ঝড়
এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
ঘনিয়ে আসছে কোরবানি ঈদ বা পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই আগে থেকেই গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও খামারিরা তাদের পশুগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করে ফেলেছেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে বরিশাল অঞ্চলে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা দেখা গেলেও আলোচনায় থাকে বিশালাকৃতির গরুগুলো। এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকায় এমইপি এগ্ৰো ফার্মে বেড়ে ওঠা ২৯ মণ ওজনের ‘টাইটানিক’।
দেখতে অন্য সব গরুর চেয়ে বিশালাকার দেহের অধিকারী হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে টাইটানিক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
স্থানীয়দের ধারণা এটি এবার গোটা বরিশালের মধ্যে আকারে সব থেকে বড় কোরবানির গরু হতে যাচ্ছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকার এমইপি এগ্ৰো ফার্ম ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৩শ’টির মতো গরু লালন পালন চলছে এ ফার্মে। গরুগুলো দেখা শোনার জন্য রয়েছে ১৩ জন কর্মচারী। এর মধ্যে বিশালাকার দেহের অধিকারী টাইটানিক লালন পালনে রয়েছে নির্ধারিত একজন কর্মচারী।
টাইটানিক লালন পালনের দায়িত্বে থাকা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিশাল আকৃতির এই গরুটির লালন-পালনে দিনে এক হাজার চারশ টাকা খরচ হয়।
তাছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে গরুটিকে পালন করা হচ্ছে। খাবারে প্রতিদিন ধান ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্টাসহ মিক্সড একটি উপাদান দেয়া হয়।
এছাড়া দিনে দুইবার গোসল করানো, দেখাশোনা, নিয়মিত পরিচর্যা করাসহ বিভিন্ন দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
ইসমাইল বলেন, গত কোরবানির পরপরই গরুটি এই ফার্মে আনা হয়েছে। তারপর থেকেই লালন পালন করতে করতে একটা মায়া হয়ে গেছে। বিক্রি করে দেওয়ার কথা শোনার পর থেকে খারাপ লাগছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সৌখিন মাছ শিকারির খোঁচায় ১৬ কেজির বোয়াল!
এমইপি এগ্ৰো ফার্মের ইনচার্জ রাফিউর রহমান অমি বলেন, গত কুরবানির পরপরই এই গরুটি ফার্মে আনা হয়েছে। তখন গরুটির ওজন ছিল প্রায় ১২ মণ। এখন গরুটির ওজন হয়েছে সাড়ে প্রায় ২৯ মণ। আগে গরুটির পেছনে ৮-৯শ’ টাকা খরচ হলেও এখন প্রায় ১৫শ’ টাকা খরচ হচ্ছে।
ঝড়ের আশঙ্কায় সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
স্থল নিম্নচাপ দুর্বল হলেও ঝড়ের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিস এক বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের ওপর স্থল নিম্নচাপ আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে দুর্বল হয়ে একটি সুচিহ্নিত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং মধ্যপ্রদেশের কেন্দ্রীয় অংশ ও এর সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন:সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
বুলেটিনে আরও উল্লেখ করা হয়, এটি আরও দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালন ঘটছে। ঝড়ো হাওয়া সামুদ্রিক বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রভাব ফেলতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি আসতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল এবং তাদের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলো জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
আরও পড়ুন:সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত
ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় মেগির প্রভাবে হওয়া ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখনও ১১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিপাইনের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল জানিয়েছে, মধ্য ফিলিপাইনে ১৬৪ জন এবং দক্ষিণ ফিলিপাইনে তিনজন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় ৩৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত
গত ১০ এপ্রিল মেগি আঘাত হানার আগে এবং পরে মধ্য ও দক্ষিণ ফিলিপাইন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়। এ সময় লেইতে প্রদেশের বেবে সিটি এবং আবুযোগ শহরে বেশ কয়েকটি গ্রামে ভূমিধস হয়।
শুক্রবার ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ঝড়ের কবল থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
প্রধানত প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় টাইফুন বেল্টে অবস্থানের কারণে ফিলিপাইন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। এই দ্বীপদেশটিতে গড়ে প্রতি বছর ২০টি টাইফুন আঘাত হানে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রলয়ংকারী প্রভাব ফেলে। চলতি বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে প্রথম আঘাত হানা ঝড় মেগি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কোভা’ ডুবে গেছে, স্বীকার করল রাশিয়া
ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৮, নিখোঁজ ১৩
নিউজিল্যান্ডে ঝড়ে মাছ ধরার নৌকাডুবে নিহত ৩, নিখোঁজ ২
নিউজিল্যান্ড উপকূলে ঝড়ো আবহাওয়ায় ১০ যাত্রীবাহী একটি মাছ ধরার নৌকাডুবে তিন জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিঁখোজদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
রবিবার রাতে দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটি উত্তর উপকূলের নর্থ কেপ-এ তাদের উদ্ধারের জন্য বিশেষ সঙ্কেত পাঠায়। এরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তান যুদ্ধের অবশিষ্ট অস্ত্রের বিস্ফোরণে ৪ শিশু নিহত’
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে হেলিকপ্টারে করে অনুসন্ধান চালিয়ে পানির মধ্যে থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং জাহাজের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালিয়ে তৃতীয় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিখোঁজ দুই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য বিমান, নৌ ও স্থলবাহিনীর অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, কাইতাইয়া হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া পাঁচ জনের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের গাড়ি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত
অনুসন্ধানের নেতৃত্ব দেয়া নিউজিল্যান্ডের নৌবাহিনীর মুখপাত্র নিক বার্ট এনজেডএমই মিডিয়া কোম্পানিকে বলেছেন, রাত ৮টার দিকে একটি জরুরি সংকেত পাওয়া যায়। রাত ১১টা ৪০মিনিটে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান শুরু করা হয়।
বার্ট বলেছেন, মাছ ধরার নৌকার চালককে উদ্ধার করা হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই, তবে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে পুলিশ।