চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকায় নয়নতারা নামে এক গৃহবধূকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ সময় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস টুনি মাকে রক্ষা করতে এলে তাকেও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সুমিরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নয়নতারা মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আনছার আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক নিহত, আহত ২
স্থানীয়রা জানান, ১৮ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের মৃত আনছার মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী নয়নতারাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছিলেন স্বামী আনোয়ার হোসেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ নয়নতারার লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়। স্বামী আনোয়ার হোসেন ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, বিছানা ও ঘরের মেঝে রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, জান্নাতুলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মাথায় ১২-১৫টা সেলাই লেগেছে। সে শঙ্কামুক্ত নয়। তাকে সদর হাসপাতালে নারী সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রেখেছি। তার চিকিৎসা চলমান।
আহত জান্নাতুল বলেন, বাবা ৯ মাস ধরে আমাদের কোনো খরচ দেন না। আমরা নানিবাড়িতে ছিলাম। আমার নানার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো না। মা আমাদের খুব কষ্ট করে চালান।
জান্নাতুল আরও বলেন, আমার আর ছোট ভাইয়ের পড়াশোনাও চালান মা। মায়ের শখ তার ছেলে হুজুর হবে এবং আমাকেও এসএসসি পর্যন্ত পড়াবেন। আমার পড়াশোনা গ্যাপ যাচ্ছে তাই আজ বাড়িতে এসেছি।
তিনি বলেন, মা বলছিলেন আজকে যেতে হবে না কালকে যাই।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমরা যদি কালকে আসতাম তাহলে আমার মা বেঁচে থাকতো।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, পরকীয়া সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনাবনি ছিল না। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আনোয়ার হোসেন গা ঢাকা দিয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তাহিরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ের পর ঝাড়ফুঁক, প্রাণ গেল যুবকের
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চাকুলিয়া গ্রামে সাপের কামড়ে সোহাগ আলী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে আহত অবস্থায় সোহাগকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কেশবপুরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
সোহাগ আলী দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের শমসের আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে সোহাগসহ কয়েকজন নিজ গ্রাম থেকে চাকুলিয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় সোহাগের বাম পায়ে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। পরে নিজ গ্রাম ফুলবাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এক ওঝার কাছে নিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, রাতে কয়েকজন ব্যক্তি মৃত অবস্থায় সোহাগকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, সাপের কামড়ের পর ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করেছিল। তার বা পায়ে সাপের কামড়ের আলামত দেখতে পেয়েছি। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, সাপের কামড়ে একজন মারা গেছে বলে জেনেছি। বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: নবীনগরে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ভ্যানে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১
চুয়াডাঙ্গায় পাখিভ্যানে (ব্যাটারিচালিত) ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহত কালা চাঁদ ওই পাখিভ্যানের চালক ছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের জগন্নাথপুর জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত
নিহত কালা চাঁদ কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমবাড়িয়া গ্রামের আওলাদ বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, চাষের জন্য সার কিনে আলমডাঙ্গা থেকে পাখিভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন কালা চাঁদ। এসময় জগন্নাথপুর জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি ড্রাম ট্রাক ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ভ্যানচালক কালা চাঁদ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহতের লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
ঢাকার পূর্বাচলে ট্রাকের ধাক্কায় আহত জাবি ছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ৭০ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়
দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রকোপ ও গরমের কারণে বেড়ে গেছে ডাবের চাহিদা। এরই সঙ্গে বেড়ে গেছে ডাবের দামও। চুয়াডাঙ্গায় ৭০ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এনিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা ঝুলানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে দোকানিরা মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখলেও ডাবের দাম কমেনি বলে দাবি ক্রেতাদের।
চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বর (চৌরাস্তা) মোড়, নিচের বাজার, রেল বাজার, পুরাতন জেলখানা মোড়, সদর হাসপাতাল রোডের উপশম মোড়, কবরী রোডের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোড়, কেদারগঞ্জ নতুন বাজার মোড় ও একাডেমি মোড়সহ শহরের যে কয়টি স্পটে ডাব বিক্রি হয় প্রত্যেকটি স্পটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি ডাবের খুচরা মূল্য আকার ভেদে ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ প্রকারভেদে এই ডাবের দাম বর্তমান বাজারে ৭০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে হওয়ার কথা।
ডাব কিনতে আসা আলমগীর কবির শিপলু বলেন, গত সপ্তাহেও মাঝারি সাইজের ডাব কিনেছি ৭৫ টাকায়। এটা এখন দেখি ১০০ টাকা হয়ে গেছে। বড়টা তো ১৩০ টাকা। দাম এত বেড়েছে যে কিনতেই ইচ্ছে করছে না। আবার যে গরম ডাব না খাইলেও সমস্যা।
ডাব কিনতে আসা দেবাশীষ বিশ্বাস নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, সিন্ডিকেটের কারণেই ডাব দাম বাড়ছে। বাজারের প্রতিটি জিনিসের দাম যেমন বেশি, সেই সঙ্গে ডাবের দামও বেশি। ডাব কিনে খাওয়ার উপায় নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদরের সরিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট বলেন, ‘বর্ষাকালেও গরম বেড়েছে বলে অনেক ব্যবসায়ী ডাবের দাম বাড়িয়েছে। এ গরমে ডাব খাওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। এটা বুঝেই ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের সুযোগ নিচ্ছে।’
বিভিন্ন উপজেলার খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ছোট-বড় ডাব খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ৪০-৫৫ টাকায় বিক্রি করতেন। এখন সেটা বেড়ে দাম ৮০-১০০ টাকায় ঠেকেছে। যেমন বড় ডাব ১০০-১১০ টাকা, মাঝারি ৯০-১০০টাকা ও ছোট ডাব ৮০-৮৫ টাকায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের কিনতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ৪৩২৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ
চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক নিহত, আহত ২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মাতাল অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক পিলারে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের আরও দুই আরোহী।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার উথলী-বেগমপুর সড়কের ছোটপুল ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের বোতলে মদ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোটরসাইকেলচালকের নাম সেলিম উদ্দিন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন এবং নজরুল ইসলামের ছেলে স্বপন হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিন যুবক দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছোটপুল ব্রিজ এলাকায় সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক পিলারে ধাক্কা খায়। এ সময় মোটরসাইকেলের তিন যুবক সড়কে ছিটকে পড়েন এবং গুরুতর আঘাত পান। পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. জাবীদ হাসান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল ও দুই বোতল বাংলা মদ জব্দ করে।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের স্থায়ী সমাধানে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব চায় ইউএনএইচসিআর-এনজিও
ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২১২৯
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিককে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ রফিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চ সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতদিয়াড়ে রফিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়ি তল্লাশি করে ১৯ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন নামক মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে সদর থানায় রফিকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে আরও জানা যায়, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ২০২০ সালের ১৫ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে মামলার ৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এলিজা খাতুন (৪০) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দামুড়হুদা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় খাল থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নিহত এলিজা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জ গ্রামের রুস্তম মল্লিকের মেয়ে।
দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-অপারেশন) শফিউল আলম বলেন, এলিজা খাতুন একজন প্রতিবন্ধী নারী। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সকালে দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি, পানিতে ডুবে তিনি মারা যান। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সিলেটে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সাপের কামড়ে মুক্তাকিনা খাতুন ঐশী (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভোরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মুক্তাকিনা খাতুন ঐশী আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের হাটখোলা পাঁচলিয়া গ্রামের টাইলস মিস্ত্রি শরিফুল ইসলামের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে ঐশী ছিল বড়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
ঐশীর মামা তালহা বিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল আমার ভাগ্নি ঐশী। অনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় একটি সাপ তাকে কামড় দেয়। এরপর ঐশী ছটফট করতে থাকে।
জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রাশেদুজ্জামান বলেন, মেয়েটির বাড়ি আমার ওয়ার্ডে। সাপের কামড়ে মেয়েটি মারা গেছে। ঘটনার পর থেকেই ঝাড়ফুঁক করা হয়। গ্রামের মানুষ সচেতন নয়। রাতেই মেয়েটিকে হাসপাতালে নেওয়া উচিত ছিল।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, সাপের কামড়ে একজন মারা গেছে বলে জেনেছি। বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
মীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকের সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৬
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাছবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংঘর্ষে ইজিবাইকের চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার হাটবোয়ালিয়া ফুটবল মাঠে এলাকায় আলমডাঙ্গা-গাংনী আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নারী নিহত
নিহতরা হলেন‒ আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে সাজিদুর রহমান (৫৫) ও শেখ মুন্নার ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে হাটবোয়ালিয়া ফুটবল মাঠ এলাকায় আলমডাঙ্গা-গাংনী আঞ্চলিক সড়কে মাছবোঝাই ট্রাকটির সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয়।
এতে ইজিবাইকের চালকসহ ২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। ইজিবাইকের আহত ৬ যাত্রীকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহতদের লাশ হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। ট্রাকটি আটক করা গেলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় দুই ইজিবাইকের সংঘর্ষে প্রাণ গেল শিশুর, আহত ৭
চুয়াডাঙ্গায় একজন আটক, ৪৬ স্বর্ণের বার জব্দ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্তে একজনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আটকের সময় তার কাছ থেকে ৪৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক মো. আরিফুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার নাস্তিপুর গ্রামের মনজুর আলী বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রকিবুল ইসলাম জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণের বার পাচার হবে। সীমান্ত পিলার ৭৮/৬-আর থেকে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর গ্রামের বেলে মাঠের পেয়ারা বাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে পেঁচানো সাদা কাপড়ের তৈরি বেল্টের ভেতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকানো ছোট বড় ৪৬টি স্বর্ণের বার এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করেন। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম।
আটক ব্যক্তির নামে নায়েব সুবেদার মো. দুলাল হক বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন এবং স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ১৮ স্বর্ণের বারসহ আটক ২
চুয়াডাঙ্গায় ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১