আওয়ামী লীগ
বিরোধীদের ৩ দিনের অবরোধ শুরু মঙ্গলবার থেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদেশে তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী হত্যা, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই অবরোধ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তদারকির জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসন গঠনের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একযোগে অবরোধ পালন করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসী ও অনুসারীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সড়ক, রেল ও নৌপথে তিন দিন আমাদের সর্বাত্মক অবরোধ পালন করা হবে।’
অবরোধের প্রকৃত ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ, উপজেলার সঙ্গে জেলার যোগাযোগ এবং ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ করা হবে।
তবে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন তিন দিনের অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ লেবার পার্টি ও এনডিএম পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রবিবার সন্ধ্যায় সারাদেশে টানা তিন দিনের অবরোধের পালনের ঘোষণা দেন।
সোমবার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম একই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতালের ঘোষণা দেয় বিএনপি। বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনার মধ্যে এই হরতাল পালন করে, যাতে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং পরে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশটি মাঝপথে ভেস্তে যায়।
শনিবারের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
গাজীপুরে পঞ্চম দিনের মতো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
বিএনপির শনি ও রবিবারের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য শনি ও রবিবারের হামলা বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত।
তিনি বলেন, ‘শনি ও রবিবারের হামলা বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত। তারা দীর্ঘদিন ধরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে বিএনপি গোপনে তাদের সন্ত্রাসী রাজনীতির স্টাইল বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা তাদের পুরনো পথ, তাদের ভয়ংকর রাজনীতিতে ফিরে আসতে সময় নিচ্ছিল। সময়মতো তারা তাদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ বেছে নিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা দেশের বিচার বিভাগের অবমাননা।
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই দিনে তারা কী করেনি? বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াত জোট আবারও নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।’কাদের বলেন, বিএনপি ও তাদের জোট গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী না হওয়ায় সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করছে।তিনি আরও বলেন, ‘‘গতকাল প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংস হামলা ও একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি তারেক রহমানের 'টেক ব্যাক' ফর্মুলার অংশ।’’
আরও পড়ুন: সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
আহত পুলিশ ও সাংবাদিকদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান আ.লীগের প্রতিনিধি দল
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের খোঁজখবর নিতে শনিবার হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি।
শনিবার রাত ৮টার দিকে তারা প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে রাত ৯টার দিকে তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ শনিবার বিকালে সংঘর্ষে নিহত কনস্টেবল আমিনুল পারভেজের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং হত্যার ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা রাজধানীতে হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়, একটি হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাননি আমাদের ৪ নেত্রী। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
শর্তসাপেক্ষে আ. লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) শনিবার যথাক্রমে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট ও নয়াপল্টনে ২০টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্স শুক্রবার রাতে উভয় দলকে এ সংক্রান্ত পৃথক চিঠি দিয়েছে।
চিঠিদ্বয়ে অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি অনুমতি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
ডিএমপি'র শর্তে বলা হয়েছে, ডিএমপি শুধুমাত্র দুপুর ১২টার পর জনসমাগম করার অনুমতি দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে, সমাবেশ থেকে কোনো উস্কানিমূলক বা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়া যাবে না, ব্যানার বা ফেস্টুন বহনের নামে নেতা-কর্মীদের লাঠি বা রড বহন করতে দেওয়া হবে না। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে আয়োজকরা দায়ী থাকবেন।
এর আগে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সমাবেশ: বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু
শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
বিএনপি প্রকাশ্যে সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রকাশ্যে সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি চায়। তবে আমাদের শান্তি সমাবেশে হামলা হলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বসে থাকবে না। আওয়ামী লীগ জনগণের জানমাল রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমরা বিএনপির কর্মসূচিতে তাদের আক্রমণ করতে যাব না। তবে আমাদের সমাবেশে হামলা হলে আমরা প্রতিহত করব এবং প্রতিশোধ নেব।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নয়, ধ্বংসের জন্য লড়াই করছে বিএনপি: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা নির্বাচনকালীন শান্তি চাই। আমরা নির্বাচন-পূর্ব সময়েও শান্তি চাই। সরকার অশান্তি হতে দেবে না।’
কাদের বলেন, ‘কেন আমরা উত্তেজিত করব? আমাদের কাউকে উসকানি দেওয়ার দরকার নেই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দেশ চালাতে চাই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বিদেশি চাপের বিষয়ে অবহিত নই। আমাদের নির্বাচন আমরা করব। বন্ধু দেশ হিসেবে তারা নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কি না- তা পর্যবেক্ষণ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: রাস্তা দখল ও অবরোধের হুমকি দিয়ে বিএনপির ইচ্ছা পূরণ হবে না: কাদের
সারাদেশে পূজামণ্ডপে পাহারা দিন: আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি কাদের
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে নির্বাচন আসছে। বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। অতীতে তারা কীভাবে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করেছে তা জনগণ দেখেছে। তাই জনগণ বিএনপির ডাকে এখন আর সাড়া দিচ্ছে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে। বিএনপি এখন হুংকার দিচ্ছে সব অচল করে দেবে বলে। আবার অগ্নিসন্ত্রাস করবে, মানুষ হত্যা করবে। এসব হুমকি এদেশের মানুষ পছন্দ করে না। এদেশের মানুষ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে প্রত্যাখ্যান করেছে। কাজেই যদি বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যার মতো কিছু করতে চায় তবে জনগণই তাদের প্রতিহত করবে।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে: ফখরুল
বিএনপির গায়েবি মামলার অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাদের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিরাই তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতি বছরই সারাদেশে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। এবছরও বেড়েছে। মণ্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ৬ লাখ আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও মণ্ডপ কমিটিগুলোকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও সেচ্ছাসেবক রাখার জন্য।
তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করছেন পূজাকে কেন্দ্র করে কিছু একটা হতে পারে। তবে আমরা মনে করি কিছুই হবে না। শান্তিপূর্ণভাবেই পূজা শেষ হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমিও আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যেই অন্যায় কিছু করবে, তার বিরুদ্ধে বিচারিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান।
মতবিনিময় শেষে উপজেলা প্রশাসন আর্ট স্কুল উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে শ্রী শ্রী রাধা মদনমোহন জিউর আখড়া পরিদর্শন করেন তিনি।
বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মঞ্চ প্রস্তুত
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করল আওয়ামী লীগ
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে তাকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে কোনো ধরনের আদর্শ ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার শর্তে ক্ষমা চাওয়া আবেদনকারীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।
দলীয় নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকেও (জাহাঙ্গীর আলম) ক্ষমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার পঞ্চগড়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা
এতে বলা হয়, তবে ভবিষ্যতে মতাদর্শবিরোধী বা সংগঠনবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
সারাদেশে পূজামণ্ডপে পাহারা দিন: আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি কাদের
দুর্গাপূজা চলাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপ ও বাসস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশের দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়টি দলের নজরে এসেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খবর পেয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা পুরো পরিস্থিতি তদন্ত করছি। দায়ী যে কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরও ১০ ডিসেম্বরের মতোই পরিণতি বয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত: কাদের
অবরোধ করলে বিএনপি অবরুদ্ধ হবে: ওবায়দুল কাদের
জনগণ যতক্ষণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, কোনো আলটিমেটাম বা বার্তা দিয়ে লাভ হবে না: কাদের
আ. লীগ নেতারা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে পারবে না ভেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, 'পুলিশকে ব্যবহার করে দেশে আর নির্বাচন হবে না। দেশের মানুষ তা হতে দেবে না। আমরা শুনেছি তাদের (আওয়ামী লীগের) অনেক নেতা-কর্মী দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন। ’
তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের আরও অনেক নেতা যেকোনো সময় দেশ ছাড়ার জন্য পাসপোর্টে ভিসা সংগ্রহ করেছেন।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা খুব ভালো করেই জানেন যে, জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দেবে না। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে শুধু পুলিশই ভোট দিতে পারে, কিন্তু ভোটাররা তা করবে না।
আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পুলিশের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এবার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে না। জোর করে আগামী নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে যে কোনো সময় দেশ ছাড়তে পারে বলে তাদের ভিসা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, একতরফা নির্বাচন করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ও বৈশিষ্ট্য।
তিনি বলেন, দেশের মালিকানা ফিরে পেতে এবং আওয়ামী লীগের ছিনিয়ে নেওয়া ভোটাধিকার ফিরে পেতে জনগণ জেগে উঠেছে।
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে বুধবার রাজধানীতে দলের জনসভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, সরকার আমাদের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার অপকৌশল নিয়েছে। কিন্তু তারা কী অর্জন করেছে? গতকাল (বুধবার) নয়াপল্টনে সরকারের সব বাজে কৌশল ব্যর্থ করে গণজোয়ার সৃষ্টি করা হয়েছে।
তিনি বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত: কাদের
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোন দুঃখে পদত্যাগ করবেন? তত্ত্বাবধায়ককে আর ডাকবেন না। বিএনপি যে পথে চলছে, সেই পথ ভুল পথ। ব্যর্থ আন্দোলন করতে করতে বিএনপি এখন পতনের দিকে যাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টেবর) সকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে ১৫০টি সেতু ও ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন শেষে কাদের এসব কথা বলেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতা তার বক্তব্যে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই রূপান্তর বিশ্বের বিস্ময়। যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃজনশীল নেতৃত্বের কল্যাণে। কিন্তু একটি দল দেশের এই উন্নয়ন নিয়ে বিষোদগার করে।
আরও পড়ুন: অবরোধ করলে বিএনপি অবরুদ্ধ হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, এদেশের উন্নয়ন, এদেশের অর্জন, এদেশের গণতন্ত্রকে যদি রক্ষা করতে চান, দেশকে ভালোবাসতে চান, তাহলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘তারা কি দেখে না যে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জি-টোয়েন্টিতে (শেখ হাসিনার সঙ্গে) এবং নিউইয়র্কেও ছবি তুলেছেন।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের