বিএনপি
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই বলেও উল্লেখ করে দলটি।
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল সোমবার।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ এখন আর নেই: নানক
বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ এখন আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ঈদ মানুষের কষ্টে কেটেছে বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য প্রসঙ্গে নানক বলেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে কথা বলেন তারা সে বাংলাদেশ দেখতে অভ্যস্ত। আজ বাংলাদেশ এমন এক জায়গায় গেছে যে পেছনে তাকানোর সময় নেই।
আরও পড়ুন: পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: নানক
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি একথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আজ বিশ্ব হাতের নাগালের মধ্যে। কাজেই রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন সে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ আজ আর নেই।
নানক বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি সুন্দর বাংলাদেশ, হাস্যোজ্জ্বল বাংলাদেশ। রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যত স্বপ্নই দেখুক সে স্বপ্ন পূরণ হবে না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। আমরা যারা সরকারের লোক এবং সরকারে রয়েছি, আমরা কিন্তু রমজানের আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। রমজানের আগেই বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সুলভ মূল্যে কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছিলাম। ঢাকার মানুষ যে বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল মফস্বলের মানুষ কিন্তু সে পরিস্থিতির মুখে ছিল না। ঢাকা শহরে এক পরিস্থিতি, মফস্বলে আরেক পরিস্থিতি। তৃণমূল কৃষক যে দামে বিক্রি করে ভোক্তার কাছে এসে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এটি আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।
তাহলে কি সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেননি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট একটা পপুলার শব্দ। সিন্ডিকেট আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ব্যাপার। তবে সিন্ডিকেট কাঁচাবাজারের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। মাঝখানে যারা ভোক্তা যাদের কাছে মালামাল কেনে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সে কাজ সরকার করবে, সেটি সরকারের দায়িত্ব। সুলভ মূল্যের বাজারের কারণে ঢাকা শহরে ১৫ রোজার পরে জিনিসপত্রের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জিনিসপত্র, কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষ দুটি বড় উৎসব পালন করল। ঈদুল ফিতরের পর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে। দুটি উৎসব মানুষ আনন্দের সঙ্গে পালন করেছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব: পাটমন্ত্রী নানক
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে: নানক
বাংলাদেশ শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনেরও সম্মুখীন: রিজভী
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সময় ‘রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে পোশাক পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতিসহ বাংলাদেশি পরিচয়ের মৌলিক দিকগুলো পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।
রিজভী আরও বলেন, ‘পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ইছামতি, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সৃষ্ট আমাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য- যা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রেখেছে, তা ভাঙতে পারবে না আওয়ামী লীগ।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে ঘিরে জাতির পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ সুরক্ষিত রয়েছে।
রিজভী বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসবের চেতনা ছেয়ে গেছে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার জন্য লড়াইকারীদের সংগ্রামে। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী কারাবন্দি। মাত্র কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদযাপনের আনন্দ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই: রিজভী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের উপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি তো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।’
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘী চত্বরে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যাদের জন্মই অগণতান্ত্রিক তারাই গণতন্ত্রের কথা বলে: বিএনপির উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়ে বাংলাদেশের দস্যুরা বেশি ভয়ংকর’- বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, 'দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি।’
এ বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই, উনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। কিন্তু মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন হয়েছে এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।’
আরও পড়ুন: নাবিকদের উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব শিগগিরই আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব শিগগিরই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এরই মধ্যেই হয়েছে।'
এর আগে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, 'আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই শামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান হবে না। কেউ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে, সবসময় করেছি, ভবিষ্যতেও করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
“চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আযোজক কমিটির নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশ থেকে অপরাজনীতি চিরতরে দূর হওয়ার প্রার্থনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
যাদের জন্মই অগণতান্ত্রিক তারাই গণতন্ত্রের কথা বলে: বিএনপির উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যাদের জন্মই অগণতান্ত্রিক আর প্রতিনিয়ত গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য অপচেষ্টা চালায়, সেই বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, এটিই হচ্ছে দুঃখজনক। এটি যেন, চোরের মায়ের বড় গলা।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও অপর নেতা ড. আবদুল মঈন খানের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিল, ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়েছিল, ড. মঈন খান আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য সন্নিবেশিত হয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দৈত্যের দল বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, ‘শুধু বিএনপির জন্মই অগণতান্ত্রিক নয়, তারা দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৫০০ নির্বাচনি কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনি কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২০২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।’
এ সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে, আশা করছি শিগগিরই তাদের মুক্ত করতে পারব। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।
আরও পড়ুন: নাবিকদের উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান আরও বলেন, ‘আমরা নাবিকদের পরিবারদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। নাবিকরা ভালো আছে, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছে। আমরা আশা করছি তাদের শিগগির মুক্ত করতে পারব।’
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা এবং তাদের হামলায় এদিন এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত মন্ত্রিসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূরীভূত করতে সরকার কাজ করছে এবং কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে ও নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ও হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে আগামীকাল ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে, কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই।
বুধবার রাজধানীর কাফরুল থানা বিএনপির উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মম নির্যাতনে কেউ পা হারিয়েছে, কেউ চোখ হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর বাসায় যাই, তখনই দেখি ওই কর্মী দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার।’
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারগুলো তাদের ছেলে, ভাই, বাবা, স্বামীর জন্য চোখের জল নিয়ে ঈদ উদযাপন করছে।
১৫ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হয় জেলে, হাসপাতালে গিয়েছেন নয়তো জেল থেকে বের হয়েছেন।
তিনি বলেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দল বিএনপির ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে, অন্যদিকে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দেশের গরিব মানুষের টাকা লুটপাট করে ফোর্বস ম্যাগাজিনের শীর্ষ ২০ ধনীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কুইক রেন্টালের মতো উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার লুটেরারা গরিব মানুষের টাকা লুটপাট করে কানাডায় বেগম পাড়া, দুবাইয়ের গুলশান থ্রি, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানিয়েছে।’
এটা রূপকথা নয়, বাস্তব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসার বিল পরিশোধ করতে না পেরে বাবা তার ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছেন, চরম দারিদ্র্যের কারণে মা তার সন্তানকে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
আওয়ামী লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতার পাশাপাশি গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নাৎসিদের মতো চরম বর্বরতার সঙ্গে দেশ শাসন করছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে প্রতিবেশী দেশের 'যুদ্ধের করিডোরে' পরিণত করা হচ্ছে: রিজভী
রিজভী বলেন, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে সীমিত আয়ের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা এখন কঠিন। তাই তাদের মুখে আনন্দের চিহ্ন নেই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শাসক মহলের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দৈনন্দিন জীবন যাপনে কষ্টের মধ্যে ফেলেছে।’
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে গরিব মানুষ নিঃশব্দে কাঁদছে। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করে, সিন্ডিকেটের চক্র ধ্বংস না করে বিরোধী দলকে দমন করতে ব্যস্ত।’
বিদেশে চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ বছর ধরে কারাগারে আটকে রেখেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, প্রায় প্রতিদিনই বিএনপির কিছু নেতাকর্মী খুন বা গুমের শিকার হচ্ছে, কারারুদ্ধ হচ্ছে অথবা মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ওদের (বিএনপির নেতাকর্মীদের) সারাদিন আদালত প্রাঙ্গণে কাটাতে হয়। ফলে যাদের চাকরি ছিল তারা চাকরি হারিয়েছেন, ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকার দেড় লাখ মামলা দিয়েছে, যেখানে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’
বিএনপির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
ঈদের আগেই গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি বিএনপির
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আগে দলের আটক নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
রিজভী বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিএনপি নেতারা জামিনের জন্য আদালতে হাজির হন। এরপর শেখ হাসিনার 'আজ্ঞাবহ আদালত' তাদের কারাগারে পাঠান।
তিনি বলেন, ‘বাকশাল-২ (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) সরকারের জুলুম-নির্যাতনে জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। দেশে সভা-সমাবেশ করার সব সুযোগ-সুবিধা শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই ভোগ করছে। এখানে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর এটা করার অধিকার নেই।’
তারা নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে কলুষিত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাস তার সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূলনীতিকে কবর দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশকে একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ অবস্থায় মানুষের মন থেকে ঈদের আনন্দের অনুভূতি উধাও হয়ে গেছে।'
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে এবারের ঈদ মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিরানন্দের।
তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বত্র নির্যাতন, ডাকাতি হচ্ছে। রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ জুলুম-নির্যাতন, গুম, হত্যা, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দায়ের অব্যাহত রেখেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দেড় লাখ মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
বিএনপি মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে: পাটমন্ত্রী
বিএনপি মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, রাজনীতি থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি এখন সমালোচনার জন্য শুধু সরকারকে বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পণ্য রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে পাটখাত পুনরুজ্জীবিত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুর, শেরেবাংলা নগর ও আদাবর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, বিএনপির নেতার ঘরে বসে বসে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দলটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আর আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী দেশের যেকোনো পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে ছিল, আছে ও থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব: পাটমন্ত্রী নানক
বিজেএমসি'র সকল বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
রাজনৈতিক দৈত্যের দল বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপিকে একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ' হরর বা ভয়ের সিনেমায় দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়। বিএনপি যেভাবে মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তাতে করে এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য। হরর মুভির মতোই বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল।'
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে 'একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলছে' বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আশা করি পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবেন, ততদিন বিএনপির কোনো সম্ভাবনা নেই।'
মন্ত্রী হাছান বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমন কী বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।'
তিনি বলেন, ঈদ সামনে রেখেও অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হওয়া কঠোর হস্তে দমনে সরকার বদ্ধপরিকর এবং এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে যেমন প্রচার হয়, দাম কমলে সেটিও গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া দরকার।
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য চাইলে ড. হাছান বলেন, তাদের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ইতোমধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী