বিএনপি
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অভাবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামির অভিযোগ আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেনেশুনে পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হত্যার চক্রান্ত করছে। তারা আমাদের নেত্রীকে হত্যা করতে চায়।’
২০১৪ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত ‘একতরফা’ দশম সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি শাখা আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, দলমত নির্বিশেষে মানুষ যখন খালেদাকে বিদেশে পাঠাতে চায়, তখন বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেখানে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছেন না।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি উন্নত চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তাদের প্রত্যেককে (সরকারের) হত্যা মামলার আসামি করে বিচার করা হবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতি ও বিএনপি প্রধানকে অপসারণের নীলনকশা' হিসেবে 'মিথ্যা' মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ হবে: বিএনপি
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়াকে এখনই বিদেশে পাঠানো জরুরি, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা আইনের অজুহাতে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। মানুষের জীবনের চেয়ে কোনো আইন বড় হতে পারে না।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে দেশ, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে তার অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে অবিলম্বে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই তাদের রাজনীতি। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে সাথে নিয়ে বিএনপি অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে।
সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবনে এক ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপি নেতারা এতটাই অন্ধ ও বধির যে, বহু আগেই জনগণ তাদের পতন ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে, তা তারা শুনতে পায় না।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রয়েছে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আন্দোলন আর নির্বাচনে চরম ব্যর্থতায় কি তাদের শেষ ঘন্টা বাজেনি?
বিএনপির কথা ও কাজে মিল নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি তাদেরই রাজনীতির অন্যতম প্রধান বাধা।
জনগণ কি চায়, কি চায় না - তার মানদণ্ড বা পরিমাপক হচ্ছে নির্বাচন এমনটা মনে করে ওবায়দুল কাদের বলেন একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
আরও পড়ুন: সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচনের বাইরে গিয়ে অন্য কোন চোরাগলি খোঁজা গণতন্ত্রে সংবিধান সম্মত নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এসকল অপতৎপরতা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীতে অবস্থান করছে।
এসময় ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে কথামালার ফেনায়িত তরঙ্গ না তুলে নির্বাচনমূখী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণ চাইলে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে।
বিএনপির বিভিন্ন জেলার কর্মসূচিতে সরকার নাকি বাধা দিচ্ছে, বিএনপির এসব অপপ্রচার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাধা তো নয়ই বরং সরকার সহযোগিতা করেছে। সরকার সহযোগিতা না করলে এ পর্যন্ত ৩২ জেলায় সমাবেশ করতে পারতো কি?
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, জঙ্গীবাদ উদ্বুদ্ধ করতে: ওবায়দুল কাদের
কক্সবাজারে বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি
কক্সবাজার শহরে একই জায়গায় বিএনপি ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বিএনপি অফিস ও শহীদ মিনার পাশাপাশি অবস্থিত।
রবিবার রাতে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান। পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রাতে শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি মাইকিং করে জেলা প্রশাসন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কক্সবাজার শহীদ সরণি সড়কে বিএনপি অফিসের সামনে সোমবার দুপুর ১টায় এই সমাবেশ ডেকেছিল কক্সবাজার জেলা বিএনপি। একই সময় পাশের শহীদ মিনারের সামনে কক্সবাজার জেলা যুবলীগও সমাবেশের ডাক দেয়।
বিএনপির সমাবেশে অংশ নিতে ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজারে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়লো আইএমও’র স্বাস্থ্য কেন্দ্র
নারী পর্যটকের জন্য কক্সবাজার সৈকতে বিশেষ জোন
চাঁদার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
সংলাপে গেলে বিএনপির জন্যই ভালো: আইনমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশন ( ইসি) গঠনে বিএনপিকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিএনপির উদ্দেশ্যে এই কথাই বলতে চাই যে দেখেন দেশ হচ্ছে সবার ঊর্ধ্বে, দেশের স্বার্থে আপনারা যদি এই সংলাপে আসেন, সেটা আপনাদের জন্য ভালো হবে, সকলের জন্য ভালো হবে। সেটা যদি না করেন, সেটা অপনাদের সিদ্ধান্ত।
রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের গঠনে আইনের সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে আইন করার সুযোগ নেই। আইন হবে না এই কথা তো আমি বলিনি। আমি বলেছি, এই আইনটা হবে। এই আইনটা এমন একটা আইন হওয়া উচিত। যেটা গ্রহণযোগ্য হবে সকলের কাছে। শুধু এক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে তো এটা সার্বজনীন আইন হলো না। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, এটা আইন হবে। কিন্তু এই যে কমিশন তা সংলাপের উপর নির্ভর করবে। দেখা যাক কী হয় ।’
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ কাজে আসবে না বলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খানের মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই ব্যাপারে দুটো কথা বলব। একটা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা আছে, বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন। আমার মনে হয় তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি এটা করতেই পারেন।’
আরও পড়ুন: সরকার আইনের বাইরে কোনো কাজ করতে পারে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আর আমি আপনাদের বলব এই সংলাপ ব্যর্থ হচ্ছে না, সফল হচ্ছে, এই সংলাপ শেষ হওয়ার পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নেন সেটা দেখার পর আপনারা বুঝবেন। সেই পর্যন্ত আপনাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘অনেকে বলেন টক্সিক সিচুয়েশন, এই টক্সিক সিচুয়েশন ওনারা যদি মনে করেন, এটা টক্সিক সিচুয়েশন, তাহলে ওনাদের আমার মনে হয় টক্সিক সিচুয়েশন থেকে বেরুনোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সংলাপে গেলে আমার মনে হয় সেটা পজিটিভ হবে।’
চলমান মামলার জটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মামলার জট বেড়েছে। করোনার কারণে আরও বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ভার্চুয়্যাল কোর্ট আইন করে দুই লাখ মামলা নিষ্পত্তি করতে পেরেছি। এই আইন না করলে এই দুই লাখ মামলা যুক্ত হত। এখন যেসব মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে সেটাই আছে। আমরা কিছুটা হলেও কমাতে পেরেছি,’ যোগ করেন তিনি।’
নতুন বছরে সরকারের জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জগুলো আগেই করে ফেলেছিলাম। চ্যালেঞ্জ ডেলিভারির সময় হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু প্রায় কমপ্লিট। যেসব মেগা প্রজেক্ট নেয়া হয়েছিল সবগুলো ডিসেম্বর বা জুনের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। মেগা চ্যালেঞ্জ যেগুলো সেগুলো তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারকার ডেলিভারি করার জন্য প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে দ্রুত আইন প্রণয়নের প্রস্তাব নাকচ আইনমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে সব সময় যেটা চ্যালেঞ্জ আমরা জনসেবায় বিশ্বাস করি। সেবার মান উন্নয়ন ও সেবা জনগণকে পৌঁছে দেয়াটাই আমাদের কাজ এবং সেই কাজ করাটাকেই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করি। আমাদের সব প্রোগ্রামই জনবান্ধব। জনবান্ধব প্রোগ্রামগুলো যাতে জনসেবা করে জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া যায় সেটাই আমরা চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাকে বিদেশ পাঠানো হবে, কাকে বিদেশ পাঠানো হবে না দ্যাট ইজ নট দ্য প্রায়োরিটি। প্রায়োরিটি হচ্ছে যে সেবাগুলো জনগণের অনেক আগে পাওয়া উচিত ছিল সেই সেবাগুলো দেয়ার জন্য শেখ হাসিনা ক্ষেত্র প্রস্তুত করে আজ পৌঁছে দেয়ার মত সময় এসেছে, আমরা পৌঁছে দেব। ’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সত্যিকারে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নত দেশ হবে, সেই উন্নত দেশ করার জন্য যা যা করার সেগুলো আমরা করতে প্রস্তুত হব, চালিয়ে যাচ্ছি, সেসব করার জন্য আরও জোরালোভাবে এগুতে হবে সেগুলো আমরা গ্রহণ করব। আমার মনে হয় পাঁচ বছর পূর্ণ হলে যে নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে অবশ্যই জনগণ এটা বুঝবে যে কারা তাদেরকে সেবা করেছে আর কারা নিজেদেরকে সেবা করার জন্য বক্তব্য দিয়েছে। আমার মনে হয় না সেখানে জনগণ ভুল করবে।’
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
২০২২ সালে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ হবে: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দল আশা করছে, নতুন বছর ২০২২ সাল বাংলাদেশে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ হবে।
শনিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, আশা করছি ২০২২ সালের এই নতুন বছরে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে এবং আমাদের দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হবেন। অবশ্যই আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: ফিরে দেখা ২০২১: আগের মতো এবারও জনমত গঠনে ব্যর্থ বিএনপি
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা
ফখরুল বলেন, উন্নত চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়া হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার রাজনৈতিক ‘প্রতিহিংসা’র বশবর্তী হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কারাবন্দি করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার আইনের জন্য না। বরং প্রতিশোধ নিতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে দেশে এমন পরিবেশ তৈরি করেছেন যাতে খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার কোনো সুযোগ না পায়।
তিনি বলেন, তারা চায় আমাদের চেয়ারপার্সন গুরুতর অসুস্থতায় ভুগে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান।
ফখরুল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সঠিক চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে, সরকার এর জন্য দায়ী থাকবে।
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং আমাদের নেত্রীর (খালেদা জিয়ার) বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চলমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আজ (শনিবার) শপথ নিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা ২০২২ সালে সফল হব।’
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
‘অর্থহীন’ সংলাপ
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের চলমান আলোচনাকে অর্থহীন মহড়া বলে মনে করে তাদের দল।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি বর্তমান সংকট, নির্বাচন কমিশন গঠন বা আইন প্রণয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। প্রধান সংকট নির্বাচনকালীন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অর্থপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ ইসি পরিচালনা করতে হবে।
এর আগে গত সপ্তাহে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ইসি পুর্ণগঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষ: বিএনপির ৭ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৪ মামলা
সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সাত শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ আইনে, হামলা ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় এ পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শহরের ইসলামিয়া কলেজ মাঠে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুরের দিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে এ সংঘর্ষ শহরের ইলিয়ট ব্রিজ (বড়পুল), কাটাখালী ব্রিজ, নদীপুল, রেলগেট ও নিউ ঢাকা রোডসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়। পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
তিনি জানান, শুক্রবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির প্রায় ৮০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫’শ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয় এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির ৪০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন ও টহল অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিএনপির মিছিল-পথসভা, পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ: ফেনীতে ১৪৪ ধারা জারি
ফিরে দেখা ২০২১: আগের মতো এবারও জনমত গঠনে ব্যর্থ বিএনপি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় ২০২১ সালে বিএনপি জনগণের মাঝে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরির বেশ ভালো প্রচেষ্টা চালালেও ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে বড় কোনও প্রভাব ফেলার মতো কিছু করতে পারেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, খেলার ধরন যেমন পাল্টেছে, বিএনপিকেও তেমনি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আন্দোলন ছাড়াও, বিএনপির উচিত এখন এমন কিছু করা যাতে জনগণের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। জনগণ একটি কঠিন আন্দোলন দেখতে চায়। বিএনপির এ বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আলী রীয়াজের মতে, বিএনপির উচিত প্রথমে নিজেদের দল গোছানো, এরপর ভবিষ্যতের জন্য কৌশল নির্ধারণ করা।
২০২১ সালে কোনো অর্জন নেই
২০২১ সালের প্রথম দিনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, তারা দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নতুন শপথ নিয়েছে। কিন্তু দলটি তাদের অঙ্গীকার রক্ষায় তেমন কিছু করতে পারেনি।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসাসহ অন্য আরও বেশ কিছু দাবিতে বিএনপি র্যালি, মানববন্ধনসহ অনেকগুলো কর্মসূচি পালন করেছে।
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের চলমান আন্দোলন থামবে না। দেশজুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বর্তমান দানব শাসনের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ঠাকুরগাঁও শহরের গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির অয়োজনে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হবে না। আসুন এই জনসভা থেকে আমরা শপথ নিই যে যতক্ষণ না আমরা এই শাসককে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে ঘরে ফিরব না। আমাদের আন্দোলন চলবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন আন্দোলনে খালেদার ভূমিকার কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, নেত্রী এখন উন্নত চিকিৎসার অভাবে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন। আমরা তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের আহ্বানে কর্ণপাত করছে না।
চলমান আন্দোলনকে একটি শক্তিশালী আন্দোলন দাবি করে এই বিএনপি নেতা জানান, খালেদার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এক মাস ধরে সারাদেশে আন্দোলন করছেন তারা। আন্দোলন মানে হরতাল-অবরোধ নয়। সমাবেশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ জোর গলায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে ‘অর্থহীন’ আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সংলাপে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে বঙ্গভবন থেকে সংলাপে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার আগেই দলটি এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে।
এর আগে ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেলে তাদের স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, তাদের নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন ইসি গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপ, সময়ের অপচয় মাত্র বলে মনে করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
এ ধরনের সংলাপের পূর্ব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপ কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। তাই, অর্থহীন কোনো সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে না।
গত ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন ইসি গঠনের বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন।
আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
ফেনীতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিএনপির মিছিল-পথসভা, পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
ফেনীতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিএনপির মিছিল ও পথসভাকে কেন্দ্র করে বুধবার দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় দুই পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম যায়নি।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ অধ্যাপক জয়নাল আবদীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ।
অধ্যাপক জয়নাল আবদীন বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পণ্ড করতে যুবলীগ অযাচিত সমাবেশ ডেকে ১৪৪ ধারা জারি করে। এভাবে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।
ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মেসবাহ উদ্দিন জানান, পূর্ব নির্ধারিত জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা শহরের ইসলামপুর রোডের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ এসে ছত্রভঙ্গ করে দিতে চাইলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ: ফেনীতে ১৪৪ ধারা জারি
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহফুজুল হক বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ফেনী ওয়াপদা মাঠসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে শহরজুড়ে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, একই স্থানে বিএনপি ও যুবলীগের সভা আহ্বান করায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় শহর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফেনী শহর ও পৌর এলাকায় এই ১৪৪ ধার বলবৎ থাকবে। ১৪৪ ধারা বাস্তবায়নে এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদারকি করছেন।
আরও পড়ুন: নিজেদের অপকর্মের ভারে আ ’লীগ সরকার এখন পতনের পথে: বিএনপি