সংঘর্ষ
ময়মনসিংহে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকাকান্দা দক্ষিণ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামের মুরাদ (৪০) এবং একই গ্রামের মোহাম্মদ (৫০)। তারা দুজনই মোটরসাইকেল আরোহী।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ময়মনসিংহ থেকে ফুলপুরগামী একটি মোটরসাইকেল তারাকান্দা দক্ষিণ বাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলে থাকা দুজন মারা যায়।
ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসাছাত্রী নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি সদস্য নিহত, যুবলীগ নেতা আহত
বগুড়ায় আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ আহত ৩১
বিরোধীদলের ডাকা দুই দিনের অবরোধ চলাকালে বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ দুটি দলের অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ হলে। এই সংঘর্ষে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৪ জনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নেতৃত্বে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শেরপুর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একটি মিছিল বের হয়।
মিছিলটি এগিয়ে যাওয়ার সময় পেছনে আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সহসভাপতি শাহ জামাল সিরাজীর নেতৃত্বে অবরোধবিরোধী অপর একটি মিছিল থেকে প্রথমে ধাওয়া দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তারা দুইপক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এর পরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় মহাসড়কের আশ-পাশের বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ জানান, তাদের দলের নেতা-কর্মীরা শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল এবং ককটেল নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় দলের ১১ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে অবরোধ সমর্থকদের নিক্ষেপ করা ইট-পাটকেলের আঘাতে তিনিসহ পুলিশ বাহিনীর ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
পুলিশ ও পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানেবাড়ি গোষ্ঠি ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠি একটি পক্ষে এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠি আরেকটি পক্ষ।
একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মিয়া।
এই দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সাবেক ইউপি সদস্য আরজু মেম্বারের পক্ষের দোলা গোষ্ঠির বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত ও তার ছেলেকে মারধর করে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়ার পক্ষের খানে বাড়ি ও সিরাজ আলীর গোষ্ঠির লোকজন।
বিষয়টি রাতেই স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সোমবার সকালে সদর থানায় মিমাংসা করার জন্য সালিশ সভা ডাকা হয়। সকালে সভা চলাকালে এলাকায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৩
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে অবরোধের প্রতিবাদে আয়োজিত ক্ষমতাসীন দলের সংগঠন ছাত্রলীগের সমাবেশে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলের অবরোধের প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী মিছিল বের করে।
মিছিল শেষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বটতলায় সমাবেশ করার সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে অন্য একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় সভাপতি সজীবের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষে সজীব ও মাহফুজারসহ ছাত্রলীগের অন্তত ১৩ জন আহত হন।
সংঘর্ষের সময় ক্যাম্পাসে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয়ে হাসপাতালে মারামারি, আহত ৪
সজীব সাহা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে সমাবেশ করার সময় ছাত্রলীগের একটি 'তথাকথিত' গ্রুপ তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের প্রতিহত করতে বাধ্য হয়েছি এবং তারা আমাকে ছুরিকাঘাত করেছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজার রহমান দাবি করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা অযোগ্য কমিটিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কলেজের অধ্যক্ষ ড. সবুর উদ্দিন বলেন, তারা কোনো গ্রুপকে চিনতে পারেননি।
স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: বিতর্কিতদের নিয়ে রাবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন, বিক্ষুব্ধ নেতাদের অভিযোগ
পুলিশ ও পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ
মূল বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরের নাওজোড় এলাকায় পুলিশ ও পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে চান্দনা চৌরাস্তায় লিবাস নিটওয়্যার, হাসান তানভীর ফ্যাশনসহ বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এক পর্যায়ে তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়কে ব্যারিকেড বসানোর চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত
পরে র্যাবসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভ চলাকালে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে অস্থিরতা ও বুধবার এক নারী পোশাক কর্মীর মৃত্যুর পর আজ বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।
পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের মূল বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে ২৩ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছেন।
তাদের ন্যূনতম বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ
সাভারে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ২০
সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৬ নভেম্বর) এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের দাবি, কিছুদিন আগে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র হাসিবুল হাসান অন্তরকে কুপিয়ে হত্যা করে আরেক ছাত্র রাহাত ও তার লোকজন।
কিন্তু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার রাতে সাভারের বিরুলিয়া উপজেলার আকরাম বাজার এলাকায় দেড় শতাধিক দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
পরে আজ বিকালে আশুলিয়ার চাঁনগাঁও এলাকার লোকজন জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে আলোচনা সভা করেন।
কিন্তু রাতে সমাবেশের খবর শুনে শিক্ষার্থীরা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে চাঁনগাও এলাকায় দুই শতাধিক দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে, এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি
গাজীপুরে পোশাক কারখানা খোলা, ফের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
কয়েক দিনের বিক্ষোভের পর গাজীপুরের অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন শনিবার সকালে। অপ্রীতিকর ঘটনা ও সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়।
তবে শনিবার সকালে সদর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার বেতন বাড়ানোর দাবিতে কিছু শ্রমিক আবারও বিক্ষোভ শুরু করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে পোশাককর্মী নিহত
এসময় শ্রমিকদের ছুড়া ইটের আঘাতে গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর শ্রীপুর সাব-জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদ, পরিদর্শক আবদুর নুরসহ কয়েকজন আহত হন।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদ বলেন, আমরা প্রথমে শ্রমিকদের বুঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিদর্শক আবদুর নুর ও আমি রক্তাক্ত হই।
গাজীপুর-২ শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, গাজীপুরে শ্রমিকদের সহিংসতা ঠেকাতে ৩ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। শ্রমিক অসন্তোষ ও সহিংসতার পর শনিবার সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে। সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ চলছে। গত কয়েকদিনের সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের ও বেশ কয়েকজন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকেরা। সে সময় বেশ কিছু এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে গাড়ি ভাঙচুর; কারখানায় ও শপিংমলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ অবস্থায় শিল্প এলাকার অধিকাংশ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পরে শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে সরকার, মালিক, বিজিএমইএ, শ্রমিক সংগঠনের নেতারা আলোচনায় বসেন। গঠন করা হয় মজুরি বোর্ড, যেখানে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে নভেম্বর মাসে ঘোষণা ও ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শনিবার থেকে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয় বিজিএমইএ। সিদ্ধান্ত মেনে গাজীপুরে অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের টিয়ার শেল নিক্ষেপ
ঢাকা ও গাজীপুরে পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে বিজিবি মোতায়েন
বিরোধী দলের অবরোধ: দ্বিতীয় দিনেও সংঘর্ষ, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায়।
অবরোধ চলাকালে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে অন্তত ২১টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সারাদেশে ২১টি অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছেন তারা।
এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে পাঁচটি, ঢাকা বিভাগে সাতটি (সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ), চট্টগ্রাম (কর্ণফুলী, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড) এবং রাজশাহী (বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও রংপুর) বিভাগে চারটি করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
সারাদেশে ১০টি বাস, তিনটি কাভার্ডভ্যান, তিনটি ট্রাক, একটি পিকআপ, একটি মোটরসাইকেল, দুটি বাণিজ্যিক পণ্যের শোরুম ও একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল খুবই কম হলেও রাজধানীসহ অন্যান্য শহর ও শহরে থ্রি-হুইলারের মতো স্থানীয় যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সাধারণ দিনের তুলনায় রাস্তায় মানুষের জমায়েতও কম ছিল।
অবরোধ কার্যকর করতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সড়কে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। তারা ঢাকা, বগুড়া, ফেনী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে।
ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় সকাল ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম জানান, বুধবার বিকালে কাফরুল থানার পাশে ইতিহাস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেছে পুলিশ
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ চলাকালে আজ ঢাকার মুগদা এলাকার আইডিয়াল স্কুলের সামনে দুর্বৃত্তরা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অবরোধের সমর্থনে মিছিলের পিকেটাররা সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় একটি বাস ও ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি অফিসার জাহেদুর রহমান জানান, সকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে দুর্বৃত্তরা একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
চট্টগ্রামনগরীর কোতোয়ালি থানাধীন কদমতলী এলাকা থেকে ককটেলসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সকাল ১১টার দিকে সিলেটের বন্দরবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবী ও ছাত্র সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির যুবদল- ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এ সময় বিএনপি ও ছাত্রদলের সমর্থকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
বরিশালে মঙ্গলবার রাত ও বুধবার অবরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সকালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বান্দা রোডে অবরোধের পক্ষে মিছিল করেছে ছাত্রদল।
দূরপাল্লার কয়েকটি বাস শহর ছেড়ে গেলেও পরে যাত্রী সংকটের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ট্রিপ বাতিল করে।
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দিতে দেখা গেছে।
খুলনায় অবরোধের দ্বিতীয় দিন শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শহরের রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে কম ছিল।
অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনার খবর না পাওয়ায় রংপুরে শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালন করা হয়েছে।
বগুড়ায় অবরোধের সমর্থকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, ভাঙচুর ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সমর্থকরা রাস্তায় ব্যারিকেড বসানোর চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
সকাল ১০টার দিকে জেলা শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে বিএনপির অন্তত ছয় নেতাকর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তারা রেলগেট এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করার সময় পুলিশ হঠাৎ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সহিংসতায় যুবদল নেতা নিহত, বিএনপির এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত: ফখরুল
অবরোধ চলাকালে জেলায় তিনটি কাভার্ডভ্যান ও একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়।
অবরোধকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির ৪৬ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত তিন দিনে জেলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৫৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নাশকতার একটি মামলা করা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর রামপুর এলাকায় দুটি আন্তঃজেলা বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ছিল লক্ষণীয়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
মিরপুরে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পোশাক শ্রমিক আহত
রাজধানীর মিরপুরের পূরবী সিনেমা হল এলাকায় মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হাসান জানান, সকাল ১১টার দিকে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা রাস্তায় নামেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুলিশ-পোশাক শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ১০
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় কর্মীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।
তিনি আরও বলেন, পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা তাদের শান্ত করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম; আশা করছি শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে বুধবার মজুরি বোর্ডের বৈঠক হওয়ায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাসচাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত
সাভারে ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক নিহত
মাতুয়াইলে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ৪ পুলিশ আহত, আটক ৩০
ঢাকার মাতুয়াইলে বিএনপি-জামায়াত ও সহযোগী দলের তিন দিনের অবরোধ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ডেমরা থানার ডিউটি অফিসার মো. রফিক জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেশব্যাপী অবরোধের সমর্থনে বাদশা মিয়া রোডে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে দু্ই পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক সেনা সদস্য নিহত, আহত ২০
তিনি জানান, পুলিশ বাধা দিলে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলা করে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করা হয় এবং ঘটনার সময় কিছু দেশীয় বোমা বিস্ফোরিত হয়।
ডিএমপির ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, পরে তামিরুল মিল্লাত ও মিন্টু চত্বর এলাকা থেকে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিএনপি-আ. লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২
মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৫