রাজুকে আটক করেছিল র্যাব।
এসময় সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছিল। মামলার মোট ১৪ সাক্ষির মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাসচাপায় সহকারী প্রধান শিক্ষিকার মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় ফুল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
রাজধানীর মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের ওপর পেপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আদালতের পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন-সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনর্চাজ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভুইয়া, আসামিদের আদালতে নেয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনেস্টেবল শরিফ হাসান ও আব্দুস সাত্তার।
সোমবার (২১ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে জঙ্গির পলায়ন: রেড অ্যালার্ট জারি
এর আগে রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয় আরও সাত থেকে আটজনকে।
কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।
শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে।
এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, রবিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে ঢাকার আদালতে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয়।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুনাল ৮-এ নিয়ে যাওয়া হয়।
এ মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হয়ে যায়। এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছানো মাত্র আগে থেকেই দুটি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা আনসার আল ইসলামের পাঁচ থেকে ছয়জন সদস্য, আদালতের আশপাশে অবস্থানরত আনসার আল ইসলামের আরও ১০/১২ জন সদস্য হামলা করে।
তারা কনস্টেবল আজাদের হেফাজতে থাকা আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) মো. আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. আ. সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে (২১) ছিনিয়ে নিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন তার হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করে।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা
আদালত থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঢাকার একটি আদালতের লক-আপ থেকে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেক ব্যক্তির তথ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়ার এআইজি মো. মনজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে সহায়তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর-রশিদ জানান, পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
আরও পড়ুন : আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে
হারুন বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই পুলিশ সদস্যের চোখে কিছু স্প্রে করে এবং তাদের আদালতে নেয়ার সময় পালিয়ে যায়। আমরা কাছাকাছি এলাকায় তাদের খোঁজ করছি। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাহধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন শাহবাগ থানায় মামলা হয় এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলায় আনসার-আল-ইসলামের আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
এরপর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামি হলেন- মো. আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খায়রুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন ওরফে শাহরিয়ার, মো. শেখ আবদুল্লাহ আলী জুয়াস আলী। জাভেদ, সৈয়দ জিয়াউল হক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন বরখাস্ত মেজর যিনি সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড়ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ নামে পরিচিত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাঈদ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গুলিতে নারী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
আদালত থেকে জঙ্গির পলায়ন: রেড অ্যালার্ট জারি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, রবিবার দুপুরে ঢাকার একটি নিম্ন আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ধরতে সরকার দেশের সব প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ সর্বত্র তাদের খুঁজছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সীমান্ত এলাকায় তাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি যাতে তারা (দণ্ডপ্রাপ্তরা) দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকা থেকেই সম্পন্ন হবে: সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘পুলিশের হাত থেকে জঙ্গিদের পলায়ন একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: তুমব্রুতে ডিজিএফআই অফিসারকে মাদককারবারীদের গুলির সত্যতা প্রকাশ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েটের ফারদিন হত্যার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
‘ভেড়ার হাজতবাস’ মুক্তি পেল যেভাবে
ভেড়ার হাজতবাসের ঘটনা হয়তোবা আগে কখনো শুনেননি কেই। তবে আদালতের নির্দেশে যে ভেড়াকেও জামিন নিতে হয় সেটি আরও বিস্ময়কর। এমনি্টিই ঘটেছে খুলনা সদর থানা হাজতে।
আদালতের নির্দেশে তিনমাস পরে মুক্তি মিলেছে দু’টি ভেড়ার।
বুধবার দুপুরে খুলনা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ভেড়া দু’টিকে মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ১৮ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার খামার থেকে চারটি ছাগল ও দু’টি ভেড়া চুরি হয়ে যায়। ২১ আগস্ট ভেড়া দু’টি উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। চুরির ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেল ২০ ছাগল-ভেড়া
বিষয়টি জানতে পেরে আদালতে ভেড়া ফেরত পেতে আবেদন করেন শাহীন শেখ। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করেন।
তিনি মাস অনেকবার আবেদন করেও ভেড়া ফেরত পাননি তিনি।
এদিকে ভেড়া চুরির ঘটনায় জামিন পেয়ে মুক্ত হয়ে যায় চোর। কিন্তু ভেড়া থেকে যায় সদর থানা পুলিশের হেফাজতে।
থানায় থাকলেও প্রতিদিন ১১ কিলোমিটার পথ দূরে গিয়ে ভেড়ার দেখাশোনা করতো শাহীন। এনিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের দিন কাটিয়েছেন তিনি। থানার মধ্যেই ভেড়ার বাচ্চা প্রসব হয়ে মরে পড়ে ছিল।
এনিয়ে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। ওই দিনই খুলনার মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে ১৬ নভেম্বর ভেড়া ফেরতের আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন।
বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদনটি গ্রহন করে ভেড়া দু’টি ফেরত দিতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন। ওইদিনই খুলনা মহানগর হাকিম ভেড়া দু’টি মালিককে বুঝিয়ে দেন।
দুপুরে ভেড়া ফেরত পেয়ে আদালত চত্বরে কেঁদে ফেলেন ভেড়ার মালিক শাহীন শেখ।
তিনি বলেন, অনেকের কাছে গিয়েছি, আদালতে এসেছি কেউ ভেড়া দু’টি ফেরত দিতে পারেনি। থানায় থাকতে থাকতে ভেড়ার একটি বাচ্চা হয়ে থানাতেই মারা গেছে। সমকালের সংবাদ দেখেই সবাই বুঝতে পেরেছেন এদের মালিক আমি।
শাহীনের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম পান্না বলেন, দেরিতে হলেও ভেড়ার মালিক ন্যায় বিচার পেয়েছে। এই তিন মাসে তার যে ক্ষতি হয়েছে আদালতের উচিত তা প্রদানের ব্যবস্থা করা।
ভবিষ্যতে নিরীহ ব্যক্তিরা যাতে এভাবে হয়রানির শিকার না হয়-সেদিকেও দৃষ্টি দেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: যমুনার চরে ভেড়া পালনে শত শত নারীর স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন
ট্রেনের নিচে চাপা পড়েও যেভাবে প্রাণে বাঁচল ভেড়া শাবকটি