আওয়ামী লীগ
মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে আ. লীগের আয় ৪ দিনে ১৬.৮১ কোটি টাকা
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মাত্র ৪ দিনে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করে মোট ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
যার অর্থ দাঁড়ায়- শুধু মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে দলটি প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করেছে, যদিও গত দুই দিনে ধীরগতি দেখা গেছে। প্রথম দিন শনিবার থেকে ব্যাপক বিক্রি শুরু হওয়ায় দলীয় কোষাগারে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা জমা পড়ে। এরপর রবিবার ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে দিয়ে আরও লাভজনক একটি দিন পার হয়।
তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, দেশের ফ্ল্যাগশিপ উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতু থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনে (২৬ জুন, ২০২২) মাত্র ২.০৯ কোটি টাকা টোল আদায় হয়। প্রথম ৪ দিনে মোট আদায়ের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি টাকার উপরে। ২০২৩ সালের ২৮ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগে ৭৩০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৯টি, খুলনায় ৪১৬টি, রাজশাহীতে ৪০৯টি, রংপুরে ৩০২টি, ময়মনসিংহে ২৯৫টি, বরিশালে ২৫৮টি এবং সিলেট বিভাগে ১৭২টি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৮ নভেম্বর) তার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, মনোনয়ন ফরম বিক্রির সংখ্যা কমে গেলেও ২০১৮ সালের তুলনায় আওয়ামী লীগ অনেক বেশি আয় করেছে, সেসময় তারা ৪ হাজার ১০০ ফরম বিক্রি করে ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকা আয় করেছিল।
আরও পড়ুন: আবারও নড়াইল ২ আসনের আ. লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন মাশরাফি
মূলত বর্ধিত আয়ের পেছনে রয়েছে মনোনয়ন ফরমের ফি বৃদ্ধি। ২০১৮ সালে প্রতিটি ফরমের দাম ছিল ৩০ হাজার টাকা, এ বছর তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এ বছর মোট ৩ হাজার ৩৬২টি ফরমের মধ্যে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১২১টি ফরম।
২০২৫ সালে ক্রিকেট থেকে অবসরের পরিকল্পনা করা ক্রিকেট সুপারস্টার সাকিব আল হাসানের মতো সেলিব্রিটিদের আকৃষ্ট করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে। ২০২৯ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের মেয়াদের সংসদ নির্বাচনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার প্রতিনিধিরা মাগুরার দু’টি ও ঢাকার একটি আসনে মোট ৩টি মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
গত ১৯ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।
ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) তিনি জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৬টায় দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অপরাধীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিদিন অরাজকতায় লিপ্ত হচ্ছে। তারা গণপরিবহনে আগুন দেওয়া অব্যাহত রেখেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন: তারেক ও বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে বা পুলিশ চেকপোস্টের কাছে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটার পর অপরাধীরা সহজেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এসব অগ্নিসংযোগ রোধে বা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে যে, দেশজুড়ে চলমান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ক্ষমতায় থাকা অপশক্তি জড়িত।’
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের ‘ক্যাডার’ ও তাদের অধীনস্থ পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যানবাহনে আগুন দিচ্ছে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে এবং পোড়া যানবাহনের চালক বা সহকারীদের বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে পুলিশ বা ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা অগ্নিসংযোগের জন্য কীভাবে দায়ী।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অগ্নিসংযোগকারী কয়েকজনকে হাতেনাতে আটক করলেও পরে তারা ক্ষমতাসীন দলের সদস্য হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয় হয়।
সারাদেশে পুলিশ বা র্যাবের শত শত টহল দল এবং কয়েকশ প্লাটুন সশস্ত্র বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সুসংগঠিত পুলিশ টহল রয়েছে।
বাংলাদেশ এখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বিরোধী দলের সদস্যরা যে কোনো ধরনের সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগ চালাতে পারে বলে দাবি করা হাস্যকর।
রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল উপস্থিতির উদ্দেশ্য হতে পারে আওয়ামী ক্যাডারদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে তারা অবাধে যানবাহনে আগুন দিতে পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে পারে এবং দেশে নৈরাজ্যের প্রেক্ষাপট সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য রাস্তায় সহিংসতা করছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ হত্যা, জনগণের সম্পদ ধ্বংস, বিরোধী দলের উপর দোষ চাপানো এবং মিথ্যা মামলায় বিভিন্ন দল ও মতামতকে দমন করার নোংরা রাজনীতির আমরা ঘৃণার সঙ্গে নিন্দা জানাই।’
রিজভী দাবি করেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪৭৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে সারাদেশে নতুন করে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।
গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির এটি ষষ্ঠ ধাপ।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য এই অবরোধ।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সংকট চরমে, জনগণ প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত: রিজভী
জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৮ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রির উদ্বোধন করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ গোপালগঞ্জ-৩ আসনে প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: আজ আ. লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। এদিকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সব বিভাগের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অতিরিক্ত জনসমাগম ছাড়াই নিজেরাই অথবা প্রার্থীদের যোগ্য প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চান: বিএনপি-জামায়াতকে প্রধানমন্ত্রী
আজ আ. লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিক্রির উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রির উদ্বোধন করবেন তিনি।
৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
শনিবার গভর্নিং কমিটির সভা শেষে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। এদিকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সব বিভাগের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অতিরিক্ত জনসমাগম ছাড়াই নিজেরাই অথবা প্রার্থীদের যোগ্য প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম অনলাইনে পাওয়া যাবে।
এ জন্য ‘স্মার্ট নমিনেশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে ক্ষমতাসীন দল।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর বা আইওএস অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড ও ইনস্টল করা যাবে।
এ ছাড়া, nomination.albd.org ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনেও মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনে ফর্ম পূরণ এবং জমা দেওয়ার জন্য, প্রথমে একজন মনোনয়নপ্রার্থীকে অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং নিবন্ধন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লগ ইন করার পর, নিয়মানুযায়ী ইলেকট্রনিকভাবে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে মনোনয়ন ফরম পূরণ ও জমা দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ
আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ
আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহকে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
শেখ হাসিনা স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ
শনিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ
আগামী শনিবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করবে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার গভর্নিং কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে বুধবার (১৫ নভেম্বর) ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কেউ বাধা দিতে পারবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে।
এদিকে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সব বিভাগের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিজেরাই বা প্রার্থীদের যোগ্য প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কোনো অতিরিক্ত জনসমাবেশ ছাড়াই আবেদনপত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর, যেখানে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
জাতির উদ্দেশে টেলিভিশন ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।
আরও পড়ুন: এখন সংলাপের আর সুযোগ নেই: কাদের
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
একদিন বিরতির পর বুধবার থেকে সারাদেশে ফের ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে দফায় দফায় অবরোধ দিচ্ছে বিএনপি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল; যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানান রিজভী।
এটি হবে বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির পঞ্চম ধাপ।
আরও পড়ুন: অবরোধ: সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় দিনের অবরোধ চলছে
একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
অসম্পূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: শেখ হাসিনা
অসম্পূর্ণ উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পন্ন করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসছে এবং আমি চাই আপনারা নৌকায় (আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিন। যাতে আমরা আবার আপনাদের সেবা করতে পারি এবং অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারি।’
এদিন বিকালে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের টাউনশিপ মাঠে আওয়ামী লীগের মহেশখালী উপজেলা শাখার আয়োজনে এক জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে টানা তিন মেয়াদে সরকার গঠন করেছে।
তিনি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এটা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি। আমরা মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছি এবং খুব শিগগিরই মূল্যস্ফীতির হার কমবে। মানুষ আরও ভালো জীবনযাপন করতে পারবে।’
তিনি সবাইকে তাদের জমির প্রতিটি ইঞ্চি কৃষিকাজে ব্যবহার করার এবং যতটুকু সম্ভব উৎপাদন করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘দয়া করে এক ইঞ্চি জমিও কৃষি উৎপাদন ছাড়া খালি রাখবেন না। আমাদের নিজেদেরই দেশের উন্নয়ন করতে হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন এবং জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা তার দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন সবার কাছে দৃশ্যমান: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দিয়েছিলেন এবং তার আদর্শ ও পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সে লক্ষ্যে জনগণকে নৌকায় ভোট দিতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু আওয়ামী লীগই পারে, আর কেউ পারবে না। অন্যদের দেশপ্রেম এবং জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
সাধারণ মানুষের ওপর ফের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপি ও তার সহযোগীদের কড়া সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের মধ্যে যদি মানবতা থাকে, তাহলে সে কাউকে জীবন্ত পোড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘তাদের একমাত্র কাজ হলো মানুষকে জীবন্ত পোড়ানো এবং সম্পত্তি ধ্বংস করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাই জনগণকে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি জানান, গণমানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে যে কোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে আমার বাবার মতো রক্ত দিতে প্রস্তুত আমি। আমার একমাত্র কাজ হলো আপনাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা।’
মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং মহেশখালী ও কুতুবদিয়া আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সংলাপের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে হবে: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক
সংলাপের মাধ্যমেই দেশে চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমস্যা সমাধান করতে হবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি আবার পুরোনো চেহারায় ফিরছে। দুই মাস পরে নির্বাচন। এভাবে কি চলতে থাকবে? এর সমাধান তো রাজনীতিবিদদের হাতেই আছে।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচনে বিদেশিরা ভূমিকা রাখতে পারবে না: রাজ্জাক
আলোচনার মাধ্যমে কি এর সমাধান করা যায় না- জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারা পৃথিবীতে অনেক সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে। সংলাপের তো কোনো বিকল্প নেই। সেটি আমাদের করতে হবে। আমরাও বলি এবং আমরাও মনে করি সংলাপের মাধ্যমেই আমাদের এ সমস্যা সমাধান করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু আপনি যদি দরজা বন্ধ করে... যেমন ইসরায়েল তারা তো কোনোদিনই সংলাপের মাধ্যমে এটার সমাধান করবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে ইসরায়েল শুরু হয়েছে সেই থেকেই তারা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছে। দেখেন মানবতার কী ধরনের বিপর্যয়।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যদি বলে যে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এ সরকার থাকলে নির্বাচনে যাবে না। এই নির্বাচন কমিশনের আওতায় তারা নির্বাচন করবে না- এই দুটি কথা তারা এমনভাবে বলেছেন, এখানে আলোচনা করে কী হবে!
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ তো এই মুহূর্তে নেই। কাজেই সেটা তো হবে না। নির্বাচন কমিশন তো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই করা হয়েছে। সেই নির্বাচন কমিশন না থাকলে নির্বাচন হবে কেমনে!
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকার গঠন করে কার্যকর করতে হবে, সংসদ বসতে হবে। এই বেসিক ইস্যুগুলো তারা যদি মেনে নিত, তখন আমরা অবশ্যই তাদের সঙ্গে বসে কীভাবে নির্বাচনটা সুন্দর করা যায়, কোন কোন এসপি বা ডিসিকে সরাতে হবে সেটা যদি বলে বা অন্য কোনো প্রস্তাব দেয় সেটা আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করা যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে, পালানোর জায়গা পাবে না- প্রতিদিন এ কথা বললে কি সংলাপ হবে? সেই সংলাপ তো ফলপ্রসূ হবে না। আমরা সংলাপের বিরুদ্ধে না কিন্তু দরজা বন্ধ করে দিয়ে তো সংলাপ করা যাবে না।
তারা তিন দিনের অবরোধ দিয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, এ পরিস্থিতিতে আমরা রাজনৈতিকভাবে এটা মোকাবিলার চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে আছে প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার সভা-সমাবেশ করার, বিক্ষোভ করার; কিন্তু বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা, হিংস্রতা, তারা যে সন্ত্রাসের পথে যাচ্ছে আমি মনে করি এটা জাতি কোনো দিনই অনুমোদন করে না। এমনিতেই মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। কাজেই শত সহিংসতা করেও তারা সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, ইনশাআল্লাহ নির্বাচন হবে এবং আমি মনে করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে একটা মুহূর্তে তখন তারাও নির্বাচনে আসবে। তারা আন্দোলনে সফল হতে পারবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের যে ভিত্তি, ইচ্ছা করলে আওয়ামী লীগের মতো সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না।
আরও পড়ুন: কৃষি বিজ্ঞানীদের জন্য আজ বাংলাদেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে: রাজ্জাক
কীসের ওপর ভিত্তি করে বলছেন বিএনপি নির্বাচনে আসবে- এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তাদের প্রস্তুতি আছে, তারা বড় দল। আমরা আন্দোলন করেছি তারাও করছে।
তিনি বলেন, যখন স্বীকার করবে নির্বাচন করবে, আলাপ-আলোচনা করে তারাও মনোনয়ন দেবে। এমন তো না যে তারা নতুন ক্ষমতায় আসছে, তারা তো আগেও ক্ষমতায় ছিল। কাজেই তাদেরও প্রস্তুতি আছে।
২০১৪ সালের তফসিলের পর নির্বাচনকালীন সরকারের সর্বদলীয় সরকারের একটা বিষয় ছিল। এবারও সেটা হবে কি না- জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মনে হয় না এই ধরনের... মূল বিষয় যেটি যে এই সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে কি না, সেটা হলে এগুলোর বিষয়ে আলোচনা করা যাবে।
তিনি বলেন, সেগুলো আমি এই মুহূর্তে বলব না রাজনৈতিক কৌশলের কারণে। আমি অকপটে বলছি। বেসিক সমস্যাগুলোর যদি সমাধান হয়, তখন এগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন বিবেচনা করবেন।
২৮ অক্টোবর বিএনপি'র বিরাট সমাবেশ ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ সমাবেশ থেকে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে দিল। আমার বাসাও প্রধান বিচারপতির বাসার কাছে আমি আমার বাসা থেকে সব দেখেছি। আমার বাসার স্টাফরাও ছিল।
তারা বলেছে, এটা প্রধান বিচারপতির বাসা। ওরা বলছে এটাই আগে ভাঙতে হবে। বিচার করে করে আমাদের লোকজনদের ফাঁসি দিছে বিচারপতিরা। তারা জেনে সুপরিকল্পিতভাবে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। যারা করেছে তারা রাজনৈতিকভাবে বিএনপির প্রথম লাইনের কর্মী এবং তারা সচেতন।
দেখেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়েছে, এটা কেবল শুরু এর থেকেও ভয়ংকর হবে অপেক্ষা কর।
বিএনপি ফের সহিংসতা করলে কঠোর হস্তে এটা মোকাবিলা করা হবে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পৃথিবীর কোথাও নেই যেখানে পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়। পুলিশের গাড়ি পোড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে সরকার: ড. রাজ্জাক