কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
কুড়িগ্রামে চারটি সংসদীয় আসনে ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
এসময় পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মোত্তাকিম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিনসহ প্রার্থী, সমর্থক ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
এবার জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে দুইজন, জাতীয় পার্টি থেকে চারজন অংশ নিয়েছে।
এরমধ্যে কুড়িগ্রাম-১ ও কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
এছাড়াও জাকের পার্টির তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে আব্দুল হাই নামে একজন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
এর বাইরে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে অবস্থান করছেন।
এর বাইরে বিভিন্ন দল থেকে ১৫ জন প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দকালে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাছুম ইকবাল ও মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক দাবি করায় লটারির মাধ্যমে মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক পান।
অপরদিকে মাছুম ইকবাল কাচি প্রতীক নেন।
প্রতীক বরাদ্দকালে দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে একজন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী মো. সাফিউর রহমান ও কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান খান অনুপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সব প্রার্থী যাতে নির্বাচনে সমান অধিকার পান সে ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনী তৎপর থাকবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
বিশেষ করে শীত ও কুয়াশার কারণে চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে আরও বড় দুর্ভোগে। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ অবস্থায় সবচেয়ে কষ্টে আছে শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। শহর কিংবা গ্রামে শীতের দাপটে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা নামা করছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে আগামী দুই থেকে তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক সরকার বলেন, শীত তো নেমে গেছে। যারা গরীব মানুষ তারা কষ্টে আছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে শীতবস্ত্র পাইনি। পেলে এখানে বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী দুই থেকে
তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। পরে আবারও কমতে শুরু করবে। তখন ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
শীতের সকালে নাস্তার টেবিলে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি মুড়ির মোয়া সব শ্রেণির মানুষের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণ।
শীত এলেই নতুন ধান থেকে মুড়ি তৈরি করে। আরও সেই মুড়ি থেকে গুড় দিয়ে মোয়াসহ বিভিন্ন নাস্তা তৈরিতে শুরু হয়ে যায় পরিবারের নারী সদস্যদের তোড়জোড়।
আরও পড়ুন: ‘মুড়ির টিন’ দিয়ে শুরু হলো কোক স্টুডিও বাংলা’র দ্বিতীয় সিজন
তবে এটি এখন আর শুধু ঘরে তৈরিতে সীমাবদ্ধ নেই। বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে। এই মোয়া বিক্রি করে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে অনেকের।
কুড়িগ্রামে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতকালীন নানা ধরনের খাবার।
আখ ও খেজুর গুড় ঘন জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে সেখানে সাদা ধবধবে মুড়ি মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সুস্বাদু মুড়ির মোয়া।
এটি গ্রাম-শহরের নানা বয়সী মানুষের শীতের দিনের মুখরোচক খাবার।
আরও এই মুখরোচক খাবারটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করছেন জেলার উলিপুর উপজলোর থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ের গোড়াই পিয়ার গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম-শাপলা বেগম দম্পতি।
তারা বাড়িতেই বাণিজ্যিকভাবে হাতে তৈরি করছেন মোয়া। তাদের তৈরি সুস্বাদু এই মোয়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজলোর হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ১০০ মোয়া বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। মেকানিক পেশায় থাকাকালীন সাইফুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তেমন ভারী কাজ করতে না পারায় ২০২০ সালে এনজিও ঋণ নিয়ে শুরু করেন মোয়া ব্যবসা।
এরপর দিন যতই যাচ্ছে তার মোয়ার পরিচিত ততই বাড়ছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে মেকানিক ছিলাম। কোমরের ব্যথার অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন বসে ছিলাম। পরে চিকিৎসার জন্য সেই কাজ ছেড়ে দিয়েছি। বেকার হয়ে পড়ি। প্রায় চার বছর আগে ২০২০ সালে নিজেই মোয়া তৈরি করে বাজারজাত করি।
তিনি আরও বলেন, এভাবে শুরু আমার এই ব্যবসা। মূলধন না থাকায় এনজিও ঋণের উপর নির্ভরশীল হই। চলতি বছর দুটো এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি। আমার এখানে বর্তমানে মোয়া তৈরিতে বিভিন্ন বয়সী ২৮-৩০ জন নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এসব শ্রমিকরা নিজেদের সংসারের কাজ করে এসে দিন ২০০ টাকা মজুরিতে এখানে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে লক্ষাধিক মেট্রিক টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রত্যাশা
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষজন। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম।
এ অবস্থায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠাণ্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের দিনমজুর মনসুর আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব শীত। মাঠে কাজ করতে সমস্যা হয়। এখনো কেউ কম্বল দেয় নাই। কম্বলের খুব দরকার।’
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা নদী ও চরাঞ্চল। সবচেয়ে শীত অনুভূত হয় এখানে। সরকারিভাবে এখনো কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। শীত বস্ত্র পেলে এখানে বিতরণ করা হবে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরো কমেএই জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম রয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে উঠানামা করছে।
শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে ঢাকায় বেড়েছে গরম কাপড়ের বিক্রি
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে যে শীত পড়ছে তাতে রাস্তা দেখায় যায় না। এ রকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষদের জন বেশ সমস্যা হয়।’
জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৪৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন।
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, পাচ্ছে। তবে গত সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পানির তোড়ে ভেঙে পড়ল সেতু
শীত নিবারনের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের রমজান আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে যে শীত পড়েছে তাতে রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। এরকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর বেশ সমস্যা হবে।’
জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৩১ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ভাণ্ডারে মজুদ রয়েছে আরও ১৫ হাজার কম্বল।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঘটনা দুইটি উপজেলার মধ্য কাশিপুর ও চর-মেখলি এলাকায় ঘটে।
এর মধ্যে একজন শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মধ্যকাশিপুর বাজারে দোকানের ভাড়ার টাকা চাইতে গিয়ে এবং অন্যজন আবাদি জমির উপর দিয়ে ট্রলি যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মারা যান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
নিহত দুইজন হলেন- উপজেলার মধ্য কাশিপুর এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং একই উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর-মেখলি এলাকার সাদ্দামের মা সমস্ত ভান।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মধ্য কাশিপুর এলাকার রফিক তার ভাড়া দেওয়া দোকানের ভাড়াটিয়া সুলতানের কাছে টাকা চাইতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়।
এর এক পর্যায়ে সুলতানের লোকজন তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে গেলে রফিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
অপর দিকে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর-মেখলি এলাকার সাদ্দাম হোসেন নিজের জমিতে ভূট্টা চাষ করেন। একই এলাকার হাসান জমির উপর দিয়ে ট্রলি নিয়ে যান।
এতে সাদ্দাম বাধা দিলে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় সাদ্দামের মা সমস্ত ভান ঘটনাস্থলে এলে তাকেও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন হাসান।
এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সমস্ত ভান মারা যান।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক-সহকারী নিহত
নড়াইলে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৩ জন আহত
কুড়িগ্রামে গরু বোঝাই ভটভটি উল্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গরু বোঝাই ভটভটি উল্টে নুরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে থানাঘাট-ভূরুঙ্গামারী সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের উত্তর পাথরডুবী গ্রামের অকিবর রহমানের ছেলে। মৃত নুরুজ্জামান পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। তিনি গ্রাম থেকে গরু কিনে ভূরুঙ্গামারী হাটে বিক্রি করতেন।
আরও পড়ুন: বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
পরিবারের বরাত দিয়ে পাথরডুবি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর জানান, শনিবার ভূরুঙ্গামারী হাটে গরু বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। মইদাম ভূষিরভিটা এলাকায় পৌঁছালে ভটভটি উল্টে মারাত্মক আহত হন নুরুজ্জামান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রাকিবুল হাসান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়ার পর রোগীর পালস কমে যাওয়ায় স্যালাইন দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাদিহা আলীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রেহানার শোক
নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
কুড়িগ্রামে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে মাত্র ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বিভিন্ন প্রকার সবজির বাজার চালু করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পাঁচ কেজি ওজনের প্রায় দুইশত টাকার সবজি পেয়ে দারুণ খুশি ভোক্তারা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ বাজার চালু করে সংগঠনটি।
সংগঠনটি প্রায় দেড় শতাধিক পঙ্গু, ভিক্ষুক ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার তুলে দেন।
প্যাকেজ হিসাবে ছিল ডিম, ফুলকপি, সিম, লালশাক, বেগুন, মুলা, ধনেপাতা ইত্যাদি। ৫ টাকায় এতো সবজি পেয়ে দরিদ্র ও অসহায় মানুষজন অনেক খুশি।
ঘোগাদহ চৈতার খামার গ্রামের প্রতিবন্ধী আফরোজ বেগম বলেন, সারাদিন ভিক্ষা করে ২০০ টাকাও জুটে না। সেখানে মাত্র ৫ টাকায় প্রায় দুই শত টাকার সবজি ও একটি ডিম পেলাম। সব কিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আজ খুবই ভালো লাগছে। এ বাজার গরিব মানুষের জন্য আশীর্বাদের মতো।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কক্সবাজারে প্রথম ট্রেনের টিকেটে বিক্রি আধ ঘন্টায় শেষ !
চাকরির পেছনে না ছুটে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে কুড়িগ্রামের যুবক
কুড়িগ্রামে চায়না ঝুড়ি জাতের কমলা চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন মো. আবু রায়হান ফারুক।
ফারুক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কাজী মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
বর্তমানে দুই বিঘা জমিতে রয়েছে শতাধিক কমলা গাছ। গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কমলা। চারা লাগানোর মাত্র দেড় বছরে গাছে কমলা আসতে শুরু করে। বর্তমান তার বাগানের বয়স আড়াই বছর।
এ বছর তিনি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করছেন। আর মাত্র ২০দিন পর বাগান থেকে প্রায় ১৫-২০ মণ কমলা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি। যা বর্তমান কমলার বাজার মূল্যে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। ফলে উৎপাদন ব্যয় বাদে দ্বিগুণ লাভ হবে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে জানা যায়, আবু রায়হান ফারুক পড়াশোনা শেষ করে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কৃষিখাত বেছে নেন। বাবার জমিতে শুরু করেন সমন্বিত ফলের চাষ। প্রায় ৬ একর জমিতে রয়েছে দেশি-বিদেশি নানান জাতের ফলের গাছ। আম, মাল্টা, আঙুর চাষের পাশাপাশি কমলা চাষের উদ্যোগ নেন।
প্রথমে বগুড়া শহর থেকে একটি চায়না ঝুড়ি কমলা জাতের গাছ সংগ্রহ করেন তিনি। একটি গাছ থেকে কলম পদ্ধতি ব্যবহার করে দুই বিঘা জমিতে ১০০ কমলা গাছ রোপণ করেন। কলম করা গাছের চারা থেকে দেড় বছরের মধ্যে কমলা পেতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের স্বপ্ন বুনছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪০ একর জমিতে হচ্ছে কৃষিবান্ধব বাণিজ্যিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র