আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলকে দমন ও দেশে রাজনৈতিককরণের ক্ষেত্র তৈরি করতে সরকার ‘মিথ্যা’ মামলাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাদের বাংলাদেশ ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার প্রয়াস হিসেবে এই মামলা করেছে।’
তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে পরোয়ানা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ইতোমধ্যে গৃহবন্দি করে রেখেছে বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার সহধর্মীনি যিনি রাজনীতির সঙ্গে একেবারে জড়িত নন, তিনি একজন পেশাজীবী মেধাবী চিকিৎসক। শুধু এই পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা নিয়ে আসা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুবাইদা একজন অরাজনৈতিক পেশাজীবী হলেও, জিয়া পরিবারকে সরকার ভয় পাওয়ায় তার (জুবাইদা) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ড, আইন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ দলের সঙ্গে থাকায় বিএনপিকে দুর্বল করার সব প্রচেষ্টাই বৃথা যাবে। এত নির্যাতনের পরও বিএনপি ফিনিক্সের মতো জেগে উঠেছে। জনগণের দল হওয়ায় বিএনপির উত্থান ঠেকানোর কোনো উপায় নেই।
জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য কোন খাদ্য মজুদ নেই
ফখরুল বলেন, সোমবার তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী বছরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ‘আমাদের বৈঠকে মনে হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে যে সরকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য মজুদ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, গত চার মাসে খাদ্যশস্য আমদানি প্রায় ৩৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় বিএনপির নীতিনির্ধারকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের নজিরবিহীন দুর্নীতি, উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মুখে। একইসঙ্গে দুর্নীতি, বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং ডলারের ঘাটতির কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে।’
রিজার্ভ থেকে অনৈতিকভাবে ডলার প্রত্যাহার এবং হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতি বছর ৭/৮ বিলিয়ন ডলার পাচারের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে বলেও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
সারাদেশে সার, বীজের মূল্যবৃদ্ধি ও সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া এবং বিদ্যুৎ ও ডিজেলের অভাবে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যু এক বিরাট ক্ষতি, সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যু শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয়, দেশের জন্যও এক বিরাট ক্ষতি কারণ দলের পাশাপাশি জাতির জন্য তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, তার (সাজেদা চৌধুরী) মৃত্যু শুধু আওয়ামী লীগের নয়, আমাদের দেশ, জাতি ও আমার জন্যও ক্ষতি।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সংসদ উপনেতা মরহুম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমান, ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথসহ সাবেক একাধিক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্টজনের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনের শুরুতে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে আলোচনা শেষে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজেদা চৌধুরী ১৯৭৫ সালের পর অত্যন্ত দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন এবং এগিয়ে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘তিনি দলের আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করতেন এবং সেই কঠিন সময়ে দলকে সুসংগঠিত রাখার চেষ্টা করেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাজেদা চৌধুরী প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকতেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের শাসনামলে জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়া সবার হাতেই নির্যাতিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজেদা চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা, সমাজকর্মী ও সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি ছিলেন।
তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সত্যিই একজন নিবেদিতপ্রাণ আত্মাকে হারালাম।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের কোনো স্থান নেই: প্রধানমন্ত্রী
সাজেদা চৌধুরীকে খালা বলে ডাকতেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জীবন চলার পথে সবসময় তাকে পাশে পেয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নেতৃত্ব, বনায়ন ও পরিবেশসহ জাতির প্রতি তার অবদানের কথা স্মরণ করেন।
রানী এলিজাবেথ-দ্বিতীয় সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের জনগণের কাছে মাতৃত্বের প্রতীক।
রানী এলিজাবেথ-২ কমনওয়েলথ দেশগুলোর প্রতিও আন্তরিক ছিলেন। ‘যখনই আমি কমনওয়েলথ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতাম, রানী আমার সঙ্গে কথা বলতেন এবং আমার খোঁজ খবর নিতেন।’
কমনওয়েলথ দেশগুলোতে নারী নেতৃত্বের সংকট, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে তার উদ্বেগের কথা রানী তার সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
তার স্মৃতি স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রানী একবার তাকে বাকিংহাম প্যালেসের বারান্দায় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সমুদ্রে প্লাস্টিকের দূষণ দেখেছিলেন এবং তাকে বলেছিলেন যে দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
নিয়ম অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের দুই বর্তমান সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হলে সংসদের দিনের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।
ফরিদপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান এবং সংরক্ষিত নারী আসন-১৯ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য শেখ এ্যানি রহমান গত ১১ অক্টোবর মারা যান।
বাকি পাঁচ সাবেক সংসদ সদস্য হলেন সাবেক হুইপ অধ্যাপক খালেদা খানম (সংরক্ষিত নারী আসন-২৩), গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-১০), সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (ঢাকা-৫ ও রংপুর-৬), সাবেক মন্ত্রী আবুল হাসনাত (ঢাকা-৯) ও শাহানারা বেগম (সংরক্ষিত নারী আসন-৪৮)।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলী খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক রণেশ মৈত্র ও তোয়াব খান, কিংবদন্তি গীতিকার, পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, প্রখ্যাত শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী এবং প্রখ্যাত নাট্যকার মাসুম আজিজসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে হাউস গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
এছাড়া সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবি এবং দেশ-বিদেশে সাম্প্রতিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায়ও সংসদ শোক প্রকাশ করেছে।
শোক প্রস্তাব পাসের আগে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, মুহাম্মদ ফারুক খান, এসএম রেজাউল করিম, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য জিএম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ দিতে হবে: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
পায়রা সমুদ্রবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রকল্পের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল জনসমাগম
আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে ঢাকা ও আশপাশের কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নিয়েছেন।
শনিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দুপুর ১২টা থেকে অনুষ্ঠানস্থলে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করে। দুপুর ২টার মধ্যে পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ।
অনুষ্ঠানে বিপুল কাউন্সিলরের উপস্থিতি দেখা যায় এবং দলটির নেতাকর্মীদের রঙিন শার্ট পরে সভায় অংশ নিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ঢাকা জেলার পদপ্রত্যাশী নেতাদের বড় বড় মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে।
এতে উৎসবমুখর পরিবেশ ও আয়োজন উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। ঢাকা জেলা ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত: সাভার, ধামরাই,দোহার,নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ।
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
ছোট বোন শেখ রেহানার সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত নেটিজেনদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের এই মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন জয় করছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে শেয়ার করা প্রধানমন্ত্রী ও তার বোনের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়।
বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংকটময় বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই বিএনপি নেতারা দায়িত্বহীনভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নানা মিথ্যাচারে লিপ্ত।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশ ও জনগণের প্রতি প্রতিটি বিরোধী দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম ও তার দলের নেতারা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন না করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তির স্বাভাবিক রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা তাদের শাসনামলে জাতীয় গ্রিডে এক ইউনিটও বিদ্যুত যোগ করতে পারেনি, তারা আজকের সঙ্কট নিয়ে বিবেকহীন মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সরকারও বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য করা আন্দোলনে জনগণের ওপর গুলি চালায়।
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিশ্ব এখন একটি অপ্রত্যাশিত সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলোও মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশও সংকটের মুখে রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ভুলে যায়নি যে দলটি তার শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এবং সেই সঙ্গে তাদের গণবিরোধী নীতি ও জনগণের তহবিল লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সংকট কাটাতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান কাদের। শেখ হাসিনার গৃহীত সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে ধৈর্য ও দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এই সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি সাম্প্রদায়িক দল এবং পাকিস্তানকে ভালোবাসে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির সময়ে ভারত সফরের প্রাপ্তি কী, আয়নায় দেখতে বললেন ওবায়দুল কাদের
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, তারা বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই, বিএনপির সঙ্গেও নেই।
কাদের বলেন, ‘জাপা যেকোনো দলের বন্ধু হতে পারে, কিন্তু কারও দাসত্ব করবে না।’
রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলি, আমরা দেশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি দেখে অনেকেই মনে করছেন, আমরা অন্য কারো সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা আসলে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করছি। কারো সাথে নাকে খদ দিয়ে রাজনীতি করবো না। কারো দালালী করতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয়।
এসময় কাদের আরও বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম-এ নির্বাচনের বিরোধীতা করছি। আমরা মনে করি, ইভিএম-এ কারচুপির সুযোগ আছে। ইভিএম-এ কারচুপি করে ফলাফল ঘোষণা হলে, চ্যালেঞ্জ করা যায় না।
আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কেউ কেউ মনে করছেন, একটি দল নির্বাচনে কারচুপি করে বিজয়ী হয়ে শর্টকাট পদ্ধতিতে তাদের মন্ত্রী-এমপি করবেন। এটা যারা মনে করেন তারা জাতীয় পার্টির জন্য জীবাণু। তাদের জাতীয় পার্টি থেকে চলে যেতে হবে অথবা সংশোধন হতে হবে। আমরা শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়তে, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো। প্রয়োজনে অপ্রিয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবো না।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতি, দুঃশাসন আর দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের মানুষের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তাই, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় একটি শক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ এখনো জাতীয় পার্টির স্বর্নালী যুগের কথা মনে রেখেছেন। তারা আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতেই রাজনীতি করছি।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান কাটাকাটি করে এক ব্যক্তির হাতে সকল ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা এবং বিচার বিভাগের বেশির ভাগই এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রনে। এটা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না।
এসময় ফখরুল ইমাম এমপি, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন মুক্তি এবং ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, ময়মনসিংহের সকল উপজেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভয়ংকর স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টের জন্য রাজবাড়ীতে মহিলা দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ‘ভয়ানক স্বৈরাচারে’ পরিণত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজবাড়ীতে দুই নাবালক সন্তান রয়েছে এমন এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তার অপরাধ তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কি ঈশ্বর, যে আপনার বিরুদ্ধে কিছুই বলা যাবে না?’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে কারও সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে এবং মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতি তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের দমন-পীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘এই সরকার এমন এক ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসক হয়ে উঠেছে যে পুলিশ আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নাম সংগ্রহ করছে। তারা দেশকে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাই, এই সরকারকে আর সময় দেয়া যাবে না। কেননা তারা জাতির ওপর বোঝা হয়ে দাঁডড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
সম্প্রতি ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) করা মামলায় বুধবার ভোররাতে স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী থানা পুলিশ।
জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আয়োজিত আন্দোলনে ভোলায় নূরে আলম ও আবদুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আবদুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
নয়াপল্টন থেকে বের হওয়া র্যালিটি কাকরাইল ও আরামবাগ মোড় হয়ে একই এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকার যাত্রীরা কয়েক ঘণ্টা যানজটের মুখে পড়েন।
ফখরুল বলেন, যুবসমাজসহ দেশের মানুষ ‘স্বৈরাচারী’ শাসন উৎখাতের শপথ নিয়ে প্রতিদিন জেগে উঠছে। ‘আমাদের মিছিল-সমাবেশে জনগণের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করতে আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি, প্রয়োজনে আরও রক্ত দেব।’
বাংলাদেশের জনগণ যাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের সঠিক তথ্য জানতে না পারে সেজন্য সরকার নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, চুরি ও লুণ্ঠনের সংবাদ ঠেকাতে সরকার ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গণমাধ্যম বা অন্য কাউকে কোনো তথ্য না দেয়ার জন্য একটি সার্কুলার জারি করেছে।
তারা জাতিকে সঠিক খবর থেকে বঞ্চিত করতে চায়।
এর আগে সোমবার আইসিটি বিভাগ সংবেদনশীল ডেটার সুরক্ষার জন্য ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের অধীনে ২৯টি সংস্থাকে ‘সমালোচনামূলক তথ্য অবকাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যার অধীনে কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস বা নেটওয়ার্কগুলিতে কোনও অবৈধ অ্যাক্সেস একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী
যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এবং বিদেশে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার চালায় তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির এক হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতা-কর্মীদের ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি তার এই আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, কিছু সংগঠন যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, তারা দুই পলাতক ভারতীয় ও এখন বিএনপির মিছিলে দেখা যায় এমন কিছু ব্যক্তির নামের তালিকা (জোরপূর্বক গুমের শিকার অভিযোগে) দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি শাসনামলের অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরুন: প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কিছু বাংলাদেশি বিভিন্ন অপকর্ম করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এবং তারা এখন বিদেশে বড় ভাঁড়ে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নির্মিত ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধার জন্য কিছু লোক প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যা খুশি বলছে… তাদের যথাযথ উত্তর দেয়ার জন্য আপনাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা অভিযোগ এনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই তাদের কাজ।
প্রধানমন্ত্রী জানান, যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও তাদের সন্তানরা রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন যে যুক্তরাষ্ট্র মানবতা ও মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলে, তারা কীভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিতে পারে যারা নারী ও শিশুকে; এমনকি চার বছরের শিশুকেও রেহাই দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বারবার অনুরোধ করে।
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু তার সরকার সবধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তা সম্পন্ন করে বিশ্ব অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বলেন।
তিনি বলেন, এখন যে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে তার পাসপোর্ট ব্যবহার করে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রবাসীদের বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগসহ নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও বিএনপির দেয়া অবরোধ (২০১৪ সালের নির্বাচনের পর) এখনও প্রত্যাহার হয়নি, তবুও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার ভরামুহুরীস্থ বাসা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল চকরিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
স্বজনরা জানিয়েছেন, বুলবুল তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রামের বাসায় থাকেন। তবে,বর্তমানে পরিবারের অন্য সদস্যরা দেশের বাইরে আছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর হোটেল থেকে ব্রিটিশ নাগরিকের লাশ উদ্ধার
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান,পরিচিতরা জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর বুলবুলকে কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে না। এতে সন্দেহ হলে তার বাসায় গিয়ে দেখা যায় দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে বাসার বাথরুমে তার লাশ পড়ে থাকা অবস্থায় পায়। এরপর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে দুই-তিন দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশটি অনেক ফুলে গেছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গলায় কলসি বাঁধা অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধার
করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে,নাহলে লাঠি দিয়ে আত্মরক্ষা হবে না।শুক্রবার বিকালে টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে,সমাবেশ,মিছিল-মিটিং সুশৃঙ্খল হতে হবে; শান্তিপূর্ণ হতে হবে। কোনক্রমেই মানুষের জানমালের ওপর হুমকি বা ঝুঁকি সৃষ্টি করা যাবে না। কিন্তু আমরা দেখছি,বিএনপি সমাবেশ করে মানুষের জানমালকে হুমকিতে ফেলছে, সমাবেশ করতে এসেই পুলিশের উপর আক্রমণ করছে। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিএনপিকে নিবৃত্ত করার জন্য। আমি অনুরোধ করব আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ, মিছিল- মিটিং করেন, নাহলে লাঠি দিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, যে কোন মানুষের, সে সরকারি দলের হোক বা বিরোধী দলের হোক, নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশের-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। বিএনপি যদি মনে করে তারা লাঠি দিয়ে আত্মরক্ষা করবে, তাহলে তারা ভুলপথে আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ২০১৩ সালে আবার ফিরে যেতে চাচ্ছে। তারা নির্বাচনে যাবে না, বরং গাড়িতে আগুন দিবে, ট্রেনে আগুন দিবে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারবে, বিদ্যুতের লাইন তুলে ফেলবে। আমরা কোনক্রমেই এটা করতে দিব না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করবে। আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন অনেক সুশৃঙ্খল ও সক্ষম।
এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও দায়িত্ব পুলিশকে সহযোগিতা করা।
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, সংসদ সদস্য ছোটোমনির, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন এবং জেলা ও শহর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী