বিএনপি
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ: খসরু
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
খসরু বলেন, ‘১৯৯১ সালে স্বৈরাচারী এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে সফল আন্দোলন করে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম জিয়া। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এবং স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার প্রথম মেয়াদে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের প্রতিটি সেক্টরে নারী নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস: আমেনার দায় নিবে কে
তিনি বলেন, হাঁস, মুরগি, ছাগল ইত্যাদি পালনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে উৎসাহিত করে নারীদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন চাই তাহলে তাদের নিজেদের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আমাদের দিতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আজকাল দেখা যাচ্ছে যে নারীরা নিত্যদিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
তিনি বলেন, যারা নারী অধিকারের জন্য কাজ করছেন তারাই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার অংশ এজন্য হয়রানির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না।
আমির খসরু বলেন, প্রায় সব সেক্টর আওয়ামী লীগের লোকজনের দখলে, যারা ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। এজন্য কেউ বিচার পাচ্ছে না।
দেশে নারীসহ মানুষের কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
খসরু বলেন, ভোটাধিকারের মতো মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলেই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে নারীসহ জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২৮ অক্টোবর তারা সর্বনাশ করেছিল। তাদের নেতা ইংল্যান্ড থেকে নির্দেশনা দেন, কিন্তু তাদের কর্মীদের কী হবে তা নিয়ে ভাবেন না। তাদের ভুল অনুধাবন না হলে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি আসনে জয়লাভ করেছিল। ২০১৪ সালে, তারা নির্বাচন না করেই ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিল এবং মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
গত নির্বাচনে বিদেশিদের ভূমিকা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশ অনেক কথা বলে, সবাই জানে সেখানে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। কিছু উন্নত দেশে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে। আমাদের ভোট ৪২ শতাংশ। কেউ যদি বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলেও আমাদের কিছু বলার নেই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এদেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার কথা ভাবছেন। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিপ্লব হাসান পলাশ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
আগুন-জঙ্গি হামলার জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ক্ষমা করা যায় না। তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
এ সময় তার বক্তব্যে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতা ও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসে এখনও অনেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার- এই অভিযোগের বিষয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা রাজবন্দী (রাজবন্দী) হিসেবে পরিচিত এবং যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা কীভাবে রাজনৈতিক বন্দী হতে পারে। বরং তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও অপরাধী।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তারা হয় হুকুমদাতা, সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা অর্থদাতা। সুতরাং অর্থদাতা, হুকুমদাতা বা যারা সরাসরি জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষী ও নথি দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ইসরায়েল শিশু ও নারীদের হত্যা করছে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যা করছে, বিএনপির চরিত্র এখানে তেমনই। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে গেছে।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত চলতি সংসদের প্রথম অধিবেশন গত ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে-বিদেশে অভিযোগ করে কোনো লাভ হবে না। আর বিদেশিরা যা বলবে তাতে দেশ চলবে না। আমরা সব দেশের নির্বাচন দেখেছি।’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক নারী ও নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'অতীতে এ ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ নির্বাচনের আগে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে।
আসন্ন জাতীয় বাজেটে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে- আমাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়ন করব।’
নতুন মন্ত্রিসভা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের কল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে এবং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে এসব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবে, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, সঠিক ব্যক্তিরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী হবে তা নিশ্চিত করবে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, সরকারি চাকরিতে শূন্য পদে নিয়োগ, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন পণ্য উৎপাদন, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান করবে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও শিল্পের উন্নয়নে উৎসাহিত করা এবং চামড়া, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা নিশ্চিত করা, যা এখন তৈরি পোশাক খাত উপভোগ করছে।
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
আত্মসমর্পণ করে কারাগারে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মী
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে গেলেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সাত নেতা-কর্মী।
তারা সবাই হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ।
বিএনপির সাত নেতা-কর্মীরা হলেন- রাণীনগর উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন ও ফরহাদ আলী মন্ডল, উপজেলা বিএনপির সদস্য নয়ন খান, উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহবুব হাছান ও বড়গাছা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একলাস আলী মন্ডল।
আসামিদের আইনজীবী সাব্বির হোসেন বলেন, আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা পরবর্তীকালে আবার জামিন চাইব।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ২১ মাসের সাজা পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন- সাবেক বিএনপি নেতা মো. হানিফ।
তবে এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
তবে মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন আদালতে উপস্থিত হননি।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ মামলায় দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।
তাদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় তিনমাস ও ৪৩৫ ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তাদের বয়স বিবেচনায় এ কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
নাটোরের আদালতে জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার মামলায় নাটোরের আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলম ২৪ মার্চ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এ সময় চাঁদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সিএনজি ও মোটরসেইকেলের সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত
চাঁদের আইনজীবী রুহুল আমিন টগর জানান, শুনানি শেষে বিচারক ২৪ মার্চ পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত চাদেঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনে আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ অভিযোগে ওই বছরের ২২ মে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বাদি হয়ে আবু সাঈদ চাদেঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
চাঁদপুরে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে পৌর বিএনপির সভাপতিসহ আটক ৯
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
দেশের বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে নিমজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিএনপি নেতা বলেন, কাদের দাবি করেছেন দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন অথচ তার প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, দেশে স্বল্প পরিসরে হলেও লোডশেডিং থাকবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ সকাল-সন্ধ্যা লোডশেডিংয়ে ভুগছে অথচ তাপমাত্রা এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপি দেশের মানুষকে উপেক্ষা করে বিদেশি প্রভুর কাছে ধর্না দিচ্ছে- কাদেরের এই বক্তব্যের নিন্দা করেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সম্ভবত স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। কারণ তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন ভুলে গিয়েছিলেন যখন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা সিং আওয়ামী লীগকে তাদের সমর্থন করতে এবং এইচএম এরশাদকে নির্বাচনে যোগদান করানোর জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এটি একটি সার্বভৌম দেশে হস্তক্ষেপের স্পষ্ট লক্ষণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল বিএনপি: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিপুল জনরায় নিয়ে সরকার গঠন করে সেই সরকার কি এমন কাজ করতে পারে? দিবালোকের মতো পরিষ্কার, এই বিপুল জনরায় দেখে বিএনপি তাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল এবং তারা ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ করেছিল এবং আমাদের চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল।’
হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্রোহে যারা নিহত হয়েছেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেরিতে বিছানা ছাড়লেও বিদ্রোহের দিনে ঘটনা শুরুর বেশ আগে তার সেনানিবাসের বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন।
হাছান বলেন, ‘কেন তিনি সেদিন এত সকালে বিছানা ছেড়ে উঠেছিলেন? তার মানে তিনি বিদ্রোহের কথা আগে থেকেই জানতেন।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ফোন কল রেকর্ড সরকার সংগ্রহ করেছে এবং জানে লন্ডনে তিনি কতবার কথা বলেছেন সেটি সরকার জানে। ‘সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত।’
বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, মঈন খান হয়তো ভুলে গেছেন যে, বিএনপি-জামায়াত আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মনে করেছে নির্বাচন হবে না এবং তারা চেয়েছিল যাতে সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং ভোটাররা যাতে ভোট দিতে না পারে।
তিনি বলেন, কিন্তু বিপুল সংখ্যক ভোটাররা এসেছে এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।’
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপিকে জনগণ কালো পতাকা ও বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়েছে: হাছান মাহমুদ
নির্বাচনে না আসায় বিএনপিকে খেসারত দিতে হবে: কাদের
আন্দোলনে ব্যর্থতা এবং নির্বাচনে না আসায় অনেকদিন ধরে এর খেসারত বিএনপিকে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সমালোচনা যারা করে তারা করবে, দেশেও করবে বিদেশেও করবে। বিএনপি নির্বাচনে আসতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন টের পাবে, তারা রাজনীতিতে নিজেদের কতটা সংকুচিত করেছে।’
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞা বাজারের জিরো পয়েন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে সেতুমন্ত্রী এসব এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে পরবর্তী আন্দোলনের পরিবর্তে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ কাদেরের
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে অবাক লাগে মির্জা ফখরুল জেল থেকে বের হয়ে অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে যাননি বরং মার্কিন প্রতিনিধি দল আসার দিনে লাঠিতে ভর দিয়ে নালিশ করতে গিয়েছেন।’
নালিশ করা বিএনপির রাজনীতির পুরোনো অভ্যাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা জনগণের কাছে নালিশ করার চেয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিতে তারা গলাবাজি করবে। এর জবাব তো আমাদের দিতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
পিলখানা বিদ্রোহ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিদ্রোহে নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ের কথা আমরা শুনেছি, কিন্তু রায়ের অবস্থা কী? রায়ে কি কোনো আপিল হয়েছে, আর ১৫ বছরেও শুনানি শেষ হয়নি কেন? এছাড়া ২০১১ সালে আরেকটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। কেন এই মামলার বিচার এখনও বিলম্বিত হচ্ছে?’
আরও পড়ুন: সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা শুধু একটি কথাই বলব, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের মাধ্যমে, আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পায়। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) কয়েকশ সদস্য পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। এদিনের বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।
পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান