বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী শুরু
ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতার ওপর দুই মাস ব্যাপী এক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার সকালে রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ফিলিপিনো জাতীয় বীর ডা. হোসে রিজালের যৌথ কাঠের প্রতিকৃতি সম্বলিত একটি শিল্পকর্ম উন্মোচন করার মাধ্যমে প্রদর্শনীটি শুরু হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ফিলিপিনো শিল্পী নিকোলাস পি আকা জুনিয়রের খোদাই করা এই শিল্পকর্মটি ফিলিপাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কালাম্বার শহরে অবস্থিত রিজাল জাদুঘরে উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
সকালে রিজাল জাদুঘরে উক্ত শিল্পকর্মটি উদ্বোধন করেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম এবং হোসে রিজাল জাদুঘরের কিউরেটর যারাহ এসকুয়েতা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সিয়াম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও হোসে রিজাল বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মহান দুই নেতা যারা ইতিহাসের সম্পূর্ণ ভিন্ন সময়ে এবং ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে নিজ দেশের জনগনকে পরাধীনতা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।
খোদাই কর্মটিতে এই মহান দুই নেতার পোট্রেটের পাশাপাশি লাল রঙের আবহ মানুষ ও জনগণের জন্য এই দুই নেতার আত্মোৎসর্গকে প্রতিফলিত করে বলে শিল্পী নিকোলাস জানিয়েছেন। ২০১৮ সালে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভ্রমণ করবার পর হোসে রিজাল ও বঙ্গবন্ধুর জীবনের মধ্যে তিনি সাদৃশ্য খুঁজে পান যা তাকে এই শিল্পকর্মটি সৃষ্টির অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতার ওপর দুই মাস ব্যাপী এই প্রদর্শনীতে শিল্পকর্মের পাশাপাশি জাতির পিতার আত্মজীবনী, তার ওপর রচিত বিখ্যাত কিছু বই, ঐতিহাসিক ছবি সহ অন্যান্য চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনী শেষে শিল্পকর্মটি দূতাবাসের উপহার হিসাবে জাদুঘরের স্থায়ী সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত হবে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য নির্দেশনা এবং অবশ্যপালনীয় সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কালাম্বা সিটি কাউন্সিল, ফিলিপাইন জাতীয় ইতিহাস কমিশন, ফিলিপাইন তথ্য সংস্থা, ফিলিপাইন পর্যটন ও ক্রীড়া উন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
করোনা মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের সকল দেশকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের সকল দেশের অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা অপরিহার্য। বিশ্ব থেকে করোনা দূর করতে হলে বিশ্বের ধনী-দরিদ্র সকল ব্যক্তির টিকা নেয়া আবশ্যক। এক্ষেত্রে সকল দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের ৫ম লেকচারে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বিশ্ব কূটনীতিতে উৎসাহব্যঞ্জক উত্তরাধিকার শীর্ষক এ লেকচারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাবেক আণ্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী।
এ সময় ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন শান্তি উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশকে শান্তির জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। একটি থেকে অন্যটিকে আলাদা করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের সমস্যা তুলে ধরে বিশ্ব নেতায় পরিণত হন। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করেন, যা ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য অপরিহার্য।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতাসমূহ বাংলাদেশের নবীন কূটনীতিকসহ সকলের পড়া উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু মানবজাতির আকাঙ্খা, বৈশ্বিক বৈষম্য, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও মালিকানা, অর্থনৈতিক কাঠামোসহ ২৭টি বিষয় উত্থাপন করেন, যা এখনও খুবই প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আঞ্চলিক, বহুপাক্ষিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, মানুষের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষকে ক্ষমতায়ন করতে হবে। তিনি জাতিসংঘে জনগণের ক্ষমতায়নের শান্তি কেন্দ্রিক মডেল পেশ করেন। তিনি মনে করেন, উন্নয়ন হলো মানবাধিকার। দারিদ্র দূরীকরণ, যথাযথ কর্মসংস্থাপনের ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে ২০১২ সালে দৃষ্টান্তমূলক একটি রেজুলেশন জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হয় এবং তা গৃহীত হয়।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বিভিন্ন বিদেশি মিশনের আবাসিক ও অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান, সাবেক কূটনীতিক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
জাপানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস শুক্রবার যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২১ উদযাপন করেছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে সাথে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায় অনলাইন মাধ্যমে আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা বোনদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা করোনা মহামারির ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি এবং এমন সময়ে জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক কমিটি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা প্রদান করেছে। এই অর্জন প্রধানমন্ত্রীর অভিজ্ঞ নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের মানুষের কঠোর পরিশ্রমের ফসল।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপান সবসময় পাশে থাকায় রাষ্ট্রদূত জাপানের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জাপানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভারমা, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কিইচিরো নাকাযাওয়া, জাপানের ইকোনমি, ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ের ডাইরেক্টর নোরিইউশি ফুকুওকা, জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে এবং প্রবাসী বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে মঞ্জুরুল হক বক্তব্য দেন।
বক্তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
দুটি মেগা উদযাপনে যোগ দিতে দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটানের পর ঢাকায় আসা নরেন্দ্র মোদি পঞ্চম বিশ্ব নেতা।
সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। চারা রোপণ করার পাশপাশি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এরপর তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক: মোদি
শুক্রবার বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর’ উদ্বোধন করবেন। সেখানে মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় যোগ দেবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এরপর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির পরিদর্শন এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
বিকালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচটিরও বেশি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান মোদি-বাইডেনের
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূল দর্শন নিয়ে ৭ দিনব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী
'সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মূল দর্শন নিয়ে গুলশানের বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে সাত দিনব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করা হয়। এটি ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়' এর কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে পেরেছিল।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের প্রতিজ্ঞা নিন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই নীতি, তার যাদুকরী ক্ষমতা এবং ব্যক্তিত্বের কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের ১৩৬টি দেশের মধ্যে ১২৬টি দেশই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই অল্প সময়ে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে তিনি নিজের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও দিক নির্দেশনার স্বাক্ষর রাখেন। নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা এবং বিশ্ব নেতাদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল দর্শন দিয়ে গিয়েছিলেন 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়'।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ফোরামে বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপ, শান্তিকেন্দ্রিক এবং টেকসই উন্নয়ন কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তার গতিশীল নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এবং কর্ণফুলী টানেলের মতো বৃহৎ অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: মুজিব বর্ষে ঘর পাচ্ছেন ফরিদপুরের দেড় হাজার গৃহহীন পরিবার
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান ও অপরাজিতা হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ভ্যাটিকান সিটি, ডেনমার্ক, কসভো, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, ডিএনসিসির কাউন্সিলররাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুজিব বর্ষেই বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের দেশে আনা সম্ভব হবে, আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ভুটানে ফিরে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইনে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা
ঢাকা থেকে ভুটানে ফিরে বৃহস্পতিবার ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ও তার সফর সঙ্গীরা।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, বিমানবন্দরে পার্কিং করা গাড়িতে থাকা কোয়ারেন্টাইন সুবিধায় তিনি গন্তব্যে পৌঁছান।
প্রতিনিধিদলকেও কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার জন্য সেখানে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়।
আগামী ২১ দিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সব সরকারি কাজ এবং অনুষ্ঠানাদি ভার্চুয়ালি পরিচালিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার পাশে বসে বাংলাদেশের গল্প শুনতে এসেছি: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সফরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আবদুল মোমেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশের ভুটান সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দক্ষিণ এশিয়ার নেতাদের সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে আমি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের এবং নীতি-নির্ধারকদের শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের অষ্টম দিনে বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পিটিএ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশের বসবাস। এ অঞ্চলে যেমন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তেমনি রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা। এ অঞ্চলের মানুষের রয়েছে অসম্ভব প্রাণশক্তি, উদ্ভাবন ক্ষমতা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে জয় করে টিকে থাকার দক্ষতা।’
তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আমরা সহজেই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের ভাগ্যের উন্নতি করতে পারি। আমরা যদি আমাদের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করি, তাহলে অবশ্যই দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী
‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের প্রতিজ্ঞা নিন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি মঙ্গলবার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
ঢাকায় আসার পরই তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শেরিং দর্শকদের বইয়ে স্বাক্ষর করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের স্বীকৃতি প্রদানের ৫০তম বার্ষিকী।
আরও পড়ুন:ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এর আগে সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে শেরিংকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
লোটে শেরিং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসা চতুর্থ বিশ্ব নেতা।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে লোটে শেরিংকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে।
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে চায় ভুটান
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে। পরে তাদের নেতৃত্বে হবে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
আলোচনার পরে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন লোটে শেরিং। পরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুত্র মতে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী ডা. শেরিংয়ের এটি দ্বিতীয় সফর ঢাকায়।
আরও পড়ুন:ভুটানের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে ঢাকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদানের জন্য আ’ লীগের প্রশংসায় চীনের কমিউনিস্ট পার্টি
বিগত পাঁচ দশক বাংলাদেশ যে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে তার প্রশংসা করে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) বলেছে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আওয়ামী লীগকে ‘স্যালুট’ জানাচ্ছে।
সিপিসি আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন বার্তায় বলেছে, ‘সিপিসি ও আওয়ামী লীগ উভয়ই জাতীয় উন্নয়নের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার এবং সবার জন্য আরও উন্নত জীবন গঠনের উচ্চতর দায়িত্বে রয়েছে।’
বার্তায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন জাতীয় উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব চীনের
সিপিসি বলেছে, দুটি দল ও দুই দেশের নেতাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঐক্যমত্য বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা, কারণ তারা ভিন্নতাকে সংরক্ষণ করে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক শিক্ষা উন্নত রেখে একটি একত্রিত সমন্বয়কে প্রসারিত করার চেষ্টা করে নতুন করে দল-থেকে-দলীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
‘আমরা একসাথে যা করি তা আমাদের বিকাশের কৌশলসমূহের সারিবদ্ধকরণ, আমাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার প্রচার এবং চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত সহযোগী অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা প্রদানের দিকে দীর্ঘ পথ পাবে। আমরা বাংলাদেশের সাফল্য, সমৃদ্ধি এবং এর জনগণের শান্তি কামনা করি,’ বার্তাটিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকী উপলক্ষে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: চীনে জরুরি ব্যবহারের জন্য আরও একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন
বার্তাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
সিপিসি বলেছে, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ জাতীয় উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ দশ দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিন সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে বাংলাদেশ, চীন: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে আর্থ-সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।