নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা
সোনাগাজীতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা
ফেনীর সোনাগাজীতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর রবিবার চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নয়টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যেভাবে হোক নৌকাকে জয়ী করা হবে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন ঘোষণায় সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটার ও এলাকাবাসী। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
বুধবার রাতে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে ৯নং নবাবপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা, সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ফেনী স্টাইল আতঙ্কের কথা উল্লেখ সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সময় সুষ্ঠু নির্বচনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন
তিনি নির্বাচনের আগের দিন থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ ও বৈধ -অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের আহবান জানান।
ফেনী জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সূত্র জানায়, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯১টি। তার মধ্যে ৫২টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে।
চরছান্দিয়া ইউনিয়নের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ফেনী স্টাইলে ভোট কারচুপি করা ছাড়া নৌকার বিজয়ের বিন্দু পরিমাণও সম্ভবনা নেই। জয় পেতে তারা এখন থেকেই হুমকি ধামকিসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কঠোর ভূমিকার প্রত্যাশা করেন।
সোনাগাজী সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিনের বলেন, বহিরাগত ক্যাডার দিয়ে ফেনী স্টাইলে ভোট ডাকাতি করার ঘোষণা দিয়েছেন একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা।
জনগণের ভোটাধিকার হরনের চেষ্টা করা হলে প্রয়োজনে আত্মহত্যা করে প্রতিবাদ করার ঘোষণা দেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাইনুল হক বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের রুখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার পিকআপ ভ্যান থেকে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
সোনাগাজী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাশকুর রহমান বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বরাবরের মতো আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবো। এছাড়াও নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আমাদের সঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব, বিজিবি,আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
প্রসঙ্গত, সোনাগাজীর ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য ৮৯ ও সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী ৪৫৩ জন প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এছাড়া দুটি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীয় নির্বাচিত হয়েছেন।